নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য আর মিথ্যাকে এক করি না। যারা অসত্য দিয়ে সত্যকে ঢাকতে চায়; তাদের সঙ্গ ধরি না। নতুন যে কোন কিছু শিখতে ভালো লাগে। কেউ কিছু শিখতে চাইলে সম্ভব সাধ্যমতো চেষ্ঠা করি। প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক জ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করতে চাই।

মোঃ মঈনুদ্দিন

নিঃসঙ্কোচে গাহিব সত্য ন্যায়ের গান। সত্য আর সুন্দরের সেবক। মা, মাটি আর দেশকে ভালবাসি।

মোঃ মঈনুদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রসনা বিলাস! মাছে ভাতে বাঙ্গালীর আদি-অকৃত্রিম খাদ্য প্রিতি!

০৮ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৩০

বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চল বা জেলার রয়েছে নিজস্ব খাদ্য সংস্কৃতি এবং বিখ্যাত খাবার যা ঐ অঞ্চলের ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্যকে তুলে ধরে। নিচে অঞ্চলভিত্তিকভাবে বাংলাদেশের কিছু জেলাসুনির্দিষ্ট বিখ্যাত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
আমার জন্ম ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা গ্রামে। ১৯৮১ সালের শেষের দিকে এ জেলা ছেড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায় বসবাস করছি। চাকুরির সুবাধে এখন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় রয়েছি আর বিবাহের সূত্র ধরে চকরিয়া যা কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটা প্রাচীন জনপদে আসা যাওয়া। তাই, বিভিন্ন জেলায় থাকার বা বেড়ানোর সুযোগ হয়েছে। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে; বিশেষ করে রন্ধনশৈলিতে। যা আমাকে অনেক চমৎকৃত করেছে। আশা করি নিচে দেয়া তথ্যের সাথে মতভেদ থাকতে পারে, থাকবেও। আপনারা আপনার মতামত জানাবেন।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা: বাখরখানি, কাচ্চি বিরিয়ানি (বিশেষত ‘হানিফ কাচ্চি’), বিফ রেজালা, শাহী টুকরা

নারায়ণগঞ্জ: রসমালাই, বাতাসা, সিদ্দিকিয়া বিরিয়ানি

মুন্সিগঞ্জ: মোয়া (বিশেষত মুক্তারপুরের), জিলাপি

রাজবাড়ী: গুড় ও গুড়জাতীয় মিষ্টান্ন

ফরিদপুর: চুইঝাল দিয়ে রান্না করা মাংস

চট্টগ্রাম বিভাগ

চট্টগ্রাম: মেজবানি গরুর মাংস, সাতকরা দিয়ে রান্না, কালাভুনা, কাবাব

কক্সবাজার: শুঁটকি মাছের ভর্তা ও তরকারি, সামুদ্রিক মাছের বাহারি পদ

বান্দরবান/খাগড়াছড়ি/রাঙামাটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম): বাঁশের মধ্যে রান্না করা মাংস ও ভাত (বাঁশ ভাজা), চাকমা/মারমা/ত্রিপুরা আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন পচা মাছ, জুম চালের পায়েস

নোয়াখালী: লাঠি পিঠা, শুঁটকি মাছের তরকারি

ফেনী: ঘি ও খেজুর গুড়ের জিলাপি

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী: আম (বিশেষত লক্ষণভোগ, গোপালভোগ), কাঁঠালবীজ ভর্তা

নাটোর: কাঁচাগোল্লা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আম, খেজুরের গুড়

বগুড়া: দই ও চমচম

পাবনা: সাগরদীঘির চমচম

জয়পুরহাট: চালতার আচার

রংপুর বিভাগ

রংপুর: হারিয়া (দেশি হালকা মদ, বিশেষত আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত), আলুর চপ

দিনাজপুর: কৈনপুরি চিড়া, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চালের পায়েস

ঠাকুরগাঁও: সিদল পিঠা

নীলফামারী: হানিফের সন্দেশ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার দই

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট: দেশি মাছ ও চাল-ভিত্তিক খাবার

