নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর ও শ্রেষ্ঠতর আগামীকালের অপেক্ষায়...

সমুদ্র কন্যা

তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................

সমুদ্র কন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন মায়াজালে বেঁধেছো...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৯





*



'ইফ আই কিল ওয়ান পারসন ইন মাই লাইফ, দ্যাট উড বি ইউ!' অবাক চোখে আমি তার দিকে তাকাই। ভেবেছিলাম বুঝি মজা করেই বলছে। কিন্তু তার চোখ দেখে ভুল ভাঙে। কেমন বিহ্বল খুনে দৃষ্টি চোখে, ঠোঁটে ঠোঁট চেপে আছে শক্ত করে, দৃঢ় হয়ে আসছে চোয়াল। কাঁধের ওপর হাতের চাপ বাড়ছে। হঠাৎ করেই তাকে খুব বেশি অচেনা ঠেকে। মুখ থেকে হাসি খুশি ভাবটা মুছে যাচ্ছে বুঝতে পারছি। মেঝের ওপর পড়ে থাকা পানির ফোঁটা যেভাবে টিস্যু পেপার শুঁসে নেয়, তেমনই খুব অজানা একটা অনুভূতি আমার মুখের রঙ যেন শুঁসে নিতে থাকে। পেটের ভেতর কেমন শিরশির করে ওঠে, ভীত চোখে তাকিয়ে থাকি ওর চোখে। এক...দুই...তিন...চার...পাঁচ............বার...তের...চৌদ্দ...পনর...ঠিক পনর সেকেন্ড পরে তার চোখের ওপরকার খুনে পর্দাটা সরে গেল। হাল্কাভাবে টেনে নিয়ে আমার কপালে আলতো চুমু খেল, তারপর হাসল। ওই হাসি দেখে একটা খুব দ্বিধাগ্রস্ত হাসি ফুটে ওঠে আমার ঠোঁটে। রিফ্লেক্স! কারো হাসির উত্তরে যেমন হাসতেই হয়। তারপর বুক ঠেলে ওঠে অভিমানে।

-'খুন করবা! এত রাগ আমার উপরে?' ঠোঁট ফুলে ওঠে আমার, হাল্কা নাকও টানি। অভিমান, আহ্লাদ, ন্যাকামো আমার স্বভাবের একটা অংশ। কথায় কথায় ঢং না করলে ভাল লাগে না। তবে সেসব ঠিক জায়গায় প্রয়োগ করতে জানতে হয়।

-'না, রাগ না।' মাথা নাড়ে সে। 'কিন্তু কোনদিন কাউকে খুন করলে আমি তোমাকেই করবো।'

-'রাগ না! তাহলে খুন করবা কেন? কি করসি আমি?'

-'কিছু করো নাই...কিন্তু, যদি করো!' তার চোখ-মুখ আবারও শক্ত হয়ে উঠছে।

-'ইশ! আমি তেমন কিছু করবোই না।' দুহাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরে বলি আমি।

-'জানি।' সযত্নে আমার হাত দুটো গলা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙে সে। বেরিয়ে যাচ্ছে ঘর থেকে।

-'কোথায় যাচ্ছো?'

-'বাইরে, সিগারেট খাবো।'

কেমন পাগল! ভালবাসতে বাসতে মেরেই ফেলবে!

পাঁচ মাস তের দিন হল আমাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ে হয়েছে কথাটা বলতে বা শুনতে যেমন সহজ, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেই তেমন সহজ না। আস্ত একজন অজানা, অচেনা নতুন মানুষের সাথে বসবাস। রোজ একটু একটু করে তাকে আবিস্কার। কিসে তার ভাল লাগা, কিসে মন্দ লাগা, কি করলে সে খুশি হবে, অশান্তি এড়াতে কোন কাজটা বাদ দিতে হবে এসব পুরোপুরি বুঝে ওঠার জন্য একশ তেষট্টি দিন যথেষ্ট সময় নয়। তাই হুটহাট আমার এমন ছোটখাট ভুল হয়েই যায়। অবশ্য আজকের মতন ওকে এমন রেগে উঠতেও দেখি নি কখনো। ও কি আমাকে সত্যিই এত ভালবাসে! আমার কেন যেন বিশ্বাস হতে চায় না। কি আছে আমাকে এতটা ভালবাসবার! আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বারবার নিজেকে ঘুরে ফিরে দেখি। বলতে নেই, এলাকার নামকরা সুন্দরীই ছিলাম বিয়ের আগ পর্যন্ত। কেউ পারে নি আমাকে টেক্কা দিতে। কাঁচা হলুদের মত গায়ের রঙ, ধারাল নাক-চোখ-মুখ, দীঘল চুল, আকর্ষণীয় ফিগার...ঠিক যা যা প্রয়োজন লোকের মনযোগের কেন্দ্র হতে। আর সেইসব নিয়ে আমি যথেষ্ট সচেতনও ছিলাম বটে! কিন্তু তারপরও...তারপরও ভয় কাটে না। এতকিছুর মধ্যেও আমার সবচেয়ে যেটা জরুরী তারই অভাব ছিল প্রকট, আত্মবিশ্বাস। বিয়ের পরে সেটা কমার বদলে বেড়েছে বরং।



**



কাল রাতে ওর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টের একটা গেট টুগেদার ছিল। ওর ব্যাচমেট, সিনিয়র, জুনিয়র অনেকেই এসেছিল। ওদের চোখে আমার স্বামীকে আবারো নতুনভাবে আবিস্কার করলাম। মেয়েমহলে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে সে সবসময় আত্মপ্রসাদে ভোগে, এ কথার প্রমাণই মিলল যেন। ব্যাচমেট আর জুনিয়ররাতো বটেই এমনকি অনেক সিনিয়র মেয়েরা পর্যন্ত এসে গলে গলে পড়ছিল। প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে সবাই শোনাচ্ছিল একটাই কথা, 'ভাগ্য তোমার মেয়ে! এমন রূপবান, গুণবান স্বামী পেয়েছো! আমাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছো।' হাসিমুখে ছুড়ে দেয়া সেইসব হিংসার তীরে ছ্যাঁকা লাগছিল গায়ে ভীষণ। সত্যি বটে আমার স্বামী দারুণ রূপবান একজন মানুষ। বারবার দেখেও আমার আশ মেটে না, বিশ্বাস হয় না এই লোকটা আমার, একান্তই আমার! তাছাড়া আমার মত বেগুণে নয় সে। সুন্দর গান গায়, দরাজ গলায় আবৃত্তি করে, শখের অভিনয়ও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলোয়। আর লেখালেখিও করে বেশ। এমন একজন পুরুষ যে মেয়েদের কাছে খুব কাঙ্খিত হবে, এটাইতো স্বাভাবিক।

বাড়ি ফেরার পর থেকে চাইলেও পারছি না স্বাভাবিক হতে। কেন যেন বারবার মনে হচ্ছে এই মানুষটা শুধুই আমার নয়। দিয়া নামের লম্বাচুলো মেয়েটা নইলে ওর গায়ে অমন হাসতে হাসতে ঢলে পড়বে কেন? বন্ধু হলেই এমন করতে হবে নাকি! কিংবা চার বছরের জুনিয়র বিপাশার সাথে এত কিসের স্মৃতিচারণ? কবেকার বৃষ্টিতে ভেজার, ঝালমুড়ি খাওয়ার, একসাথে নাটকের রিহার্সাল দেবার। এখনও কি তাদের সাথে তেমন কোন স্মৃতিময় ঘটনা ঘটে? আমার অজান্তে? নইলে কাল থেকে সে এত উৎফুল্ল কেন! কেন! কেন! কিসের এত হাসাহাসি, গল্প, কথা, ঢলাঢলি! এসব আমার একদম সহ্য হয় না কিন্তু। বিয়ের আগে জানতামও না এই মানুষটাকে, কোথায় কার সাথে ঘুরে বেড়িয়েছে, গল্প, আড্ডা দিয়েছে, নাটক আর গানে রিহার্সাল দিয়েছে সেসব আমার জানার কথা নয়। কিন্তু এখন এই মানুষটা শুধুই আমার। আগেকার দিনের ফুলপরীরা হুট করে এসে তার পাশে উড়ে উড়ে বেড়ালে আমি সহ্য করবো কেন? আর সে এখন সেইসব ফুলপরীদের নিয়ে দিবাস্বপ্নে বিভোর। আমার দিকেও তার এতটুকু খেয়াল নেই।

এই যে অভিমানে আমার মুখে আঁধার ঘনিয়েছে, একবারওতো ফিরে তাকাল না। এমনতো হয় না কখনো। কিসের যেন ভয়ে, শংকায় একেবারে সিঁটকে গেছি আমি!



