নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৯-মে ইতিহাসে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩




২৯-মে ইতিহাসে এই দিনে বহুল কাঙ্খিত কনস্টান্টিনোপল বিজয় অর্জিত হয়।

কনস্টান্টিনোপল বিজয়ীর ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহর রাসুল প্রশংসা করে গেছেন। তিনি বলেছেন, 'তোমরা (মুসলিমরা) অবশ্যই কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। কতোই না অপূর্ব হবে সেই বিজয়ী সেনাপতি, কতোই না অপূর্ব হবে তার সেনাবাহিনী।

১৪৫১ সালে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ তার পিতার উত্তরাধিকারী হন। মাত্র ১৯ বছর বয়সী একজন তরুণ শাসক হিসেবে কতটুকু যোগ্য তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠে। বলকান ও এজিয়ান অঞ্চলে তিনি খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো সফল ব্যক্তি হতে পারবেন না-বলেই সবার ধারণা ছিল। কিন্তু দিন যতই যেতে থাকে ততই তার প্রজ্ঞা ও কৌশল সবার সামনে স্পষ্ট হয়েছে। অভিনব রণকৌশল প্রয়োগ করে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন একজন যোগ্য শাসক হিসেবে।


রস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুল আগে কনস্টান্টিনোপল নামে পরিচিত ছিল। ১৪৫৩ সালে উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ ওই শহরটি জয় করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান। এটি ছিল রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৪৫৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে ২৯ মে পর্যন্ত অবরোধের সম্মুখীন হয়। এরপর চূড়ান্তভাবে শহরটি উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে। তারও পুর্বে মহান সেলজুক সুলতান আল্প আরসালান ও শহরটি জয় করেছিলেন কিন্তু এর দখল ধরে রাখতে পারেননি।

কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিস্টানদের জন্য এই শোচনীয় পতন ছিল অকল্পনীয়।

বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মদ তার রাজধানী এড্রিনোপল থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপল বা ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসেন। শহর অবরোধের আগে ও পরে শহরের বেশ কিছু গ্রীক ও অগ্রীক বুদ্ধিজীবী পালিয়ে যায়। তাদের অধিকাংশ ইতালিতে চলে যায় এবং ইউরোপীয় রেনেসাতে সাহায্য করে।




এ অভিযানে তিনি ১২ হাজার জাননেসারি, ২০ হাজার অশ্বারোহী, এক লাখ পদাতিক সৈন্য ব্যবহার করেন। সেনাবাহিনী কনস্টান্টিনোপল ঘেরাও করে ফেলল। শহরের সংরক্ষিত দেয়ালগুলোতে দিনরাত কামানের গোলাবর্ষণ শুরু হলো। সময়ে সময়ে সুলতান নতুন নতুন যুদ্ধকৌশল অবলম্বন করে শত্রুকে অবাক করে দিতেন, যতক্ষণ না নগর রক্ষকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং তাদের বাহিনী হাল ছেড়ে না দেয়। ৫৩ দিনের অক্লান্ত যুদ্ধের পর ২৯ মে অভিযান সম্পন্ন করেন। কনস্টান্টিনোপলের জনগণ যখন দেখল তাদের দেয়ালে দেয়ালে অটোমান সাম্রাজ্যের পতাকা দোল খাচ্ছে এবং সৈন্যরা শহরে প্রবেশ করছে, তখন তারা আশ্চর্য হয়ে গেল। অটোমান বাহিনী শহরটি জয় করার পর সুলতান মুহাম্মদ তাঁর ঘোড়ায় চড়ে বিশাল মিছিল নিয়ে শহরে পৌঁছলেন। যেখানে তাঁর মন্ত্রী এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডাররাও ছিলেন। সেই সময় থেকেই তিনি ‘আল-ফাতিহ’ (বিজয়ী) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি যখন শহরে পৌঁছলেন, তখন সৈন্যরা চিৎকার করে তাকে অভিবাদন দিচ্ছিল। ‘মাশাআল্লাহ! মাশাআল্লাহ! আমাদের সুলতান দীর্ঘজীবী হোক! আমাদের সুলতান দীর্ঘজীবী হোক!


অনেক ঐতিহাসিক বিশ্লেষক, মুসলমানদের কনস্টান্টিনোপলের বিজয় ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতনকে মধ্য যুগের সমাপ্তি হিসেবে দেখেন।

ছবি-যুগান্তরের সৌজন্যে।
তথ্যসূত্র : দৈনিক যুগান্তর, সোনালী নিউজ,





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।

২| ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: সামন্ত যোগের এই সব বিজয়ের গল্প এখন অর্থহীন।

০২ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মনে হতে পারে আসলে অর্থহীন নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.