![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................
আমার মেয়ে পৃথিবীতে আসবার আগের সময়গুলো আমি আমার অনুভূতি টুকে রাখবার চেষ্টা করতাম। চেয়েছিলাম প্রতি মূহুর্তের সমস্ত কথা লিখে রাখতে। কিন্তু লেখালেখির প্রতি আমার চিরকালের আলসেমি, ব্যস্ততা, অসুস্থতা সব মিলে খুব বেশি লেখা হয়ে ওঠে নি। যতটুকু লিখেছি তার একটা সংকলন দিয়ে দিলাম এখানে। তবে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে বলে সব একবারে দেয়া গেল না। দুই পর্বে দিলাম।
প্রথম পর্ব
তোর কাছে চিঠি (৬)
২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০১২
কতদিন লিখি না তোকে! অথচ রোজই ভাবি আজ লিখবোই। কিন্তু কেমন যে একটা আলস্য পেয়ে বসে, তাই লিখতে বসাই হয় না। রাগ হয়েচে মার ওপর? একটু একটু রাগতো এখন তোর হয়ই, খুব জানি। কিন্তু মার ওপর কি আর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকা যায়!
এখনতো তুই বেশ বড়সড় হয়ে উঠেছিস। পাক্কা এক ফুট। আর দেখতেও একদম ছোট্ট একটা ডলপুতুল হয়ে গেছিস। হাত, পা, নাক, ছোট ছোট চোখ, একটা মুখ, হাঁসের বাচ্চার রোমের মতন চুল, মুখের ভেতরে ছোট ছোট দাঁতের গোড়াও গজিয়ে গেছে। আমার সোনামণিটা দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেছে!
যেদিন তোকে প্রথম দেখলাম আল্ট্রাসনোগ্রামের স্ক্রীনে, ছোট্ট মানুষটা তুই ভেসে বেড়াচ্ছিস, হাত দুটো বুকের কাছে জড়ো করে রাখা, আর তোর বুকটা কী ভীষণ শব্দে ধুকপুক করে যাচ্ছে! তোকে কেমন করে বোঝাবো কেমন লাগছিল! টলোমলো চোখে শুধু চেয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর স্ক্রীনটা ঝাপসা হয়ে এল। তোর বাবাকে ডাকা হল দেখার জন্য। তার চেহারাটা যদি দেখতি তখন। মুখ-চোখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, বুঝতে পারছিলাম গলা শুকিয়ে কাঠ, চোখে কেমন উদভ্রান্ত দৃষ্টি! ওই বিশাল মানুষটা, বের হয়ে দেখি সেও চোখ মুছছে। সোনামানিক, তোকে আমরা অনেক অনেক ভালবাসি।
আর যেদিন তুই প্রথম নড়ে উঠলি, সেওতো চব্বিশদিন হয়ে গেল। পেটের ভেতর ছোট্ট নরম একটা ধাক্কা। একেবারে বোঝা যায় কি যায় না, এতই হালকা। ওই প্রথম, তোর অস্তিত্বের জানান দিলি তুই। কেঁদেছিলাম ওইদিনও, বড় সুখের কান্না সেটা।
আর এখনতো তুই খুব সেয়ানা হয়ে গেছিস। রীতিমত যুদ্ধ চালিয়ে যাস মাঝে মাঝে। আর জোরেসোরে গান চললেতো কথাই নেই। একেবারে ব্রেক ড্যান্স শুরু হয়ে যায়। বাবার মতই গানপাগলা হচ্ছিস বুঝি দিনকে দিন! কাল রাতেইতো, বাংলাদেশের খেলায় সাপোর্ট দিতে তোর সে কি লাফালাফি! কালতো আমার হেরেই গেলাম সোনা। মন খারাপ হয়েছিল খুব, বাবার মত? এইজন্যই আজ এত চুপচাপ হয়ে আছিস? কাল হেরেছি তো কি হয়েছে? এরপরের বার আমরা ঠিকই জিতবো দেখিস। তোকে অবশ্যই এটা মেনে নেয়া শিখতে হবে যে, খেলায় হারজিত আছে, থাকবেই। কিন্তু আমরা চেষ্টা করে যাবো।
মার শরীর আজকাল খুব খারাপ থাকে, তুই কি বুঝিস? খুব কষ্ট করে কাটাতে হচ্ছে দিনগুলো। কিন্তু তোর জন্য মা সব করতে পারে। শুধু তুই যেন ভাল থাকিস, সেজন্য যেকোন কষ্ট সহ্য করতে পারে। এই বিশ্বাসটুকু রাখিস।
তোকে অনেক ভালবাসি ছোট্ট পাখি...অনেক অনেক বেশি...