***



যে নিজে বিশ্বাসঘাতী কোন কাজ করে, তার নিজেরও ঠকবার ভয় বেশি থাকাটা স্বাভাবিক। আমার স্বামী আজকাল খুব নজরদারী করছে আমার ওপরে, খুব কৌশলে, গোপনে। কোথায় গেলাম, কত সময় কাটালাম, কে আমার কাছে ফোন করছে, কার সাথে ফেসবুকে কথা বলছি সেসবের কড়া তত্মাবধান চলছে। ভয় কি! আমিতো তোমার মত বহুফুলে উড়ে বেড়ানো মৌমাছি নই। অনেকের অনেক প্রলোভন পেলেও আমি শুরু থেকেই "ওয়ান ম্যান ওমেন"। তবে এসব থেকে একটা ব্যাপার নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাইরে থেকে যাই মনে হোক না কেন, আমার মতন তারও আত্মবিশ্বাসের তলিটা ফুটো। সেও ভয় পায়, হারাবার।

গত সপ্তায় মুভি দেখতে বসে মূল চরিত্রটার সাথে নিজেকে তুলনা করে ফেলেছিল দূর্বল এক মূহুর্তে।

-'ধরো আমি যদি ওই লোকটার মত অথর্ব হয়ে যাই তখন তুমি কি করবা?' -'ছিহ কিসব অলক্ষুণে কথা বলো!' ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ওর কথা থামিয়ে দেই।

-'না সত্যি! এমনতো ঘটতেই পারে, তাই না? ধর একটা এক্সিডেন্ট হল। খুব বাজেভাবে আমি ইনজুরড হলাম, কোমরের নিচ থেকে বাকিটুকু অবশ। একেতো অকেজো হওয়াই বলে। কি করবা তখন তুমি?' আমি ঠিক বুঝতে পারি না ও কি করতে চাইছে। খুব সূক্ষ্ম একটা মাইন্ড গেম? কেমন জবাব আশা করছে সে আমার কাছ থেকে? ভুল কোন উত্তর দেয়ার চেয়ে অসহায় চোখে ওর দিকে চেয়ে থাকাটাই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।

-'কথা বলছো না কেন? মাত্রই তুমি সাতাশ এখন। তোমার শরীরের চাহিদা তুমি কিভাবে মিটাবে তখন?' ওর বুকে মুখ লুকিয়ে আদুরে গলায় বলি, 'আমার অত চাহিদা নেই।'

-'তোমার চাহিদা নেই? হাহ্! দেখছিতো গত সাত মাস ধরে। ক্ষুধার্ত একটা বাঘিণী তুই।' শক্ত হাতে আমার চুলের মুঠি ধরে বলে সে। কঠোর হয়ে উঠছে তার চোখ-মুখ, চোখে সেই খুনে দৃষ্টি। চুলের গোড়ায় টান পড়ছে জোর।

আহ ইটজ গেটিং সিরিয়াস নাউ! এই ফাঁদে ফেলতে চাইছো আমাকে? এত সহজে পা পিছলানোর মেয়ে আমি নইগো চাঁদ!

-'শরীরটাই কি সব ভাবো নাকি? আসল হল দখল, বুঝলে? তোমার ওপর আমার দখল। তুমি শুধুই আমার, তোমাকেতো ভাগাভাগি করতে পারবো না। এমনকি অন্য কেউ তোমার দিকে নজর দিলেও আমার সহ্য হবে না। তুমি শুধু আমার থাকলেই হল। শরীরের খেলা হোক কি না হোক, তাতে কিছু আসে যায় না।' ওর চোখে চোখ রেখে দৃঢ়ভাবে বলি। ডুবে যেতে যেতেও ভেসে উঠতে দেখি ওর আত্মবিশ্বাসকে। হচ্ছে, কাজ হচ্ছে। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলাম, আমার ওপরে ওর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এবার একটু রঙ ঢং করবার সময়। ওর ভেতর ঢুকে যেতে যেতে আদুরে গলায় বলি, 'এখন এসব বাজে কথা বাদ দাওতো। আদর দাও আমাকে। অনেক আদর!'

উন্মাতাল হয়ে উঠি দুজনেই।



****



ওর সম্পর্কে আমার ধারণা দিনকে দিন সে ভুল প্রমাণ করে দিচ্ছে। সেও ভয় পায়, সন্দেহের তীরে বিদ্ধ হয়, কুৎসিত সব প্রশ্নবাণ ছোঁড়ে। ওকে এমনটা ভাবি নি। আজ বিকেলে আমার খুব ছোটবেলার এক বন্ধু এসেছিল, রাকিব। বহু বছর প্রবাসে কাটিয়ে ফিরেছে দেশে, ছোটবেলার সাথীর খোঁজ নিতে ছুটে এসেছে আমার বাসা অবধি। ফেসবুকের কল্যাণে যোগাযোগ ছিলই, জানতাম আসবে। ভুলটা করেছিলাম এ ব্যাপারে আমার স্বামীকে না জানিয়ে। না, সে কোন অভদ্রতা করেনি অবশ্যই। সত্যিকার ভদ্রলোক আমার স্বামী। তবে ভদ্রতার আড়ালে তার মুখের শীতল মুখোশটা চিনতে ভুল হয়নি আমার। যত সময় যাচ্ছিল, আমরা আমাদের পুরনো স্মৃতি নিয়ে যত বেশি উচ্ছল হয়ে উঠছিলাম, ততই বদলে যাচ্ছিল ওর চেহারা। অস্বীকার করবো না, ওকে হিংসায় জ্বলতে দেখাটা উপভোগ করছিলাম খুব। ভালবাসে বটে লোকটা আমাকে!

কিন্তু রাকিব চলে যাওয়ার পর থেকে গুমোট, থমথমে হয়ে উঠেছে ঘরের পরিবেশ। ওর চারপাশে ঘুরে ঘুরে একথা সেকথায় ভোলাতে চেষ্টা করছিলাম। বেশিক্ষণ লাগল না তার ফেটে পড়তে। কাছে টেনে নিয়ে খুব নরম হাতে আদর করতে করতে কথা শুরু করল সে।

-'কতদিনের পরিচয় তোমাদের?'

-'এখনো যোগাযোগ আছে?'

-'ফেসবুকে সারাক্ষণ এর সাথেই কথা বলো তাহলে?'

-'কি এত কথা?'

-'কতদিনের ভালবাসা তোমাদের? এতই যদি প্রেম তো বিয়ে করোনি কেন? এখন বুঝি নতুন করে প্রেম উথলে উঠেছে?' যতই বলছিল, ওর হাতের বাঁধন ততই শক্ত হয়ে উঠছিল। বদলে যাচ্ছিল মুখের ভঙ্গী। সেই টকটকে লাল খুনে দৃষ্টি চোখে। আমি ছটফট করে নিজেকে ছাড়াবার চেষ্টা করি ওর শক্ত হাতের বাঁধন থেকে, বৃথাই!

-'আহ ছাড়ো! কিসব কথা বলছো তুমি? মুখেও বাঁধে না!'

-'নোংরামি করার সময় মনে থাকে না? এখন আবার সাধু সাজছো না?' হিংস্র হয়ে উঠেছে ওর গলার আওয়াজ। 'খুন করে ফেলবো একদম। একটু তেড়িবেড়ি করলেই। খুন করে ফেলবো।' সত্যিই ওর মাথায় খুন চেপে গেছে। আমার গলায় এঁটে বসেছে ওর আঙুল, চাপ বাড়ছে ধীরে ধীরে। হায় খোদা, এ আমি কি করলাম! ওর ভালবাসার পরীক্ষা নিতে যেয়ে বিশ্বাসটাই হারালাম? ও যে আমাকে সত্যিই খুন করে ফেলবে। দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার, চোখের চারদিকে চাপ চাপ অন্ধকার, মাথা আর কাজ করছে না, অনেক চেষ্টাতেও গলা থেকে কোন শব্দ বের করতে পারছি না। দুহাত শিথিল হয়ে আসছে। এমন চন্ডাল রাগ ওর! এমন অন্ধ প্রেম! ও সত্যিই আমায় খুন করল!



