নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর ও শ্রেষ্ঠতর আগামীকালের অপেক্ষায়...

সমুদ্র কন্যা

তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................

সমুদ্র কন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কার যে কখন সুর কেটে যায়

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪



ভাদ্রর এলো হাওয়ার এক শেষ দুপুরে, বাইরের ঝা ঝা রোদটা যখন সোনালী ফিতের মত গাছের পাতায় ঝুলে পড়ছিল, দুপুরের ঘুম শেষে আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করেছে রাস্তার নেড়ি কুকুরটা, আলস্য কাটিয়ে জেগে উঠছে পুরো পাড়া, ঠিক এমনি এক দুপুরে পাগল হয়ে গেল লুৎফা। পুরো বাড়ি আর পাড়ার সবাইকেই হতচকিত করে দিয়ে পাগলের মত হাসিতে লুটোপুটি খেতে লাগল সে।



লুৎফাকে এইভাবে হাসতে বহুদিন দেখে নি কেউ। এইভাবে কেন, তার মুখের মিষ্টি মুচকি হাসিটাও বহুদিন কারো চোখে পড়ে নি। বারান্দা সংলগ্ন ছোট পিড়েটায় পা এলিয়ে এলোচুলে বিষন্ন মুখে বসে থাকে সে, সারাদিন, সন্ধ্যা...সন্ধ্যা পেরুলে মা এসে চেচামেচি করলে তার টনক নড়ে। ধীরে ধীরে উঠে পা বাড়ায় ঘরের দিকে। এই তার নিত্যকার কাজ। কবে থেকে সে এমন নিরব হতে শুরু করেছিল তার হিসেব নেই। হবে হয়তো তিন মাস, চার মাস, পাঁচ কিংবা ছয় মাসও হতে পারে। স্কুল ছাড়ার পর বান্ধবীরা আসতো মাঝে সাঝে, কিন্তু লুৎফা যেন তাদের এড়াতে পারলেই বাঁচে। হতাশ হয়ে একসময় তারা বন্ধ করে দিল আসা। ছোট ভাইটা খেলতে ডাকে রোজকার অভ্যাস মত, কিন্তু লুৎফা ছোট্ট একটা বিষন্ন হাসি দিয়ে ওকে ফেরায়। কতদিন হল সেও আর ঘেঁষে না তার আশে পাশে। শুধু মা, একমাত্র মা-ই অক্লান্তভাবে চেঁচিয়ে যান, বকেন, শাসন করেন; শান্ত, বিষন্ন লুৎফাকে আবার অবাধ্য, জেদী, বাঁধনছেঁড়া করে তুলতে চেষ্টা করে যান।



তাই লুৎফা যখন পাগল হয়ে গেল, পৃথিবী কাঁপিয়ে হেসে উঠল, সবার আগে তার মা-ই ছুটে এলেন। কিছুক্ষণ বিস্ফোরিত চোখে চেয়ে থেকে তিনি চাপা গলায় গর্জে উঠলেন, 'চুপ চুপ। একদম চুপ।' লুৎফা আচমকাই চুপ হয়ে যায় চাপা গলার সে গর্জন শুনে। চোখ বড় বড় করে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর আবার দুলে দুলে হেঁচকি তুলে তুলে হাসতে শুরু করে। একে একে লোক জমে যায় তাদের বাড়ির সীমানায়। ভাত ঘুম ভেঙ্গে উঠে আসা মহিলারা একে অপরের গা টিপে মুখ টিপে ঠারে ঠোরে কথা বলতে শুরু করেন। এইসব কানাঘুষো অনেক দিন ধরেই চলছিল অবশ্য। এত উচ্ছল, প্রাণচঞ্চল, হাসি-খুশি মেয়েটা হঠাৎ করে এমন নিরব হয়ে গেল কেন! মফস্বলের ছোট্ট পাড়ায়, যেখানে সকলের হাড়ির খবর সবাই জানে, সেখানে এই নিয়ে কান কথা উঠবে এটাই স্বাভাবিক। তারপরেও লুৎফার বাবা একজন সম্মানিত পুণ্যবান মানুষ ছিলেন, সেই অজুহাতে তারা এতদিন রেহাই পেয়ে এসেছে। মুখের উপরে কেউ কিছু বলবার সাহস পায় নি। কিন্তু আজ যখন লুৎফা তাদের মান-সম্মানের কথা চিন্তা না করে, পাছে কি বলবে তাই নিয়ে না ভেবে ফেটে পড়ল, তখন অন্যেরাই বা কেন আর রাখ ঢাক করবে! তাই তারা বহুল চর্চিত চর্বিত সেই নোংরা কথাগুলো আবার বলতে শুরু করেন।



'হ্যাঁরে ভাই, এমনি এমনি কি আর একটা মেয়ে এমন হয়ে যায়! বিনা কারণে! কাহিনীতো কিছু আছেই।'

'আরে থাকবে না, অমন ছটফটে পাড়া বেড়ানো মেয়ে!'

'হ্যাঁ ওই যে তার ঢাকা শহরে থাকা দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাইটা!'

'চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলা প্রাইভেট টিউটর!'

'কলেজের বখাটে ছেলেটা!'

'নতুন আসা প্রফেসর!'

'...............'

'............'

'.........'

'......'