তোর কাছে চিঠি (৭)
১৭ই অক্টোবর, ২০১২
আমার আজকাল তোকে নিয়ে কী ভীষণ ভয় যে হয়েছে! সবকিছুতেই আমি ভয় পাই। কিছুদিন আগেও যে ভয়টা আমি পেতাম শুধু তোর বাবাকে নিয়েই, বিচিত্র সব ভয়!
আমি ইদানিং বড় বড় দালান দেখলে ভয় পাই। মনে হয় এখন যদি ভূমিকম্প হয়, কি উপায়টা হবে। যদি সব হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়ে, ধ্বংস হয়ে যায়। আমরাতো কেউ বাঁচবো না। তাহলে আমার সোনামণিটাকে আমার আর দেখাই হবে না। ছুঁয়ে দিতে পারবো না তোকে, আদর করা হবে না। ভয়ে আমার গা শিউরে উঠে। একটা মুভী দেখেছিলাম কিছুদিন আগে, ইনসাইড নাম। সবটা তোকে বলবো না, ভয় পেয়ে যাবি। কিন্তু কয়দিন ধরে রোজই যখন রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে একা ফিরি আমার মনে হয় খুব ষন্ডা-গুন্ডা লোকজন এসে আমাকে আক্রমণ করবে আর ওইভাবে তোকে নিয়ে যাবে আমার কাছ থেকে। আমাকে যদি কেটে-কুটে ফেলে, তাতে আমার একটুও ভয় নাই। কিন্তু তোকে যদি নিয়ে যায় সোনা, আমি কি নিয়ে থাকবো তখন! আমি একটুতেই তাই চমকে উঠি।
এই পৃথিবীর আর কাউকে তোর জন্য নিরাপদ মনে হয় না, কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। তোর এক খালামণির কথা শুনেছিলাম, বাবু হওয়ার পর ডাক্তাররা তাকে গোসল করানোর জন্য একটু সরিয়ে নিতেই সে নাকি জোর চিৎকার করছিল, 'কোথায় নিচ্ছেন আমার বাবুকে!' তখন শুনে হেসেছিলাম। কিন্তু এখনতো আমারও এমন মনে হয়। এমন সব মানুষদের ভয় পাই আর সন্দেহ করি...যারা কখনো কোনদিন তোর কোন ক্ষতি করতে আসবে না। খুব খুব ভালবাসে তারা তোকে। তবু তাদেরও আমার ভয়। আমার কথা শুনলে ওদের নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট হবে। তুইও কি আমাকে খারাপ ভাবছিস সোনা? কি করবো বল! আমি যে মা!
তোর নানুমনিকে যখন বলি আমার কত কষ্ট হচ্ছে, তখন আমাকে বলে "মা হতে হলে কষ্ট করতেই হয়। কষ্ট না করলে মা হওয়া যায় না। আমরাও এমন কষ্ট সহ্য করেছি তোমাদের জন্মের সময়।" এরজন্যই বুঝি তোর জন্য আমার এত টান, এত ভালবাসা! মায়েরাতো এমনই হয়।
এরজন্যই বাঘ যখন নিজের বাচ্চাকে খেতে আসে, বাঘিনী জীবন বাজি রেখে লড়াই করে। তখন বাচ্চাই তার জন্য সবকিছু। মা পাখিটা নিজে না খেয়ে বাচ্চাকে খাওয়ায়। মাতো মা-ই, যে পাখি মা-ই হোক, বাঘ মা-ই হোক, আর মানুষই হোক।
কাল যখন সন্ধ্যার পর থেকে তোর নড়াচড়া টের পাচ্ছিলাম না, তুই কি জানিস কেমন অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম আমি! এইভাবে মাকে টেনসনে ফেলতে হয় বুঝিরে পাজী! ঘুমাচ্ছিলি তুই? সারাদিন খেলে টেলে ক্লান্ত ছিলি খুব। একটুখানি টুক টুক করেওতো জানান দিতে হয়, মা, আমি আছি। খুব ভাল আছি। নাকি সারারাত ঘুম হয় নি বলে ক্লান্ত ছিলি খুব! কষ্ট হয়েছিল তোর? আর তোকে কষ্ট দিবো না। প্রমিজ করছি সোনা। তুই ভাল থাকবি, অনেক অনেক ভাল। মা তোর জন্য কত অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে তাতো তুই জানিস। মার জন্যই তোকে ভাল থাকতে হবে।
তোর জন্য অনেক অনেক ভালবাসা...