*****



-'ক্ষমা করো। আমি নিজের মধ্যে ছিলাম না সেসময়। রাগে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।' রাত থেকে একভাবে সে আমার পায়ের কাছে বসে আছে। কাঁদতে কাঁদতে আমার চোখের পানিও শুকিয়েছে। কোনদিন ভাবিনি এত ভালবাসা দিয়েছে যে মানুষটা সেই এমন ভয়ংকর কোন কাজ করবে। আমার মনটাই ভেঙে গেছে। কিছু বলবো দূরে থাক, ওর দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছি। আবার যদি ক্ষেপে উঠে! এত অবিশ্বাস! এত সন্দেহ! কই আমিতো সন্দেহ করি না এইভাবে, যখন মেয়েরা তাকে ফোন করে অনেক অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে, কিসব মেসেজ পাঠায়, ফেসবুকে খুব ফ্লার্ট করে কমেন্টস করে, দেখা হলে গলে গলে পড়ে যায়। কই, আমিতো সেসব নিয়ে একটা কথাও বলি না। সেতো ঠিকই তার মত করে সমস্তকিছু উপভোগ করছে। আমি শুধু দেখেই যাই নিরবে, আর নিজের ভেতরে জ্বলে-পুড়ে যাই। কখনো কখনো মনে হয় এই বুঝি ফেটে পড়ল ভিতরে ফুটতে থাকা উত্তপ্ত গলিত লাভারা, কিন্তু আমি নিজেকে ঠিকই সামলে নেই। শুধু অভিমানে ফুলে ফুলে উঠি। সে সেসব দেখেও না দেখার ভান করে যায়। নিজে অমন করে বলেই বুঝি আমাকেও তেমনি ভাবছে? "আমি তোমার মত নই, তোমার মত নই আমি"। আবারও ফুপিয়ে উঠি। সে আমাকে গভীর ভালবাসায় জড়িয়ে ধরে।

-'ক্ষমা করো। আর কোনদিন হবে না এমন। তোমার মাথা ছুঁয়ে বলছি।' আমি জানি সে ভালবাসে আমাকে। আমি বিশ্বাস করি! কিন্তু তার এই ভালবাসার ঝড়ে উড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি আমার ছিল না একেবারেই। ভেবেছিলাম সেদিনের পর থেকে সে সংযত করবে নিজেকে, আমার ওপর থেকে তার নোংরা সন্দেহ দূর হবে। অনুতাপ হবে সেই হিংস্র আচরণের জন্য। ভুল ভেবেছিলাম। যত দিন গেল, ওর সন্দেহ যেন বাড়তেই থাকল শুধু। এখন আর সেটা রাকিবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা, কিছু সিনিয়র ভাইও যোগ হয়েছে সাথে। ফেসবুকে কারো মজা করে করা নির্দোষ কমেন্টও তার সহ্য হয় না, কারো সাথে ফোনে দশ মিনিটের বেশি কথা বললেও মুখ-চোখ কঠিন হয়ে যায়। খোঁচা দিয়ে কথা বলাতো আছেই। গায়েও হাত তুলেছে এর মাঝে কয়েকবার। ওর ভদ্র, মার্জিত মুখোশের আড়ালের সন্দেহপ্রবণ, নোংরা, কুতসিৎ চেহারাটা আজকাল খুব প্রকট। এখনও সে প্রাণ-পণে চেষ্টা করে যাচ্ছে নিজেকে সামলে নেবার, মাঝে মাঝেই আগেকার সেই প্রেমময় মানুষটাকে আমি দেখি। কিন্তু সেটা ক্ষণিকের জন্যই। আমাদের সেই আদুরে চড়াই-চড়ুইনির দিনগুলো শকুনে খেয়েছে যেন। আজকাল ওকে ভীষণ ভয় পাই আমি। যতই বলুক না কেন গা ছুঁয়ে "আর হবে না", মনে হয় ও বুঝি আমায় খুন করতে চাইবে আবারো কোন একদিন।

ওর কাছে যাই, কথা বলি, ভালবাসি...কিন্তু মাঝখানে যেন কিসের এক দেয়াল! উত্তাল ভালবাসাবাসি শেষেও মনে হয় কোথায় যেন ফাঁক রয়েই গেল।



******



-'তুমি ভয় পাও আমাকে?'

আমি চুপ!

-'বিশ্বাস করো না?'

এবারেও চুপ আমি! নাক ফুলে উঠছে একটু একটু, চোখে হাল্কা জ্বালা।

-'আমি তোমাকে ভালবাসি।'

-'হু! আমি জানি।' টুপ করে ওর বুকে পানি পড়ে এক ফোঁটা। আমি ধড়মড় করে সরে যেতে চাই। পারি না, শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরে রাখে সে আমাকে। ধরা গলায় বলে, 'কখনো চাইনি এমন কিছু করতে। এত চেষ্টা করি নিজেকে কন্ট্রোল করার, কিন্তু কোত্থেকে যে এই ভয়ংকর রাগ এসে সব উলোট পালোট করে দেয়! ভয় পেয়ো না আমাকে। প্লীজ, ভয় পেয়ো না। আমি ভালবাসি তোমাকে।' ওর সেই অনুনয়ের মধ্যেও আমি যেন কঠিন এক হুমকি শুনতে পাই। ভয় পেয়ো না, নইলে সত্যিই ভয়ংকর হবো! কাতর হয়ে আমার দিকে তাকায় সে, আশ্বস্ত হতে চায়। কিন্তু আমার চোখের অবিশ্বাসের ছায়া তার নজর এড়ায় না। হতাশায় দুমড়ে যায় আরো। নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে সরে যাই আমি, চোখ নামিয়ে নিচু গলায় বলি, 'আমায় একটু সময় দাও। বিশ্বাসটুকু ফিরিয়ে আনতে। আমার যে এখনও ভয় হয় তুমি খুন করবে আমাকে সুযোগ পেলেই!'

আমি ওকে আর বিশ্বাস করি না এটা যেন ওর সহ্য হয় না। তাই কখনো রেগে উঠে, উন্মত্ত হয়ে উঠে আমাকে খুন করবার নেশায়। পালিয়ে বেড়াই তখন আমি। আমাকে তখন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে যেতে হয়। শিশুর মত তাকে ভুলাই যে তার করা ভয়ংকর অপরাধ মনে রাখি নি আমি, দিব্যি কাটি এই বলে যে শুধুমাত্র তাকেই ভালবাসি আমি, আর কেউ নেই। তবু তার বিশ্বাস হতে চায় না। চলতে থাকে কড়া নজরদারি। তাই আমাকেও এখন খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। এতকিছুর পরেও শেষ রক্ষা হল না। একদিন বান্ধবীর সাথে কথা বলছিলাম ফোনে। হঠাৎ দেখি আমার পাশেই ওর হিংস্র মুখ। হাতের তীব্র ঝাপটায় ফোনটা পড়ে গেল, চুল টেনে ধরে সে আমাকে হিচড়ে নিয়ে গেল শোবার ঘরে। ভয়ে-আতংকে তখন বাধা দেয়ার শক্তিটুকুও হারিয়েছি। বিছানায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঝাপিয়ে পড়ল সে, কিছু বুঝে উঠার আগেই গলায় এঁটে বসল তার শক্ত মুঠি। চাপ বাড়ছে, ধীরে ধীরে। সামান্য একটু বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করছি আমি। প্রাণপণে বোঝাতে চাইছি ভুল বুঝেছে সে আমায়। আমি বিশ্বাসঘাতিনী নই। জানি না কখন সে চোখ মেলে চেয়ে দেখেছিল আমার নীল হয়ে যাওয়া মুখ। তার অনেক আগেই জ্ঞান হারিয়েছি আমি।

এ ঘটনার পর সে হতাশায় মুশড়ে পড়ল একেবারে। অফিস আর বাসা, এছাড়া আর কোথাও এখন আর যায় না সে তেমন। বন্ধুদের আড্ডা, গান, মুভি, ফেসবুক, মেয়েদের তোষামোদ কোনকিছুতেই খুব একটা আগ্রহ নেই আর এখন। বড্ড চুপচাপ হয়ে গেছে। কাজের ফাঁকে দেখি গভীর মনযোগে আমাকে লক্ষ করে প্রায়ই, আর কি যেন ভাবে। সময় পেলেই হাত ধরে কাতর স্বরে প্রশ্ন করে, 'তুমি কি এখনও ভয় পাও আমাকে? বিশ্বাস করো না? তোমার এখনও মনে হয় আমি তোমাকে খুন করতে পারি?' বুঝি আমার একটা কথাতেই ওর পৃথিবী আমূল বদলে যাবে, ও আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। তবু আমি চাইলেও পারি না তাকে আশ্বস্ত করতে। তার চোখের দিকে চাইতে। আমার নির্বাক দৃষ্টি মেঝেতে বিদ্ধ হয়।



*******



আমার স্বামী মানসিকভাবে পুরোপুরিই ভেঙে পড়েছে। এখন আর আগের মত রাগ, উন্মত্ততা নেই, সন্দেহও না। সে নিজেও এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে সে চাইলেই পারে আমাকে খুন করতে। তার মধ্যে একজন খুনির বাস, এই চিন্তাটা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। অনেকদিন হল বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন সে। যার মুখে একসময় দেশ-বিদেশ ঘোরার গল্প শুনতাম, তার গুণমুগ্ধ নারীকূলের গল্প শুনতাম, গান, কবিতার গল্প শুনতাম সে এখন আর সেসব নিয়ে ভাবে না। তার খোঁজও তাই রাখে না এখন আর কেউ। যে মানুষটা উন্মাতাল ভালবাসায় ভাসিয়ে নিয়ে যেতো, তার শরীর এখন আর জাগে না। ডাক্তার তাকে কড়া ঘুমের অষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে বেশিরভাগ সময়ে। এখন সে নিতান্তই জড়ভরতে পরিণত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে শরীর, নষ্ট হয়েছে সুন্দর চেহারা।



সে এখন চেনে শুধু আমাকে! শুধুই আমাকে!