লুৎফা পাগল হয়ে গেল। কেউ জানল না কি কারণ, কিন্তু জল্পনা-কল্পনা করতে কেউ ছাড়লও না। হ্যাঁ লুৎফা একজন মেয়েই কিনা, বেশ সুন্দরী, চঞ্চল, ছটফটে, মিশুক, হাসিখুশি, সাবলীল, কথায় কাজে জড়তা নেই...এসব কে কোন কালে গুণ বলে মেনে নিয়েছে? প্রত্যেকটাই তার দোষ, একদম গায়ে ছাপ মারা দোষ। তাই পাগল হয়েও লুৎফার রেহাই নেই। অন্য কথায় বলতে গেলে পাগল হয়েছে বলেই লুৎফা রেহাই পেল না।



লুৎফা অত্যন্ত সংবেদনশীল, সূক্ষ্ম অনুভূতির মেয়ে। তার পছন্দ-অপছন্দ, ভাল লাগা, মন্দ লাগা অত্যন্ত চড়া সুরে বাধা। তার ভাল লাগার ব্যাপারগুলোয় তার বাধ ভাঙা উচ্ছাস ছিল। মন্দ লাগার ব্যাপারগুলোয় কড়া আপত্তি, প্রতিবাদ। মেয়েরা এমন হয় না, হতে নেই। কিন্তু লুৎফা হয়েছিল। বাপের কাছে একটু বেশিই আহ্লাদ পেয়েছিল মেয়েটা। তাই অতি আদরে বাঁদর হয়েছে। তার মা রাগ করে বলেন। যদিও বড় মেয়ের প্রতি তাঁর নিজেরও একটা অন্যায় পক্ষপাত ছিল বরাবর। সব মায়েরই থাকে। যা নিজে তিনি পান নি, করতে পারেন নি, তা মেয়ের মাধ্যমে পূরণ করতে চান। নতুন করে স্বপ্ন দেখেন। লুৎফার মাও দেখতেন। কড়া শাসনের আড়ালে তাই সূতোটা ঢিল দিয়েছিলেন অনেকখানিই। লুৎফাও জানতো সেটা ভালভাবেই। তাই বাবাকেতো বটেই, মাকেও তার খুব একটু ভয় ডর ছিল না।



লুৎফার দুঃসম্পর্কের খালাতো ভাই মারুফ ঢাকা থেকে এসে যখন অভিমানে নিশ্চুপ দেখেছিল, সবার আগে সেই চিন্তিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বিদ্বান ছেলে, অন্যদের চেয়ে সে বেশি বুঝবে এটাইতো স্বাভাবিক। তার খালাকে বলেওছিল, লুৎফাকে একবার ডাক্তার দেখানো দরকার। কিসের ডাক্তার? না, শরীরের সমস্যা না, মনের। লুৎফার মা উপরে উপরে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলেন আর মনে মনে হয়েছিলেন বিরক্ত। বেশি জোরাজুরিতে শুধু বলেছিলেন, 'আমাদের কি ওইসব বিলাসিতা করলে চলে বাপ! মনের আবার অসুখ কি? লুৎফার শরীর-স্বাস্থ্য মাশাল্লাহ ভাল আছে। সেইটা থাকলেই হইল।' না, মনের অসুখ হয় না বটে। মন নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে। শরীরটাই সব। শরীর-সর্বস্ব চিন্তা-ভাবনায় আক্রান্ত মফস্বলের মধ্যবিত্ত মন। কিন্তু মন ভাল না থাকলে কি আর শরীর ভাল থাকে!



মারুফ এসে ঘুরে যাবার পর থেকেই লুৎফা যেন একটু বেশি উদাস হয়ে গেল। অকারণেই হাসে, মাঝে মাঝে চুপ করে বসে থাকে, কখনো আবার লুকিয়ে কাঁদেও। খাওয়া-দাওয়াতেও খুব অনিয়ম, শরীর শুকিয়ে গেছে, চোখের কোলে কালি। লুৎফার মা মেয়ের হাব-ভাব দেখেন আর ভিতর ভিতরে খুব গজ গজ করেন। তবে এটাও ঠিক এসব তিনি নিজে যতটা না দেখেছেন শুভাকাংখী পাড়া-প্রতিবেশীরা তারচেয়ে বেশি দেখেছিল। সতর্ক করেছিল তাঁকে। তিনিও মনে মনে ভাবেন ছেলেটাকে নিজের লোক ধরে নিয়েই বিশ্বাস করেছিলেন, সেই কিনা মেয়েটার মাথা খেল! লুৎফার মা ধরেই নেন কিশোরী লুৎফার মন উচাটন হয়েছে, রঙ লেগেছে। ঢাকার ছেলের চটক দেখে চোখে ধাঁধা লেগেছে। ওসব কিছু নয়, কয়দিন চোখের আড়াল হলে আপনিই সেরে যাবে। গেলও বটে। দিন পনর না ঘুরতে লুৎফা আবার যা ছিল তাই। লুৎফার মাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। নিজেদের মধ্যে এইসব কেলেংকারি ভাল জিনিস না। পরিবারের সুনাম বলে একটা ব্যাপার আছে। আর মেয়েটাতো মাত্রই স্কুলে পড়ে। এখনও বহু দূর যাওয়ার বাকি। মেয়েকে নিয়ে তিনি নিজের অপূর্ণ স্বপ্নগুলো দেখেন।



