![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................
প্রতিদিনের একঘেয়ে কাজের চাপে চ্যাপ্টা হতে হতে যখন একেবারে হাসফাস অবস্থা, তখনই সবকিছু ছেড়ে সামান্য সময়ের জন্য পালানোর ছোট্ট এক টুকরো সময় হাতের মুঠোয় পুড়ে নিলাম খপ করে। 'চল যাই' বলতেই বোচকা নিয়ে এক নিমিষে রাস্তায়, একেবারে হাইওয়েতে আর লম্বা একটা যাত্রাশেষে সমুদ্রে। রাতের জার্নির একটা অদ্ভুত রহস্যময়তা আছে। বাসের জানালার বাইরে রাস্তার দুধারে ঘুটঘুটে অন্ধকার সাঁই সাঁই করে পার হয়ে যেতে থাকে, আর হঠাৎ হঠাৎই একটা-দুটো আলোর বিন্দু, দূরে ছোট্ট একটা গ্রাম কিংবা একলা নিঃসঙ্গ একটা বাড়ি। ঝুপ করেই সামনে পড়ে যায় একটা নদী, নদীর বুকে টিমটিমে আলো জ্বেলে ভেসে বেড়াচ্ছে নৌকা। কিছু একটা অপার্থিব, অলৌকিক সুন্দরকে দেখে ফেলার আশায় সারাক্ষণ উন্মুখ হয়ে জানালায় চোখ পেতে থাকা। এই করতে করতে সকাল। রেলক্রসিঙে সিগন্যাল পেয়ে বাসটা থেমেছে কোথায়। কোথায়?
মুখ বাড়ালাম বাইরে। পুরনো একটা সাইনবোর্ড, তাতে বড় বড় করে লেখা "শাসনগাছা, কুমিল্লা"। রেললাইনটার চারদিকে ময়লা-আবর্জনা, একটু দূরে ছাপড়ামত কিছু ঘর-বাড়ি, রুক্ষ একটা খোলা মাঠে চড়ে বেড়াচ্ছে প্রায় কাল, কালচে বাদামি হয়ে যাওয়া অপুষ্ট এক পাল ভেড়া। ভেড়াগুলো সাদাই ছিল, কিন্তু জন্মের পর এদের কখনো পরিস্কার করা হয় নি। যত দিন গেছে, বদলে গেছে এদের জন্মগত রঙ। রেললাইনটা পার হয়ে একটু সামনেই রাস্তার ধারে টিনের চালের কিছু খাবারের দোকান। সকাল সকাল গরম পরোটা ভাজা হচ্ছে, সাথে সব্জী, ডাল, ডিম ভাজি। আর পুরনো আমলের হিন্দী ছবির গান। তিন মিনিটের ছোট্ট একটা বিরতি, তারপর হেলেদুলে বের হয়ে গেল ট্রেনটা, আমরাও ছুটলাম রাজধানীর পথে। কিন্তু ওই তিনটা মিনিট যেন আমাকে টাইম মেশিনে করে উড়িয়ে নিয়ে গেল প্রায় বাইশ-তেইশ বছর আগে, আমার শৈশবে।
এই রেললাইনটার ধার ঘেঁষে কত দিনই না হেঁটে গেছি ছোট ছোট পা ফেলে। এক হাত থাকতো দিদিনানার হাতের মুঠোয়, আর অন্য হাত বাতাসে ঢেউ তুলতো বারবার। একইভাবে দিদিনানার অন্যহাতে ধরা থাকতো আসিফের হাত। ছেলে বলেই বোধহয়, ওর দূরন্তপনাকে সামলাতে তাঁকে একটু বেশিই শ্রম দিতে হতো। আমরা হেঁটে চলতাম, নেচে চলতাম রেললাইনের পাশ দিয়ে, মোট কয়টা ট্রেন আসল-গেল তার হিসেব কষতাম, ভারিক্কী মালগাড়িটা হেলতে দুলতে যখন বহু সময় নিয়ে স্টেশন পার হতো আমরা একটা একটা করে তার বগিগুলো গুণতাম। এত্তগুলো বগির হিসাব রাখার মত তুখোড় তখনো হয়ে উঠি নি কেউই। তাই চৌষট্টি না ছেষট্টি তাই নিয়ে ভীষণ তর্ক বেধে যেতো দুজনের মধ্যে। না পেরে শেষে সাক্ষী মানতাম দিদিনানাকেই্। তিনি কাউকেই জিতিয়ে দিতেন না, শুধু তাঁর অদ্ভুত সুন্দর পবিত্র মুখটায় একটা শুভ্র হাসি ছড়িয়ে পড়তো, আরো শক্ত করে চেপে ধরতেন দুজনের হাত।