ঘুমাচ্ছে সে। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে একতালে বুক উঠানামা করছে। দীর্ঘ ঘুমের পরেও মুখে কী ভীষণ ক্লান্তির ছাপ! ঘুমের ঘোরেই আমার হাত চেপে ধরে আছে তার শক্ত মুঠোয়। শরীরটাই কি আর সব! তারচেয়ে বড় হল দখল, একান্তই নিজের করে পাওয়া। এই যে এখন সে আমাকে ছাড়া আর কিছুই বোঝে না, কাউকেই চেনে না, এই যে এখন তার চারপাশে উড়ে বেড়ানো ফুলপরী আর পাখিরা নেই, আছি শুধুই আমি...সে কি আর এমনি এমনি পাওয়া যেতো! ওকে একান্তই নিজের করে পেতে কিছু ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে, প্রকৃতিই করে দিয়েছে আমার হয়ে সেসব। এছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। আমার ভালবাসায় এতটুকু ভাগাভাগি সইতে পারবো না যে!



ওর কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে উঠে গেলাম ব্যালকনিতে। দিনের আলো নিভে যাবার আগে শেষবারের মত জ্বলে উঠেছে আগুনের শিখার মত। কি অপার্থিব সৌন্দর্য! এত সুন্দর যে দুজন মিলে উপভোগ করতে হয়! বুকে শ্বাস চেপে আগুন জ্বলা আকাশ আমি দেখি, একা...



মন্তব্য ১৩২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর গল্প ভালবাসা আদায় করে নিতে হয়। চমৎকার গল্পে ১ম ভাল লাগা +

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

শুভেচ্ছা।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩০

রাজসোহান বলেছেন: হালায় কি পঙ্গু হয়া গেসে? আসল ভিলেন মাইয়াটা? ফাউল মেয়ে, শরীরের চাহিদা মেটাবে না, হাজবেণ্ডরে পঙ্গু বানায় দেবে। পুরা হিন্দী সিরিয়াল, কুট মাইয়া, এরে আর কেউ বিয়া করত ন :-P

৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তোমার মাথায়তো ওই সিরিয়ালই ঘুরে। কয়টা দেখো সারাদিনে বল দেখি? লিখলাম কি আর বানাইল কি! হায়রে আমার কপাল! /:)

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

রাজসোহান বলেছেন: "তাই তোমার যে রূপ, আর যেসব গুণে মুগ্ধ হয়ে মেয়েরা তোমাতে ঝাঁপ দিতে চাইতো সেসব চিরতরে নষ্ট করে দেয়ার দায়িত্ব আমার হয়ে প্রকৃতিই পালন করেছে। আর সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমাকে কিছু শারীরিক কষ্ট সইতে হয়েছে মানি।"

বদ মাইয়া কি করছে! জামাইরে না খাওয়াই রাইখা জামাইরে শুকনা কাঠি বানাইয়া জামাইয়ের রূপ খায়া লাইসে। জামাইয়ের লাইগা কষ্ট হতিছে :((

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তোমারেই না খাওয়াইয়া রাখা দরকার, যে হারে ফুলতেসো দিন দিন X( X(

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৩৪

মাহবু১৫৪ বলেছেন: দারুণ

+++++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবু।

শুভেচ্ছা।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১১

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: যে নিজে বিশ্বাসঘাতী কোন কাজ করে, তার নিজেরও ঠকবার ভয় বেশি থাকাটা স্বাভাবিক।

সুন্দর গল্প... হাসান ভাইয়ের পরে আপনার গল্প পরে আরাম পেলাম.. ধন্য..

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল তুহিন।

শুভকামনা।

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো হয়েছে।দ্বিতীয় ভালো লাগা

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ তনিমা।

ভাল থাকুন।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্প পড়ে একটা জিনিস নতুন করে জানলাম, সন্দেহ নামক যে ব্যধি কুড়ে কুড়ে খায় আমাদের সম্পর্ক, বিশ্বাস আর ভালবাসার বাঁধন- আত্মবিশ্বাস এর নিম্মগামিতাই এর কারণ ।

মুগ্ধপাঠ!

চমৎকার গল্পে ভাললাগা ++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: খুব সত্যি একটি কথা বলেছেন মামুন রশিদ। আত্মবিশ্বাসের অভাবই হারানোর ভয়ের অন্যতম বড় কারণ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ফেবু থেকে আসলাম।

শেষ প্যারাটা বাদে গল্প খুব ভাল হয়েছে। মানসিক পরিবর্তনগুলো খুব চমৎকার ভাবে দেখিয়েছ। তোমার যতগুলো গল্প পড়েছি আমি, এই গল্পে সেসব ব্যবচ্ছেদ মাত্রা ছাড়িয়েছে।

সে কারণেই বোধহয় গল্পে একটু হামা গন্ধ আছে।


০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ফেবু থেকে এসেছো জেনে কৃতজ্ঞ বোধ করছি। তোমাদেরতো আজকাল দেখাই যায় না।

শেষ প্যারাটা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করছিল, কিছুটা এডিট করেছি। সময় পেলে আরেকবার পড়ে দেখো।

হামা গন্ধটা বাদ দিয়ে লেখার চেষ্টা করি। আমি একজন স্বতন্ত্র মানুষ, আমার লেখার স্টাইলটাও স্বতন্ত্র হওয়া উচিৎ। গত দুই বছরে লেখা আমার যে গল্পগুলো তোমার চোখ এড়িয়েছে সেগুলো পড়লে হয়তো এটাতে তুমি সমুদ্র কন্যাকেই দেখতে।

সরাসরি মতামত জানিয়েছো বলে অনেক অনেক থ্যাংকস।

ভাল থেকো।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

এক্সপেরিয়া বলেছেন: সন্দেহ জিনিসটা সব অনুভুতি নষ্ট করে দেয়....

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সন্দেহ কালো এক ব্যাধি...

ধন্যবাদ এক্সপেরিয়া।

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

না পারভীন বলেছেন: এক কথায় দারুণ । আর কিছু বলার ভাষা নেই ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নার্গিস আপা।

ভাল থাকুন।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বেশ ভাল লাগলো।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

কয়েস সামী বলেছেন: খুব ভাল লাগল। পাঠক ধরে রাথার মতো করে বলা। গ্রেট!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কয়েস সামী।

শুভেচ্ছা।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: একটি চমৎকার গল্প পড়লাম আজ। অসাধারণ!

“ওর ভালবাসার পরীক্ষা নিতে যেয়ে বিশ্বাসটাই হারালাম?”

“ওর কাছে যাই, কথা বলি, ভালবাসি...কিন্তু মাঝখানে যেন কিসের এক দেয়াল! উত্তাল ভালবাসাবাসি শেষেও মনে হয় কোথায় যেন ফাঁক রয়েই গেল।”


-আচ্ছা এগুলো কি ভালোবাসার অনুষঙ্গ, সন্দেহ করা অথবা পরীক্ষা করা?

যদি হয় তবে, এগুলোর যত্রযত্র ব্যবহার না করাই কি উত্তম নয়? কী প্রয়োজন ভালোবাসায় বিষ মিশিয়ে?

গল্পকারের প্রতি শুভেচ্ছা রইলো :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সন্দেহ বা ভালবাসার পরীক্ষা করা ভালবাসার অনুষঙ্গই বটে, স্বাভাবিকভাবে হলে সেটা বেশ মধুরও। তবে সমস্যা হয় যদি তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তাহলেই। সন্দেহ এক ভয়াল কালো ব্যাধির মত, সম্পর্ককে তা বিষাক্তই করে শুধু। সুতরাং সেটা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

অনেক ধন্যবাদ মইনুল।

ভাল থাকুন।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরে প্লাস বাটন কাজ করে দেখি!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আরে কি আচানক! #:-S

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

একজন আরমান বলেছেন:

দুর্দান্ত।

মেয়েদের মন বোঝা বড় কঠিন।


কাউকে কখনো খুব বেশি ভালবাসবো না, তাহলে নিজের ভেতরের পশুত্ব জেগে উঠতে পারে ভালোবাসা দখলের তাগিদে !

