নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যারেকটার এন্ড লিডারশীপ ডেভেলপমেন্টঃ ফর বন্ডিং আওয়ার স্ট্রেংথ!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

চরিত্র ও নেতৃত্বের গুণাবলীঃ



আমার শিক্ষকতা জীবনের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় আমি বেশীরভাগ শিক্ষার্থিদের মাঝে যে জিনিসটির তীব্র সংকট লক্ষ্য করেছি তা হলো লক্ষ্যস্থির না করেই অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট গোল ছাড়াই তারা শিক্ষাঙ্গনে আসে আর যায়। এটা সবথেকে বেশী দেখা যায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। আমি আমার শিক্ষকতার ১৯ বছর মফস্বলেই কাটিয়ে দিয়েছি। আর, মফস্বলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা সাধারণত বড় কোন টার্গেট নিয়ে পড়ার অঙ্গনে আসে না। সেট পারিবারিক, আর্থিক, পারিপার্শ্বিক বা তাদের ব্যক্তিমানসের অপরিপক্ষতার জন্যে হলেও হতে পারে। মেয়েরা পরিবারে, সমাজে নানাভাবে বঞ্চিত হয়ে থাকে। এদেরকে সঠিকভাবে গড়ে দিতে না পারলে এরা আমৃত্যু পরমুখাপেক্ষী হয়েই থাকবে। সুতরাং চরিত্র গঠনে বা নেতৃত্বের বিকাশে নারীদের কথা মাথায় রাখতে হয়। আমরা যারা শিক্ষকতায় রয়েছি আমাদের অবশ্যই সেটা মনে রাখতে হবে। পুরুষ শিক্ষার্থীরাও একইভাবে গড়ে উঠবে তাদ্র মধ্যে চারিত্রিক দৃঢ়তা ও নেতৃত্বের গুনাবলীর বিকাশ ঘটিয়ে দিতে হবে। সেভাবে গড়ে নিতে হবে।অবশ্য, আমি এই মফস্বলের শিক্ষার্থীদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করি বা তাদের ক্যারিয়ার গোল সম্পর্কে স্বপ্নবাজ হতে বলি। আমি আমার মতো চেষ্ঠা করে যাই।।
অতি সাধারণ ও নগণ্য মানুষ হিসেবে আমি আমার ব্যর্থতাগুলো দিয়ে দেখেছি জীবনে উন্নতি করতে গেলে চরিত্রটা অবশ্যই থাকতে হবে এক্কেবারে পাক্কা। আর লিডারশীপ গড়ে নিতে হবে নিজের চলার পথে একাকী চলতে। আসুন বন্ধুরা আজ দেখবো ক্যারেকটার ও লিডারশীপ এর ওপর কিছু চিত্র কন্টেন্ট।।

০১) নাগরিকতাঃ একটা রাষ্ট্রে বসবাসকারী নাগরিক হিসেবে কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয় তারমধ্যে দেশের বিদ্যমান আইন ও শৃংখলা। কাজ করতে হবে দেশের মঙ্গলের জন্য দেশের লোকেদের জন্য।।


০২) Compassion: সমবেদনা- আমাদের চারপাশের সকলের প্রতি দয়াশীল আর কোমল হওয়া জরুরী।অন্যদেরকে তাদের প্রয়োজনে সহযোগীতা করা এবং তাদের জন্য ভালো কিছু করা।


০৩) Fairness: স্বচ্ছতা, সততাঃ প্রতিবেশী বা আশপাশের মানুষজনের প্রতি বা কলিগ বা সহপাঠিদের প্রতি দৃষ্টি দেয়া। সবার সাথে সুখ শেয়ার করা, কোন কিছু শেয়ার করা আর অন্যরা কী বলছে তা মনোযোগ দিয়ে শুনা।।


০৪) Honesty-সততাঃ ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও কর্মনিষ্ঠ/নিষ্ঠাবান হওয়া উচিৎ।।নিজের কাজ নিজেই করা আর অন্যের গচ্ছিত জিনিস তাকে ফিরিয়ে দেয়া বা তার আমানত রক্ষা করা।।