তোর কাছে চিঠি (৮)
১লা নভেম্বর, ২০১২
আজকাল প্রায়ই মন খারাপ থাকে আমার, বিষণ্ণ থাকি খুব। সারাক্ষণ গোমড়ামুখে বসে থাকি, লুকিয়ে লুকিয়ে চোখও মুছি। যেন কত দুঃখ আমার মনে। দুঃখ পাওয়ার মত কিছু ঘটেছিল বটে। তবে আমি প্রমিজ করেছিলাম সেসব নিয়ে একদম ভাববো না, সব ভুলে যাবো। কিন্তু ভুলতে পারছি কি ছাই! আরো নতুন নতুন কত কি ঘটে মন খারাপের...নতুন-পুরানো সব মিলে আমি তখন আরো বেশি করে ডুবে যাই বিষণ্ণতায়।
আমার এইসব মন খারাপের সময়ে তুই আমার একটুখানি আনন্দ। তুই কি টের পাস এখন মায়ের মন খারাপ, দুঃখী মুখে বসে আছে বোকা মেয়েটা! আর তখন তুই টুক টুক করে নড়ে চড়ে মাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করিস বুঝি! মায়ের জন্য কষ্ট হয় বুঝি তোর? মায়ের কাছে থাকলে তখন কি করতি সোনা? গলা জড়িয়ে ধরে খুব করে আদর করে দিতিস, চুমু দিয়ে গাল ভরে দিতিস? কবে যে তোর ছোট্ট ছোট্ট হাত দুটো গালে ছোঁয়াতে পারবো, তোর তুলতুলে পা দুটোয় চুমু খেতে পারবো! অপেক্ষার সময়টা আজকাল বড্ড দীর্ঘ লাগছে।
তুই আসছিস...তাই নিয়ে কত লুকোচুড়িই না করতে হয়েছে আমাকে শুরু থেকে! তোর নানুমণি, দাদী কড়া করে আমাকে না করে দিয়েছিলেন হুট করেই যেন কাউকে বলে না বসি তোর আসার খবর। বলতে নেই নাকি! আমি ভেবেই পাই না, এত্ত খুশির একটা খবর কেন লুকোতে হবে, কেন বলতে নেই! কতজনকেই দেখেছি বাবু আসছে, বাইরে থেকে দেখে বুঝা যায় বলে তাদের লজ্জার শেষ নেই। লোকের সামনে যেতেও তাদের লজ্জা। আমাকেও কতজন বলেছে একটু সামলে থাকো, ঢেকে-ঢুকে থাকো। কিন্তু আমি এটাই বুঝি না, এতে লজ্জার কি হল!
আমি মা হচ্ছি...এরচেয়ে বড় গর্বের বিষয় আর কি হতে পারে! মা হওয়ার সমস্ত লক্ষণ ফুটে উঠেছে আমার শরীরে, এরচেয়ে বড় সৌন্দর্য আর কি হতে পারে! ওইদিন শাড়ী পরে যখন নামছিলাম সিঁড়ি দিয়ে, আমার নিজেরই নিজেকে কেমন পুতুল পুতুল লাগছিল। এটা যে কত সুন্দর একটা ব্যাপার, যারা বুঝে না বা বুঝার চেষ্টাও করে না, তাদের জন্য সত্যিই দুঃখ হয়।
তোকে কেন এইসব কথা বলছি তুই কি বুঝতে পারছিস? মনে রাখিস, সবাই সবসময় চাইবে তাদের সংস্কার, ভ্রান্ত ধারণা তোর উপরে চাপিয়ে দিতে, তোকে বাধ্য করবে সেইসব কাজ করতে। তুই কিন্তু কখনো এসব ভুলকে প্রশ্রয় দিবি না। যা সত্য আর সুন্দর তাই ধারণ করবি। তবে সেটা করতে গিয়ে অন্যের মনে দুঃখ দিস না যেন। তোকে শিখতে হবে কিভাবে একইসাথে অন্যকে ভাল রাখা যায় আবার সঠিক পথে চলে নিজেও ভাল থাকা যায়।
মায়ের মত নরম মনের হোস, কিন্তু দৃঢ় থাকিস নিজের অবস্থানে। কাউকে সুযোগ দিবি না তোকে কষ্ট দেয়ার, বা তোর অবস্থার সুবিধা নেয়ার। অনেক অনেক মুহূর্তই আসবে তোর জীবনে এমন, যখন যুক্তির চেয়ে আবেগ বড় হয়ে দাঁড়াবে। আমি তোকে কখনো আবেগ বিসর্জন দিয়ে যুক্তিসর্বস্ব হতে বলছি না, কিন্তু আবেগের জোয়ারটা এমনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করিস যেন সেটা তোকে গ্রাস না করে নেয়। সবসময় মনে রাখিস, অন্যকে সুখী করা যেমন অসম্ভব আনন্দের একটা ব্যাপার...তেমনি নিজে সুখী হওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করিস সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করতে।
আজ তোকে খুব কঠিন সব কথা বলে ফেললাম বোধহয়। ভয় পেয়ে যাসনিতো সোনা? ভয়ের কিচ্ছু নেই। যখন এইসব ঘটনাগুলোর ভেতর দিয়ে যাবি, একটু সাবধানে পা ফেললেই দেখবি প্রতিটা ব্যাপার কতই না সহজ আর সুন্দর।
ভাল থাকিস আমার লক্ষ্মীসোনা...অনেক অনেক ভাল...