প্রিয়তে রেখে দিলাম। :)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাহা ভাল কি আর দাঁড়িপাল্লায় মেপে বাসা যায় আরমান! ভালবাসা হয়ে যায়। ভয় কি সবার নিশ্চয়ই এমন হবে না।

ধন্যবাদ অনেক।

শুভেচ্ছা।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: বেশ ভাল লাগল। তীব্র ভালবাসা, হারিয়ে যাওয়ার ভয়, খুন করতে চাওয়ার ইচ্ছা সব মিলিয়ে থ্রিলিং। থ্রিলটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন।


বিশেষ করে এই লাইনটা ভাল লেগেছে
আমার ভালবাসায় এতটুকু ভাগাভাগি সইতে পারবো না যে!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভালবাসার ভাগাভাগি কেই-বা সইতে পারে বলেন!

ধন্যবাদ আহসান।

শুভকামনা।

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে লেখাটা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন।

ভাল থাকুন।

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২২

মাক্স বলেছেন: প্লাস বাটন কি কাজ করা ছেড়েই দিসে?
গল্প ভালো লেগেছে!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্লাস বাটন! সামুর অবস্থা বড়ই করুণরে ভাই! :(

ধন্যবাদ।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

এম ই জাভেদ বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। আমার বিয়ের পরের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল কেন যেন। আমি অনেকটা আলু - পটল টাইপের বিধায় সকলের সাথে মিশে যেতাম। এ কারনে আমার বন্ধু - বান্ধবীদের তালিকা অনেক লম্বা ছিল , এখন সে সবই স্মৃতি.....পুরুষ মানুষ দুই রকম - জীবিত আর বিবাহিত !!!!!!!!

গল্পে +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঠিক একই ব্যাপার মুদ্রার উল্টোপিঠের মত মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঘটে কিন্তু! এবং দুটো ব্যাপারই অত্যন্ত দুঃখজনক।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ জাভেদ।

শুভেচ্ছা।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

শ্যামল জাহির বলেছেন: চমৎকার!
:)
স্টার!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্যামল।

শুভদুপুর।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে অনেক ভালোলাগা আর প্রিয়তে রেখে দিলাম , আরো কয়েকবার পড়তে হবে ! এই যে টানপোড়ন গুলো কোন না কোনভাবে আমাদের প্রতিনিয়ত মুখোমুখী হতে হয় !

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: টানাপোড়েনগুলো থেকে বেরিয়ে আসুন এই কামনা করি।

ধন্যবাদ অভি।

শুভেচ্ছা।

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১১

টুম্পা মনি বলেছেন: বহুদিন পর একটা গল্প অনেক মনোযোগ দিয়ে দাঁড়ি কমা, সেমিকলন সব সহ পড়লাম। এত মনোযোগ সাধারণত আমার খুব কম লেখায় বসে। এ ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অবশ্যই লেখিকার। গল্পটা পড়ছিলাম আর মনে মনে দোয়া করছিলাম প্রভু আমার ভাগ্যে এমন পচা জামাই দিয়ো না, সুন্দরের দরকার নাই, তবুও যেন উদার মানসিকতার হয়। এমন সন্দেহপ্রবণ ,হীনচিন্তার যেন না হয়।

গল্পে অনেক ভালো ভালো। অজস্র শুভকামনা সমুদ্রকন্যা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার প্রার্থণা পূরণ হোক টুম্পা, সেইসাথে কামনা রইল আপনি নিজেও যেন এই মেয়েটির মত সন্দেহপ্রবণ না হোন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা।

২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: ভালো লেগেছে +++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ পেন্সিল স্কেচ।

২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:

প্রত্যেকটা মেয়েই হোল বোকার হদ্দ। এই লেখা সেইটা আবারও প্রকাশ করলো। X(( X(( X(( X(( X((

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মেয়েগুলো বোকার হদ্দই বটে। তবে ছেলেরাও কম নয় আপু। varies from person to person. :)

২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: প্রেম- সাথে কাম, সাথে ঈর্ষা, সাথে সন্দেহ,সাথে আশংকা, সাথে খুনে ভালোবাসা, সাথে স্বত্বার মালিকানা অধিকার- চমৎকার লাগলো আপু!
কবিতার অনেক যাতনা আছে!

শুধু শেষটা নিয়ে একটু কেমন অতৃপ্তি! সেইটাও আসলে এসেছে অতৃপ্তির ঘাটতি থেকেই। লেখিকার ভালোবাসায় তার স্বামী তার তাজ, তার মুকুট, তার সাম্রাজ্যের ময়ূরসিংহাসন। তার ঔজ্জ্বল্যেই তার গৌরব। অনেক গুলো রত্ন খসিয়েই তার মালিকানা নিশ্চিতের যে বোধ, যে সন্তুষ্টি, তার মধ্যের মুদ্রার উল্টো পাশের বেদনার একটু ছোঁয়া থাকলে বেশী ভালো লাগতো।

তবে এটাই শেষ বা খুব গুরুত্বপূর্ন কোনো কথ নয়। আমার গল্পটা খুব ভালো লাগলো!


অঃটঃ আপনার প্রিয় পোস্ট তালিকায় সিংহভাগ পোস্ট হামা ভাইয়ের হওয়ায় প্রথমে একটু কেমন যেন খটকা লাগলো, কেন? হামা ভাই খুব ভালো লেখেন ঠিক, আর কি কেউ ভালো লেখেনা? অতঃপর আমি আপনাদের শুভ পরিণয়ের পোস্টে হাজির হয়ে রহস্য উদ্ঘাটন করিতে পারিলাম! !:#P !:#P !:#P !:#P

বিষয়টা এরকম যে আমি দুইজনকে আলাদাভাবে চিনি, কিন্তু তারা যে একে অন্যের হয়ে আছে তা জানলাম হুট করে! আমার খুব ভালো লেগেছে ! অভিনন্দন আপনাদের!

অফ টপিকের অফ টপিকঃ আপনাদের নীড়ে আমার একদিন দাওয়াত থাকলো, কেমন?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা রইল ইফতি। শেষটুকু নিয়ে হালকা কাজ করেছি, পুরো গল্পেই কিছুটা পরিবর্তন, পরিবর্ধন হয়েছে। আরেকবার পড়ে দেখবেন নাকি কেমন হল? :)

অঃটঃ মাঝে অনেকদিন ব্লগে একেবারেই অনুপস্থিত ছিলাম আমি। এ কারণেই দেখা যাচ্ছে নতুনদের অনেকেই জানে না আমাদের ব্যাপারটা। হুট করে জানতে পেরে সবাই খুব সারপ্রাইজড হয়ে যায়। আপনাকেও সারপ্রাইজড করতে পেরে মজা পেলাম খুব :)
আর প্রিয় পোস্টের ব্যাপারে কিছুটা স্বজনপ্রীতি কাজতো করেই, কিছুটা একান্ত অনুভূতিও আছে সেই সাথে।

অফ টপিকের অফ টপিকঃ দাওয়াত কবুল করা হল। চলে আসবেন যেকোন দিন :)

২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: বাহ বেশ চমৎকার। সামুতে অপর্ণা মম্ময় ছাড়া এই প্রথম একজন লেখিকার দেখা পেলাম যার লেখার প্রশংসা আন্তরিকভাবেই করা যায়। মেয়েরা তো লুতুপুতু প্রেমকাহিনী সাথে লুতুপুতু ডায়লোগ ছাড়া কোনো গল্প লিখতেই পারে না। এবং তাতেই আমরা সব ছেলে ব্লগাররা প্রশংসার প্লাবন ঘটিয়ে ফেলি। এটা অবশ্য আমাদের ছেলেদের একটি প্রশংসনীয় গুণ – যাকে উদারতা কিংবা মহত্ত্ব বলা যায়। আর ছেলেদের এই উদারতা মেয়ে গল্পকারদেরকে নিজেদের সম্পর্কে ভুল ধারণা যোগায়। একেকজন মনে মনে মহিলা হুমায়ুন হয়ে যান।

আপনার শেষ অনুচ্ছেদটি ভাল লাগে নি। ভরাযৌবনা একটি তরুণী যার কোনো বাচ্চাকাচ্চাও নেই সে যৌনশক্তিহীন অথর্ব স্বামীর সাথে পড়ে থাকবে এটা কোনো পরিণত চিন্তা নয়। যুক্তিহীন। পুরো গল্পের সাথে শেষ অনুচ্ছেদটা আসলে যায় না। শুরু থেকে লেখার যে গতি, যে সাবলীলতা ছিল শেষে এসে তা থমকে গিয়েছে। লুতুপুতু মার্কা ডায়লোগ। এবং বলতে একটু খারাপ লাগলেও বলছি, যেহেতু আপনি আসলেই খুব ভাল লিখতে পারবেন সে জন্যই এই সমালোচনাটুকু করছিঃ সেটা হল শেষ অনুচ্ছেদে এসে আপনি প্রমাণ করেছেন যে, আপনি একজন মহিলা গল্পকার।