০৫) Integrity-একাগ্রতাঃ সঠিক ক্যারিয়ার প্ল্যান করা বা নিজের জন্য সঠিক কাজ বাছাই করা যা নিজের সেরাটা দিয়ে সঠিকভাবে সম্পাদন করা যাবে। যা সঠিক এবং ন্যায়সঙ্গত তাই করা। আর সবচেয়ে ভালো হওয়ার মানসে নিজেকে আত্মপ্রকাশ ঘটানো।।


০৬) Perseverance-অধ্যাবসায়ঃ অধ্যাবসায় ছাড়া জগতে কোন লক্ষ্যেই পৌঁছা সম্ভব নয়।তাই, কঠোর অধ্যাবসায়ী হওয়া। লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত লেগেই থাকা।


০৭) Respect-শ্রদ্ধাঃ অন্যকে শ্রদ্ধা করা। এ জিনিসটার অভাব আজ সমাজের সর্বক্ষেত্রেই প্রকটভাবে চোখে পড়ে। নিজের প্রতি অন্যের যে ব্যবহার আমরা নিজে কামনা করি সেই আচরণ অন্যের প্রতি করাটাই অত্যাবশ্যক। আর, অন্যের জিনিস ব্যবহারের সময় তার মালিকের অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করা।।


০৮) Responsibility-দায়িত্বঃ দায়িত্ব আর দায়িত্ববোধ এ দুটোর অভাবেই আজ আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অশান্তি আর অচলাবস্থা তৈরি হয়ে আছে। নিজের উপর নির্ভরতা থাকা, নিজের জিনিসের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া বা যত্নশীল হওয়া এবং সর্বোপরি নিজের প্রতি ক্যারিং হওয়া।।


০৯) Self-Discipline-আত্মশাসনঃ নিজের কথা ও কাজের ওপর আস্থা রাখা। এই বিষয়টা খুবই জরুরী। সব সময় নিজের পক্ষে যায় না এমন জিনিসও গ্রহণ করতে হয় কার্যক্ষেত্রে।। এক কাজ শুরুর পূর্বে প্রয়োজনীয় কাজগুলো শেষ করে যাওয়া।।


১০) Trustworthiness-বিশ্বাসযোগ্যতাঃ আমাদের আশপাশের লোকেরা যেন বিশ্বাস করে যে, আমি বা আমরা যা করছি তা সঠিক এবং ন্যায়সংগত। কারো কাছ থেকে ধার নেয়া জিনিস যথা সময়ে ফেরত দেয়া। ওয়াদা রক্ষা করা। অন্যজন যেন বিশ্বাস করে যে, যা বলছ তা তুমি করবে।।


১১) The 12 Powerful Words-বারোটি শক্তিশালী শব্দঃ চিহ্ন, বিশ্লেষণ করা, অনুমান করা, মূল্যনির্ধারণ, সূত্রবদ্ধ করা, বর্ণনা করা, সমর্থন, ব্যাখ্যা করা, সংক্ষিপ্ত করা, তুলনা করা, বিপরীত হত্তয়া, ভবিষ্যদ্বাণী করা।।


উপরোক্ত বিষয়াদি একজন ব্যক্তির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা পালন করার মাধ্যমে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি সমাজে অন্যান্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। প্রত্যকের ভিতর এই গুণগুলো রয়েছে শুধু দরকার এর নার্সিং এবং এসবের ব্যাপারে সচেতন থাকা।।
সবাই ভালো থাকুন।।


ছবি কার্টিসিঃ পিপিটি ইমেজ (মী) এবং গুগল থেকে ধার করা।
সুত্রঃ http://www.worldofteaching.com

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
আর আপনি শিক্ষক আজই প্রথম জানলাম।

ভালো থাকুন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই। আপনার ভালোলাগা আমার জন্য অনুপ্রেরণা। তেমন কিছুনা মফস্বলের সামান্য একজন শিক্ষক। ভালোবেসে এসেছিলাম এখানে কিন্তু সামগ্রীক পরিস্থিতির কারণে শান্তিতে নাই।। আপনিও ভালো থাকুন।

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

ব্লগার_সামুরা বলেছেন:

