![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীন থাকতে ভালবাসী যদিও মানুষের স্বাধীনতা বলতে কোন শব্দ অভিধানে নেই। আমরা একজনের কাছে অবশ্যই আটক আছি তিনি হলেন আল্লাহ । সুতরাং স্বাধীন মানেই তাকে ছেড়ে তার আদেশ না মেনে নিষেধ না শুনে চলা নয়।
মুসলমানদের রক্তে লাল আরাকানের মাটি
মায়ানমারের ইতিহাসঃ
মায়ানমার, প্রাক্তন নাম বর্মা বা বার্মা, প্রাচীন নাম ব্রহ্মদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন। তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে "মায়ানমার" এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় "নেপিদ"। তবে গণতান্ত্রিক দলগুলোর অনেক অনুসারীই এই নামকরণের বিপক্ষে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির সরকারী নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রিপাবলিক অব দ্য ইউনিয়ন অব মায়ানমার। এদিন দেশের নতুন জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়।প্রায় ১৩ হাজার বছর আগে বর্তমান মায়ানমারে জনবসতির অবস্থান সর্ম্পকে জানা যায়। পিউ নামের উপজাতিরা ১ম শতকে বার্মা এলাকাতে দক্ষিণ দিকের ইরবতী ভ্যালী দিয়ে প্রবেশ করে। অপর দিকে উত্তর দিক দিয়ে মুন জাতি প্রবেশ করে। ৯ম শতকে মিরানমা জাতি ইরাবতী উপত্যকার উপরে বসবাস শুরু করে।
১৩ শতকের দিকে মায়ানমারে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন রাজ্য সৃস্টি হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: আভা, আরাকান, হানথাবতী প্রভৃতি। টউনগু সাম্রাজ্য প্রথম ১৫শ শতকে বার্মাকে একত্রীকরণ করে। ১৮শ শতকে ব্রিটিশরা বার্মা দখল করে নেয়। ১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬২ সালে দেশটিতে প্রথম সামরিক সরকার ক্ষমতায় অসীন হয়।
মন গোষ্ঠীকে ইরাওয়াদি (সংস্কৃত ইরাবতী) উপত্যকায় আবাস গড়া প্রথম জনগোষ্ঠী মনে করা হয়। খ্রীস্টপূর্ব নবম শতকের মাঝে তারা দক্ষিণ মায়ানমারে আধিপত্য বিস্তার করে।
দ্বাদশ শতাব্দীর শেষাংশে কুবলাই খান পাগান রাজ্য দখল করেন।
মধ্যযুগের একজন মঙ্গল দলপতি এবং শাসনকর্তা। তিনি চীনের ইউয়ান রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম সম্রাট হিসাবে ১২৭১ খ্রিস্টাব্দ হতে ১২৯৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চীন শাসন করেন।
কুবলাই খান ছিলেন তলুই ও সরঘাঘতানি বেকির দ্বিতীয় পুত্র। তাঁর পিতামহ ছিলেন চেঙ্গিস খান। ১২৬০ খ্রিস্টাব্দে কুবলাই খান তাঁর বড় ভাই মংকু খানের স্থলাভিষিক্ত হন। কুবলাই খানের আরেক ভাই হালাকু খান পারস্য জয় করেন এবং সেখানে ইলখানাত নামে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
মায়ানমারের ভৌগলিক অবস্থানঃ
মায়ানমার ৬৭৮,৫০০ বর্গকিলোমিটার (২৬১,৯৭০ বর্গমাইল) এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। মায়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ভারতের মিজোরাম, উত্তর-পশ্চিমে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর অবস্থিত। মায়ানমারের সীমানার উত্তর-পূর্বাংশের ২,১৮৫ কিলোমিটার জুড়ে আছে তিব্বত এবং চীনের ইউনান প্রদেশ। দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে লাওস ও থাইল্যান্ড। দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের সাথে মায়ানমারের ১,৯৩০ কিলোমিটার উপকূল রেখা রয়েছে।
মুসলমানদের অমানবিক অবস্থাঃ
বিশ্বের মোট জনসংখার প্রায় ২৬% মুসলমানের মধ্যে সম্ভবত মায়ানমারের মুসলমানরাই আজ সবছেয়ে অনিরাপদ অবস্থায় আছে।
বিপদ সঙ্কুল এ মানুষ গুলো আজ অসহায়। তারা তাকিয়ে আছে কোন এক দৈব শক্তির আশায়। হয়তো এখনি এসে পড়বে সেই উমর (রা) অথবা কোন সালাহউদ্দীন আইউবি।
মায়ানমার হচ্ছে মুসলমানদের জন্য এক আতঙ্কের জনপদ। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ প্রানী হত্যা মহাপাপ এ মন্ত্র থেকে দূরে সরে এসে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত করছে তাদের হাত। সম্ভবত এ যাবত কালের ভয়াবহ নৃসংস যত অত্যাচার আছে সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে মায়ানমারের মুসলমানদের উপর বৌদ্ধদের ভয়াবহ অত্যাচার।
নিজ দেশে ঠাই না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ও সাগর পথে পাড়ি দিচ্ছে অজানার উদ্দ্যেশ্যে।ইতোমধ্যে সাগর থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নির্জন দ্বীপে নিয়ে সেখানে সাংবাদিকদের যেতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে আল্লাহই ভাল জানে।
জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ এ অবস্থায় মায়ানমারের মুসলমানরা বিশেষ করে শিশু ও নারীরা এক অনিরাপদ ভবিষ্যতের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
বিশ্ব সম্প্রদায় শুধু মাত্র নিন্দা জ্ঞাপনের মাধ্যমেই তাদের দায় দায়ীত্ত্ব শেষ করেছে। তাদের একটি নিরাপদ আশ্রয় না দিয়ে শুধু মাত্র নিন্দা জ্ঞআপন কতটুকু ন্যায় সঙ্গত তা একমাত্র বিশ্ব সম্প্রদায় ই বলতে পারেন।
আমরা শুধু আমাদের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানাতে পারি এ প্রতিবাদ নির্যাতিত মুসলমানদের কতটুকু উপকারে আসে তা আল্লাহ ই ভাল জানেন।
২| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:১২
অব জার ভার বলেছেন: কবে হবে এর বিচার?
৩| ০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: এই লেখক, তোমার আই কিউ এতো কম কেনও?
রোহিংগারা মিয়ানমারের শান্তির জন্য বড় হুমকি। গতবারের দাংগার কারন রোহিংগাদের দ্বারা কয়েক বৌদ্ধ নারী ধর্ষন সুত্র:http://www.bbc.com/news/world-asia-18395788
এদেরকে কোনো ভাবেই বাংলাদেশে ঢুকানো যাবে না। এরা জংগী জনগোষ্ঢী। এরা যেকোনো উপায়ে বাংলাদেশে ঢুকতে চাচ্ছে। বড়ই বদমাইশ এই জাতি বাংলাদেশে জামাতের হয়ে কাজ করে।আমাদের দেশে জংগীদের কোনো জায়গা নেই।মুখে লাথি মেরে ভাগানো হোক।কিছু দালাল গোছের ইতর ফটোশপ করা ছবি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।এদের থেকে সাবধান।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:০৮
মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেছেন: মহান প্রভু একদিন এই পরিনতির বিচার করবেন এই প্রত্যাশা করি।