নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
আজ ব্লগ খুলিয়া চাঁদগাজীর ছিঁচকাঁদুনে পোস্ট পড়িয়া আমার ছেলে বেলার এক ঘটনা মনে উদয় হ্ইল। তাই আর না লিখিয়া পাড়িতেছিনা। আমাদের বাড়ির পাশের খাল পার হইলেই তাহাদের বাড়ি। সম্পর্কে তিনি কাকা হন। তাহার তিন ছেলে মেয়েকে মানুষ করিবার নিমিত্তে একজন লজিং মাস্টার রাখা হইল। তা মাষ্টারটি যেমন হেংলা-পাতলা তেমনি ছিঁচকাঁদুনে।
মাস্টারটি আবার ভূমি অফিসে ছোট পোস্টে সরকারী চাকরি করিতো। লজিং বাড়ি হতে তাহার অফিস দুই মিনিটের পথ। সেই কাকার ছেলে মেয়েদের পড়া শুরু হইতে না হইতেই মাস্টার মশাই তাহার ছাত্র ছাত্রীদের উপর মহা খ্যাপ্পা হইয়া তাহাদের অভিবাবকদিগকে নালিশের পর নালিশ করিতে লাগিলেন।
বাপ-মার কাছে এহেন নালিশের কারণে মুখ ঝামটা, চোখ কটাক্ষ, রাগারাগি, বকাবকি খাওয়ার পরিমাণ যখন বেড়েই চলল তখন মাস্টারকে নাস্তানুবাদ করার ফন্দি আটতে লাগলো তাহার গুনধর ছাত্রছাত্রী। তাহারা রাত্রি বেলায় মাস্টারের খাবার পরিবেশনের সময় তাহার বিছানায় পানি ফেলে ভাসায়া দিল। রাতে ঘুমাতে পারবেনা বলিয়া মাস্টার কাদো কাদো গলায় বলিলেন-হায়! হায় একি করিয়াছ! আমি এখন সারা রাত্রি ঘুমাইবো কোথায় ?
ব্যস আর যায় কোথায়। পরদিন ছাত্র ছাত্রীর মুখে মুখে রাষ্ট্র হইয়া গেল তাহাদের মাস্টার ছিঁচকাঁদুনে। এর পর থেকে মাস্টারের পিতৃপ্রদত্ত নাম বিলুপ্তি ঘটিলো। ছিঁচকাঁদুনে নামের আড়ালে তাহার প্রকৃত নাম চাপা পড়িল।
অনেক বৎসর পর্যন্ত সেই ছিঁচকাঁদুনে মাস্টার লজিং বাড়িতে টিকিয়া ছিল ? গ্রামের ছেলে-বুড়ো সবাই তাকে ছিঁচকাঁদুনে বলিয়া ডাকিতো তথাপিও সে কি করিয়া বছরের পর বছর টিকিয়া রহিল সেইটাই পরম আশ্চার্যের বিষয়!
ছিবি-নিজের আঁকা।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চোখটা সেই মাস্টারের অভিব্যক্তি বুঝাবার জন্য ব্যহৃত হয়েছে। চোখে পানি নেই ? কি সর্বনাশ খেয়াল ছিলনা। ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাহারা যুক্তি বোঝেনা বা মনেনা
তারা কাইন্দা জিততে চায়। এই
রোগটা বিশেষ প্রজাতির মাঝে
বেশী পরিলক্ষিত হয়।
০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৭:৪৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সহমত। বিশেষ প্রজাতি কান্নায় এক্সপার্ট। ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: কান্দিস নারে বিন্দিয়া, কি আর হইবো কান্দিয়া।
০১ লা মে, ২০২১ সকাল ৭:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তবু স্বভাবের কান্দন কি আর লুকানো যায়। ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা মে, ২০২১ সকাল ১০:০২
জুন বলেছেন: বহুদিন পর এই টার্মটা আবার শুনলাম, ইদানীং ছেলে মেয়ে যাই বলুন কারো ভেতর এই খারাপ গুন নাই। তবে আমার আত্মীয় স্বজন রা বলে আমি নাকি ছোট বেলায় ছিচকাদুনে ছিলাম
০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ২:০৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। এখন সবাই আত্মপ্রত্যয়ী। বড় বেলায় বেশ আছেন। ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা মে, ২০২১ রাত ২:২২
ঢুকিচেপা বলেছেন: ছিঁচকাঁদুনে মাস্টারের উচিত শিক্ষা হয়েছে।
যদিও এখন লজিং সিস্টেম নাই তারপরও বর্তমান সময়ের ছাত্র-ছাত্রী হলে এক সপ্তাহ টিকতে পারতো না।
০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। আশা করি ভাল আছেন।
বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়ে যে পাকনা, দুষ্টু টিকবে কি করে।
৬| ০৩ রা মে, ২০২১ ভোর ৪:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আগে শুনতাম ছিচকাঁদুনে বুড়ি
চাঁদগাজীর লেখায় দেখি ছিচকাঁদুনে ছুরি
এখানে দেখি ছিচকাঁদুনে লজিং মাষ্টার
যাহোক, সুকুমার রায় চিচকাঁদুনেদের পরিচিতি
সুন্দর করে তুলে ধরেছেন তাঁর কাঁদুনে ছড়ায়
ছিচ্কাঁদুনে মিচকে যারা সস্তা কেঁদে নাম কেনে,
ঘ্যাঁঙায় শুধু ঘ্যানর ঘ্যানর ঘ্যান্ঘ্যানে আর প্যানপ্যানে—
কুঁকিয়ে কাঁদে খিদের সময়, ফুঁপিয়ে কাঁদে ধম্কালে,
কিম্বা হঠাৎ লাগলে ব্যাথা, কিম্বা ভয়ে চম্কালে;
অল্পে হাসে অল্পে কাঁদে, কান্না থামায় অল্পেতেই;
লজিং মাষ্টার মনে হয় অল্পতেই কান্না থামাতে পারেন বলে
দীর্ঘদিন লজিং মাষ্টার হিসাবে থাকতে পেরেছেন ।
লেখা ভাল লেগেছে , ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। আশা করি সুস্থ্য আছেন।
সুকুমার রায়ের ছড়া শেয়ারে কৃতজ্ঞতা।
শেষের ২ লাইনে সহমত। নয়তো টিকতে পারতেনা।
৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর পোষ্ট।
১০ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তাই নাকি ? ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চোখটা কি মাস্টারের, নাকি কোনো নারীর? চোখে পানি দেখি না কেন?