নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর ও শ্রেষ্ঠতর আগামীকালের অপেক্ষায়...

সমুদ্র কন্যা

তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................

সমুদ্র কন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা'র চিঠি, তোর কাছে

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

আমার মেয়ে পৃথিবীতে আসবার আগের সময়গুলো আমি আমার অনুভূতি টুকে রাখবার চেষ্টা করতাম। চেয়েছিলাম প্রতি মূহুর্তের সমস্ত কথা লিখে রাখতে। কিন্তু লেখালেখির প্রতি আমার চিরকালের আলসেমি, ব্যস্ততা, অসুস্থতা সব মিলে খুব বেশি লেখা হয়ে ওঠে নি। যতটুকু লিখেছি তার একটা সংকলন দিয়ে দিলাম এখানে। তবে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বলে সব একবারে দেয়া গেল না। দুই পর্বে দিলাম।



তোর কাছে চিঠি (১)

১৫ই মে, ২০১২




আমি জানি না তুই আসছিস কি না। ভয়ংকর রকম অনিশ্চয়তায় কাটছে আমার প্রতিটা মূহুর্ত। প্রতিবারই মনে হচ্ছে এই বুঝি আমার স্বপ্নটা ভেঙে গেল। সারাক্ষণ বুকের ভেতর ভীষণ এক ধুকপুকানি নিয়ে ঘুরছি।



এক একটা দিন যায়...আর আমি একটু একটু করে আরো ভয়ে, আরো অনিশ্চয়তায়, আরো আগ্রহে অধীর হয়ে উঠি। এক একটা দিন যায়...আর তোর আসার স্বপ্নটা আরো একটুখানি পূর্ণতা পায়।



পৃথিবীর আর কেউ না জানুক, তুইতো জানিস...কতটা ব্যগ্র আমি তোর আসার জন্য। আর কতদিন আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখবি? আর কতদিন আমার এই বাধভাঙা আবেগ দেখে আলোর পৃথিবী থেকে মুচকি মুচকি হাসবি? কবে যে চিন্তায় চিন্তায় আমি অসুস্থই হয়ে যাই! খুব আনন্দ হবে তখন না? দুষ্টুটা আমার!



তোকে নিয়ে স্বপ্ন দেখার শুরুতো আমার আজকে নয়। কতদিন ধরে যে আমি একটু একটু করে এই স্বপ্নের বীজ বুনেছি। তারপরও এখনও আমার বুকটা তিরতির কাঁপে, আমি কি পারবো? আমি কি পারবো এত বড় দায়িত্ব নিতে? তুইতো আর পুতুল নস, আস্ত একটা মানুষ। কেমন করে তোকে ধারণ করবো? আমি কি এখনো তৈরি! কেমন করেই বা তোকে বড় করে তুলবো! এই ছোট্ট ছোট্ট হাত-পা-নাক-চোখ...তুলতুলে ভঙুর একটা মানুষ। ধরতেই যে ভয় করবে খুব। আর এই নিষ্ঠুর নোংরা পৃথিবী...তুই কি করেই বা এখানে টিকে থাকবি? আমি কি পারবো তোকে রক্ষা করতে সমস্ত বিপদ, অন্যায়, আর কালোর হাত থেকে?



কত প্রশ্নই না মাথায় সারাক্ষণ ঘুরপাক খায়। মাথা বোঁ বোঁ করতে থাকে, মাথা ঝিম ঝিম করতে থাকে। আমার সমস্ত কাজ লাটে উঠেছে। সব ভুলে যাই, সবকিছুতে ভুল হয়ে যায়।



নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে যদি তোকে আমি একটা সুস্থ সুন্দর জীবন না দিতে পারি! 'কেন করলে এমন? এটা অন্যায়।' কোনদিন যদি প্রশ্ন করিস কি উত্তর আমি দিবো তখন।



তুইতো জানিস না, কি এক অনিশ্চয়তায় আমার বসবাস। তারপরও আমার কত্ত সাহস, তোকে আনার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। একদিন আমি কোনকিছুকেই ভয় পাই নি জানিস? আমি ভাবতাম যেকোন বাধাই ভেঙে-চুড়ে ফেলতে পারি আমি, তোর জন্য। কিন্তু আজকাল ভয় পাচ্ছি। তুই আসছিস, সেটা নিশ্চিত হবার আগেই তোর আসার পথটা রুদ্ধ করে দেয়াই বোধহয় ভাল...চিরতরে...



খুব সহজেই সেটা করা যায়, জানিস তো? আমি ছাড়া আসবি কি করে তুই? আমি যদি না থাকি তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। খুব সহজেই এই কাজটা শেষ করে দেয়া যায়।



চোখ বন্ধ করে আমি তোর ছোট্ট ছোট্ট হাত দুটোতে চুমু দিই, তোর নরম চুলের ঘ্রাণ নিই। কিন্তু এই অনিশ্চিত পৃথিবীতে তোকে আনার সাহস আমি করে উঠতে পারি না। তুই যেখানে আছিস, সেখানেই থাক। সেখানেই তুই ভাল থাকবি অনেক অনেক।



তোর কাছে চিঠি (২)

১৭ই মে, ২০১২




এখন আমি প্রায় আশি ভাগ নিশ্চিত যে তুই আসছিস। গতকালই জানতে পারলাম, খুব সকালে। আমি একা একাই কি যে অস্থির, কি যে টেনসন! তোর বাবা তখনো ঘুমে। ওকে না জানিয়েই চলে যেতে হল অফিসে। আর সারাদিন তোকে নিয়ে চিন্তায় ছটফট ছটফট। একদম যখন থাকতে পারছিলাম না তখনই তোর খালামনির সাথে কথা হল। উফ্ দুই বোনে কত যে জল্পনা-কল্পনা!



বাসায় ফিরে তোর নান্নানকে জানালাম ফোন করে। কেমন বোকা বোকা হয়ে চুপ হয়ে গেল, যদি শুনতি। তুই নিশ্চয়ই হাসতে হাসতে কুটিপাটি হয়ে যেতিস। আর তোর বাবার কান্ড দেখ, এতবার বলে দিলাম আজকে আগে এসো...তাও তার সবচেয়ে দেরি করাই চাই।



ওকে শুধু বললাম, তুমি বোঝো নাই? ও খুব অদ্ভুত একটা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর খুব অস্ফুটে বলল, সত্যি!