সামনের বছর এসএসসি দিবে মেয়েটা। নিজেতো বেশি দূর পড়তে পারেন নি। মেয়ে যেন অন্তত গ্রাজুয়েসন করতে পারে। নিজে নিজে কতটুকু আর পড়বে! তাই তার জন্য একজন টিউটর রেখে দিলেন বাধ্য হয়েই। স্বামী বেঁচে থাকলে কি আর তাঁকে এসব নিয়ে ভাবতে হতো! বাবার কাছেই লুৎফা পড়তে পারতো। সে ভাগ্যতো আর হল না মেয়ের। লুৎফার টিউটর ছেলেটা এমএসসি পাস করেছে সবে, এখনও চাকরি-বাকরি পায় নি কিছু। অবশ্য লুৎফাকে একা ছেড়ে দেন নি তিনি ওই চ্যাংড়া ছেলের হাতে। পাহারাদার হিসেবে ছোটভাইটাও আছে। শফিক বাড়িতে আসা-যাওয়া শুরু করতেই লুৎফার মধ্যে পরিবর্তন আসতে লাগল। নিজের প্রতি একটু বেশি মনোযোগী, সৌন্দর্য সচেতনতা বৃদ্ধি, কাজে-কর্মে চপলতা, একটু বেশি সচকিত, আর উদাস। মনের ভুলেই সে গুণগুণিয়ে গান গায়, হাসে, সলাজ চোখে স্বপ্ন আঁকে। লুৎফার মা এসব বোঝেন। এই বয়সতো তিনিও পার করে এসেছেন। তবে পাশের বাড়ির ভাবি তাঁকে এই বলে সতর্ক করেন সূতোটা টেনে ধরতে যেন ভুল না হয় তাঁর। তাই মেয়েকে কথার ছলে কড়া করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সে যেন কোন ভুল না করে। কম বয়সে চোখে কত রঙিন স্বপ্নই ভাসে। ওইসবে ভেসে গিয়ে ভুল করলে চলবে না লুৎফার। তার বাস্তবটা অতো রঙিন নয়।



মেয়ের ভালর জন্যই টিউটর রেখেছিলেন। কিন্তু মেয়ের ভাবগতিক সুবিধার না দেখেই আবার ছাড়িয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। শুধু মেয়েই কি, ছেলেটাও বড় বেয়াড়া চলছিল। তাঁর মেয়ের মত দেখতে সুন্দর, হাসি-খুশি, পাগলাটে একটা মেয়েকে এই বয়সের একটা ছেলে ভালবেসে ফেলবে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তিনি অবাক হন নি, হতাশ হয়েছেন, মন খারাপ করেছেন। কিভাবে সামলাবেন এই মেয়েকে, কিভাবে তাকে নিয়ে এতটা পথ পাড়ি দিবেন! স্বামীও নেই যে তাঁকে ভরসা করে এই উত্তাল ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেয়া সম্ভব।



এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হল না। লুৎফা পাগল হয়েই গেল। ভাদ্রর উদাস দুপুরে লুৎফার মাথা বিগড়ে গেল পুরোপুরি। কবে থেকে তার মাথার ভিতরের যন্ত্র-পাতি উল্টো-পাল্টা আচরণ করছিল এত চেষ্টাতেও তার হদিস করতে পারলেন না, লুৎফার পাগল হওয়া ঠেকাতে পারলেন না।



অবশ্য লুৎফার স্কুল সংলগ্ন কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া একটা বখাটে ছেলের কথাও ওর বান্ধবীরা সময়-অসময়ে বলেছে। সেই ছেলে নাকি পথে-ঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতো, আজে বাজে কথা বলতো, কুপ্রস্তাব দিতো। তার মেয়ে নাকি সেই কুকুরের ভয়ে কুঁকড়ে থাকতো স্কুলে যাওয়া-আসার পথে। কত দিন সে পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, কাল্পনিক জ্বরের অজুহাতে স্কুলে যেতে চায় নি। তিনি কোনদিন এসবে কান দেন নি, মেয়েতো তাঁকে এসব কোনদিন এসে বলে নি। তিনি শুনেছেন লোকের মুখে, তার বান্ধবী, স্কুলের শিক্ষক, পাড়া-প্রতিবেশী। তাই স্কুল যাতে কামাই না হয় সে ব্যাপারে ছিলেন কড়া। তাহলে কি সেই ছেলেই! তার ভয়েই লুৎফা যখন তখন লুকিয়ে কাঁদতো? নাকি স্কুলের নতুন অংকের শিক্ষক? যে কিনা কারণে অকারণে লুৎফার গায়ে হাত দিতো? নোংরা চোখে তাকাতো! লুৎফার মা ভেবে পান না। এত ছলবলে মেয়েটা এত বেশি চাপা ছিল চিন্তাই করা যায় না! ঠিক বাপের মত, বাপ কা বেটি! অক্ষম রাগে তিনি ফোসেন শুধু। মেয়েকে একটা নিশ্চিত নিরাপদ ভবিষ্যৎ দেবার আগেই কেন তিনি চলে গেলেন? তিনি কি জানতেন না মেয়েটা কতটা নির্ভর করতো তাঁর উপরে? বাপ ছাড়া মেয়ে আর কিছু বুঝতো না। অত বড় ধাড়ি মেয়ে, তবু বাপের গলা জড়িয়ে তার ঘুমানো চাই, বাপের হাতে ছাড়া সে ভাত খাবে না, স্কুলে যাবে না একা একা, পড়তে বসবে না। বাপকে ছেড়ে কোনদিন সে শ্বশুর বাড়িও যাবে না বলে পণ করেছিল। লুৎফার বাবাও বলেছিলেন দরকার হলে ঘর জামাই রাখবেন, তবু মেয়েকে পরের ঘরে পাঠাবেন না। এত ভালবাসেন যে মেয়েকে তাকে রেখেই কিনা তিনি বিনা নোটিসে হুট করে চলে গেলেন!



আর মেয়েও যেমন। এত ভালবাসে যে বাপকে তার মরা মুখের দিকে চেয়ে এক ফোঁটা চোখের পানি সে ফেলল না! বাপের স্মৃতিগুলো একবারও নড়াচড়া করে দেখল না, বহু যত্নে যে পড়ার টেবিল, বই-পত্র সে রোজ ঝেড়ে মুছে রাখতো তাতে ধুলো জমলেও মেয়ে আর ফিরে তাকাল না। সযত্নে বাবার ব্যবহার করা কাপড়-জামা সে চোখের আড়াল করে ফেলল। যেন মুছে ফেলল চিরতরে সেই মানুষটাকে নিজের জীবন থেকে। লুৎফা খুব অনুভূতিশীল মেয়ে, খুব অভিমানী। এমন অভিমান সে করল বাবার উপরে যে তাকে ভুলতে প্রাণ-পণ করে বসল যেন!