উপকারী পোস্ট।

ভালো থাকুন৷

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় কবি। ভালো থাকুন।

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নুর ভাই। আপনার ভালোলাগা আমার জন্য অনুপ্রেরণা। তেমন কিছুনা মফস্বলের সামান্য একজন শিক্ষক। ভালোবেসে এসেছিলাম এখানে কিন্তু সামগ্রীক পরিস্থিতির কারণে শান্তিতে নাই।। আপনিও ভালো থাকুন।

আমার প্রিয় শিক্ষক আলতাফ হোসেন। তার বাড়ি রাজশাহী।

কিন্তু তিনি শিক্ষকতা করতে এসে সারা জীবন ফরিদপুরের টেপাখোলা থেকে গেলেন।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্য আমাকে শক্তি জোগাবে।। হ্যাঁ, শিক্ষকতার ১ম দিকে যে আনন্দ ছিলো সেই আনন্দ আর নেই। সেই স্বাধীনতাও আর নেই। এখন তেলবাজি করতে না পারলে অনেক ভুগতে হয়। আগের শিক্ষার্থীরা ভালবাসতো শিক্ষা আর দীক্ষা নিতে কিন্তু এখন সব যান্ত্রিকতায় ভরে গেছে। ভালো থাকুন। হ্যাঁ, আপনার সম্মানিত আলতাফ স্যারকে দোয়া আর শুভকামনা। ভালো থাকুক আপনার স্যার।।

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ভালোই

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনুপ্রাণিত হোলাম। ভালো থাকুন।

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অসাধারণ!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:৩৩

পাকাচুল বলেছেন: অনুপ্রেরণাদায়ী পোস্ট। আমার একটা প্রশ্ন আছে।

স্কুলে/ কলেজে শিক্ষকগণ কোন ক্লাসে এই গুণাবলী নিয়ে ক্লাস নেন?

সমাজ? ধর্ম? কোন বিষয়ের সাথে এইগুলো অন্তর্ভুক্ত?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যে প্রেরণা পেলাম। আপনার করা প্রশ্ন দুটি চ্যালেঞ্জিং। স্কুল/কলেজে শিক্ষকগণ অবশ্যই এইসব গুণ নিয়েই ক্লাসে যাবেন। শিক্ষকগণের মধ্যে এইসব পটেনশিয়াল কোয়ালিটি না থাকলে আদর্শবান ও যোগ্য নাগরিক গড়ার কাজে ব্যর্থ হবেন। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে শিক্ষককে অনুসরণ, অনুকরণ করে থাকে, তাই, শিক্ষকগণকে এইসব কোয়ালিটি নিজের মধ্যে ধারণ করে এর লালন করতেই হবে। যদি, না করেন তবে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যহত হবে।। এর শুরুটা লেভেল -০১ থেকে হায়ার লেভেল পর্যন্ত সকল ক্লাসেই প্রয়োগ করা উচিৎ।।
এইগুলো সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত বিষয় সুতরাং শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণে এর ধারণা প্রারম্ভিক ক্লাসগুলো হতেই ব্যবহৃত হয়।। যেকোন নীতি-নৈতিকতার বিষয়গুলো পৃথিবীর সব ধর্মেরই প্রধান বিষয়, সুতরাং উপরোক্ত বিষয়গুলো ধর্মের অংশও বটে।
ধন্যবাদ ভালো থাকুন।।
এই বিষয়ে যদি আপনার কোন পরামর্শ বা মন্তব্য থাকে বা এর অপজিটে কিছু বলার থাকে আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। অনুগ্রহ করে কিছু ধারণা যোগ করে ধন্য করবেন।।

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

পাকাচুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। দেখুন, আমি নিজে ধর্ম ক্লাসে ছাড়া কোন শিক্ষক থেকে শুনি নাই চুরি করা মহাপাপ, মিথ্যা বলা ঠিক নয়। কারো ক্ষতি করা উচিত নয়।


উপরে করা প্রশ্নটা হয়ত আপনি অন্যভাবে বুঝার চেষ্টা করেছেন। আমি মোটেও শিক্ষকদের গুণাবলি নিয়ে প্রশ্ন করি নাই। আমি জানতে চেয়েছি, এইসব গুণাবলি নিয়ে কোন শিক্ষক কথা বলেন? সবাই তো যার যার নিজের বই পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
যিনি অংক করান, তার তো চরিত্র গঠন নিয়ে কথা বলার কথা না। যিনি বিজ্ঞান পড়ান, তিনিও বলবেন না। কে বলবেন তাহলে?