আর তারপরেই অস্থির...অস্থির...একবার উঠে দাঁড়ায়, আবার এসে বসে, আবার একটু বারান্দায় হেঁটে আসে। যেন কথাটা ওকে কোন ঘোরের মধ্যে নিয়ে গেছে, বিশ্বাসই করতে পারছে না। তারপরে অনেক অনেকক্ষণ আমাকে ধরে বসে থাকল।



তুই আসছিস...সেটা এখনো আমরা বুঝতে পারছি না কোনভাবেই। নিজেকে জানান দিসনি তুই। তারপরও গতকাল থেকে সবকিছু কেমন বদলে গেছে। তোর বাবা সারারাতে একটু পর পর আমার খেয়াল নিল। আমিতো জানি, আসলে সে তোকেই দেখে-শুনে রাখছে। বদলে গেছে ওর কথা বলার ভঙ্গি, তাকানো, স্পর্শ।



তোর দাদীকে বলছিল, আপনি দাদী হচ্ছেন। আর ও..............ও বাবা হচ্ছে। বদলাতে তো হবেই।



আমার কথা জানতে মন চাইছে বুঝি? তুইতো আমাকে প্রতি স্পন্দনে বুঝতে পারিস। বলে দিতে হবে? তুইতো জানিস এখনও সারাক্ষণ কেমন ধুকপুকানির মধ্যে থাকি। যদি সত্যি না হয়। যদি আবারও আগের মত তুই একটু লুকোচুরি খেলিস। সেই ভয়েই আমি অস্থির।



তাই তোকে লিখছি। যেন আরেকবার ফাঁকি দেয়ার আগে মা'র জন্য তোর খুব করে মায়া হয়। আমার সোনা তুইতো জানিস কত করে তোকে আমি চাই। তোর জন্য আমার বুকটা ভরা এক সমুদ্র ভালবাসা। তুই খুব শিগগির শিগগির চলে আয়।



তোর কাছে চিঠি (৩)

২১শে মে, ২০১২




তোর বাবার স্বপ্নে এলি কাল তুই। তোকে কোলে নিতে গিয়ে সেতো কি নার্ভাস, একেবারে কাপাকাপি অবস্থা। যদি ছোট্ট তুই ব্যথা পাস, হাড়গোড় ভেঙে যায়! কে যেন তখন বলল, ' ও তো তোমারই রক্ত। বাবাকে ও খুব ভাল করেই চেনে।' তখন সে তোকে কোলে তুলে নিল। আর তুই হাসতে লাগলি খুব করে।



দুইদিন ধরে তোর বাবা খুব জল্পনা-কল্পনা করে যাচ্ছে, তুই ছেলে হবি নাকি মেয়ে, দেখতে কেমন হবি, চোখের রঙ কেমন হবে, চুল বাবার মত নাকি মায়ের মত, নাকটা খাড়া না বোঁচা...এমনি আরো কত কি...



আমি শুধু হাসি আর হাসি এসব শুনে। তুই যে আসছিস তাতেই আমি অন্য কোন ঘোরে বাস করছি। এতকিছু ভাবনা আসেই না। আমাদের স্বপ্নে, কল্পনায়, কথায় আমরা 'ছেলে, ছেলে' করে অস্থির। তাহলে তুই আমার বাবানটাই আসছিস বুঝি?



তোর দাদী কিন্তু তার একজন বান্ধবী চাইছেন খুব করে। তোকে প্রজাপতির মত উড়ো উড়ো ফ্রক পরাবেন, লাল-নীল রিবন দিয়ে প্রপেলারের মতন চুল বাঁধবেন, তোর সাথে কত সুখ-দু:খের গল্প করবেন।



তা হোক, তুই যদি আমাদের ছেলেটাই হোস তাহলেও দাদীর বন্ধু হতে পারবি। আর নান্নানের বয়ফ্রেন্ড। খুব করে জ্বালাবি নাকি দুজনকে?



মাথায় কত ভাবনাই না আসে!



দুদিন ধরে তুই বুঝি একটু একটু করে জানান দিচ্ছিস তুই আসছিস। একটু একটু করে টের পাচ্ছি ভেতরের পরিবর্তন। কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু সেই কষ্টেই কত যে আনন্দ!



তোর বাবাতো অস্থির হয়ে বলছে, 'এত লম্বা প্রসেস কেন?' তাইতো রে সোনাটা, এত্ত দেরি করলে হয়! তোর জন্য যে আমরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করে আছি।



তোর কাছে চিঠি (৪)

২৬শে জুন, ২০১২




বড্ড জ্বালাচ্ছিস তুই আজকাল। এইতো এতটুকুন এখনো, এক ইঞ্চি কোনরকমে। তোর দুষ্টুমির শেষ নাই। এত কষ্ট দিচ্ছিস তুই মাকে! গত কয়দিন কোমর ব্যথায় নড়তেই পারছি না। এপাশ থেকে ওপাশ ফিরতে কেমন কাতরাতে হয়, যেন আমার হাড় মটমট ব্যারাম হয়েছে। আর দুপুরবেলা খেতে বসলে সব অসহ্য লাগবেই লাগবে। যেন সমস্ত গলা দিয়ে উঠে আসছে। তোর জন্য অফিসেও কামাই দিচ্ছি ক'দিন পর পর। আর তারপরে বসের ঝাড়ি খাচ্ছি। তুই জানিস না কেউ বকলে মা'র কত মন খারাপ হয়! তবু তুই এমনি কষ্ট দিচ্ছিস আমাকে। মাঝে মাঝে এমন রাগ হয়ে যায় তোর উপরে। তোর জন্য এত প্ল্যান-প্রোগ্রাম করেও আমার ঘুরতে যাওয়া হল না। জার্নিতে যদি ক্ষতি হয় তোর! শুতে-বসতে-খেতে...সব কাজেই কত কষ্ট। ঠান্ডা লেগে কান ব্যথা করছে ক'দিন ধরে। অথচ এটাই আমার সহ্য করতে হবে। ওষুধ খেয়ে সুস্থ হবো, সে উপায় নেই। ক্ষতি হবে তোর। মাঝে মাঝে মাথা ব্যথায় অস্থির হয়ে যাই, কিন্তু ব্যথার ওষুধ খাওয়া একেবারে নিষেধ। তুই আসার পর থেকে বদলে গেছে সব। আমি আর আগের আমিটা হতে পারবো না। একটা দিনের জন্যেও না। আমি এটাই চেয়েছি সবসময় মনে-প্রাণে। কিন্তু তারপরও হঠাৎ কখনো সেই আগের আমিটার জন্য মনটা কেমন করে উঠে! তাই বলে তুই ভাবিস না যে আমি চাই না তোকে, কিংবা ভালবাসি না। যতটা ভাল আমি বাসি তোকে পৃথিবীর আর কেউ তার কাছে যেতে পারবে না।