কিন্তু তারপরেও অন্য সব কিছু নিয়ে সেতো ব্যস্তই ছিল। বাবা নেই, সেই প্রভাবটা খুব যে পড়েছিল লুৎফার উপরে কখনো মনে হয় নি। বরং সে নিত্য নতুন এর প্রেমে পড়া, তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা এসবেই যেন ব্যস্ত ছিল। অবশ্য ব্যস্ত থাকলেই যে তাদের ব্যাপারে খুব একটা সিরিয়াস ছিল তাওতো নয়। কত সহজেই সে একজনকে ভুলে আরেকজনকে মনে স্থান দিতে শিখেছিল! পাড়া-পড়শীর কানাঘুষা, কটুক্তিতে কান দেবার মেয়েই সে নয়। মায়ের কড়া শাসনের তোয়াক্কাও করতো না। তাহলে কি এমন হল যে লুৎফা ধীরে ধীরে নিরব হয়ে গেল? সে আর হাসে না আগের মত, তার মুখে কথার ফুলঝুড়ি ফোটে না, হই চই এ পাড়া মাতিয়ে তোলে না। স্কুলে যাওয়াও তার বন্ধ হয়ে গেল, পড়ালেখাও। লুৎফার বন্ধুরা দল বেধে এসএসসি পরীক্ষা দিতে গেল। বারান্দায় বসে সে উদাস চোখে দেখল, কোন বিকার নেই সেই চোখে। মায়ের সাথে সে আর আগের মত ঝগড়া করে না মুখরা মেয়ের মত, নিরবে মেনে নেয় তাঁর দেয়া সমস্ত অপবাদ। তাঁর কোন চেষ্টা, বকুনি, মার, কড়া কথা কিছুই আর আগের লুৎফাকে ফিরিয়ে দেয় না।



আর সবাই হতাশ হলেও লুৎফার মা হন নি। তিনি আশা করেছিলেন তাঁর মেয়ে ভাল হয়ে যাবে, আবার আগের লুৎফা ফিরে আসবে। ভাদ্রর এলো হাওয়ার অলস দুপুরটার আগ পর্যন্ত তিনি সেই আশায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টা সফল হল না শেষ পর্যন্ত। লুৎফা পাগল হয়ে গেল! কেউ জানল না কোন দুঃখে তার মন ভেঙে চুড়মাড় হয়েছিল। কেউ জানল না কি তার মনের অসুখ!



শুধু লুৎফার ঠা ঠা হাসিতে উড়ে গেল ঘরের চালার কাক, ছেড়ে দেয়া স্প্রিং এর মত লাফিয়ে পালিয়ে গেল নেড়ি কুকুরটা রাস্তা ছেড়ে, বাড়ির সীমানায় জড়ো হল উৎসুক মানুষ, যারা লুৎফার পাগলামির তত্ত্ব তালাশ করছিল, যাদের কথা শুনলে কে পাগল তাই ঠাহর করা কঠিন! লুৎফার গল্পটা কারোই জানা হয়ে ওঠে না। অতি কৌতূহলী উন্মাদ জনতা লুৎফার পাগল হবার কারণ জানার আগ্রহে পৌঁছে যায় তারই সমপর্যায়ে। কখনো হয়তো কোন উৎসুক সাংবাদিকের কলামে লুৎফার পাগল হবার খবর ছাপা হয়, কিংবা কোন লেখকের অসমাপ্ত গল্পে থাকে তার নাম!

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

রাজসোহান বলেছেন: এক ঘরে দুই গল্পকার কিম্নে বসবাস করে? /:)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এক ঘরে বসবাস বলেইতো কোন সমস্যা নাই। B-)

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ব্বাহ্ !! :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মুন।

শুভেচ্ছা।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

রাজসোহান বলেছেন: গল্পটা চমৎকার হয়েছে। স্কুলের পাঠ্যবইতে যেমন সহজ সরল গল্প পড়তাম, সেরকম।

ইয়ে মানে, অনেকদিন খাওয়াও না :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হীরাঝিলের লেগ রোস্ট...নিজেই মিস করছো B-)

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

মাহবু১৫৪ বলেছেন: চমৎকার

+++++

রাজসোহান বলেছেন: এক ঘরে দুই গল্পকার কিম্নে বসবাস করে? :P :P

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবু।

ভাল থাকবেন।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পাঠকও তালাশ করবে লুৎফা পাগল হওয়ার কারণ কি !


আমার মনে হয় ওর বাবা'র মৃত্যু ........................


গপ ভালা পাইছি

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বাবার মৃত্যু! হয়তো...


ধন্যবাদ মাসুম আহমেদ।


শুভ রাত।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

ভিয়েনাস বলেছেন: সুন্দর স হজ সরল একটা গল্প হয়েছে আপু। এরকম কত লুৎফার ঘটনা আছে যা মানুষের অতি উৎসাহের জন্য মূল কারণ টা অজানায় থেকে যায়।স্রেফ একটা গল্প হলেও পাঠকের ভাবনার রসদ অনেক।ছোট গল্পের স্বার্থকতা এখানেই।

গল্পে চলমান প্লাস :)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস।


শুভ সকাল।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

মামুন রশিদ বলেছেন: মেয়েটার পাগল হয়ে যাওয়ার কারণ কেউ জানতে পারল না ।


গল্পটা পড়তে গিয়ে লুৎফার জন্য বিষাদ অনুভব করেছি ।


চমৎকার গল্পে ভাললাগা ।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কত কারণইতো থাকতে পারে! কিংবা কোন কারণ নাও থাকতে পারে। কে জানে!

