নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূজা ও বেহুলা-লখিন্দর

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৯



সুজানগরে পূজা এলো
প্রতিমারা অপরুপ রূপে সেজে উঠে
ঢাক, ঢোল, সানাই, নৈবেদ্য, প্রসাদে আর
হরেক রকম মানুষের ভীড়ে মহিমের কেবল মনে পড়ে-
মনসামঙ্গলের কাহিনী-যেথায় চম্পক নগরের বণিক চাঁদ সওদাগর;
মনসা পূজার প্রচলন না করায় মনসার শাপে
পুত্ররা তাঁর সর্প দংশনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
সংকিত হয়ে লখিন্দরের বাসর সাজায় সুনিপুণ করে
তবুও বেহুলার স্বামীরে সর্প দংশন করে
ভেলায় ভাসিয়া বেহুলা চলে গ্রামের পর গ্রাম
স্বামীর জীবন ফিরে পাবে এই অলৌকিক আশায়
তাঁর দুঃখে ফুটে পথের ঝোপে ভাঁটফুল আবার ঝরে পড়ে
অবশেষে স্বর্গে মনসারে খুশি করে স্বামীর জীবন ফিরে আনে
আজরেক পূজায় সেই কাহিনীর ছিটা ফোটা নেই আর কোন খানে
কেবল মহিমের চোখে চেয়ে থাকে বেহুলা বাংলার পানে।

ছবি-নেজের আঁকা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ছবি এবং কবিতা সুন্দর হয়েছে। পাঠ করে আরাম পেলাম।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর বলায়।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ফিরতি মন্তব্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।

পরী ও ভাবী কাছে নেই তাতে কি খবরের কাগজ, ফেবু, ব্লগ পড়ে লিখে দিব্যি সময় কেটে যাচ্ছে আপনার ।

৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

মাহের ইসলাম বলেছেন: চম্পকনগরের অবস্থান কোথায় ?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রাচীন ভারতের এক নগর হচ্ছে চম্পকনগর (কিংবদন্তিতে যা উল্লেখ আছে)

ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,




পূজার সাথে বেহুলা-লখিন্দর এর কাহিনীর সম্পর্কটা ঠিক বুঝে ওঠা গেলোনা। এটুকু বোঝা গেলো, পূজার ঘটা দেখতে দেখতে্ই
মহিম এর বেহুলা-লখিন্দরের কথা মনে পড়েছে। এই পূজার আবাহনের সাথে তো আসলে বেহুলা-লখিন্দরের কাহিনীর ছিঁটে ফোটা থাকার কথা নয়!

যাই হোক , এটাকে ঠিক কবিতা মনে হচ্ছেনা। আর একটু সাজানো যেতো ছন্দে।
শুভেচ্ছান্তে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ

এখানে পূজা বলতে মনসা পূজা বুঝিয়েছি।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে-

লখিন্দরের পিতা চন্দ্রবণিক বা চাঁদ সওদাগর ছিলেন হিন্দু দেবতা শিবের একনিষ্ঠ পূজারী। তাই তিনি অন্য কোন দেবতার আরাধনা করতেন না। অপরদিকে শিবের কন্যা মনসা ছিলেন সর্পদেবী, কিন্তু তিনি কোথাও পূজিতা হতেন না। তাঁর পিতা শিব তাঁকে বলেন যে যদি কোন ভক্তিমান শৈব (শিবের উপাসক) প্রথম মনসার পূজা করেন তাহলেই মর্ত্যে তাঁর পূজার প্রচলন সম্ভব। তখন মনসা চাঁদ সওদাগর কে নির্বাচন করে তাঁকেই অনুরোধ করেন মনসা পূজার আয়োজন করার জন্য, কিন্তু শিবের উপাসক চাঁদ সওদাগর মনসার প্রস্তাবে অস্বীকৃত হন। তখন ক্রোধোন্মত্ত মনসা তাঁকে শাপ দেন যে তাঁর প্রত্যেক পুত্রের জীবন তিনি বিনাশ করবেন। মনসার শাপে এইভাবে একে একে লখিন্দর ব্যতীত চাঁদ সওদাগরের সকল পুত্রই সর্পদংশনে নিহত হয়। তাই লখিন্দরের বিবাহের সময় চাঁদ সওদাগর অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে দেবতা বিশ্বকর্মার সাহায্যে এমন বাসর ঘর তৈরি করেন যা সাপের পক্ষে ছিদ্র করা সম্ভব নয়।

কিন্তু সকল সাবধানতা স্বত্ত্বেও মনসা তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমর্থ হয়। তার পাঠানো একটি সাপ লখিন্দরকে হত্যা করে।

তাই কবিতায় পূজার সাথে বেহুলা লখিন্দর এভাবে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।

৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

বলেছেন: পুজোর সাথে বেহুলার কাহিনী বুঝলাম না??