তোর কাছে চিঠি (৯)
১৯শে নভেম্বর, ২০১২
তুই এখন আমার অস্তিত্বে এমনভাবে মিশে আছিস, প্রতিটা মুহূর্তে তোকে বলবার মত এত এত কথা থাকে যে আলাদা করে আর লিখবার কথা মনে থাকে না। এই বড়-সরটা হয়েছিস তুই এখন। গায়ে বোধহয় শক্তিও হয়েছে বেশ। হঠাৎ হঠাৎ এমন একেকটা ঢুশ মারিস, মাতো ব্যথাই পেয়ে যাই...দুষ্টুটা! আর একটু পর পরই একটা করে ডিগবাজি। কদিন আগেও হাত দিয়ে না ধরলে বোঝা যেতো না কি করছিস। কিন্তু আজকাল বাইরে থেকেই বেশ বুঝতে পারি। পেটের এপাশ থেকে ওপাশ যখন ঘোরাফেরা করিস, পেটটাও তখন এদিক ওদিক ফুলে ওঠে। গান শুনালেতো কথাই নেই, ওইদিন বাবা যখন গান গাইছিল তুইও এদিক ওদিক খুব একচোট নেচে নিলি। আর বাবারতো একেবারে চোখ ছানাবড়া। তোর বাবার ধারণা তুই ছেলেই হবি, মেয়েদের গায়ে নাকি এত শক্তি নাই। তুই যদি মেয়ে হোস, তবে বাবাকে দেখিয়ে দিস, মায়ের মত সবাই অত দুর্বল নয়। মেয়ে বলে তুই দুর্বল, এমন অপবাদ কক্ষণো কেউ যেন দিতে না পারে।
পেটের ভেতর এতটুকু জায়গায় তুই আছিস এখন। তোকে জায়গা দিতে তাই আমার পেট আরেকটু বড়, আরো একটু বড় হল। আর খুব স্বাভাবিকভাবেই তাই চামড়া কিছুটা ফেটে গেছে পেটের আশেপাশের। প্রথম প্রথম আমার খুব মন খারাপ হতো এটা দেখে, "কেমন বিচ্ছিরি হয়ে গেছে দেখতে"। কিন্তু ওইদিন খুব ভাল করে খেয়াল করে দেখলাম, চারদিকের চামড়ায় ফাটা ফাটা দাগ দেখতে কেমন বাঘের ডোরাকাটা দাগের মত লাগছে। মনে পড়ল কয়দিন আগে দেখা একটা ভিডিওর কথা, যার শিরোনাম ছিল এমন "I am a proud tigress who earned her scratch…"।
সত্যি আমি সেই গর্বিত বাঘিনী, যাকে বহু কষ্ট স্বীকার করে তার ডোরাগুলো অর্জন করে নিতে হয়েছে। পৃথিবীর কোন পুরুষের এই গর্ব অর্জন করার সৌভাগ্য হবে না কখনো। তারা এই কষ্ট, এই ত্যাগের সামান্যতমও কোনদিন অনুভব করতে পারবে না। পারবে না অনেক নারীও। যারা মা হওয়ার এই আনন্দ, এই গর্ব থেকে নিজেদের বঞ্চিত করে, তাদের জন্য করুণা ছাড়া আর কিছুই দেয়ার নেই।
তোকে এইসব কথা বলছি কারণ আমি চাই তুই এই গর্বের ভাগীদার হবি। যদি মেয়ে হোস তাহলে একদিন তুইও হবি একজন গর্বিত বাঘিনী। আর যদি ছেলে হোস তবে সম্মান করতে শিখবি মেয়েদের, মায়েদের।
তুই মেয়ে বা ছেলে যাই হোস না কেন তুই যেন সুস্থ, স্বাভাবিক, একজন ভাল মানুষ হিসেবে এই পৃথিবীতে আসতে পারিস সেই দোয়াই করি।
অনেক অনেক ভাল থাকিস আমার সোনাটা!