আমার নানাকে আমরা দিদিনানা বলতাম। একদম ছোটবেলায় আপাকে উনি দিদি বলতেন। সেই থেকে আপা উনাকে ডাকতো দিদিনানা। আর বড়জনের দেখাদেখি আমিও তাই করতাম। অন্য সবার থাকে শুধু নানা, আর আমার আছে দিদিনানা। এই একটা কারণে ওই সময় কি গর্বই না হতো। নানাবাড়ি গেলে রোজ বিকালে উনার সাথে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুরি লেগে যেতো, খুব সূক্ষ্ম শীতল একটা যুদ্ধও চলতো মামাতো ভাই আসিফের সাথে। কারণ উনি দুইজনকে একসাথে নিতে চাইতেন না। তাঁর সাথে যাওয়াটা শুধু তাঁর সঙ্গ পাওয়ার জন্যই না, দিদিনানার সাথে বেরুনো মানে হল একটু বাইরে যাওয়া, রেললাইনের ধারে ইচ্ছামত ঘুরে বেড়ানো, সেখান থেকে ঘুরে দোকানে যাওয়া, আর তারপরে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এক প্যাকেট সিভিটা। কমলার স্বাদের এক প্যাকেট কমলারঙা পাউডার, হাতের তালুতে নিয়ে চেটে চেটে খেতে যেন অমৃতের মত মনে হতো। ছোট্ট প্যাকেটটার দাম খুব বেশি হলে বোধহয় পাঁচ টাকাই ছিল। কিন্তু আমরা বুঝতাম না ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বহুদিন আগে অবসরপ্রাপ্ত কেরানি ভদ্রলোকের পেনসনের টাকা এতই সামান্য ছিল যে রোজ রোজ পাঁচ টাকার ওই ছোট্ট প্যাকেটটা কেনা সম্ভব হতো না। তাই তিনি বিভিন্ন কৌশলে এড়ানোর চেষ্টা করতেন আমাদের।
একান্তই না পারলে নিয়ে যেতেন স্টেশনে। যখন ট্রেন আসতো না, আমরা রেললাইন ধরে হেঁটে যেতাম অনেক দূর পর্যন্ত। স্টেশনের একটু বাইরেই কুমিল্লা শহরটার চেহারা একেবারে অন্যরকম। ছোট ছোট ছাপড়া মত ঘর রেললাইনের পাশের রুক্ষ খালি জমিগুলোতে, নোংরা পরিবেশ, অর্ধ উলঙ্গ বাবা-মায়ের পাশে উলঙ্গ শিশুরা নোংরা গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাদের কোমরে মাদুলি বাধা একটুকরো কাইতন ঝুলছে আর নাকে অবিরত গড়াচ্ছে সিকনি। সেখানেই তারা থাকে, রান্না-বান্না করে, খায়, ঘুমায়, আর প্রাকৃতিক কর্ম সারে রেললাইনের পাশে বসে। যে কারণে খুব ইচ্ছে হলেও প্লাটফর্ম থেকে রেললাইনে নেমে হাঁটা সম্ভব হতো না। এই হল মেথরপাড়া। গায়ের রঙ বদলে যাওয়া ভেড়াগুলোও এদেরই। শূকরও আছে অনেক সেই সাথে। ট্রেন ছুটে যাওয়ার উচ্ছল আনন্দময় গন্ধটার পাশেই যোগ হতো মেথরপাড়ার পুঁতি দূর্গন্ধ। আমরা নাক চেপে ধরে পা টিপে টিপে ফেরার পথ ধরতাম।
স্টেশন রোডের সেই বাড়িটার প্রবেশপথে একটা বিশাল কৃষ্ণচূড়া গাছ ছিল আমার মায়ের হাতে লাগানো। বাড়িতে আসা প্রত্যেকটা মানুষকে মাথা দুলিয়ে অভ্যর্থনা দিতো গাছটা। মায়াময় সেই মানুষগুলো এখন আর নেই, অভ্যর্থনা জানানোর জন্য গাছটাও দাঁড়িয়ে নেই রাস্তার ধারে, যাওয়া হয় না কুমিল্লা শহরের ভেতরে বহুদিন। সেই ব্রিটিশ আমলের রাজকীয় বাড়িগুলো, যাদের জন্য শহরের রাস্তায় যেতে যেতে মনে হতো বুঝি কোন অসম্ভব উপায়ে পৌঁছে গেছি দুইশ বছর আগে, সেগুলোও ভেঙে এখন বহুতল ভবন করে ফেলা হয়েছে। ভরাট করে ফেলা হয়েছে বেশিরভাগ পুকুর আর দীঘি। এক লহমায় শহরটা পার হতে হতে দেখলাম স্মৃতিতে আমার শৈশবে যে অদ্ভুত সুন্দর একটা স্কেচ করা ছিল তা যেন কে ইরেজার দিয়ে ঘষে ঘষে মুছে দিয়ে রঙচঙে, ঝলমলে রাংতা মুড়ে দিয়েছে।
ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে স্মৃতির সেই স্কেচটাকে তুলে রাখি সযত্নে মস্তিষ্কের এক কোণে। এমনি কোন এক ভোরে হয়তো তাকে নামিয়ে নিয়ে ঝেড়ে-মুছে, নেড়ে-চেড়ে দেখার ইচ্ছে জাগবে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি।
শুভেচ্ছা রইল।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লাগল। আপনার সাথে সাথে মনে হলো আমিও যেন আপনার বর্ননা করা দৃশ্যগুলো দেখতে পাচ্ছি। কুমিল্লার যে অঞ্চলের বর্ননা দিয়েছেন, সেদিকটা আমার কিছুটা পরিচিত।
প্রথম প্লাস দিলাম আপু।!