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এখানে পূজা বলতে মনসা পূজা বুঝিয়েছি।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে-

লখিন্দরের পিতা চন্দ্রবণিক বা চাঁদ সওদাগর ছিলেন হিন্দু দেবতা শিবের একনিষ্ঠ পূজারী। তাই তিনি অন্য কোন দেবতার আরাধনা করতেন না। অপরদিকে শিবের কন্যা মনসা ছিলেন সর্পদেবী, কিন্তু তিনি কোথাও পূজিতা হতেন না। তাঁর পিতা শিব তাঁকে বলেন যে যদি কোন ভক্তিমান শৈব (শিবের উপাসক) প্রথম মনসার পূজা করেন তাহলেই মর্ত্যে তাঁর পূজার প্রচলন সম্ভব। তখন মনসা চাঁদ সওদাগর কে নির্বাচন করে তাঁকেই অনুরোধ করেন মনসা পূজার আয়োজন করার জন্য, কিন্তু শিবের উপাসক চাঁদ সওদাগর মনসার প্রস্তাবে অস্বীকৃত হন। তখন ক্রোধোন্মত্ত মনসা তাঁকে শাপ দেন যে তাঁর প্রত্যেক পুত্রের জীবন তিনি বিনাশ করবেন। মনসার শাপে এইভাবে একে একে লখিন্দর ব্যতীত চাঁদ সওদাগরের সকল পুত্রই সর্পদংশনে নিহত হয়। তাই লখিন্দরের বিবাহের সময় চাঁদ সওদাগর অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে দেবতা বিশ্বকর্মার সাহায্যে এমন বাসর ঘর তৈরি করেন যা সাপের পক্ষে ছিদ্র করা সম্ভব নয়।

কিন্তু সকল সাবধানতা স্বত্ত্বেও মনসা তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমর্থ হয়। তার পাঠানো একটি সাপ লখিন্দরকে হত্যা করে।

তাই কবিতায় মহিম পূজার সাথে বেহুলা লখিন্দরকে খুজে।

ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অনুভবের জন্য ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক দিন পর আপনার দেখা মিলল।
সাথে ছবি উপহার পেয়ে ভাল লাগছে।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: ১ম লাইনে এলো না, এলে হবে। আমার কাছে এলে বেশি পছন্দ লাগলো।
মনসামঙ্গল এক শব্দ নয়, মনসা মঙ্গল হবে।
পুজার সাথে লখিন্দরের সর্ম্পক কিন্তু আমিও বুঝেনি। আমি বেহুলা লখিন্দরের কাহিনী ভিন্ন বিষয়ের উপর জানি।
ধন্যবাদ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এখানে পূজা বলতে মনসা পূজা বুঝিয়েছি।

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে-

লখিন্দরের পিতা চন্দ্রবণিক বা চাঁদ সওদাগর ছিলেন হিন্দু দেবতা শিবের একনিষ্ঠ পূজারী। তাই তিনি অন্য কোন দেবতার আরাধনা করতেন না। অপরদিকে শিবের কন্যা মনসা ছিলেন সর্পদেবী, কিন্তু তিনি কোথাও পূজিতা হতেন না। তাঁর পিতা শিব তাঁকে বলেন যে যদি কোন ভক্তিমান শৈব (শিবের উপাসক) প্রথম মনসার পূজা করেন তাহলেই মর্ত্যে তাঁর পূজার প্রচলন সম্ভব। তখন মনসা চাঁদ সওদাগর কে নির্বাচন করে তাঁকেই অনুরোধ করেন মনসা পূজার আয়োজন করার জন্য, কিন্তু শিবের উপাসক চাঁদ সওদাগর মনসার প্রস্তাবে অস্বীকৃত হন। তখন ক্রোধোন্মত্ত মনসা তাঁকে শাপ দেন যে তাঁর প্রত্যেক পুত্রের জীবন তিনি বিনাশ করবেন। মনসার শাপে এইভাবে একে একে লখিন্দর ব্যতীত চাঁদ সওদাগরের সকল পুত্রই সর্পদংশনে নিহত হয়। তাই লখিন্দরের বিবাহের সময় চাঁদ সওদাগর অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে দেবতা বিশ্বকর্মার সাহায্যে এমন বাসর ঘর তৈরি করেন যা সাপের পক্ষে ছিদ্র করা সম্ভব নয়।

কিন্তু সকল সাবধানতা স্বত্ত্বেও মনসা তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমর্থ হয়। তার পাঠানো একটি সাপ লখিন্দরকে হত্যা করে।

তাই মহিমের কল্পনায় পূজার সাথে বেহুলা লখিন্দর ফিরে ফিরে আসে।

ভাল থাকুন। ধন্যবাদ।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: আমি ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি। শারদীয় পুজার সাথে মনসা কিংবা বেহুলার কোন সর্ম্পক নেই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তা ঠিক। কিন্তু পূজার সাথেই বেহুলা-লখিন্দর জড়িয়ে আছে।

ফিরতি মন্তব্যে ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

জুন বলেছেন: বেহুলা সিনেমা দেইখা আমি কাইন্দা শেষ :(( বিশেষ করে যখন ভেলায় করে মৃত লখিন্দরকে নিয়ে চলছে। ছোটবেলায় অনেক পুজা দেখা হতো। এখন আর হয়ে উঠেনা ভীড় আর যানজটের কথা মনে করে। সুন্দর কবিতায় ভালোলাগা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আগের দিনে সিনেমা দেখে অনেকের চোখেই জ্বল আসতো। আর এখন আসেনা।

পূজা এখন আর আমারও দেখা হয়না। ছোটকালে হিন্দুপাড়ায় গিয়ে কোন প্রতিমা সুন্দর সেটা পর্যবেক্ষণ করতাম।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বেহুলার বাপের বাড়ির আশেপাশে আমার দেশের বাড়ী । ;) ;)


কবিতা সুন্দর হয়েছে +

তবে কবিতায় কিছু তথ্য অভাব আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বেহুলার বাপের দেশের কবি-কোথায় ছিলেন এতদিন ?

আপনি না হয় আরেকটা কাব্য রচনা করুন বেহুলারে নিয়া।

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.