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

শুভেচ্ছা।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: কৈশোর বড় রহস্যময় জিনিস ! আমরা কেউই জানি না কিভাবে তাকে নিয়ন্ত্রন করতে হয়! অতঃপর কেউ কেউ আবেগের কাছে হেরে যায়, কেউ কেউ স্রেফ অভ্যস্ত হয়ে যায় !

গল্পে ভালো লাগা । সহজ সরল ভাবে কত কথাই না এলো আর গেলো । +++

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আদনান।


ভাল থাকুন।

৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্প শেষ কিন্তু জিজ্ঞাসা থেকে গেল।
এই গল্প ভাবনায় অনেকটা সময় যাবে।

আপনার সহজ সুন্দর শব্দমালার দারুন বিন্যাস মুগ্ধ করে।
গল্প কে আপন মনে হয়, দৃশ্যপট চোখে ভাসে। মনে হয় নিজে দেখেছি। অদ্ভূত এক মায়া আছে লেখনিতে। এই গল্পে লুৎফা যেমন পাশের বাড়ির মেয়েটি হয়ে থাকে।

এমন করে মাঝে মাঝে পোস্ট পেলে ভালো হয়।
আশা করছি, ব্যস্ততা পাশ কাটিয়ে মাঝে মাঝেই আমাদের মুগ্ধ করবেন।
শুভকামনা, আপু।
ভালো থাকবেন খুব।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম দূর্জয়। সময় পাওয়াটাই আসলে কঠিন। চেষ্টা করবো লেখা চালিয়ে যেতে।

ধন্যবাদ অনেক।

ভাল থেকো সবসময়।

১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটা অনেক ভালো লাগল। বিশেষ করে গল্পের প্রাঞ্জলতা সত্যি অনেক চমৎকার। পাঠক হিসেবে গল্পের দৃশ্যায়ন করতে সুবিধা হয়।

গল্পের লুৎফার জন্য কেন যেন মায়া লাগছে !!

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালবাসা।


শুভেচ্ছা রইল।

১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৬

এম মশিউর বলেছেন: গল্পে লুৎফা অনেক বড় ধরনের শক খেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে মানসিকভাবে আক্রান্ত হয়েছে এবং পাগলে পরিণত হয়েছে।


সত্যি সুন্দর শব্দচয়ন।
ভালো লেগেছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এম মশিউর।

শুভকামনা।

১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পের প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি হচ্ছে লু ৎফা নামক উচ্ছল মেয়েটার বিষণ্ণ হয়ে যাওয়া , তার কষ্টগুলো পাঠকের মনে আঘাত করা !
আর অপ্রাপ্তি আর প্রাপ্তি হচ্ছে ওর পাগল হবার কারণটা গল্পকারের না জানিয়ে দেয়া ! আমি ধরে নিচ্ছি চারপাশের কুটিল পরিবেশ ওকে পাগল বানিয়েছে!
চমৎকার গল্প আপু !

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কৈশোরের এই ভীষণ অভিমানী সময়টায় কত রকম পরিবর্তনই আসতে পারে মনের ঘরে। সব পরিবর্তনের সাথে সবাই খাপ খাইয়ে নিতে পারে না হয়তো। ঘটে যায় বিশাল কোন অঘটন।

ধন্যবাদ অভি।

শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩

দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: বুঝলাম না কেন পাগল হল মেয়েটা !

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ দুঃখী__ বন্ধু।

১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গল্পের সবচেয়ে দারুণ দিক হলো এর শব্দচয়ন এবং গাঁথুনি ।

এমন গল্প পড়লে সকালে সারাদিন ভালই কাটবে বলে মনে হচ্ছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব।

আপনার দিন ভাল কাটুক। শুভেচ্ছা।

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

সায়েম মুন বলেছেন: আপনারা দু'জন মিলে গল্প লেখা প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন। এই মাসে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। দেখি কে বেশী গল্প লিখেন। B-)

গল্প এখনো পড়িনি। সময় করে পড়ে ফেলবো। :!>

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এইসব অসম প্রতিযোগিতা মানি না, মানবো না X(

আর ফাঁকিবাজি না কইরা পড়া শেষ করেন। /:)

১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: @মুনাপু, মাত্র ৩ ঘন্টা সময়ের ব্যবধানের জন্যে আমি এই মাসে ১-০ তে আগায়া গেছি B-)

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হু এই চালাকি করার জন্যইতো সন্ধ্যা থেকে বসে ছিলা X((

১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
নামটা বেশ লাগলো...........
আর গল্পের লুৎফার জন্য ভীষন কষ্ট হলো।
আবার একটা কথা ভেবে স্বস্তিও হলো, কে জানে কোন সে কারণ যার জন্য লুৎফার এ মনোবৈকল্য।
জগত সংসারে এমন কিছু সত্যি থাকে যা এত বেশি নির্মম।
অনেক কিছু ভাবার থাকলো।

ভালো থেকো তুমি।
অনেক শুভকামনা সবসময়ের।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে অনেক ভাল লাগল আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন আপনারাও।

১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

শীলা শিপা বলেছেন: লুৎফা তো আমার বড়বোনের নাম!! আমার বোনকে পাগল বানিয়ে দিলেন?? আপুকে দেখাবো এটা :P

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কি কাকতালীয় ব্যাপার! আপনার আপু নিশ্চয়ই মজা পাবেন বেশ :)

১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্লাস বাটনটা কাজ করছে না !