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি আমার সেই সাত-আট বছর বয়সের স্মৃতি হাতড়ে খুব সামান্যই তুলে আনতে পেরেছি। মনে করতে গেলে খুব দ্রুত একটা ক্যামেরার রিলের ছুটে যাওয়া টের পাই। ধরতে পারি খুব সামান্যই।
ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালবাসা।
শুভকামনা।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
লেখনিতে একরাশ মুগ্ধতা। কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার সাথে সাথে মনে হলো আমিও যেন আপনার বর্ননা করা দৃশ্যগুলো দেখতে পাচ্ছি।
সহমত। +++++++++ রইল।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।
ভাল থাকুন।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
মামুন রশিদ বলেছেন: আপনার স্মৃতির হাত ধরে আমরাও ঘুরে এলাম আপনার ছোটবেলায় । অপার্থিব এক আনন্দ আলোয় উল্টো সময় ধরে পথ হাটা ।
ভালো লাগলো নস্টালজিক স্মৃতিচারণ ।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অপার্থিব এক আনন্দ আলোয় উল্টো সময় ধরে পথ হাটা ।
খুব সুন্দর বলেছেন মামুন।
শুভেচ্ছা রইল।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
না পারভীন বলেছেন: কি সুন্দর
যত্ন করে লেখা ,
যত্ন করে রাখা স্মৃতি
মন টাই ভরে গেল তিথি
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পারভীন আপু।
সবকিছুইতো একে একে হারিয়েছে কালের গর্ভে। এখন এই স্মৃতিটাই সম্বল।
ভাল থাকুন।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শৈশব স্মৃতি মানেই উচ্ছল আনন্দে ভাসা।
দাদা-দাদী, নানা-নানী কাউকে দেখিনি, জন্মের আগেই হাওয়া।
তবুও এইসব লেখায় বুঝি এদের সাথে কাটানো সময়টা কত সুখ দিতে পারতো।
আপনার পোস্ট পড়ে নিজের শৈশবে ফিরলাম।
কুয়াশাভেজা পথ, মেঠো রাস্তা, হাসিখেলা।
আর হ্যাঁ, সিভিটা ও ছিলো ঠিক এভাবেই হাতে নিয়ে
মজার ব্যাপার কি, গত পরশু সিভিটা খুজলাম পুরো শুক্রাবাদ বাজারে, নাই কোথাও নাই
পোস্ট পড়ছিলাম, মনে হচ্ছিলো আমি ও হাটছি আপনাদের সাথে।
কি দারুন,
চোখে ভাসছিলো দৃশ্যপট, মানুষের বিচিত্র জীবন।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
মনে আছে, আপনার দাদী কে নিয়ে লেখা পড়েই সামুতে আকৃষ্ট হয়ে গেছিলাম কয়েকগুন।
আজ সকালে মনে হচ্ছিলো, এমনতর একটা পোস্ট যদি পড়া যেত।
শুভকামনা থাকলো।
রেটিং দিতে গেলাম, বলে আগেই নাকি দিয়ে ফেলছি।
তারপর মন্তব্য দিলাম, লগ ইন হতে বলে দ্বিতীয় বার টাইপ করতে গিয়ে দেখি আগে যা লিখছিলাম তা অনেকটা ভুলেই গেছি।
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সামু আজকাল লগ ইন নিয়ে খুব ভোগাচ্ছে। সারাদিনে কতবার যে লগ ইন করতে হল, আর কত কমেন্ট যে হারাল!
