নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
স্বর্গে এখন বাচ্চা বিক্রি শুরু হয়েছে। আমরা এখন এমন এক স্বর্গে বাস করছি যেখানে মা তার একমাত্র সন্তানকে বিক্রি করে বেঁচে থাকতে চান। কি দুঃখের, কি লজ্জার দিন এল আমাদের জন্য।
জাগো নিউজ ২৪ ডট কমের জেলা প্রতিনিধ, খাগড়াছড়ির রিপোর্ট-
স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ নেই। নিজেও নানা রোগে আক্রান্ত। স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই থাকেন বাবার সংসারে। সেখানেও নুন আনতে পান্তা ফুরায়। এ অবস্থায় একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েন মা সোনালী চাকমা। অভাবের তাড়নায় নাড়ি ছেড়া ধন সন্তানকে বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসেন। দাম হাঁকেন মাত্র ১২ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) খাগড়াছড়ি বাজারে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বিক্রির হাত থেকে বাঁচান ওই শিশুকে। তার হস্তক্ষেপেই মায়ের সঙ্গে ঘরে ফেরে ৬ বছরের রামকৃষ্ণ চাকমা।
সোনালী চাকমা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়ার পাকোজ্জ্যাছড়ি এলাকার কালাবো চাকমার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর সন্তান নিয়ে পৈত্রিক ভিটায় গোয়াল ঘরের পাশে থাকেন। তার বড় দুই ছেলের একজন বিয়ে করে আলাদা আর মেঝো ছেলে খাগড়াছড়ি সদরে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি হাটে নিজের ৬ বছরের সন্তান রামকৃষ্ণ চাকমাকে বিক্রি করতে আনেন মা সোনালী চাকমা। সন্তানের বিনিময় তিনি ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা একজন তার ছেলেকে ৫ হাজার টাকায় কিনতেও চান। কিন্তু সোনালী চাকমা কম দামে বিক্রি করতে রাজি হননি।
একপর্যায়ে বিষয়টি কয়েকজনের নজরে এলে তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানান। পরে কমলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুনীল জীবন চাকমার হস্তক্ষেপে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।
সোনালী চাকমার ভাই ভারতব চাকমা বলেন, ‘দিদি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। মৃগী রোগী। এ জন্য মাঝেমাঝে এলোমেলো কথা বলেন। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি বাজার থেকে এক চেয়ারম্যান ফোন করে ছেলেকে বিক্রি চেষ্টার কথা জানালে বাবা গিয়ে দিদি ও ভাগিনাকে নিয়ে আসেন।’
বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যান সুজন চাকমা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই মা-ছেলের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি শিশুটিকে একটি সদনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
সোনালী চাকমার ভাই ভারতব চাকমা বলেন, ‘দিদি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। মৃগী রোগী। এ জন্য মাঝেমাঝে এলোমেলো কথা বলেন। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি বাজার থেকে এক চেয়ারম্যান ফোন করে ছেলেকে বিক্রি চেষ্টার কথা জানালে বাবা গিয়ে দিদি ও ভাগিনাকে নিয়ে আসেন।’
বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ানম্যান সুজন চাকমা জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ওই মা-ছেলের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি শিশুটিকে একটি সদনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই সাহয্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে ভাইরাল না হলেতো সোনালী চাকমার দুঃখ কষ্ট এভাবেই বাড়তে থাকতো।
দেশে সবকিছুর দাম স্বাভাবিক হোক, মানুষ সুখে থাকুক, শান্তিতে থাকুক।
ছবি-চ্যানেল২৪ ডট বিডি এর সৌজন্যে।
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা! কি ভয়াবহ। ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৪৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: স্বর্গে এখন কতকিছু না হয় আগামীতে ও আরও কিছু হবে
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হুম। কি ভয়ঙ্কর দিন আসছে সামনে, ভাবা যায়না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সবই যখন বিক্রি হয়ে গিয়েছে- সেখানে সন্তান রাখবে কোন ভরসায়!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহ! আমার সোনার বাংলাদেশ !!!
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:০০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আহা বেহেস্তে এখন এই অবস্থা!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দুনিয়ার স্বর্গেতো এই হবে। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৪
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: দ্রব্যমূল্যর বৃদ্ধির নি:শ্বাসে হাসফাস করছে চারপাশ তবু আমদের মাননীয়রা বেহেস্ত খুঁজে পায়। কতটুকু কষ্টে থাকলে একজন মা তার সন্তান বিক্রির জন্য ক্রেতাদ্বারস্থ হয়!!!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হায় আফসুস!! এমন সময় ও দেশ চাইনা যেখানে সন্তান বিক্রি করতে হয়। ধন্যবাদ।
৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: স্বর্গের বাজার ঘাট ভালোই জমেছে দেখছি সেখানে মুলোমুলির ও অপশন আছে!