আপনি যে আমার প্রিয় হামা ভাইয়ের, এটা জানতাম না। উপরের মন্তব্য থেকে জানলাম। জেনে ভাল লাগছে। আমিও দাওয়াত চাই।

ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মেয়েদের লুতুপুতু গল্পে প্রশংসার প্লাবণ ঘটানোকে আমি উদারতা বলবো না, ব্লগের ভাষায় লুলামি বলা যেতে পারে। আপনারা যারা সত্যিকারের বোদ্ধা, লেখালেখির ব্যাপারে সিরিয়াস তাদের এমন না করাই উচিৎ। এ ধরনের লেখার একটা কারণ হতে পারে এমন যে আমরা যারা ব্লগে আসার আগে কখনো কিছুই লিখি নি, লেখালেখি নিয়ে ভাবি নি তাদের জন্য প্রেমের গল্প লেখাটা সবচেয়ে সহজ। আর প্রশংসা যেহেতু পাওয়াই যাচ্ছে তাই সবাই এই সহজ পথটাই বেছে নেয়। আমার শুরুর লেখাগুলোও তাই ছিল। গল্পের বিষয় বা উপস্থাপণের ভিন্নতা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছি দুই বছর হল। তারমধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় বিশাল এক গ্যাপও পড়ে গেছে।

এ গল্পের ব্যাপারে, তরুণীটির এই মানসিকতাটা নিয়ে এমনতর ভাবনা থেকেই গল্পটির উৎপত্তি। সে তার স্বামীকে একান্তভাবে পেতে এতটাই উদগ্রীব ছিল যে অন্য কিছু তাকে খুব একটা ভাবায়নি। ভালবাসা যখন অন্ধ হয়ে যায় তখন এমনটাই হয় বোধ করি। গল্পকারের জেন্ডার বিভেদটা ভাল লাগল না, তবে এটুকু বলতে পারি নিজে মেয়ে বলেই হয়তো একজন মেয়ে যে সত্যিই এমনটা ভাবতে পারে তা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি।

শেষটুকু নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ পেলাম। যা বলতে চাইছি তা হয়তো ফুটে উঠেনি ঠিকভাবে। তাই গল্পের উপরে বেশ কিছু ছুরি-কাঁচি চালালাম। আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ অলওয়েজ ড্রিম। সরাসরি কথা ব্লগে খুব কম মানুষই বলে। আপনি বললেন দেখে খুব ভাল লাগল।

দাওয়াত রইল আপনারও।

ভাল থাকুন।

২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

সায়েম মুন বলেছেন: সবাই তো বলেই দিয়েছে আমি আর কি বলবো! এক কথায় সুন্দর লিখেছেন। পরিবর্তনের ব্যবচ্ছেদগুলো একদম পরিপাটি করে গোছানো। শেষ পর্যন্ত গোছালো গল্প।

হাসিমুখে ছুড়ে দেয়া সেইসব হিংসার তীরে ছ্যাঁকা লাগছিল গায়ে ভীষণ। ---তীরে তো বিদ্ধ হওয়ার কথা। ছ্যাঁকা লাগলো কেন। :P

আমার সন্তাপ গল্পে এরকম কিছুটা আবহ আছে। #:-S

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই গল্প লিখবো বলে মেয়েকে দাদা-দাদীর সাথে বিয়ে খেতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। পরিপাটি করে না গোছানো হলে চলে! :P

এগুলো হল আগুনের তীর, তাই ছ্যাঁকা লাগছে। :#)

ধন্যবাদ মুন। শুভেচ্ছা।

২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

অনাহূত বলেছেন: চমৎকার আপু,
চমৎকার। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অর্ণব।

২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০০

হারানো মন বলেছেন: অসাধারণ গল্প।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ হারানো মন।

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

এই সন্দেহের জন্য জীবনে অনেক মূল্য আমাদের দিতে হয়।

লেখা ও গল্প অসাধারন। +++ রইল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।

ভাল থাকুন।

৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা পাইছি

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধইন্যা।

৩২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২০

আরজু পনি বলেছেন:

:|

আমারো ভালবাসার মানুষটিকে মাঝে মাঝে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করে !

তার দিকে কেউ গলে গলে পড়ে যাবে না ! এতো আদিক্ষেতা মেয়েরা দেখাতে পারে !
কৈ আমিতো কোন পুরুষ বন্ধুর দিকে অমন গলে গলে পড়ে যাই না :-0

:P

দারুণ লাগলো গো কন্যা ।

গল্পে কাউকে যেন দেখলাম, খুন করে ফেলতে চায় আমাকে ! :|

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এইরকম সবাই-ই মনে হয় কখনো না কখনো ভাবে। তবে...ভাবনাটা ওই পর্যন্ত থাকাই ভাল মনে হয় :| :P

ধন্যবাদ আপু।

শুভেচ্ছা।

৩৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালোবাসা আর সন্দেহের যৌথ বাস দারুন ভাবে বলে গেলেন।
আপনার লেখা ভালো লাগে, প্রথম থেকেই গল্পে যেতে পারি।
গল্প বলার ভঙ্গিটা ভীষণ ভালো লাগে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়।

ভাল থাকা হোক সবসময়।

৩৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: পড়তে পড়তে একটা ঘোরে চলে গেছিলাম কেমন যেন!! অসাধারণ লাগলো তিথি!! দারুণ!!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনিয়া।

ভাল থেকো।

৩৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

অদৃশ্য বলেছেন:





সাইকো ড্রামা...সাইকো থ্রিলার...সাইকো রমান্টিক...

অতিরিক্ত প্রেম ভালোবাসা মানুষকে সাইকো করে ফেলে... অতিরিক্ত সন্দেহ মানুষকে সাইকো করে ফেলে... অতিরিক্ত অবসাদ, হতাশা, আবেগ সবই...

গল্পটা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে... আমার খুবই ভালো লেগেছে...

গতকালকেই লিখাটি পড়েছিলাম... নেটের বাজে অবস্থার জন্য মন্তব্য করা হয়নি...

শুভকামনা...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অতিরিক্ত সবকিছু থেকেই দূরে থাকি যেন। এমনতর সাইকো হওয়া সুখের কিছু নয়, নিজের জন্য বা অন্যের জন্য।

অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য।

শুভকামনা রইল।

৩৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর বেশ সুন্দর গল্প। মজা লাগল।
প্লাস দিলাম ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মজা লাগল! :||

ধন্যবাদ সুজন।

৩৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো লাগলো!!!!!!!!!


++++++++++

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষণ!

৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ!

অনুসরণে নিলাম আপনাকে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর।

শুভেচ্ছা।

৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: খুবই সুন্দর লিখেছেন! অষ্টম ভালো লাগা!!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ দিকভ্রান্ত পথিক।

ভাল থাকুন।

৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৭

ইলুসন বলেছেন: ভালো লাগল। আগে ফেসবুক ছিল না, মোবাইল ছিল না প্রেম করার অত উপকরণ ছিল না, তবুও মানুষ প্রেম করত, একটা বিশ্বাস কাজ করত। এখন প্রেম করাটা অনেক সহজ, দূরে থেকেও অনেক কাছে থাকা যায়। কিছুটা এক ঘেয়েমিও চলে আসে, নতুন কিছু জানার জন্য মানুষের আকাঙ্ক্ষা চিরকালের। এভাবেই হয়ত একসময় যাকে খুব ভাল লাগত তাকে অতি সাধারণ মনে হয়। আসলে চারপাশে এখন এত কিছু হয়, খারাপ হয়ে যাওয়া খুব সহজ, ভাল থাকাটাই কঠিন। যারা খুব বেশি ভালবাসে কাউকে, তারা তাকে সবার থেকে আলাদা করে রাখতে চায়। প্রিয় মানুষকে শুধু নিজের করে আপন করে পেতে গিয়ে অনেক সময় তার গলার ফাঁস হয়ে যেতে হয় নিজেকেই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ফেসবুক, মোবাইলের যুগের আগেও মানুষ প্রেম করতো বটে! সে প্রেমের গভীরতা, ব্যাপ্তি, বিশুদ্ধতা এখনকার চেয়ে বোধহয় বেশিই ছিল। কি জানি!