সিভিটা এখন আর পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না বোতাম বিস্কুট, মিমি চকলেট, লজেন্স এমন অনেক কিছুই। এসব শুধু স্মৃতিতেই আছে এখন, খুব যত্নে।
অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়।
ভাল থেকো অনেক।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: দিদিনানা ডাকটা খুব চমৎকার! সিভিট পাওয়া যায় তো এখনও। কিনবো আজকে
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সিভিট নয়গো সিভিট নয়, এটা হল গিয়ে সিভিটা। প্যাকেটের মধ্যে পাউডারের মত থাকতো, অনেকটা ট্যাঙ এর মত। শরবত বানিয়ে খেতো। অবশ্য আমরা হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেতেই পছন্দ করতাম বেশি
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
রেজোওয়ানা বলেছেন: Khbu valo lagchilo porte!
By the way, akta line 'rajdhanir dike chutche train'. . .ata ki Chitagong jabar pothe lekha, na fera somoye?
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ফেরার পথে আপু। যাওয়ার পথেতো কুমিল্লা রাতেই পার হয়েছি।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুভকামনা।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: জীবন এতো ছোটো ক্যানে এ ভূবনে?
আমি তো বার বার স্মৃতিকাতর হই অনেক কিছুতেই।
কুমিল্লা শহরটি আগে খুব সুন্দর ছিলো। এখন কোনো শহরই আর স্মৃতির সাথে মিলবেনা। যা গেছে তা একেবারেই গেছে!
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শুধু শহর কেন বুবু গ্রামগুলোই কত বদলে গেছে। আমাদের বাড়িটা আগে এত শুনসান ছিল, বাড়িভর্তি গাছগাছালি, বেড়ার ঘর, টিউবওয়েল, ঘাটবাধানো পুকুর, বড় উঠান...এখন সেসবের কিচ্ছু নেই। সবার ভিটে আলাদা হওয়ার পর সবাই পাকাঘর তুলেছে। বাড়ির ঠিক পাশ দিয়েই মেইন রোড হয়েছে। শব্দ তুলে ট্রাক-বাস যায়। মনেই হয় না গ্রামে এসেছি।
স্মৃতিটুকুই সম্বল।
ভাল থেকো বুবু।
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব মিষ্টি লাগলো এই স্মৃতিচারণ ! শুরুটা খুব সুন্দর করে লিখেছেন। শৈশবের অনেক অনেক স্মৃতিরা মাঝে মাঝে হুরমুড়িয়ে হানা দেয় কখনো কখনো।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা।
শুভেচ্ছা।
১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: আপনার বর্ণনা অনেক জীবন্ত; মনে হচ্ছিল আপনার সাথেই ঘুরে এলাম আপনার শৈশব থেকে।
ভাল লাগা রেখে গেলাম
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এই সব দিন রাত্রি।
ভাল থাকুন অনেক।
১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৮
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: সাবলীল লেখা ও অসম্ভব সুন্দর বর্ণনায় মুগ্ধ হয়েছি!
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ দিকভ্রান্ত*পথিক।
শুভেচ্ছা।
১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: গুড রাইটিং! মেথরপট্টির কথা পড়ে একটা জিনিস মনে পড়ে গেলো। চিটাগাঙের মেথরপট্টিতে রিয়াদের বেশ যাতায়াত ছিলো। ও বলতো- ওখানে নাকি একটা প্রাণী থাকে, কোনও হৈচৈ করে না, খালি পড়ে পড়ে ঘুমায়। আমি জিজ্ঞেস করতাম, কি প্রাণী? নাম কি? রিয়াদ বলতো, নাম তো বোঝার উপায় নেই, তবে দেখে মনে হয় শূকর আর কুকুরের ক্রসব্রিড কিছু একটা। তাই আমি তার নাম দিয়েছিলাম 'শূকুকুর'। আহা শূকুকুরটার খালি নামই দিলাম, কোনওদিন তাকে দেখা হলো না। এই দুঃখু রাখি কই!
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই যে দুঃখু এইখানে রাইখা গেলা
তোমারে বহুতদিন পরে ব্লগে দেখে খুব ভাল লাগতেসে। ওয়েলকাম ব্যাক
১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৮
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনার বর্ণনার সাথে মনে হচ্ছিল আমি নিজেই যেন ঘুরে আসছিলাম। জীবন্ত বর্ণনা। খুব ভালো লিখেছেন আপ্পি।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পা।
শুভ দুপুর।
১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৯
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: একটা জিনিস আমি রিয়ালাইজ করছি - রেললাইন ধার ঘেঁষে হাঁটার স্মৃতি কোনদিন ভুলা যায় না
লেখা পড়তে দারুণ লাগছে
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম।
এমন অনেক স্মৃতিই আছে যা আমরা কোনদিন ভুলবো না। হয়তো আরো অনেক স্মৃতি আর তথ্যের নিচে চাপা পড়ে থাকে বেশিরভাগ সময়। কিন্তু ঠিকই তারা আবার বের হয়ে আসে, মনকে নাড়া দেয়।
ভাল থাকুন।
১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৯
নস্টালজিক বলেছেন: টুকরো স্মৃতিকথন খুব সুন্দর হইসে, তিথী!