খুলনা বিভাগ

খুলনা: চিংড়ি মাছের মালাইকারি, সুন্দরবনের মধু

যশোর: খাজুরগাছের রস দিয়ে তৈরি পাটালি গুড়, পাটিসাপটা পিঠা

সাতক্ষীরা: চিংড়ি, আম

বাগেরহাট: চিংড়ি ও ইলিশ, চুইঝাল

ঝিনাইদহ: কালোজামের আচার

মাগুরা ও কুষ্টিয়া: ছানার সন্দেশ

নড়াইল: হাড়িভাঙা আম

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল: ইলিশ মাছের নানা পদ, রস-কদবেল

পটুয়াখালী ও ভোলা: উপকূলীয় মাছ, চিংড়ি ও খেসারি ডালের বড়া

ঝালকাঠি: মোয়া, পায়েস

পিরোজপুর: খেজুরের গুড় ও চালের পিঠা

বরগুনা: নারিকেল দিয়ে রান্না করা তরকারি

সিলেট বিভাগ

সিলেট: সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস, টেংরা মাছ, খেজুর পিঠা, আদিবাসী সম্প্রদায়ের খাদ্য

মৌলভীবাজার: চা-জানপদের স্পেশাল চা ও পাকন পিঠা

হবিগঞ্জ: ইলিশ মাছের ভিন্নধর্মী রান্না

সুনামগঞ্জ: হাওরের দেশি মাছের বিভিন্ন রেসিপি

ময়মনসিংহ বিভাগ, যা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল, এখানকার প্রতিটি জেলারই রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী খাবার ও রন্ধনপ্রণালী। নিচে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলার ভিত্তিতে বিশেষ ও জনপ্রিয় খাবারের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো:
ময়মনসিংহ বিভাগ (ময়মনসিংহ জেলা)

মোমবাতি সন্দেশ: এটি ময়মনসিংহ শহরের এক বিশেষ মিষ্টান্ন, যা দেখতে মোমবাতির মতো এবং খুবই নরম ও সুস্বাদু।

ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠা: এই অঞ্চলে শীতকালে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

মাছের ভর্তা: ব্রহ্মপুত্র নদীর দেশি মাছ দিয়ে বিভিন্ন রকম ভর্তা যেমন—শোল, বোয়াল, পুঁটি—প্রচলিত।

নেত্রকোনা জেলা

দেশি হাঁসের ঝোল: ধানক্ষেত ও হাওর অঞ্চল হওয়ায় দেশি হাঁস ও চাল দিয়ে বিশেষ ঝোল রান্না জনপ্রিয়।

চালতা ও হরিতকির আচার: স্থানীয়ভাবে প্রচুর উৎপন্ন হওয়ায় এ জাতীয় আচারের কদর আছে।

বড়ি ভর্তা ও আলু-মসুর ডালের ঝোল: এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক খাদ্য সংস্কৃতির অংশ।

জামালপুর জেলা

চালচাপা পিঠা: জামালপুর অঞ্চলের একটি বিশেষ ঐতিহ্যবাহী পিঠা।

গরুর গোশত ভুনা ও কলিজা ভাজি: স্থানীয় বাজারে মসলার মিশ্রণে রান্না করা মাংসের পদ।

খেজুর গুড় ও লাল চালের পায়েস: শীতকালে গ্রামীণ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়।

শেরপুর জেলা

শালবনের হাঁস-মুরগি দিয়ে রান্না করা ঝোল: বিশেষত শেরপুরের গারো ও অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রান্নায় প্রভাব রয়েছে।

বাঁশে ভাজা ভাত ও মাংস: আদিবাসী রন্ধনপ্রণালির একটি অনন্য দিক।

দেশি চালের পিঠা ও গুড়: গ্রামাঞ্চলে এই খাবারগুলো বিশেষ করে শীতকালে প্রচলিত।

অতিরিক্ত তথ্য (অঞ্চলভিত্তিক)

হাওর অঞ্চলের দেশি মাছ: ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুরের হাওর অঞ্চল থেকে পাওয়া যায় নানা ধরনের দেশি মাছ (পাবদা, টেংরা, শিং), যেগুলোর ঝোল ও ভর্তা স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

গারো আদিবাসীদের রান্না: শেরপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে গারো জনগোষ্ঠীর হাতে তৈরি বাঁশভাজা, শুঁটকি ভর্তা ও নিরামিষ তরকারিও বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

এই তালিকাটি একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র। আরও অনেক স্থানীয় খাবার ও প্রথাগত রান্না রয়েছে যা সময় ও অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হতে পারে।



সূত্রঃ ইন্টারনেট, গুগল

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.