এই এতটুকুনি মানুষটা তুই, আঙুল দিয়ে মাপতে গেলে চোখেই লাগে না। এরমধ্যেই কি না তুই পুরোদস্তুর আস্ত একটা মানুষের মত দেখতে হয়ে গেছিস। এমনকি তোর দাঁতও তৈরি হতে শুরু করে দিয়েছে। ভাবতেই কেমন অবাক হয়ে যাই!



গত একটা মাস তুই আছিস এই কথাটাই আমার বিশ্বাস হতো না। কিছু অনুভবও করতাম না। কিন্তু গত কয়দিন খুব ভাবছি তোকে। আর কি অদ্ভুত সুন্দর সব স্বপ্ন যে দেখছি। গতকাল আর পরশু দিন খুব মেঘলা ছিল। সারাদিন একটু পর পর বৃষ্টি। রাতে আমি স্বপ্ন দেখলাম তোকে নিয়ে আসছি ইশকুল থেকে। এমনি সময় বৃষ্টি নামল। আমি ঝট করে বললাম, 'মা চল ভিজি'। আর তারপরে দুইজনে পুরো রাস্তা হই হই করে ভিজতে ভিজতে ফিরলাম। তারপরে দাদীর কাছে বকা। দাদী বকছে, আর আমরা দুই আসামী মাথা নিচু করে মিট মিট করে হাসছি। কি সুন্দর স্বপ্নটা! আবার দুপুরে স্বপ্ন দেখলাম তুই আমার ভিতরেই আস্তে আস্তে বড় হচ্ছিস। কিন্তু তোকে দেখতে একটা ডিমের মতন। সেদ্ধ ডিম। যত দিন যাচ্ছে তোর আকৃতি বদলে গোল থেকে মানুষের মত হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও তুই ডিমটাই আছিস। কি যে মজার!



এখনো তুই নড়া চড়া করছিস না। আমি খুব ব্যগ্রভাবে অপেক্ষা করছি তোকে অনুভবের। পরম করুণাময়ের কাছে শুধু একটাই চাওয়া, তুই ভাল থাক। সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে আয় এই পৃথিবীতে। মা তোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।



তোর কাছে চিঠি (৫)

২৮শে জুলাই, ২০১২




বিশ্বাস কর সোনা, মা কখনোই এত ভীতু ছিল না। সবকিছুতেই কি আসে যায় একটা ভাব নিয়েই চলতো। মরে যাবে, বিপদ হতে পারে.....এমন চিন্তা কখনো মার মাথায় আসতোই না। একবার কি হয়েছে জানিস? রেললাইনে বাস আটকা পড়ে গেছে। ওদিকে ট্রেন আসছে। সবাইতো হুড়মুড় করে বাস থেকে নামছিল। কিন্তু মা কি করেছে জানিস? যেখানে বসে ছিল সেখানেই চুপটি করে বসে অলস চোখে ছুটে আসতে থাকা ট্রেনের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাসটাকে ধাক্কা দেবার অল্প কয়েক সেকেন্ড আগে বহুকষ্টে ট্রেনটা ব্রেক করতে পেরেছিল। মা কিন্তু সেদিন একটুও ভয় পায় নি। আরেকবার দোতলা একটা বাস ট্রাকের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটছিল। এই ধাক্কা লাগে তো, সেই উল্টে পড়ে অবস্থা। বাসের ভেতর সবাই ভয়ে চিৎকার, ড্রাইভারকে বকাঝকা। মা কিন্তু ওই বিষম ছুটে চলায় অন্নেক মজা পেয়েছিল। আর এখন!!



আমার সোনা, জানিস না সারাক্ষণ আমি ভয়ে কুনো হয়ে থাকি। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে-নামতে মেপে মেপে একটা একটা করে পা ফেলি। যাতে কোনভাবেই ঝাকি লেগে তোর কষ্ট না হয়। বাস একটু জোরে ছুটলেই আমি ভয়ে সিঁটিয়ে যাই আর প্রাণপণে আল্লাহকে ডাকতে থাকি। রিকশা ভাঙা রাস্তা দিয়ে গেলে ঝাকি লাগবে বলে আমি রিকশাতেই চড়ি না, তারচেয়ে বরং হেঁটে যাওয়া ভাল। আর যদি কখনো চড়তেই হয়, ভাঙা বা উঁচু-নিচু এলে আমি একেবারে দাঁড়িয়ে যাই যাতে কোনভাবেই তোর ঝাকি না লাগে। আমার আজকাল বড় ভয় হয়েছে। আমি সবকিছুকেই ভয় পাই, এমনকি বাতাসকেও। কোনভাবে, কোনভাবেই কেউ যেন তোর ক্ষতি না করতে পারে।



জানিস, সবসময় একটা কথা খুব শুনে এসেছি। আমি নাকি খুব গোঁয়াড় আর জেদী, আর বোকাও। এইসব অর্থহীন জেদ বা বোকামির জন্য নিজের নাকি অনেক ক্ষতিও করে ফেলেছি কত বার। কিন্তু তারপরও আমি চাই তুই আমার মতই জেদী, একগুঁয়ে হবি। আমি চাই তুই আমার মতই খুব আবেগী আর বোকা একটা মেয়ে হবি। মানুষ হিসেবে তোর পরিচিতি তৈরি হয়ে গেছে। ছোট্ট ছোট্ট আঙুলের মাথায় তোর আঙুলের ছাপও তৈরি হয়ে গেছে এর মধ্যেই। তবে লিঙ্গ বৈষম্য এখনও তোকে স্পর্শ করে নি। বোঝা যাচ্ছে না তুই মেয়ে নাকি ছেলে। কিন্তু আমি আজকাল খুব করে চাই তুই মেয়ে হবি। ঠিক মায়ের মতই।