তোমার লেখা ঝরঝরে, ছোটো ছোট বাক্যে শব্দ ধরো সুন্দর!
শুভেচ্ছা নিরন্তর!
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুভেচ্ছা আপনাকেও।
১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৮
খেয়া ঘাট বলেছেন: বাসের জানালার বাইরে রাস্তার দুধারে ঘুটঘুটে অন্ধকার সাঁই সাঁই করে পার হয়ে যেতে থাকে, আর হঠাৎ হঠাৎই একটা-দুটো আলোর বিন্দু, দূরে ছোট্ট একটা গ্রাম কিংবা একলা নিঃসঙ্গ একটা বাড়ি। --- নিজেক চোখের সামনে যেন সেই ফেলে আসা দৃশ্য একেবার মূর্ত হয়ে ওঠলো।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ খেয়া ঘাট।
সযত্নে রেখে আপনার গুচ্ছ প্লাস।
১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৭
রোমেন রুমি বলেছেন: ভাল লাগল ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রোমেন।
শুভেচ্ছা।
১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫
অদৃশ্য বলেছেন:
অনেক সুন্দর...
লিখাটি পড়তে পড়তে সেই হারিয়ে যাওয়া সময়ের মাঝে যেন হঠাৎ করে পড়ে গেলাম... এমন সব সময় দৃশ্যগুলো সম্ভবত আমাদের সবারই অতি প্রিয় হয়ে থাকে... তাই এমন অবস্থা...
রেল, তার পথ, তার পাশ, তার পথের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, সমান্তরাল পথের শেষে দীর্ঘ চাওয়া ( চেয়ে থাকা )... আমার খুবই ভালো লাগে
আপনার কোন এক সময়ের ফেলে আসা ঘটনাগুলোয় যেন আমিও আপনাদের পাশেছিলাম... এটা করতে পারাটাই লেখক/লেখিকার বিশেষ ক্ষমতার প্রকাশ...
শুভকামনা...
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই স্মৃতিগুলো কখনোই আমাকে সেভাবে কাতর করেছিল বলে মনে পড়ে না। কিন্তু ওই তিন মিনিটের বিরতি, "শাসনগাছা, কুমিল্লা" লেখা সাইনবোর্ড...ভেতরে কিসের যেন সুইচ অন করে দিল। হুড়মুড়িয়ে স্মৃতিরা সব আসতে লাগল। কি জানি, এমনি হয়তো হয়।
ধন্যবাদ অনেক অদৃশ্য।
ভাল থাকুন সবসময়।
২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। খুব সুন্দর লাগলো।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক।
শুভেচ্ছা।
২১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মুগ্ধপাঠ!
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অপ্সরা সিজেল।
শুভেচ্ছা।
২২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২১
অনাহূত বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা। পড়তে বেশ লেগেছে।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অর্ণব।
শুভকামনা।
২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২১
সোমহেপি বলেছেন: সিভিটা জিনিসটা আমার ও প্রিয় ছিলো।দাম-৩টেকা।এখন ট্যাং এর রাজত্ব চলছে।
কুমিল্লা ইদানিং উপরের দিকে বাড়তেছে।বড় দালান আর দালান।
কুমিল্লা'র সেন বাড়ীর কথা কেউ বলতে পারেনা,শচীন কর্তার বাড়ীটাও দখল প্রায়।
স্মৃতি কথন অনেক ভালোলাগা।
২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বড় বড় দালান আর সরু রাস্তায় এত এত রিকশা আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পা ফেলার উপায় নাই। সবকিছুর আধুনিকীকরণ মঙ্গলজনক না।
ধন্যবাদ সোমহেপি।
ভাল থাকুন।
২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
বোকামন বলেছেন:
একরাশ মুগ্ধতা খপ করে পেয়ে বসলো। স্মৃতির স্কেচ- শব্দে এতটা চমৎকার ভাবে প্রকাশ করলেন, প্রশান্তি এনে দিলো।
হ্যাঁ ! বহুতল ভবন এহেন প্রশান্তি মুছে দিচ্ছে বারবার .....।
ভালো থাকবেন সম্মানিত লেখক।।
[১৫+]
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার মনের প্রশান্তি বজায় থাকুক সবসময়।
অনেক ধন্যবাদ বোকামন।
শুভেচ্ছা।
২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
বর্ণনাটুকু চমৎকার লাগল আপু। মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। তার মাঝে আবার ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে স্মৃতির সেই স্কেচটাকে তুলে রাখি সযত্নে মস্তিষ্কের এক কোণে এই বাক্যগুলো ভাবিয়েছে বেশ।
ভাল থাকুন সব সময়।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই স্মৃতিগুলো জমাইতো থাকে মস্তিষ্কের এক কোণে, কেউ তাদের অস্তিত্বই জানে না। এমনি কোন এক মূহুর্তে হয়তো বের হয়ে আসে তারা।
অনেক ধন্যবাদ নাজিম।
শুভকামনা রইল।
২৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
নাছির84 বলেছেন: খুব খুব ভাল লেগেছে। বর্ণনাশৈলী চমৎকার।
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাছির।
২৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
কন্যা ...পড়তে পড়তে আমার শীর্ষেন্দুর কোন একটা লেখার কথা মনে পড়ে গেল (ঠিক কোনটা নাম মনে নেই)...