লুৎফার পরিবর্তনের ছবিগুলো খুব সুন্দর এঁকেছেন। ভালো লেগেছে পড়তে। লুৎফার বয়সটা খুব রহস্যময়। ঐ বয়সে কি কি অনুভব হতো, রোমন্থন করলাম।

শুভকামনা সমুদ্র কন্যা

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্লাস বাটনটা চিরতরেই অকেজো হয়ে গেছে।


লুৎফার বয়সটায় আমি নিজে খুব রহস্যময় আচরণ করতাম মনে আছে। আমার বোন বলতো, খুবই আনপ্রেডিক্টেবল একটা মেয়ে আমি। এই খুশি আছিতো পরমূহুর্তেই বিষণ্ণ! ক্ষণে ক্ষণে মুডের পরিবর্তন হতো।

ধন্যবাদ অপর্ণা।

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

টুম্পা মনি বলেছেন: বেশ সুন্দর, তবে আপনার আগের গল্পগুলোর তুলনায় কিছুটা কম। তবুও সুন্দর।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ টুম্পা।

সব লেখা কি আর একরকম হয়! আপনার মতামত পেয়ে ভাল লাগল।

শুভেচ্ছা।

২১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

ইলুসন বলেছেন: ভালো লাগল।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইলুসন।

শুভকামনা।

২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১০

অদৃশ্য বলেছেন:





অনেকক্ষন সময় লাগিয়ে লিখাটা পড়বার পর ভেবে চিন্তে যখন মন্তব্য লিখলাম অমনি সারভার ডাউন... যাহ্‌( ... )...
মাঝে মাঝেই মন্তব্যে বেশি লিখলে কপি করে রাখি, তবে সবসময় তা করা হয়ে ওঠেনা... ঠিক যখন করা হয়না তখনই এমন ঘটনা বেশি ঘটে...

সমস্যা হলো, ওরকম মন্তব্য মুছে গেলে পরে আর সেম টাইপ লিখা যায়না... মনটা খুব খারাপও হয় বটে...

লিখাটি চমৎকার হয়েছে... আমারতো খুবই ভালো লাগলো... আর শেষের কথাগুলো ভাবনার পথে রসদের যোগান দেয়...

শুভকামনা...

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ইশ মুছে যাওয়া মন্তব্যটার জন্য খুব আফসোস হচ্ছে। কেন যে কপি করে রাখলেন না!

আপনার ভাল লাগায় কৃতজ্ঞতা অদৃশ্য।


ভাল থাকবেন।

২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

সায়েম মুন বলেছেন: এখনো পুরা মাসটা পড়ে আছে। এর মধ্যে ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত না হয়ে ক্ষিপ্ত গতিতে লিখে যান। দেখা যাক কে বিজয়ী হয়। #:-S

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার হাতের জোর কম বলেইতো চাপার জোরে পার পাওয়ার চেষ্টা করতেসি :P

কিন্তু মুনাপ্পি লেখা আপনি এখনও পড়েন নাই /:)

২৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:

আপু, অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। খুব সুন্দর চিত্রায়ন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক দিন পরে দেখে ভাল লাগল রিয়াদ।

ধন্যবাদ।

শুভকামনা সবসময়ের।

২৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

নস্টালজিক বলেছেন: ওহে ব্যাংকার, আপনে লেখেন খুব সুন্দর! সহজ করে সুন্দর লেখা কঠিন অনেক! সেই কঠিন কাজটা আপনি ভাবলেশহীন মুখে করেন মাঝে মাঝে!



০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মোটেই ভাবলেশহীন মুখে করি না। এই কঠিন কাজটা করতে আমার এরচেয়েও বেশি কঠিন লাগে এবং চেহারা তেমনই করুণ হয়ে যায় :(


অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া :)

২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
খুব চমৎকার লিখেছেন।
বর্ণনার ঢঙে মুগ্ধকর আবেশ, একটানা গল্পটা শেষ করিয়ে ছাড়লো।

শুভকামনা একরাশ.............

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: গল্পটা শেষ করেছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন জেনে খুব ভাল লাগল।

অনেক ধন্যবাদ।

শুভকামনা।

২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: রাজসোহান বলেছেন: এক ঘরে দুই গল্পকার কিম্নে বসবাস করে? :P :P


গল্প ভালো লাগলো!!!!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষণ।

শুভেচ্ছা।

২৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম আপু। ভাল লাগা রইল...

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহী।

ভাল থাকা হোক।

২৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: মেয়েদের জীবন আসলে মেয়েরাই ভালো ফুটিয়ে তুলতে পারে । ............. এক ঘরে দুই গল্পকার কথাটার মানে বুঝি নি । বুঝিয়ে দেয়া হোক :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শহুরে আগন্তুক।


কমেন্ট ১৫ এবং ১৬ দেখলে হয়তো বুঝতে পারবেন কথাটার মানে। :)

ভাল থাকবেন।

৩০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: হাসান ভাই ! বুঝলাম এবার .....আরও ভালো থাকুন আপনারা :)

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শহুরে আগন্তুক।

৩১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

শাহেদ খান বলেছেন: বেশ সুন্দরী, চঞ্চল, ছটফটে, মিশুক, হাসিখুশি, সাবলীল, কথায় কাজে জড়তা নেই...এসব কে কোন কালে গুণ বলে মেনে নিয়েছে? প্রত্যেকটাই তার দোষ, একদম গায়ে ছাপ মারা দোষ।

-- সুগভীর ! আর গল্পের শেষটাও চমৎকার !