কেউ তোকে দুটো কথা শুনিয়ে গেলে তুই ফিরে ঝগড়া করবি না। বরং গোঁ ধরে নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করবি তুই কি আর কি করতে পারিস। তুই শান্ত, চুপ-চাপ, নরম থাকবি কিন্তু প্রয়োজনে ভীষন কঠোরও হবি। কিছুতেই যেন তোকে ভাঙতে না পারে কেউ। তোর হাসিমুখটাই যেন সবাই সবসময় দেখে। কিন্তু প্রয়োজনে তোর মানসিক বল হবে সবার চেয়ে বেশি। হাসিমুখে, শান্তভাবেই সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি সবচেয়ে সহজে সামলে নিবি। সবার সাথে খুব সহজে মিশে গেলেও তোর ব্যক্তিত্ব যেন তোকে সবার থেকে আলাদা করে রাখে।



তুই আবার ভাবিস না তোর ওপরে সব চাপিয়ে দিচ্ছি যা মন চাইছে তাই। খুব খুব কঠিন একটা জায়গায় আসছিস তুই পাখি। এখানে কেউ তোকে সাহায্য করবে না। নিজের জন্য চারপাশ চেয়ে তুই কেবল নিজেকেই পাবি। তাই তোকে শিখতে হবে এখন থেকেই।



আমি জানি এখন তোর জন্যই আমাকে অনেক হাসি-খুশি আর আনন্দে থাকতে হবে। কোনরকম মন খারাপ, দুঃশ্চিন্তাই করা যাবে না। ভয় পাওয়াতো একেবারেই নিষেধ। কিন্তু গত কয়দিন ধরে এমন সব ভয়ংকর ঘটনা ঘটছে আশে পাশে, কিছুতেই পারছি না নিজেকে স্থির রাখতে। এমনকি তোর সাথে কথাও বলা হয়ে উঠছিল না। তুই বুঝি ভাবছিস তোর প্রতি মনযোগ কম দিচ্ছি? খুব অভিমান হচ্ছে নিশ্চয়ই তোর। একদম মার মতই। কক্ষণো এমন ভাববি না লক্ষ্মী সোনা। তোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নাই আমার। এইতো কদিন একটু মন খারাপের বাতাস গেল। দেখবি কাল সকাল থেকেই মা খুব লক্ষ্মী মেয়ে হয়ে গেছে। আর আগের মতই তোর সাথে অনেক মজার মজার গল্প করছে।



আমার সোনা মানিক, তোর জন্যই আমাকে যেমন ভাল থাকতে হবে। তোকেও ঠিক একইরকমভাবে মার জন্য ভাল থাকতে হবে। মনে হচ্ছে বুঝি এই লম্বা একটা পথ পাড়ি দিচ্ছিস তুই। মোটেই না। এইতো আর কদিন। এরমধ্যেইতো তুই তিন ভাগের এক ভাগ পথ পার হয়ে এসেছিস। বাকি সময়টুকুও দেখতে দেখতেই চলে যাবে। আর আমি জানি সেটা তুই ভালভাবেই করতে পারবি। সেই সাহস তোর আছে।



মন্তব্য ৮৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
সময় নিয়ে পড়বো..

চমৎকার/খাঁটি বিষয়..

পরে দেখা হবে..

তুলে রাখলাম..

ভালো থাকুন..।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নচারী।

শুভকামনা।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:

গত ১০ দিন ধরে ভয়াবহ এক অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে দিন যাচ্ছে আমার। কোথা থেকে তার আগমন আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা। এর থেকে পরিত্রানের পথ খুঁজতে গিয়ে মনে হচ্ছিলো রাজকন্যার কাছে চিঠি লেখা শুরু করি। মনটাকে ওর কাছে ছাড়া ভালো আর কারো কাছে খুলতে পারবোনা।

ছোট্ট সোনাপাখিরা আমাদের ভালো থাকুক। তখনকার অনুভূতি দিচ্ছো। এখনকার অনুভূতিগুলো নিয়েও লিখতে থাকো।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ওর জন্মের পরের অনুভূতিগুলোও লিখে রাখতে চেয়েছিলাম, কবে ও প্রথম হেসেছে, কবে ওর দাঁত উঠল, কবে কাত হয়ে শুলো এমন আরো কত কি! কিন্তু ওই সময়টায় এত বিক্ষিপ্ত ছিলাম যে আর লেখা হয়ে ওঠে নি, সব হারিয়ে গেছে।

ভাল থাকুক আমাদের সোনাপাখিরা।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪

আমি ইহতিব বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

মনে হচ্ছিল আমার মনের কথাগুলোই যেন আপনি আপনার মেয়েকে বলছিলেন, আসলে মাতৃত্ব এমনই মনে হয়। প্রতিটি মায়ের চিন্তাধারা সার্বজনীন আবার ইউনিকও।

মজার ব্যাপার কি জানেন, আমার মেয়েও তার নানীকে নান্নান ডাকে।

অনেক অনেক দোয়া মেয়ে ও মায়ের জন্য।

পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনি আমার এই চিঠিগুলোর একজন নিয়মিত পাঠক ছিলেন, অন্য নিকে। ভুলে গেছেন বোধহয় :)

আমার মেয়ে এখনও ডাকতে শিখে নি। নান্নান ডাকটা আরেকজনের কাছে শুনেছিলাম, খুব ভাল লেগেছিল বলে ওভাবে লিখেছি।

ধন্যবাদ বিথী।

শুভকামনা রইল।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

অজানাবন্ধু বলেছেন: একবার কি হয়েছে জানিস? রেললাইনে বাস আটকা পড়ে গেছে। ওদিকে ট্রেন আসছে। সবাইতো হুড়মুড় করে বাস থেকে নামছিল। কিন্তু মা কি করেছে জানিস? যেখানে বসে ছিল সেখানেই চুপটি করে বসে অলস চোখে ছুটে আসতে থাকা ট্রেনের দিকে তাকিয়ে ছিল।


কোন মানুষ এমন করতে পারে?