এমন অদ্ভুত সৌন্দর্য্যে দক্ষতার সাথে লেখা ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা ছিল আমার এক প্রিয় ব্লগার ডেভিড-এর...এখন আর ব্লগে আসে না কেন সেই ভালো জানে !
সে এখন ব্লগার হিসেবে স্বর্গীয় ...
মুগ্ধতা রয়ে গেল লেখায় ...
২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শীর্ষেন্দুর আমি বিশাল ভক্ত। তাঁর লেখাগুলোয় খুব সুন্দর করে মানুষের অনুভূতিগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়।
ডেভিড কোন ব্লগার ছিল? চিনতে পারছি না। আপনি দাইফ এর কথা বলেননিতো?
ধন্যবাদ আপু।
ভাল থাকবেন।
২৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
আরজু পনি বলেছেন:
নাহ্ আমি "ডেভিড"-এর কথাই বলেছি
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ও...চিনি না তাকে।
২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
মোঃ কবির হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা এর আগে কখনও পড়েছি কিনা জানি না। আপনার এ লেখাটায় কেমন যেন স্মৃতির পিছুটান বিদ্যমান, বড়ই মায়া লাগানো কিছু স্মৃতি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল আমারই ফেলে আসা কোনো স্মৃতির কাব্যিক বর্ণনা-অসাধারণ। মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ-আবার দেখা হবে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কবির হোসেন।
কথা হবে।
৩০| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
সায়েম মুন বলেছেন: স্মৃতিচারণ মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। মাঝে মাঝে শেকড়ের সন্ধানে যেতে খুব ভাল লাগে।
২৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন।
ভাল থাকুন সবসময়।
৩১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
তীর্থক বলেছেন: পরিপাটি বর্ননায় মুগ্ধ হয়েছি। একেবারে চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠিছিল আপনার বর্ননার দৃষ্যগুলো। মনে হচ্ছিল যেন সব দেখতে পাচ্ছি।
সরল গদ্যে +
ধন্যবাদ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তীর্থক।
শুভকামনা রইল।
৩২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
তুষার কাব্য বলেছেন: স্মৃতিকথন...খুব ভাল লেগেছে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাব্য।
শুভেচ্ছা।
৩৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো!!!!!!!!
অনেক ++++++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বর্ষণ।
ভাল থাকুন।
৩৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: চমৎকার। পড়ে মনে হলো বর্ননা করা দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসছে।
কুমিল্লায় গেলেও কিচ্ছু দেখতে পারি নি, টিচাররা সময় নেই বলে খপ করে ধরে বাসের ভিতর পুরে দিয়েছিল ।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কুমিল্লা শহরটা খুব একটা দেখা হয় নি। যা লিখেছি সবই সেই ছোট্টবেলার স্মৃতি থেকে লেখা।
ধন্যবাদ আহসান।
শুভেচ্ছা।
৩৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:০৯
না পারভীন বলেছেন: ঈদ মুবারক সমুদ্র ।
প্রতিটি দিন ঈদের দিনের মত সুন্দর হোক
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা নার্গিস আপা।
ভাল থাকুন খুব, সবসময়।
৩৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
টুম্পা মনি বলেছেন: ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা সমুদ্রকন্যা।
ঈদ মোবারক।
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মোবারক টুম্পা।
৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
এবারের ঈদটা নিশ্চয়ই জীবনের সেরা ঈদ হলো !
সামনে
আরো আরো সেরা হোক-
♥ ঈদ মোবারক ♥
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সত্যি আপু! এবারের ঈদটা জীবনের সেরা ঈদ হল। দোয়া করবেন যেন সবসময় এমনই কাটে।
অনেক শুভেচ্ছা।
৩৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
প্রবাসী রনি বলেছেন: ঈদ মোবারক আপু কেমন আছো. অনেক দিন পর ব্লগে পা রাখলাম তোমাদের খবর নিতে..........