তোর কাছে চিঠি (১০)
১৬ই ডিসেম্বর, ২০১২
তোর বুঝি এক্ষুণি এক্ষুণি চলে আসবার খুব তাড়া হয়েছিল! এইজন্যই মাকে আর বাড়িসুদ্ধ লোককে এইভাবে ভয় দেখালি সেদিন। সকাল থেকে যখন হঠাৎ দেখলাম তোর কোন সাড়া-শব্দ নেই, নেই তো নেই...প্রায় বারটা বেজে যাওয়ার পরেও, আমিতো ভয়েই অস্থির। তোর বাবাকে বললাম, সে প্রথমে বুঝতেই পারল না। ভয়ে ভয়ে তোর নানুমণিকে ফোন করলাম। উনিতো সাথে সাথেই বললেন, তক্ষুণি হাসপাতালে চলে যেতে। তারপরও একবার ডাক্তারকে ফোন করে নিলাম। ডাক্তারও যখন একই কথা বলল, তখন সত্যিই ঘাবড়ে গেলাম। কোন কিছু চিন্তা করার আর সুযোগ ছিল না। তৈরি হয়ে তোর বাবার সাথে চলে গেলাম হাসপাতালে। তারও বেশ কিছুক্ষণ পর টের পেলাম তোর নড়া-চড়া একটু একটু করে। ওফ কি ভয়টাই না পেয়েছিলাম!
হাসপাতালে যেতেই ডাক্তার পেটের ওপরে একটা যন্ত্র রেখে তোর হার্টবিট মাপলেন। ধুক পুক...ধুক পুক...ধুক পুক...ওহ, মনে হচ্ছিল যেন টগবগ টগবগ করে পাগলা ঘোড়া ছুটেছে। অত অস্থির কেন রে? এক্কেবারে বাবার মতই হয়েছিস। যে নার্স হার্টবিট মাপছিল সে তো এই নিয়ে এমন মজা করছিল!
অত জোড়ে আর দ্রুত ধুক পুক হচ্ছিল শুনে সে বলছিল, ছেলে হবে তোমার। আমার জামাই আসবে। ১৬ই ডিসেম্বরে বিজয়ের মিছিল নিয়ে।
সত্যি যদি তুই আজ চলে আসতি, বেশ হতো। কিন্তু সোনা আমার, এখনো সময় হয়নি কিন্তু। যদিও জানি চলে আসবার জন্য তুই অস্থির হয়ে আছিস খুব। আমিও অস্থির হয়ে আছি অপেক্ষার এই দিনগুলো কবে শেষ হবে সে আশায়। তারপরও আরো কিছুদিন তোকে অপেক্ষা করতেই হবে। আমাকেও।
আর অল্প কয়টা দিন সোনা। এই কয়টা দিন একটু ধৈর্য ধরে থাক। আর ভাল থাকিস খুব।
তোর কাছে চিঠি (১১)
২৭শে জানুয়ারী, ২০১৩
অবশেষে তুই এলি! যেকোন দিন চলে আসবি তার জানান দিচ্ছিলি আরো দু-তিনদিন আগে থেকেই। যেমন তোর নানু আর দাদী বলেছিল, একটু একটু ব্যথা হবে, আস্তে আস্তে বাড়বে...