আপনার দেখি সত্যিই অনেক সাহস।

আপনার, আপনার মেয়ের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া রইল।
আল্লাহ আপনাদের সহায় হোক।
আমীন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নাহ এটাকে খুব সাহস বলা যায় না, বরং নিস্পৃহতা বলা যেতে পারে। আমি একটা সময় খুব বেশি নিস্পৃহ হয়ে গিয়েছিলাম।


অনেক ধন্যবাদ অজানাবন্ধু।

ভাল থাকুন আপনিও।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

মামুন রশিদ বলেছেন: মুহূর্তের অনুভবগুলি কি চমৎকারভাবে লিখে রেখেছেন ডায়েরিতে!

এই অপার্থিব অনুভবগুলো শুধুই মা'কেই ছুঁয়ে যায় । বাবারা শুধুই হতবাক, বিস্ময় আর ঘোরলাগা নিয়ে অস্থির মুহূর্ত অতিক্রম করে, পরে ক্রমান্বয়ে অনুভবটুকু স্পর্শ করে তাদের হৃদয়ও ।

আপনার ডায়েরীর ছোট ছোট অনুভবগুলো হৃদয় ছুঁয়ে গেল ।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন আপু ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।


ভাল থাকুন সমসময়।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

শুঁটকি মাছ বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপু।পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন আমার মাইয়ের অনুভূতিগুলো পড়ে যাচ্ছি।আমার জন্মের সময় আম্মুর খুব কষ্ট হয়েছিল।আম্মুর জীবন নিয়ে টানাটানি!পরে আম্মুর মুখে এসব কথা শুনে আম্মুকে বলেছিলাম, " এই যে আমি তোমাকে এত কষ্ট দিলাম,তোমার আমাকে ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা হল না?"
আম্মু বলেছিল, "সন্তানের প্রতি মায়ের কেমন মায়া তা যখন নিজে মা হবে তখন বুঝবে।"
আপনার লেখা পড়ে সেই মায়াটা কিছুটা অনুভব করতে পেরেছি আপু!!!!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: "সন্তানের প্রতি মায়ের কেমন মায়া তা যখন নিজে মা হবে তখন বুঝবে।"সত্যি নিজে মা না হলে এটা কখনো বোঝা যায় না। আমাদের একটু জ্বর বা শরীর খারাপ হলে আমার মা বলতেন, 'তোর গায়ের জ্বরটা আমার গায়ে চলে আসুক।' খুব বিরক্ত হতাম শুনে। কিন্তু এখন মেয়ের একটু কষ্ট হলে আমার নিজেরও মনে হয়, যত কষ্টই হোক আমিতো সহ্য করতে পারবো। কিন্তু আমার মেয়ে কেমন করে পারবে! ওর কষ্টগুলো আমার হয়ে যাক।

পৃথিবীর মা আর তাদের সন্তানরা ভাল থাকুক।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

গোর্কি বলেছেন:
ভীষণ আবেগী লেখা। ছুঁয়ে গেল অনুভূতির অনবদ্য অসাধারণ প্রকাশ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ গোর্কি।

শুভেচ্ছা।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ভালো লাগল আপু, বিশেষ করে আপনার ছোট্ট মেয়েটি যখন বড় হবে এই চিঠিগুলো হবে তার এক অমূল্য সম্পদ। এখান থেকেই সে জীবনের মায়া, ভালোবাসা গুলো সম্পর্কে জানবে। সে জানবে একজন সন্তান তা মা এর কাছে কত অমূল্য। একজন ভবিষ্যত মা হিসেবেও তার এই অনুভুতিগুলো অনেক মূল্যবান।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ও যেন বুঝতে পারে আমাকে, আমি যদি কখনো নাও থাকি ও যেন জানতে পারে মা ওকে কতটা ভালবাসতো!

আমার পরীটা অনেক অনেক ভাল থাকুক।

ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালবাসা।

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক দিনপর পড়লাম
সমুদ্রকণ্যার লেখা।
ভালৈা লাগলো সবগুলই

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল। ভাল লাগল অনেক দিন পর দেখে।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: খুব আবেগময় লেখাঁ। অনেক ভালোলাগা রইলো।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক খান।

শুভেচ্ছা।

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

মশিকুর বলেছেন:
নিঃসন্দেহে মা জাতীর উপর ভালবাসা আরও বেড়ে গেল। এক নিঃশেষে পড়লাম। দুই পর্ব কেন কয়েকশো পর্বও একবারে পড়া সম্ভব। পরের পর্ব এখনি চাই।।

বুঝতে পারছি না কতোগুলো + দিবো?? তবে এখানে জায়গা হবে না আমি নিশ্চিত।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার কথা শুনে ভাল লাগল খুব। খুব বেশি অবশ্য লেখা হয়ে ওঠে নি। আর এক পর্বেই শেষ হয়ে যাবে।

ধন্যবাদ মশিকুর।

ভাল থাকুন।

১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

ভিয়েনাস বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ছি আর আমার নিজের ভেতর অজানা এক শিহরণ কাজ করছে।মাঝে মাঝে মনে হয় কি অদ্ভূত ব্যাপার একজন মানুষের মাঝে আরেকজন মানুষ।আর মা হতে গেলে যে কত সুখ-দু:খের মুখোমুখী হতে হয় তা শুধু একজন মা ই জানেন।অনুভূতিই অন্যরকম।মা ছাড়া কেউ বুঝবে না।

অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার ছোট্র সোনামণির জন্য :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস।

শুভকামনা আপনার জন্যও।

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৭

একজন আরমান বলেছেন:
অনুভূতিরা বেঁচে থাক।

মিতিন যখন বড় হবে তখন এই লেখাগুলি ওকে পড়তে দিবেন। যদিও মায়ের ভালোবাসাটা অনুভব করে নেওয়া যায়।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই লেখাগুলি অবশ্যই ও পড়বে। মাকে চিনতে শিখতে হবে ওকে।

আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখুক ওকে।

ধন্যবাদ আরমান।

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

নাসরীন খান বলেছেন: সুনবদর অনুভূতি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নাসূ।

শুভেচ্ছা।

১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: কি কমেন্ট করবো বোঝতেছি না.....