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদ মোবারক রনি ভাই।
অনেক দিন পরে দেখলাম আপনাকে। ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
শুভকামনা রইল সবসময়ের জন্য।
৩৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
রাইসুল সাগর বলেছেন: অনেক সাজানু গোছানো গল্পটাতে অনেক অনেক ভালো লাগা। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সাগর।
ভাল থাকুন।
৪০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০২
নেক্সাস বলেছেন: শেকড় সন্ধানীয়া গল্প পড়ে ভাল লাগলো
১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস।
শুভকামনা।
৪১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সাবলীল ভংগিতে এগোনো লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। শৈশবের হারানো সময় এবং পরিবেশের প্রতি যে আকুলতা ফুটে উঠেছে তা মনকে ছুঁয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বর্ণনা এতটাই বাস্তবোচিত হয়েছে যে বর্ণিত সময় ও ঘটনার সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম।
আহারে শৈশব....কৈশো্র...... সেই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি.....
কেন যে বয়স বাড়ে, মানুষ বুড়ো হয়? কেন আর লোহাগাড়া, জাম খেয়ে জিভ নী-ই-ই-ই-ল করতে পারার সাফল্যে গর্বিত হব না? কেন আর বাবার হাতে মার খাব না; মায়ের ভয়ে পালিয়ে থাকব না? হেডস্যারের পিটুনি খেয়ে কেন আর জ্বর আসবে না? কেন বড় হব? কেন সব কিছু হারিয়ে যায়? কেন?
মাফ করবেন।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মাফ করবো! মাফ চাইবার মত কিছু কি করেছেন?
আমার লেখা পড়ে যদি আপনার শৈশবের স্মৃতি জেগে ওঠে, যদি আবেগের বশে কিছু কথা বলেই ফেলেন তবে সেটাতো আমার জন্য ভাল লাগার একটা ব্যাপার।
ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম।
ভাল থাকুন সবসময়।
৪২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: বাড়িতে আসা প্রত্যেকটা মানুষকে মাথা দুলিয়ে অভ্যর্থনা দিতো গাছটা। মায়াময় সেই মানুষগুলো এখন আর নেই, অভ্যর্থনা জানানোর জন্য গাছটাও দাঁড়িয়ে নেই রাস্তার ধারে... পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ চুক্কা বাঙ্গী।
শুভেচ্ছা।
৪৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: নস্টালজিক পোস্ট.। কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম। অনেক ভালো লাগলো আপু।
তবে কেন আমি সিভিট নামক ব্যাপারটা পাউডারে পাইনি? আমি তো ট্যাবলেট খেয়েছি.।ভাসকো নামের কোম্পানির টেডি বিয়ার সাইজেও খেয়েছি, তবে পাউডার পাইনি। অবশ্য বড় গুলো পানিতে দিলে গলে যায় তারপরে খেতে হয়, এরকম কিছু নাকি?
পোস্টে প্লাস।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: জিনিসটা সিভিট ছিল না, সিভিটা। ছোট প্যাকেটে পাউডার হিসেবে পাওয়া যেতো, এক প্যাকেট দিয়ে এক গ্লাস শরবত। সিভিট ট্যাবলেটতো আলাদা জিনিস, আর ভাসকো কোম্পানির টেডি বিয়ার বাজারে এসেছে বহু পরে। সিভিটা বোধহয় সব জায়গায় পাওয়া যেতো না, তাই খাওনি।
ধন্যবাদ ত্রিনিত্রি। শুভকামনা।
৪৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
নাজনীন১ বলেছেন: রেললাইনের কাছে ধারেই ছোটবেলাকার স্মৃতি আমারো! রেলপাতে কান রেখে দূর থেকে আসা ট্রেনের শব্দ বা চলে যাওয়া ট্রেনের শব্দ শোনা, সাদা পাথর কুড়ানো, পয়সা পাতে রেখে চ্যাপ্টা করা... অনেক অনেক স্মৃতি!
ভালো লাগলো লেখাটা, একটানে পড়ে ফেললাম! নিজেও স্মৃতিকাতর হলাম!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজনীন আপু।
শুভেচ্ছা রইল।
৪৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
শীলা শিপা বলেছেন: মনে হল আমিও সাথে সাথে হাটছি আর দেখছি।
বেশ অনেক দিন আগে এসেছিলাম আপনার ব্লগে। এতদিন পর এসে মনে হচ্ছে কত সুন্দর লেখাগুলো বাদ পড়ে গেছে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শীলা শিপা। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত কথা হবে।
ভাল থাকুন।
৪৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ভাল লাগল
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানিম।
শুভেচ্ছা।
৪৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি কথা । আমি ছোট বেলায় যেখানে থাকতাম সেখানে ও রেললাইন ছিল , যাত্রীবাহী না , মালবাহী । সেখানে প্রায়ই যেতাম বাবার সাথে ঘুরতে । রেললাইন ধরে বহুদূর আমরা দুই বোন দৌড়ে যেতাম , বাবা পিছনে হেটে আসত , কি আনন্দ লাগত ।
সিভিটা খেয়েছি বলে মনে পড়ছে না । তবে আইসক্রিম খেয়েছি , লাল সবুজ বিভিন্ন রঙের লম্বা প্যাকেটে থাকত । খুব মজা লাগত ,আর কি যে আগ্রহে থাকতাম কিনে দেয়ার জন্য , অনুভূতি টুকু রয়ে গেছে এখনো ।
শুভ জন্মদিন আপু ।
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ওই আইসক্রীমগুলো খাওয়ার খুব ইচ্ছে হতো। কিন্তু হাতে টাকা পেতাম না কখনো বলে খাওয়া হয় নি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ অদ্বিতীয়া।
শুভকামনা সবসময়ের।
৪৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
শীলা শিপা বলেছেন: শুভ জন্মদিন আপু। আপনার জীবন ভরে থাকুক অনেক ভাললাগায় আর ভালবাসায়...