ধন্যবাদ ইলুসন।

ভাল থাকুন সবসময়।

৪১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

ভিয়েনাস বলেছেন: অনেক শক্ত গাথুনীর একটা গল্প পড়লাম। সন্দেহ মানুষকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। যারা এই সন্দেহ বাতিক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনা তাদের পরিনতি কখনও শুভ হয় না।

গল্পে অনেক ভালো লাগা সমুদ্র কন্যা :)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম ভিয়েনাস।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা।

৪২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মেয়েদের লুতুপুতু গল্পে প্রশংসার প্লাবণ ঘটানোকে আমি উদারতা বলবো না, ব্লগের ভাষায় লুলামি বলা যেতে পারে। আপনারা যারা সত্যিকারের বোদ্ধা, লেখালেখির ব্যাপারে সিরিয়াস তাদের এমন না করাই উচিৎ।

আপনি এখানে একটা কঠিন সত্য কথা বলেছেন। যেটা আমি সরাসরি বলতে চাই নি।

আমি নিজে ব্লগার হিসাবে খুবই নবীন। বছর খানেক আগে সদস্য হলেও নিয়মিত ব্লগিং করছি দু-তিন মাস হল। এই ব্লগের অনেক কিছুই আমার পছন্দ নয়, আবার অনেক কিছুই বেশ পছন্দ। অপছন্দের মধ্যে শীর্ষ কাতারে আছে সৌজন্যের প্লাসের ছড়াছড়ি। চরম মানহীন যে কোনো লেখারও উদার প্রশংসা।
এতে যা হয় ব্লগারগণ নিজের লেখার মান সম্পর্কে ভুল ধারণা পেতে থাকে। অথচ কারও লেখার সম্পর্কে গঠনমূলক সমালোচনা করলে সে নিজের লেখার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করার সুযোগ পায়।

আমি নিজে ভুলেও কারও ভুল প্রশংসা করি না। এমন অনেক পোস্টে আমি মন্তব্য করেছি যেখানে একমাত্র আমিই প্রশংসা করি নি বরং সমালোচনা করেছি। তবে কখনোই এমনভাবে প্রশংসা করি নি যাতে ব্লগার নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েন। আমি সমালোচনা করলে সাধারণত তার ইতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরি যাতে সে আমার মন্তব্যের মধ্যে ভালোলাগারও কিছু খুঁজে পায়। আমি এটা মাথায় রাখি যে সবাইই তো প্রায় নবীন সুতরাং ভুলভ্রান্তি তো থাকতেই পারে।


আমার অন্যতম প্রিয় গল্পকার হামা ভাই। কিন্তু কিছু দিন আগে তার কোনো এক গল্পে আমি বলেছিলাম যে, আমার ততটা ভাল লাগে নি।
আমি এমনই। অন্তত ব্লগিংয়ের ব্যাপারে আমি সৎ থাকতে চাই।

শেষের অনুচ্ছেদটা আবার পড়ে দেখলাম। আপনি নিজেই এবার আগেরটার সাথে তুলনা করে নিন। নিঃসন্দেহে এবার নিজের পিঠ নিজেরই চাপড়ে দিতে ইচ্ছা করবে। সাথে সমালোচকদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও কাজ করবে আশা করি।

ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনার সৎ থাকবার মানসিকতা দেখে ভাল লাগল।

সমালোচকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা অস্বীকার করবার উপায় নেই। অন্তত কেউ একজনও যদি শুরু না করতো, যদি না বলতো গল্প মানেই প্রেম নয়, লুতুপুতু ডায়লগ নয়। অনেক ছোট ছোট অনুভূতি, জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনা, আনন্দ-বেদনা নিয়েও গল্প হতে পারে তাহলে হয়তো লেখালেখি নিয়ে আমার অন্যভাবে চিন্তা করাই হতো না। অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

ভাল থাকুন অলওয়েজ ড্রিম।

৪৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: খুব দারুন!! রোমান্চকর গল্প!! শেষ পর্যন্ত মনযোগ ধরে রেখেছে!! এন্ডিংটা ভালোলেগেছে!! :) :)

** দেয়া জায়গায় প্যারা করলে পড়তে একটু কষ্ট কম হত!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বটবৃক্ষ।

* দেয়া জায়গাগুলোতে প্যারা করে স্পেস দেয়াই ছিল, দ্বিতীয়বার এডিটিং এর সময় প্যারাগুলো ভেঙ্গে গেছে। ঠিক করে দিলাম আবার। বলে দেয়ার জন্য অনেক থ্যাংকস।

ভাল থেকো।

৪৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩০

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: বুকে শ্বাস চেপে আগুন জ্বলা আকাশ আমি দেখি, একা...


ভালো হয়েছে এবার।

আর হামা গন্ধ বলতে আমি এটা বুঝাই নাই যে ,তুমি হামা ভাইয়ের অনুকরণ করছো।

ব্যবচ্ছেদ টা হামা'দার মত সফল হয়েছে, এটা বুঝিয়েছি। হামা ভাই এইসব অনেক আগ থেকে গল্পে প্রয়োগ করছেন তাই এভাবে বলেছি।

ওনেকদিন পর তোমার গল্প পড়লাম। বলতেই হবে, তোমার স্টাইল দাঁড়িয়ে গেছে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম।

থ্যাংকস :)

৪৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

বোকামন বলেছেন:
গল্পের প্লট অ সা ধা র ণ !
শেষটা দুর্দান্ত !

শুভকামনা জানবেন লেখক।।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বোকামন।

ভাল থাকবেন।

৪৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

শীলা শিপা বলেছেন: গল্পে ভালোলাগা থাকল। খুব সুন্দর হয়েছে।

সন্দেহ জিনিষটা খুব খারাপ!!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শীলা শিপা।

শুভকামনা।

৪৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি চমৎকার লেখা!! দাম্পত্য সন্দেহ টানাপড়নের কি চমৎকার প্রকাশ গল্পে! সত্যি চমকৃত হলাম।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত।

শুভেচ্ছা।

৪৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার গল্প।ভালো লাগলো।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তুষার কাব্য।

ভাল থাকুন।

৪৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

অনির্বাণ প্রহর বলেছেন: অনেক পরিণত একটা গল্প পড়লাম, প্লটটা অনেক বেশী ভাল লাগলো!
গল্পের শাখা প্রশাখা গুলো অনেক স্ট্রং তাই কোথাও ছুটে যায়নি।
মুগ্ধতা রেখে গেলাম আপু।
শুভ কামনা অনেক।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার মুগ্ধতা পেয়ে অনেক ভাল লাগল অনির্বাণ। ধন্যবাদ জানবেন।

শুভেচ্ছা।

৫০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৭

সোমহেপি বলেছেন: এসব কুট চিন্তার গল্প নিয়ে চিন্তা করতে পারি না।মানসিক দুর্দশাগ্রস্ত স্বামীরা এমনই হয় বোধয়।আত্ববিশ্বাস কিংবা নিজের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে এমন হতে পারে।যে চলে যাবার তারে ধরে রাখা যাবে না।যে যেতে চাইবে না তাকে তাড়ালেও যাবে না।তবে সুন্দরী মেয়েদের সংসারে এমন হতে দেখেছি।আমার এক ছোট বোন পাগলের মত ভালবেসে এক কাউয়ারে বিয়ে করেছে।ছেলেটার বাড়ি বরুড়া।এখন তার স্বামীকে সারাক্ষণই সংদেহ করে।এসব ই নিজের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতার লক্ষণ।

জীবনের অনেক রূপ।তেমনি একই মানুষেরও শুধু কোন একটি রূপ দেখে ভালো কিংবা মন্দ সিদ্ধান্তে আসা উচিত না।মানুষ যেহেতু প্রাণী তাই তার পশুত্ব থাকবে না তা হবার নয়।হয়ত বুদ্ধিতে আমাদের চেয়ে যারা নিম্নে অবস্থান করে তাদেরকে ছোট করে দেখার দৃষ্টি থেকেই মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীগুলোকে আমরা পশুই বলি।আসলে মানুষ কি পশু হিসাবে কম বড়?



সোহানের অত লাগে ক্যান তার চরিত্রটা কি গল্পের সাইকো'র মত নাকি?

গল্পে অনেক ভালো লাগা।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নিজের প্রতি শ্রদ্ধা আর বিশ্বাস না থাকলে অন্যকে বিশ্বাস করাটাও কঠিন। বিশ্বাস যেকোন একটা সম্পর্কের মূল ভিত্তি। বিশ্বাস না থাকলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব, আর টিকে গেলেও তাতে এই ধরনের নানা জটিলতা সৃষ্টি হবেই। ভালবাসা হোক বিশ্বাসে, শ্রদ্ধায়, মায়া আর নির্ভরতায়......

**ইয়ে মানে বরুড়ার মানুষ কিন্তু অতটা খারাপ না আসলে :|

ধন্যবাদ সোমহেপি।

শুভকামনা রইল।

৫১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৯

সোমহেপি বলেছেন: এখন তার স্বামীকে সারাক্ষণই সংদেহ করে।এসব ই নিজের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতার লক্ষণ
স্বামী তাকে ' হবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।

৫২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

রাজসোহান বলেছেন: Why So Serious Men&Women ! :|| :|

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হরে ভাই, সবাই-ই সিরিয়াস। কি কান্ড!