ধর্ম ক্লাসের হুজুরকে নিয়ে সব ছেলেরা ফান করে। এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বাড়ির কাজ করা, ধর্ম ক্লাসে টুপি পড়েছি কিনা, শুক্রবার নামাজ পড়তে গিয়েছি কিনা, আরবীতে হাদিস মুখস্থ জিজ্ঞাসা করা এইসব জানতে জানতে হুজুরের ক্লাস শেষ।

সমাজ বইতে কিছু অধ্যায় ছিল, যা মোটামোটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু সেই স্যারও পড়া মুখস্থ নেওয়া, বাড়ীর কাজ দেখা নিয়ে ব্যস্থ।

তাহলে নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ এইসব কোন শিক্ষক তার পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে স্কুলের শিক্ষকগণ ছাত্রদের পড়ান?

বই এর বাইরের পড়া কিংবা বই এর পড়াকে আরো একটি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে বলা, এইসব আমি আমার স্কুল জীবনে দেখি নাই। এখন কেমন আমি জানি না, হয়ত গুণগত কিছু পরিবর্তন এসেছে এতদিনে।

ক্লাস নেওয়া কিংবা সাবজেক্ট ম্যাটার নিয়ে বুঝানোও যে একজন শিক্ষকের কাজ, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম। একজন শিক্ষক সোশ্যালজি পড়াতেন, উনি সদ্য পাশ করে জয়েন করেছিলেন। কোন বই না, ব্ল্যাকবোর্ডে কোন লিখাও নাই। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উনার লেকচার শুনতাম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

মোঃ মঈনুদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিশদ প্রত্যুত্তরের জন্য। আপনি সত্য আর বাস্তবিক কথাই বলেছেন। আমি হয়তো একটু ঘুরিয়ে বলেছি কিন্তু প্রসঙ্গটা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছি।। যেমন অংক বা বিজ্ঞানের স্যারেরও নীতি নৈতিকতার কথা পড়াবেন পাঠ্য পুস্তকের সিলেবাসের বাইরেও। কারণ, এটা শিক্ষা মনোবিজ্ঞানেরই একটা অংশ তাই। প্রখ্যাত শিক্ষামনোবিজ্ঞানি বেঞ্জামিন ব্লুম শিক্ষার উদ্দেশ্যকে তিনভাগে ভাগ করেছেন- ১। বুদ্ধিবৃত্তিয়(cognitive) , ২। আবেগীয় (affective), ৩। মনোপেশিজ (psychomotor)।
এর মধ্যে ২য় প্রকার অর্থাৎ আবেগিয় উদ্দেশ্যের বিষয়বস্তু হলো- " শিক্ষার্থীর সব ধরণের চারিত্রিক গুনাবলী যেমন মূল্যবোধ, নৈতিক ও সামাজিক গুনাবলী, দেশাত্ববোধ, মানবতাবোধ, অসাম্প্রদায়ীক দৃষ্টিভঙ্গি, প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদি আবেগীয় উদ্দেশ্যভুক্ত। এক কথায় ভালো মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যে পরিচালিত শিক্ষাই আবেগীয় শিক্ষা।
আর হ্যাঁ, শিক্ষার এই তিন প্রকার উদ্দেশ্যকে বাসস্তবায়ন করতে গেলে শুধু এটা ধর্মীয় শিক্ষকের কর্তব্যের আওতায় পড়বে তা নয় এটা মূলত সকল বিষয়ের শিক্ষকগণের দায়ীত্বেরই অংশ।।
এই বিষয়ে বর্তমানে সকল শিক্ষক ওয়াকিবহাল। কথা হচ্ছে কেউ মানছে কেউ মানছে না এইটুকুই তফাৎ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.