সরল বয়ানে লেখা গল্পে অনেক ভাল লাগা জানবেন। এমনটা পড়তে ভাল লাগে। পোস্টের নাম আর প্রচ্ছদেও বাড়তি ভাল লাগা ! :)

শুভকামনা।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহেদ।


শুভকামনা রইল।

৩২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: এটা কোন কথা হল দুজনে মিলে এত গল্প কেমনে লিখেন।

গল্পকার দম্পতি আমাদের এত সুন্দর সুন্দর গল্প উপহার দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।



শুধু লুৎফার ঠা ঠা হাসিতে উড়ে গেল ঘরের চালার কাক, ছেড়ে দেয়া স্প্রিং এর মত লাফিয়ে পালিয়ে গেল নেড়ি কুকুরটা রাস্তা ছেড়ে, বাড়ির সীমানায় জড়ো হল উৎসুক মানুষ, যারা লুৎফার পাগলামির তত্ত্ব তালাশ করছিল, যাদের কথা শুনলে কে পাগল তাই ঠাহর করা কঠিন! লুৎফার গল্পটা কারোই জানা হয়ে ওঠে না। অতি কৌতূহলী উন্মাদ জনতা লুৎফার পাগল হবার কারণ জানার আগ্রহে পৌঁছে যায় তারই সমপর্যায়ে। কখনো হয়তো কোন উৎসুক সাংবাদিকের কলামে লুৎফার পাগল হবার খবর ছাপা হয়, কিংবা কোন লেখকের অসমাপ্ত গল্পে থাকে তার নাম!


একটা ছোট গল্প কিংবা অনুগল্প নান্দনিক হয়ে উঠার পেছনে আখ্যানভাগের শুরু এবং শেষের বিষয়টা খুব বড় ভূমিকা রাখে। আপনার গল্পের শেষটা চমৎকার ! চমৎকার!! চমৎকার !!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নাহ খুব বেশি আমি লিখি না। এইইইই মাসে একটা...


শেষটুকু এত সুন্দর হবার পেছনে সবটাই আমার কৃতিত্ব নয়, সম্পাদকেরও কৃতিত্ব আছে। :)

অনেক ধন্যবাদ নেক্সাস।

শুভকামনা।

৩৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
আমি দুঃখিত, এরকম গল্প আমার ভাল লাগে না। কয়েকজন মানুষের কান্নাকাটি, হাসাহসি, বলাবলি ইত্যাদির বর্ণনা দিয়েই তো গল্প বলতে হবে। ভাল কথা, কিন্তু যখন গল্পের মাধ্যমে কোন কিছুকে প্রকাশ করবো তখন সেন্স অফ ডিপনেস ফুটে ওঠা জরুরী, মানুষের অতি সচেতনতা কোন কোন সময় মৌলিক দৃশ্যকে অদৃশ্য করে দেয়।

জানি রাগ হবে আমার কথায়, কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আমাদের চারপাশ কোনকিছুই মূল্যহীন নয়, মূল্যহান হয়ে যায় তখনই, যখন আমরা তাকে মূল্য না দিই। আমার গল্পটা হোক না সেরকম কিছু। বর্ণনার সাথে সাথে চরিত্রের জীবনবোধ বলে দেয়া আবশ্যক।

এত তাড়াহুড়া করার দরকার কি?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার কথায় রাগ হয় নি। আপনি অবশ্যই আপনার মতামর প্রকাশ করতেই পারেন। গল্পটায় আমি বিশেষ কোন কারণ বা ঘটনা বলতে চাই নি। লুৎফা একজন সংবেদনশীল, সূক্ষ্ম অনুভূতির কিশোরী, তার মনোজগৎ খুবই রহস্যময়। যে কোন কারণই তার ওপর ভয়ানক বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এটা তাড়াহুড়ো করে শেষ করা নয়।

ধন্যবাদ লেখোয়াড় আপনার মতামতের জন্য।

শুভেচ্ছা।

৩৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

আরুশা বলেছেন: লুৎফার জন্য মন খারাপ লাগছে সমুদ্র কন্যা ।সহজ সরল গল্প ভালোলাগে পড়তে।
++++++্

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরুশা।

শুভকামনা।

৩৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৭

গোর্কি বলেছেন:
অন্তরের ভেতর চাঁপা কান্নার অঝর ধারা কিন্তু মুখে ফোটে না সে কথা। গল্পটা ছুঁয়ে গেল। ভাল থাকবেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গোর্কি।

স্বাগতম আমার ব্লগে।

৩৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

সায়েম মুন বলেছেন: একটা কমন ঘটনা যা এ দেশের আনাচে কানাচে অহরহ ঘটে তাই নিয়ে লেখা।
লেখাটা সুন্দর গোছানো।

লুৎফারা কিভাবে উদ্ধার পেতে পারে গল্পে এরকম একটা বিষয় থাকলে ভাত হতো।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মুনাপি আমিতো ঘর মন জানালার মত সমস্যা ও সমাধান লিখতে চাই নি। চেয়েছি শুধু টুকরো টুকরো ঘটনা তুলে ধরতে :P

ধন্যবাদ অনেক।

শুভকামনা।

৩৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

রাজসোহান বলেছেন: @মুনাপি, আমাগো আফায় ব্যাংকার এণ্ড গল্পকার, নট ডাক্তর। লুৎফা কিম্নে উদ্ধার পাইবো হেইডা আফায় কিম্নে কইবো?

আফা, আফনে লুৎফারে লই ডাক্তরের কাছে যান।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সোহান তুমি এত্তগুলা পচা। এইভাবে মুনাপ্পিরে বললা! :(( :(( :P

৩৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:১১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ...কখনো হয়তো কোন উৎসুক সাংবাদিকের কলামে লুৎফার পাগল হবার খবর ছাপা হয়, কিংবা কোন লেখকের অসমাপ্ত গল্পে থাকে তার নাম!