৫৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: আমার তো বিয়ে করার ইচ্ছেই উবে গেলো ! তীক্ষ্ণ ভালো লাগা ! :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাহা ভয়ের কিছু নাই আদনান। বিয়েটা খুব খারাপ কিছু না আসলে :)

ধন্যবাদ অনেক।

৫৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পটা লুতুপুতু গল্প হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল অনেক যায়গায়। কিত্নু কাহিনীতে একটা ডার্কনেস বজায় রাখার মাধ্যমে আপনি সেটা এড়িয়ে যেতে পেরেছেন ভালভাবেই :)
স্বামীর সন্দেহবাতিক যেটা দেখিয়েছেন বর্তমান সমাজে তা অপ্রতুল নয়। সবার ব্যাক্তিগত কিছু সিক্রেট থাকে যা অন্যদের না জানাই ভাল। কম্প্রমাইজেশনটাই আসল ব্যাপার, এটা না থাকলে তো সংসারে টিকে থাকা সম্ভব নয়। গল্পের শেষটা বিষণ্ণ করে দিল, একটা হ্যাপি এন্ডিং দিলে ভাল লাগত। হাজার সমস্যার মাঝেও আমাদের জীবনের স্বপ্নটুকু তো বেঁচে থাকেই!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: লুতুপুতু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল! হ্যাঁ শুরুটা আমি ইচ্ছে করেই সেইভাবে করেছি পাঠককে কনফিউজ করার জন্য। কিন্তু লুতুপুতু কোন থিম এটা ছিল না মোটেই। কি জানি কেন তোমার তেমন মনে হল!

হ্যাপি এন্ডিং বাস্তবে হয় না আসলে, সেসব সিনেমাতেই দেখা যায় কিংবা মানুষের কল্পনায়। এখানে হ্যাপি এন্ডিং দিলে আরোপিত মনে হতো না?

ধন্যবাদ নাজিম।

শুভেচ্ছা।

৫৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: শেষ পর্যন্ত তোমার স্বামীর :P জন্য মায়াই হৈলো পইড়া হাহাহা...

জোকস অ্যাপার্ট... লেখা ভালো হয়েছে কিন্তু এই জাতীয় কাহিনীতে অনেক বেশি টেনশন ক্রিয়েট করা সম্ভব বলেই আমার মনে হয়। যেখানে বারবার একজন মানুষ সন্দেহের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে খুন করতে উদ্যত হচ্ছে, অর্থাৎ যেখানে বারবার খুনোখুনি জাতীয় দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে সেখানে কিন্তু লেখার Pause বাড়িয়ে/কমিয়ে, ডায়ালগের মাত্রা বদলে, বিভিন্ন অনুষঙ্গ যোগ-বিয়োগ করে পুরো ব্যাপারটাকে আরও অনেক Intense করা যায়। তোমার এই গল্পে সেটা আরও বেশি করে করা যেতো কারণ মূল কাহিনীটাই খুব ইনটেন্স (বোঝাতে পেরেছি আশা করি)। একজন লেখক হিসেবে এটাই হবে তোমার স্বাধীনতা এবং সার্থকতা- যদি এই ইনটেন্সিটি টুকু তুমি সফলভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারো।

আর ফিনিশিং অবশ্যই ভালো হয়েছে। তার জন্য রইলো এক টুকরো ফুলেল অভিনন্দন। :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আহারে আমার স্বামী বেচারা :P

এই জাতীয় কাহিনী নিয়ে আমি কাজ করি নি আগে, আর এভাবে ভেবেও ঠিক অভ্যস্ত নই। হুট করে মাথায় চলে এসেছিল বলেই ঝেড়ে নামিয়েছি, বহুদিন পরে, বহু কষ্টে। সুতরাং আমার পক্ষে এটাকে খুব একটা ইনটেন্স করা সম্ভব হয় নি এটাই স্বাভাবিক। লেখক হিসেবে আমার সার্থকতা আসতে বহু বহু পথ পাড়ি দেয়া বাকি হে বন্ধু...

ফুলেল শুভেচ্ছাটুকু সাদরে গৃহীত হল। থ্যাংকস এ্যা লট :)

৫৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: বারবার দেখেও আমার আঁশ মেটে না...

এই লাইনটা পড়ে বেশ মজা লাগলো। এই 'আঁশ' মানে তো মাছের আঁশ। ভালোবেসে যেটা মেটে না সেটা হলো 'আশ' (চন্দ্রবিন্দু হবে না)। আশা শব্দটা থেকে আশ শব্দের উৎপত্তি, অর্থাৎ ভালোবেসেও আশা/সাধ না মেটার অনুভূতি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হে হে মানুষ মাত্রই মরণশীল আর কি :P
কি ভয়ানক ভুল! লজ্জা লজ্জা :#> :-&

৫৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

রেজোওয়ানা বলেছেন: ইশরে, জামাই-বউ মিলে শুরু খুনোখুনি মারামারি শুরু করছে!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হে হে কেহ কারে নাহি ছাড়ে
সমানে সমান B-)) B-))

৫৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২২

বৃতি বলেছেন: ভয়ংকর ধরণের সুন্দর গল্প । +++

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।

শুভেচ্ছা।

৫৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
সম্ভাবতঃ আপনার লেখা গল্প প্রথম পড়লাম এবং মুগ্ধ হলাম!!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্রথম এসেছেন, স্বাগতম সোনালী ডানার চিল।

শুভেচ্ছা রইল।

৬০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

নেক্সাস বলেছেন: এবার কিন্তু সমুদ্র আর হামার মধ্যে প্রতিযোগিতা লাগিয়ে দেব গল্প লিখার। খুব সুন্দর লিখেছেন আপা। কি বলব হামা কা সমুদ্র না সমুদ্র কা হামা।

অনেক ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম প্রিয় ব্লগার

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হাহা ভাল বলেছেন নেক্সাস ভাই। সমুদ্র কা হামা B-)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা।

৬১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

শুঁটকি মাছ বলেছেন: আমাদের সেই আদুরে চড়াই-চড়ুইনির দিনগুলো শকুনে খেয়েছে যেন। আজকাল ওকে ভীষণ ভয় পাই আমি। যতই বলুক না কেন গা ছুঁয়ে "আর হবে না", মনে হয় ও বুঝি আমায় খুন করতে চাইবে আবারো কোন একদিন।
অসাধারণ লিখেছেন আপু!!!!!!!!শুভকামনা!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অঁনেক ধঁন্যবাদ শুঁটকি মাঁছ।

ভাঁল থেঁকো। (নাঁক চেঁপে বঁলছি :P )

৬২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: কি অদ্ভুত আমাদের মন , ভালোবাসা! !! খুব চেনা কোন জীবনের প্রতিচ্ছবি গল্পে পেলাম । মানুষ কেন ভালোবাসায় দখল শব্দটা খুজেঁ ফেরে আমি জানিনা , আমার ত মনে হয় ভালোবাসা উন্মুক্ত হউয়ার কথা যাতে এক অদৃশ্য মায়া থাকবে পাখি যতই উরতে চেস্টা করুক বাবুইএর ঝুলে থাকা ভালোবাসার টানে ফিরতে হবেই কিনবা ভালোবাসার নিয়ন আলো ছাড়া অন্য সব আলো চোখে সইবে না । হাজার রঙ্ আলোকিত পৃথিবী অন্ধকার দেখবে ।


গল্প ভালো লেগেছে । সবাই শেষ দিকটা তে অবজেকশান দিয়েছে দেখলাম । কিন্তু আমার শুরুর চাইতে শেষ দিকটাই বেশি ভালো লেগেছে! ! :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেলী।


শেষটা প্রথমে অন্যরকম ছিল, পরে এডিট করে নিয়েছি। প্রথমবারেরটাতেই সবার অবজেকশন ছিল :)

৬৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

আউলা বলেছেন: ভাল লাগলো! :) লেখা চলুক অসাধারণ:)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আউলা।


শুভেচ্ছা।

৬৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: :| :|

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: /:) /:)

৬৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

আমি ইহতিব বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। অনেক অনেক ভালো লাগলো।

ধন্যবাদ অভিকে। ও শেয়ার করার কারনে আপনার এত সুন্দর গল্পটা পড়তে পারলাম।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিথী।

শুভকামনা রইল।

৬৬| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮

জাফরিন বলেছেন: লেখায় অনেক ভাল লাগা আপু। সম্পর্ক আর মন দুটোই ভীষন জটিল। আর এর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা আরো জটিল.।

৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাফরিন।

শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.