ভীষণভাবে টাচ করছে চিটিগুলা

আমি এক মা'কে চিনি যে এভরি ২ উয়িক হাসপাতালে যাইতেন, বাচ্ছার ছবি তুলে আনতেন। সেই ছবি এলবামে সাজিয়ে রাখতেন। তারপর প্রতিদিন সেই ছবিগুলা দেখতেন আর তুলনা করতেন কত বড় হল, ছবির সাথে কথা বলতেন।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: খুব ঘন ঘন আল্ট্রা সাউন্ড না করাই ভাল যতদূর জানি। তাতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।

আমি একটা সাইটে দেখেছিলাম, প্রতি সপ্তাহের পরিবর্তনগুলো লেখা থাকতো সেখানে। প্রতি সপ্তাহে দেখতাম, পড়তাম, কল্পনা করতাম।

ধন্যবাদ মাসুম ভাই।

শুভকামনা।

১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মায়েদের অনুভূতি এমনি হয় বুঝি!
খুব চমৎকার আপু!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।

শুভেচ্ছা।

১৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ছোট্ট মিতিন যখন বড় হবে, আর এই লেখাগুলো পড়বে তখনকার সময়টা কতটা আবেগ আর শ্রদ্ধার হবে ভাবতেই ভালো লাগছে।
তার মা তার জন্য কত অমূল্য সম্পদ তাকে দিয়ে যাচ্ছে, সে অনুধাবন করবে যখন তখন বুঝবে, এইসব গর্ব করার জিনিস সবার হয়ে উঠেনা। সকল মায়েরাই স্বপ্ন আর ভয়ের ভেতর দিয়ে অঙ্কুরটিকে জীবন্ত মানুষ করে তোলে, কিন্তু অনুভূতিগুলোর প্রকাশ সন্তানের জানা, বিরাট ভাগ্যের।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মিতিন যেন বুঝতে পারে তার মায়ের অনুভূতিগুলো।

ধন্যবাদ দূর্জয়।

ভাল থেকো সবসময়।

১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

আমি ইহতিব বলেছেন: জলছাপ নিকে ছিলেন কি আপু?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হ্যাঁ জলছাপ। একান্ত এই অনুভূতিগুলো নিজের করে লুকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হল শেয়ার করি সবার সাথে। তাই এই নিকেই দিয়ে দিলাম।

১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

অদৃশ্য বলেছেন:





শুরু করলাম...


শুভকামনা...

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শুভকামনা...

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: বুঝি নাই ।

আমাদের ছেলেদের পক্ষে এই লেখা বুঝে নেয়া সম্ভব বলে মনে হচ্ছেও না।

পুরুষতান্ত্রিক আগ্রাসনের মধ্যে এই একটা ব্যপার মনে হয় পুরোপুরি নারীময়! পুরুষের কোনো প্রবেশাধিকারই নাই!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শিশুর জন্মের জন্যে অপেক্ষমান একজন নারীকে একজন পুরুষ কতটা বুঝতে পারে? একজন পুরুষ গর্ভধারণ করতে পারে না। এটা কি সুবিধা? নাকি সীমাবদ্ধতা? এতদিন যেটাকে মনে হচ্ছিল সুবিধা, এখন সেটিকেই মনে হচ্ছে সীমাবদ্ধতা। নিজের শরীরের ভেতর আরেকটি জীবন লালন করার মধ্যে একধরনের গর্ব আছে, গর্ব আছে একজনের ভেতর দুজনকে অনুভব করার মধ্যে। ----ওরিয়ানা ফাল্লাচি

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

অদৃশ্য বলেছেন:






অসম্ভব সুন্দর অনুভূতির প্রকাশ... মায়েরা বুঝি ঠিক আপনার মতো করেই ভাবে... লিখাটি পাঠে মুগ্ধ না হয়ে উপায় ছিলোনা... মুগ্ধ পাঠ

আপনার সন্তান থাক দুধে-ভাতে... আলো-ছায়ায়... অপার্থিব মায়ায়...


শুভকামনা...

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার সন্তান থাক দুধে-ভাতে... আলো-ছায়ায়... অপার্থিব মায়ায়...


ধন্যবাদ অদৃশ্য।


শুভকামনা।

২২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

অচিন্ত্য বলেছেন: পড়তে পড়তে এত ভাল লাগছে যে মাঝে মাঝে চোখটা একটু ভিজে উঠছে।

"খোকা মাকে শুধায় ডেকে —

‘ এলেম আমি কোথা থেকে ,

কোন্‌খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে । '

মা শুনে কয় হেসে কেঁদে

খোকারে তার বুকে বেঁধে —

‘ ইচ্ছা হয়ে ছিলি মনের মাঝারে । "

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ইচ্ছা হয়ে ছিলি মনের মাঝারে

ও আসবার আগে আমরা দেখে নেই নি ছেলে হবে নাকি মেয়ে। মুরুব্বীরা অনেক রকম লক্ষণ দেখে আগেই বলতে পারেন। প্রতিটা মানুষ বলেছিল তোমার ছেলে হবে। কিন্তু আমি কেন যেন জানতাম আমার মেয়েই হবে। মা-ই বোঝে একমাত্র এটা, এই অনুভূতি আর কারো নেই।

ধন্যবাদ অচিন্ত্য।

শুভেচ্ছা।

২৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

আমি ইহতিব বলেছেন: ওহ আপনিই সেই জলছাপ আপু। আমি কতদিন যে ঐ নিকে গিয়েছি আপনার নতুন লেখার আশায়, আপনার মেয়ের খবর জানার জন্য, আপনার নতুন খবর পাওয়ার জন্য। জানিনা আপনি খেয়াল করেছেন কিনা। পুরনো জলছাপ আপুকে সমুদ্র কন্যারূপে ফিরে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