শেষের দিনগুলোতে আমি অপেক্ষা করতে করতে আমি অধৈর্য হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু যখন ব্যাপারটা শুরু হল তখন কেমন যেন ঘাবড়ে গেলাম। মনে হল 'এখনই না, আরেকটু সময় পেলে ভাল হতো'।
হঠাৎ করেই ওইদিন ভোর সাড়ে ছটায় ঘুম ভেঙে গেল, চোখ মেলে বুঝতে চাইছিলাম কি হল। ওই সময়ে ব্যথার অনুভূতিটা জানান দিল। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফোন করলাম তোর নানুকে। বলল, আরো কিছুক্ষণ দেখতে। ব্যথাটা আরেকটু বাড়ে কি না। বাড়ছিল...একটু একটু করে...বুঝলাম সময় হয়ে আসছে। ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। তারপর তোর বাবাকে জাগালাম। তোর দাদী উঠে এসেই বলল, এখনি হাসপাতালে যাচ্ছি আমরা।
যেতে যেতেও আমি খুব স্বাভাবিক আচরণ করছিলাম, যেন কিছুই হয় নি। সবার মধ্যে আমিই বোধহয় সবচেয়ে নিরুদ্বেগ ছিলাম। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরে ডাক্তার সব দেখে-শুনে বলল, দেরি হবে। আমার ডাক্তার আসবে আড়াইটায়। ততক্ষণ অপেক্ষা করতে। জানি না, ঠিক কয়টায় আমার ব্যথাটা ভীষণরকম বেড়ে গেছিল। বেডে শুয়ে একটু পর পর মুচড়ে উঠছিলাম। তোর বাবা শুকনো মুখে হাত ধরে বসেছিল পাশে। এরমধ্যে সিটিজি করা হল। তোর হার্টবিট খুব কম দেখাচ্ছিল, কোন নড়াচড়া নেই। এরমধ্যেই ডাক্তার এসে বলল আর দেরি করা যাবে না। এক্ষুণি সিজার করতে হবে। আমাকে ওটি ড্রেস পরিয়ে যখন হুইল চেয়ারে করে লিফটে তোলা হল, তখন আমি একেবারেই একা। তোর বাবা বা দাদী কেউই ছিল না সাথে। ব্যথায় অস্থির লাগছিল, সেইসাথে কী ভীষণ অসহায় মনে হচ্ছিল নিজেকে! শূণ্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম লিফটের দেয়ালের দিকে।
ওটিতে পৌঁছানোর পর আমার বোধ প্রায় লুপ্ত হল বলা চলে। পরে ভাবছিলাম 'মানুষের জন্য এটা বিশাল সৌভাগ্য যে তারা ব্যথার অনুভূতি ভুলে যায়। তা না হলে দ্বিতীয়বার সন্তান ধারণের চিন্তা কোন মা কখনো করতো না'। ওটি টেবিলে শোয়ানোর প্রায় দশ মিনিট পরে যখন আমাকে এ্যানেসথেসিয়া দিল, ম্যাজিকের মত আমার সমস্ত ব্যথাতো বটেই কোমরের নিচ থেকে বাকিটা একেবারে অসাড় হয়ে গেল। আমার মুখের সামনে একটা পর্দা টানিয়ে দিল যাতে আমি কিছু না দেখি। কিন্তু উপরের বিশাল লাইটের গ্লাসে আমি সবই দেখতে পাচ্ছিলাম। নিপুণ হাতে ডাক্তার আমাকে কেটে কুটে ফেললেন। এমনকি চামড়ায় যে টানটা পড়ছিল, তাও আমি টের পাচ্ছিলাম। ছোপ ছোপ লাল রক্ত দেখা যাচ্ছিল। তখন আর ভয় পাচ্ছিলাম না মোটেও, একমনে আল্লাহকে ডাকছিলাম শুধু। তারপর কতক্ষণ কতক্ষণ পরে শুনলাম তোর কান্না। তোকে তুলে নিয়ে ডাক্তার অন্য একজনের হাতে দিয়ে দিল। তারা তোকে অন্য রুমে নিয়ে গেল। আমি শুনতে শুনতে কেমন নিস্তেজ হয়ে গেলাম। ঘুমে চোখ নিস্তেজ হয়ে আসতে লাগল। তখনও জানি না আমার মেয়ে হয়েছে নাকি ছেলে। ডাক্তার দুজন গল্প করতে করতে কাটা অংশটুকু সেলাই করছেন, আর আমি ঘুমে ঢলে পড়ছি। এরমধ্যেই আয়া এসে দেখাল, দেখেন আপনার মেয়েকে। তুই জানিস তোকে দেখে কোন কথাটা প্রথমে বলেছিলাম? 'বুচি হইছে একটা!' আমার মত খাড়া নাক পাস নি দেখে বড় দুঃখ পেয়েছিলাম তখন। আরো চারঘন্টা আমি ছিলাম পোস্ট-অপারেটিভে। এরমধ্যে দুবার তোকে নিয়ে এসে খাইয়ে নিয়ে গেল। আমার এমন কাঁপুনি উঠেছে তখন, তোর চেহারাটাও ঠিক করে তখনও দেখি নি। কেবিনে নেয়ার পরেও না। আমিতো শুয়েই ছিলাম ওইদিন, তারপর দিনও দুপুর পর্যন্ত।
যখন প্রথমবারের মত তোকে কোলে নিলাম, মনে হচ্ছিল এই পুটুলিটা কি সত্যি আমার! অবাক হয়ে শুধু তাকিয়ে ছিলাম। প্রায় দুটো রাত আমি নির্ঘুম তোকে কোলে করে বসেছিলাম নিজেকে বিশ্বাস করানোর জন্য যে তুই সত্যিই আমার! সত্যিই আমি এখন এক মেয়ের মা!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার লেখাটির জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভকামনা কয়েস সামী।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
সোহানী বলেছেন: চমৎকার লিখা... সব মায়ের অনুভুতিই একই রকম তাই না......