২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শীলা শিপা।
শুভকামনা নিরন্তর।
৪৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভ জন্মদিন আপু
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।
৫০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
ইখতামিন বলেছেন:
আজ আপনার জন্মদিন?
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইল
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইখতামিন।
৫১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪
আমি ইহতিব বলেছেন: স্মৃতিকথা অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন, ভাষার ব্যবহারে মুগ্ধ হলাম। এই প্রথম মনে হয় আপনার কোন পোস্ট পড়লাম। পড়ে এতোই মুগ্ধ হলাম যে নিয়মিত আপনার ব্লগে আসার ইচ্ছা হচ্ছে। সময় করে আপনার আগের লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করবো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিথী।
আমার ব্লগে সাদর আমন্ত্রণ রইল।
শুভেচ্ছা।
৫২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১১
পুচকে ফড়িং বলেছেন:
অনেক সহজ, সাবলিল ভাষায় লিখেছেন। পড়তে ভালো লাগলো।
আমি ছোটোমোটো একটা চাকরি নিয়ে গত সাড়ে ছয় মাস ধরে কুমিল্লায় পোস্টেড্। স্টেশন রোডেই অফিস আর বাসা। বিকাল বেলা কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ রেল স্টেশনে উদ্দেশ্যহীন পায়চারি আর ট্রেনের আসা যাওয়া দেখা অতি প্রিয় অবসর বিনোদন। এখন থেকে স্টেশন রোডে চলাচলের সময় অবচেতন মনেই হয়তো আপনাদের বাসা কোথায় ছিল বোঝার চেষ্টা করবো।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সেখানে আমার নানার বাড়ী, তবে যাওয়া হয় না বহু বছর। যে সময়কার কথা লিখেছি, আমার শৈশবের, তখনকার সাথে এখনকার কুমিল্লার কোন মিলই নেই।
ধন্যবাদ ফড়িং। ভাল থাকুন।
৫৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪৫
ভিয়েনাস বলেছেন: আমার একটা কথা ছোটবেলা থেকেই মনের মধ্যে দোলে সেটা হলো যাদের বাড়ি রেল লাইনের ধারে তাদের মতো সুখি আর ভাগ্যবান বুঝি আর কেউ নেই। আমাদের বাড়ি রেল লাইনের পাশে না হওয়ায় খুব আফসোস হতো। তাইতো ছোটা খালার বাড়ি গেলে আসতে ইচ্ছে হতোনা। এখন আপুর বাড়ি গেলেও আমার আসতে ইচ্ছে হয় না।
স্মৃতিকথা পড়ে ভালো লাগলো
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: উত্তরায় যখন প্রথম গেলাম, ওই সময়টায় লোকসংখ্যা খুব কম ছিল। রাতের বেলা অনেক দূরের শব্দও শোনা যেতো। গভীর রাতে আমরা ট্রেনের শব্দ শুনতে পেতাম। আর আমার তখন শুধু একটা কথাই চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হতো, "চল পালাই"।
ধন্যবাস ভিয়েনাস।
শুভেচ্ছা।
৫৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
আউলা বলেছেন: ভাল লাগলো কেমন আছেন?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আউলা।
ভাল আছি
৫৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
ক্যাপ্টেন সাস বলেছেন: অতীতের সুখ স্মৃতি গুলো বড্ড ভাবায়
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সত্যিই তাই।
শুভকামনা সাস।
৫৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৯
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: দাদা বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে, একদা যেখানে আমি রাজপুত্র ছিলাম । আনন্দ বেদনার মিলমিশ অনুভূতি রেখে গেলাম ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সময় করে একদিন ঘুরে আসুন দাদা বাড়ি। ভাল লাগবে নিশ্চয়ই।
শুভেচ্ছা আদনান।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভালো লাগলো ! বর্ণনাশৈলী তে মুগ্ধ হয়েছি !