মেয়ের বয়স কত হলো আর নাম কি রেখেছেন? অনেক আদর পাখীটার জন্য।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি দেখেছি আপনাকে বহুবার। কিন্তু আর লেখা হয়ে ওঠে নি বলে ওই নিকটা চালানো হয় নি।

ওর নাম শেখ আনাহিতা মিতিন। দশ মাস হয়েছে বয়স।

থ্যাংকস আপু। আপনার পরীটার জন্যও অনেক আদর।

২৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

toysarwar বলেছেন: আপনার পাখিটা একটা স্বাভাবিক দেশে বেড়ে উঠুক এ কামনা করছি। আমাদের প্রজন্মের কর্ম এর উপর বিকশিত দেশে একদিন আপনার পাখিটাকে দেখার আশা রাখি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সারওয়ার।


শুভেচ্ছা।

২৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

টুম্পা মনি বলেছেন: বাহ! অসাধারণ!!!!!!!!! আরো বেশি লাগল ভালো লাগল ছবিটা দেখে। একদম ন্যাচারাল। কি মোহনীয় বন্ধন!!!!! দেখলেই মায়ায় জড়ায়!!!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা।

শুভকামনা।

২৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেবল মায়েরাই এরকম আবেগ দিয়ে বলতে পারেন!

অনেক ভাললাগা রইল। সমুদ্র কন্যা এবং সমুদ্র কন্যা-কন্যার জন্য শুভেচ্ছা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রফেসর সাহেব।

শুভেচ্ছা রইল।

২৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১

কালীদাস বলেছেন: সমুদ্র-নাতনীর খবর আজকে জানলাম :) অভিনন্দন !:#P
পোস্ট হাসান ভাইয়ের ফেভারিটে, কি কমেন্ট করেছেন দেখার ইচ্ছা ছিল :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস।


ভাল থাকুন।

২৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: // আমি সবকিছুকেই ভয় পাই, এমনকি বাতাসকেও। কোনভাবে, কোনভাবেই কেউ যেন তোর ক্ষতি না করতে পারে। //

এগুলি কি চিঠি ছিল ?? অক্ষর ছিল নাকি ? মনে হয়েছে চিঠিভর্তি করা কেবল মমতা আর মমতা ।

ভাল লাগা রইলো ।
আর অনেক অনেক ভালবাসা ও আশীর্বাদ মিতিনের জন্য !

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অয়ন।


শুভেচ্ছা।

২৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: মমতা মাখা লেখা - এটা কেবল মায়েদের পক্ষেই সম্ভব।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হ্যাঁ আহসান...এটা কেবল মায়েদের পক্ষেই সম্ভব।

ধন্যবাদ।

৩০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২০

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: মা...................

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মা..................

৩১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

সুমন কর বলেছেন: অসাধারণ, প্রতিটি চিঠি!! মায়ের মমতা মাখা। মিতিন সুস্থ ও সুন্দরভাবে বড় হয়ে আর্দশ মানুষ হয়ে উঠুক -- এই কামনা করি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন।

শুভেচ্ছা।

৩২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

নেক্সাস বলেছেন: বাহ মেয়ের কাছে মায়ের সুন্দর চিঠি। পড়ে খুব ভাল লাগলো সমুদ্রাপা

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।


ভাল থাকবেন।

৩৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

সোমহেপি বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট। আমার এরকম একটা লেখা পড়া অনেক জরুরী ছিলো।
কেননা আমরা এক্ষেত্রে নিরুপায়। অবশ্য অনুভূতি গুলোর মধ্যে যদি প্রদর্শেনচ্ছা বা কৃত্রিম কিছু না থাকে। বিশ্বাস করতে পারি?

পড়া শুরু করব।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নিজের ভিতরে একটা নতুন প্রাণ সৃষ্টি, ৪০ সপ্তাহ ধরে তাকে ধারণ, তিল তিল করে গড়ে তোলা, বড় করা, প্রতিটা দিন প্রতি মিনিট, সেকেন্ড অসহনীয় কষ্ট করা এবং তারপরে একজন সন্তানকে জন্মদান...মিনিট দশেকের আনন্দ উপভোগকারী একজন পুরুষ যার একখানা বীর্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় তার পক্ষে এসব কিছুই বোঝা সম্ভব নয়। এবং তার পক্ষেই এমন স্পর্ধার উচ্চারণ করা সম্ভব যে একজন মা তার গর্ভকালীন সময়কার যে অনুভূতিগুলো পরম মমতায় লিখে রেখেছিল সেগুলো প্রদর্শনেচ্ছায় বা কৃত্রিম।
পরামর্শ দিবো আপনি বরং পড়বেন না আমার এই অনুভূতিগুলো। আমার সন্তানের প্রতি আমার ভালবাসার অপমান করবার অধিকার আপনার নেই।

৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপাতত বুকমার্ক করে রাখলাম। পরে পড়ব সময় করে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আচ্ছা।

৩৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ভীষন রকম আলোড়িত হইলাম আপনার লেখা পড়ে, ভীষন রকম! অদ্ভুত রকম একটা অনুভূতি, না? অনেকটা ঈশ্বরের কাছাকাছি, একটা নতুন প্রান কে ধারন করা! আপনার কন্যার জন্য এই লেখাগুলো এক অমূল্য সম্পদ হয়ে রইলো! ওর যখন খুব একা, হতাশ আর বিষন্ন লাগবে, এই চিঠি গুলো ওর মন ভালো করে দেবে নির্ঘাত! সেও হয়ত তার সন্তানের জন্য রেখে যাবে কিছু ভালোবাসার পত্র!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভীষণ অন্যরকম একটা অনুভূতি, একমাত্র যার হয় সে-ই বোঝে। যতদিন মা হই নি আমার পক্ষেও বোঝা সম্ভব ছিল না। এই সম্পদগুলোর মূল্য যেন সে বুঝতে পারে, সে যেন বুঝতে পারে মা তাকে কতটা ভালবাসতো। সেও যেন এমনি ভালবাসা ধারণ করতে পারে নিজের ভেতর।

শুভেচ্ছা ইফতি।

৩৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন: লেখাটা পড়ে এমন একটা অনুভুতি হয়েছে আমার আপনাকে বুঝাতে পারব না ।
আসলেই প্রতিটি মা বাবার এত এত স্বপ্ন থাকে যে সন্তানদের নিয়ে বলে শেষ করা যাবেনা।

জানিনা আমি আমার মা বাবার স্বপ্ন কতটুকু পুরুন করতে পারব বা পাড়ছি।

দোয়া করি আপনার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।

নামটা কি বলা যায় ???