লাইনগুলো ভাবালো। সুন্দর ছিমছাম গল্প। সুখপাঠ্য! :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডাচম্যান।


শুভ দুপুর।

৩৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: গল্পের ছলে গল্প হলেও লুৎফা আসলে কোনো গল্প না, বরং সে এই সমাজের প্রতিচ্ছবি ... আর কিছু মানুষের মুখোশ গালে " ঠাডায়ে থাবড়া " ...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনন্ত ভাইয়া আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভাল লাগছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভাল থাকবেন।

৪০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: গল্প পড়িনি, জানিনা পড়বো কিনা! হয়ত সময় পেলে অবসরে পড়ে যাবো। পাঠক মরে গেছে, পাঠক মরে যায়!!

গল্পের নামটা অদ্ভুত সুন্দর। আসলে তাই কার যে কখন সুর কেটে যায়... লুৎফার সুর কেটেছে মানসিক ট্রমায়। আর লুৎফা মেয়ে বলে তার অনুভুতি সুক্ষ্যা হবে কেন? এটা টাইপো!


:)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: গল্প পড়েন নি! কমেন্ট দেখে কিন্তু সেটা মনে হচ্ছে না :)

সুক্ষ্যা! অনেক খুঁজেও এই টাইপোটা গল্পের মধ্যে পেলাম না। নাকি এটা আপনার ইচ্ছাকৃত টাইপো?

ধন্যবাদ জীবুবাবু।

ভাল থাকবেন।

৪১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: কার যে কখন সুর কেটে যায়, সত্যিই বলা মুশকিল।

চমৎকার একটি গল্প।

ভালোলাগা গল্পে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসহাক খান।


শুভেচ্ছা।

৪২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

অচিন্ত্য বলেছেন: দারুণ! খুব প্রাঞ্জল লেখা। সবচেয়ে বড় প্রমাণ- খুব দ্রুত পড়ে ফেলতে পারলাম।

১-০ তে এগিয়ে গেলেন আরেক গল্পকার। গল্পের সমান্তরালে আরেক গল্প। দারুণ ব্যাপার। সত্যিই দারুণ !

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অচিন্ত্য।

শুভকামনা।

৪৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সোমহেপি বলেছেন: কখন যে কার সুর কেটে যায়
মনের ভেতর ভয়াল ছুরায়
সুর কেটে যায় কেমন আকুল
পাগল করা সুর কেটে যায়
সুর কেটে যায় আরো সুরের
রঙ মখমল সুরের টানে
সুর ভেসে যায় প্রবল স্রোতের
নেমে আসা উজান বানে



১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার কবিতাটা পড়লাম। দারুণ লিখেছেন।

৪৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোমহেপি বলেছেন: পইলা লাইনটাই কেমন সুরময়। গফ পড়ি নাই


কবিতাটা বানাইয়া লই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কবিতাতো বানানো হয়ে গেছে। এখন গফটা পড়েন :)

৪৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৭

জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: হা হা হা!! এটা আমি কখনো কখনো করি। যেমন হামার গল্পে বড় কমেন্ট করবোনা বলেও বড় কমেন্ট করেছিলাম সম্ভবত :-0

লুৎফা অত্যন্ত সংবেদনশীল, সূক্ষ্ম অনুভূতির মেয়ে। তার পছন্দ-অপছন্দ, ভাল লাগা, মন্দ লাগা অত্যন্ত চড়া সুরে বাধা। তার ভাল লাগার ব্যাপারগুলোয় তার বাধ ভাঙা উচ্ছাস ছিল। মন্দ লাগার ব্যাপারগুলোয় কড়া আপত্তি, প্রতিবাদ।

এটা কি হে কন্যা!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সূক্ষ্ম বানানটা এমন বলেইতো জানি জীবুবাবু। সমস্যা কি হলো! :||

৪৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: এই গল্পে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নাই। ভালো লাগা জানালাম শুধু।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ রায়ান।

শুভেচ্ছা রইলো।

৪৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

ভাঙ্গা কলমের আঁচড় বলেছেন: ভাল লাগল. গতিশীল ঝরঝরে চমত্‍কার লেখা.

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা।

৪৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

কালোপরী বলেছেন: :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঠিক কি বলতে চাইলেন বুঝলাম না কালোপরী। এই গল্পের সাথে এই ইমো কতটুকু যায়!

যা হোক, শুভেচ্ছা।

৪৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। ঈদের শুভেচ্ছা থাকলো। ঈদ মোবারক :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা।

৫০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৩

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:

জীবনের জটিলতা থেকে মুক্ত হতে অথবা জীবনটাকেই এড়াতে.....পাগল হয়ে যাওয়া সহজ সমাধান কিনা তাই ভাবছি...............গল্পটা পড়ার পর থেকেই।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: না, এটা কোন সমাধান না।

৫১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

সোমহেপি বলেছেন: পড়লাম।

শেষে এসে বিশ্লেষণ ধর্মী মনে হল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তাই হয়েছে বোধহয়।

ধন্যবাদ সোমহেপি।

৫২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

শাহীনএখন বলেছেন: আপনি এতো সুন্দর লিখেন ! আপনার কোন পোস্ট পেলে মনটা অদ্ভুত আনন্দে ভরে যায়।

আমি প্রথম যে ব্লগটি অনুসরন করতে শুরু করি সেটি আপনার।


এতো ভাল কেন লিখেন !

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার লেখা আপনার এত ভাল লাগে জেনে সত্যিই আনন্দ হচ্ছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহীন।

ভাল থাকবেন।

৫৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

তাসজিদ বলেছেন: অনেক বেশি ভাল লাগল।

লিখতে থাকেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.