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সব মায়ের অনুভূতি একইরকমই হয়।
ধন্যবাদ সোহানী।
শুভেচ্ছা।
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মায়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা!
ধন্যবাদ মাহতাব।
শুভেচ্ছা।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫
স্বপনচারিণী বলেছেন: আপনার উপর ভীষণ ঈর্ষা হচ্ছে। দারুন এক উপহার তৈরি করেছেন নিজের আর সন্তানের জন্য। অনেক দেরি হয়ে গেছে তারপরও শুরু করতে চাই। আমার ছেলেরাও পেটে থাকতে ব্রেক ড্যান্স করতো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমারও খুব আফসোস হয় ওর জন্মের পরের সময়গুলো লিখে রাখি নি বলে। রোজ ও একটু করে বড় হয়েছে, প্রতিদিন নতুন কিছু করতে শিখেছে, কত অদ্ভুত সেই সময়গুলো!
শুরু করে দিন আপু। যতটুকু মনে আছে ধরে রাখুন। ছেলেরা বড় হলে তাদের জন্য অনেক বড় একটা উপহার হবে এটা।
ভাল থাকবেন।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: মায়ের তোলানা শুধু মা-ই।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হ্যাঁ তাই...মায়ের তুলনা শুধু মা-ই।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো লাগল আপু । মা হওয়ার অনুভুতি বোধ হয় পৃথিবীর সেরা সুখময় অনুভুতি । খুব চমৎকার ভাবে ধরে রেখেছেন সে সব ডায়েরিতে ।
কিউটি মিতিন পাখিটার জন্য শুভকামনা ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
ভাল থাকবেন আপনিও।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
নেক্সাস বলেছেন: মা মেয়ের উপদেশ ক্লাস সত্যি অসাধারণ
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই।
শুভেচ্ছা।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
সুমন কর বলেছেন: মা এক অমূল্য সম্পদ! আজ আমি মাকে হারিয়ে পদে পদে বুঝতে পারি!
ভাল লাগল আপনার অনুভূতিগুলো।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মা না থাকবার কষ্ট সবচেয়ে বড় কষ্ট। মা সন্তানকে আগলে রাখেন ছায়ার মত। মাথার ওপরের ছায়াটা সরে গেলে সন্তান কত অসহায়!
ধন্যবাদ সুমন।
শুভকামনা আপনার জন্য।
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
নীলসাধু বলেছেন: ভাল লাগল পোষ্ট। বেশ ভালো।
একজন মায়ের কথা। চিরন্তন চেনা অনুভূতির সুন্দর প্রকাশ। বড় হয়ে আপনার মেয়েটি এসব জেনে খুবই খুশী হবে
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলসাধু।
স্বাগতম আমার ব্লগে।
শুভেচ্ছা।
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মায়ের জন্য ভালবাসা। মায়ের চিন্তা চেতনা আশংকা জুড়ে থাকে সন্তান। আপনার লেখায় সেটি আবারো প্রমানিত হলো। মমতাময়ী মা এর জন্য শুভকামনা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
ভাল থাকুন।
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: আপনার লেখা আজ বহুকাল পর লগ-ইন করতে বাধ্য করলো। কী সুন্দর! জমা থাক, মেয়ে পড়বে যখন নতুন করে অনুধাবন করবে, তার জন্ম কী বিশাল কামনার ছিলো!
বুচি কন্যা, খাঁড়া নাকের মা এবং বিশাল বাবার জন্য অন্তর থেকে শুভকামনা! মেয়ে বড় হোক, সুন্দর মানুষ হোক মা'য়ের স্বপ্নের মত।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এতদিন পর আপনাকে লগ ইন করাতে পেরে সত্যিই ভাল লাগছে। আমার পোস্টেও এলেন বহু বহু দিন পর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য।
ভাল থাকবেন সবসময়।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
একজন আরমান বলেছেন:
আপু আপনার চিঠিগুলো পড়ে মায়ের জন্য অনুভূতিগুলো আবার নাড়া দিয়ে উঠলো। পৃথিবীতে সব থেকে বেশি ভালোবাসি মা'কে। অথচ এই কথাটা এখনও বলতে পারিনি। যখন অসুস্থ হয়ে একা রুমের মধ্যে পড়ে থাকি, তখন মায়ের কথা বেশি মনে পড়ে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এটা বোধহয় আমাদের খুব কমন একটা সমস্যা। ভালবাসার কথাটা প্রকাশ করতে পারি না। মা, বাবা, ভাই, বোন কাউকেই বলে ওঠা হয় নি কতটা ভালবাসি।
ধন্যবাদ আরমান।
শুভেচ্ছা রইল।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, মা মার মত আপন পৃথিবীতে আর কেই নেই
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বেকার সব।
ভাল থাকবেন।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: একটা ছেলে হয়ে একটা মেয়ের মা হওয়ার অনুভূতি অনুভব করা কষ্টকর । তবুও আপনার লিখা হৃদয় ছুঁয়ে গেলো । চোখের কোণায় বোধহয় শিরশির করে উঠলো !