আমার একটা কবিতা তাকে ডেডিকেট করলাম।


" আমাদের জেনি "


জেনি বাবু রাগ করেছে
ঠোট গেছে তার বেকে
মামনি তার ছুটে এলো
সকল কাজ রেখে ॥

জেনির মা বলছে,
কি হয়েছে লক্ষি আমার
মুখটি কেন ভার
মায়ের কাছে খুলে বলো
এমন হবেনা আর ॥

জেনি মুচকি হেসে বলছে, তুমিনা মা বলেছিলে
আমি নবজাতক শিশু
তাই ল্বজ্জা সরম খেয়ে
বিছানায় করেছি হিসু ॥

জেনির বাবা বলছে,
এই দেখোনা জেনির মা
তোমার মেয়ের খেলা
আমার কোলে থেকে সে
মায়ের দিকে মুখ করে,
করছে আমায় অবহেলা ॥

জেনির মামা বলছে,
এত ছোট হয়েছিস তুই
কি করে নেই বল কোলে
কতো আদর করছি দেখ
যাসনে যেন ভুলে ॥

জেনির খালামনি বলছে,
কান্না আর করবেনা তুমি
এবার মুখটি করো চুপ
কাতুকুতু আর সুরসরিতে
মাতিয়ে রাখবো থুব ॥

আমি বলছি,
শুনো তুমি চন্দ্রকুমারী
আদরে আদরে থেকো
বড় হয়ে আলো ছড়িয়ে
বংশের মান রেখো ॥

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার চমৎকার কবিতাটার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রাসেল।

আমার মেয়ের নাম মিতিন।

শুভেচ্ছা রইল।

৩৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

সোমহেপি বলেছেন: আমি আপনার লেখাটা পড়ছিলাম আর চোখে পানি জমছিলো বারবার ।

আমি হিসেব করে দেখেছি বিগত চৌদ্দ বছরে যতবার বাড়ি গেছি ততবারই মায়ের সাথে ঝগড়া হয়েছে । কতবার প্রাণ পণ চেষ্টা করেও ঝগড়াটা না করে পারিনি । আমি কোন ভাবেই সেটা চাই না।

ব্যতিক্রম হল এবার।
মায়ের সাথে করিনি বটে তবে এবার বাবাকে ধরেছি। আমি সত্যি চাই তাদের সাথে ভাল থাকতে । কিন্ত কোথায় যেন আমার নিয়তি লেখা আছে ।
আপনার লেখা পড়ে আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে । আমার দুঃখিনি মা কে মনে পড়ছে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মায়ের সাথে আমারও আগে খুব ঝগড়া হতো, কিছুতেই বনতো না দুজনের। কিন্তু একসময় আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেলাম, সবকিছু শেয়ার করতে লাগলাম। এবং জানলাম পৃথিবীর সবাই যখন মুখ ঘুরিয়ে নেয়, একমাত্র মা-ই তখন সমস্ত দুঃখ বুঝতে পেরে বুকে জড়িয়ে ধরেন।

মায়ের সাথে ঝগড়া মিটিয়ে ফেলুন।

শুভেচ্ছা।

৩৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



অনেক টাচি একটা লেখা, কেবল মাত্র একজন মায়ের পক্ষেই লেখা সম্ভব।

শুভকামনা নিরন্তর।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই।

ভাল থাকুন।

৩৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সমুদ্র কন্যা,



এখানে একজন নারীর মা হয়ে ওঠা বলবোনা , বলবো একজন মা'য়ের শাশ্বত নারী হয়ে ওঠার প্রতিটি মূহুর্তের অনুভব সুন্দরতম হয়েছে ।
সবে হয়ে ওঠা মায়ের শরীরে যে রসায়ন খেলা করে যায় তা শুধু তাকেই মানায় ।

ব্লগার মামুন রশিদের সাথে গলা মিলিয়ে বলি - এই অপার্থিব শিহরনের কানাকড়ি ও পুরুষদের জুটবেনা কোন্ওদিন !

আপনার চোখ বুজে থাকা মেয়েটি একদিন চোখ মেলে দেখুক , তার জন্যেও অফুরান স্নেহের পাপড়িরা একদিন পরতে পরতে খুলে দিয়েছিলো তার সবক'টি জানালা এই ব্লগের মায়াময় এক ঘরে........

আপনাদের দু'জনার জন্যেই আশীর্বাদ রইলো ।


১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস।

ভাল থাকুন সবসময়।

৪০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

পাগলমন২০১১ বলেছেন: কী মন্তব্য করব বুঝতে পারছিনা। দোয়া করি আপু, তোমার আদরের ছোট্ট খুকিটা তোমার মতই হোক।

শুভকামনা।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পাগলমন।


শুভেচ্ছা।

৪১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

চানাচুর বলেছেন: মন ছুঁয়ে গেল। আম্মুর কথা মনে পড়ে গেল :(

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ চানাচুর।


শুভেচ্ছা।

৪২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১১

জাফরিন বলেছেন: খুব ধীরে ধীরে পড়লাম আপু, কেন যেন আমারো তাড়াহুড়া করতে ভয় হচ্চিল। মন্তব্য করার কিছু নেই, তবে সময় হলে আমি হয়ত আরেকবার লেখাটা পড়ে নিজের সাথে মিলিয়ে দেখব...।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সময় হলে নিজের অনুভূতিগুলো এভাবেই ধরে রাখবেন।

ভাল থাকবেন।

৪৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

বৃষ্টিধারা বলেছেন: অনেক লম্বা সময় নিয়ে পড়লাম ।

আমি অনেক অধৈর্য টাইপ,লম্বা পোস্ট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি ।

অনেক অনেক ভালো লাগলো পড়তে । মনে হলো আমি আমাকে দেখলাম ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বৃষ্টিধারা।


শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.