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হ্যা ভাই মুলোমুলি না করলে বিক্রি হবেনা যে !!! ভাল থাকুন সব সময়।
৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: আহ্ কি দুঃখের
১৬ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দুঃখের সূচনা হল বুঝি, আরও কি কি হবে ভবিষ্যতে কে জানে !!! ভাল থাকুন সব সময় সবখানে।
৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: একটি দীর্ঘশ্বাসরুদ্ধকর যন্ত্রণা আমার দেশের মানুষদের এতো দারিদ্র্যের নির্মম আঘাতে আঘাত করে যাচ্ছে, যা প্রতিটি মানুষের নিঃশ্বাস অভিশাপে রূপান্তরিত করেছে প্রতিটিক্ষণ প্রতিটি মুহুর্ত।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সত্যিই তাই। এমন বেদনার কাব্য চাইনা আমরা। ধন্যবাদ।
৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৩২
কামাল৮০ বলেছেন: আফগানে শুরু হয়েছে অনেক আগে।আমরা হবো তালেবান দেশ হবে আফগান।সে দিকেই যাচ্ছে দেশ।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
না বাংলা বাংলাই থাকুক। ধন্যবাদ।
১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫৯
শায়মা বলেছেন: আহারে জীবন!
কোথাও কোনো কূল কিনারা না পেয়ে চোখের সামনে বাচ্চাকে না খেতে দেখতে পাওয়াটাও এক সীমাহীম কষ্ট।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এ দেশে এমন কস্টে যেন আর কোন মা ও শিশু না পরে। ধন্যবাদ।
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমাদের কোন কিছু পেতে হলে ভাইরাল হতে হচ্ছে। ভাইরাল না হলে পাওয়া যাচ্ছে না। অথবা সব পাওয়া হয়ত ভাইরাল হয় না।
এভাবে সাময়ীক সাহায্যের হাত অনেকেই বাড়াবে। কিন্তু কতদিন চালু থাকবে সাহায্য সহযোগীতা? স্থায়ী কিছু করার দিকে আমাদের বেশী মন দেওয়া দরকার। তার মানে এই নয় যে কেউ সাহায্যের হাত বাড়াবে না।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্থায়ীভাবে কিছু করে দিলে সবচেয়ে ভাল। দেখা যাক কি হয়।ধন্যবাদ।
১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৭
ককচক বলেছেন: বড়ই দুঃখজনক ঘটনা।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা কি দুঃখ, কষ্ট, লজ্জা।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সবে তো সন্তান! কবে কে আমাকে আপনাকে ধরে বেচে দেয় সেই ভয়েই অস্থির!
কিনবে কে?
মানুষের হাড়ে তৈরি সার নাকি বড়ই উৎকৃষ্ট
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এমন পরিস্থিতি কখনো এদেশে না আসুক সেটাই কাম্য।
ধন্যবাদ।
১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এমন অমানবিক ঘটনার
পুনরাবৃত্তি না ঘটুক সেই
প্রত্যাশা করি।
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:২৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সহমত। ধন্যবাদ।
১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:২৮
বিটপি বলেছেন: জনপ্রতিনিধি বাচ্চাটাকে উদ্ধার করে কার উপকার করল? বাচ্চাটা বিক্রি হলে তার মা কিছু টাকাও পেত, বাচ্চা পালার কষ্ট থেকেও রেহাই পেত। এসব মানবতাবাদীদের কাজকর্ম দেখে হাসি পায়। হাততালি দিতাম যদি দেখতাম বাচ্চাটিকে একটি ভালো ফ্যামিলিতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এখন মা এই বোঝার মত চেপে থাকা বাচ্চা নিয়ে করবেটা কি?
১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যদি প্রতিমাসের জন্য কিছু ফিক্সড টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় তবেই লাভ নতুবা এ উপকার কদিন পরই শেষ।
ভাল থাকুক বাচ্চাটা মার কোলে। ধন্যবাদ।
১৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮
জটিল ভাই বলেছেন:
তারপরও চোখ বুজে বেঁচে থাকতে হয়
২১ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বেঁচে থাকটাই নেয়ামত।ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:২৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: দেশে এখন সোনালীরা অগনিত