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার অনুভূতিগুলো আপনাকে স্পর্শ করতে পেরেছে জেনে খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ আদনান।
শুভেচ্ছা।
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা নিরন্তর।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমারো লিখতে ইচ্ছা করছে!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অবশ্যই লিখবে, যখন সময় হবে। প্রতিটা অনুভূতি ধরে রেখো, আমার মত অনেক কিছুই হারিয়ে যেতে দিয়ো না।
ভাল থেকো অনেক।
১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রথম পার্ট টা পড়েছি, দ্বিতীয় পার্টের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আফসোস হচ্ছে আমিও কেন লিখে রাখলাম না সব অনুভূতি।
এ যে কী অনন্য এক অনুভূতি মা ছাড়া কেউ বুঝবে না !
মিতিনের জন্য অনেক অনেক দোয়া আর আদর রইলো
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা।
১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: একটা বাবুর পৃথিবীতে আসবার সূচনালগ্ন থেকে ভূমিষ্ঠকাল পর্যন্ত খুব কাছাকাছি ছিলাম। কিন্তু তবু জানবার ইচ্ছে ছিল একজন মা কী কী ভাবেন তার অনাগত সন্তানটিকে নিয়ে।
ছোটবেলায় পড়েছিলাম, একজন অনাগত সন্তানের প্রতি মায়ের চিঠি বা এমনই শিরোনাম ছিল বইটির। কলকাতা থেকে প্রকাশিত। কিন্তু সেখানে যা ছিল তা ঠিক এমন করে অনুভূতিকে ধরে রাখা নয়। আপনার লেখাটা মনে করি অনেক দিন টিঁকে থাকবে, ভবিষ্যত মায়েরাও এ ব্যাপারটি নিয়ে ভাববেন। হয়তো অনেকেই চেষ্টা করবেন নিজস্ব অনুভব গুলোকে অক্ষরবন্দী করতে। সে হিসেবে আপনি পথিকৃৎ।
একজন নতুন মাকে অভিনন্দন আর নতুন শিশুটির জন্য আদর সহ অনেক শুভকামনা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সে সময়কার মায়ের অনুভূতিগুলো সন্তানের জন্য অনেক অনেক বড় একটা উপহার। আমারতো মনে হয় সবারই এমন লিখে রাখা উচিৎ।
অনেক ধন্যবাদ জুলিয়ান।
ভাল থাকবেন।
১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
আমি ইহতিব বলেছেন: হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি। কাল আসবো আবার।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন:
২০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মায়ের তুলনা শুধু মা-ই।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মায়ের তুলনা শুধু মা-ই!
ধন্যবাদ অভি।
শুভেচ্ছা।
২১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১
ইসতিয়াক অয়ন বলেছেন: আহা ! আহা !
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অয়ন।
২২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০
না পারভীন বলেছেন: আমাদের এক রোগী ও সেদিন বলছিল ,আপনারা কি করছিলেন ওটি লাইট এ আমি সব দেখেছি ,
আমি বলছিলাম ,হুম দেখা গেলেও তোমার দেখার কি দরকার ছিল .( এভাবে দেখার ঘটনা আমি তার মুখেই প্রথম শুনি )
মিতিন মামনি ও তার আম্মু আব্বুর জন্য শুভকামনা
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এইজন্যই আমি আমার ডাক্তারকে কিছু বলি নি, যদি বকা দেয়!
ধন্যবাদ নার্গিস আপা।
ভাল থাকবেন।
২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৬
ভিয়েনাস বলেছেন: অসাধারণ অনুভূতি...
শুভ কামনা মা মেয়ের জন্য
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভিয়েনাস।
শুভেচ্ছা।
২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৪
শোশমিতা বলেছেন: মায়ের অনুভূতির প্রকাশ করা যায়না, অনূভব করতে হয়। আর মা না হলে মায়ের অনুভূতি অনুভব করা যায়না। সন্তান যে মায়ের কাছে কি, এক মাত্র মা-ই জানেন। অসাধারণ এক অনুভূতি!
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।মুগ্ধ হয়ে পড়লাম সাথে অনূভব ও করলাম
বাবুটার জন্য অনেক অনেক আদর ও দোয়া।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনুভবে একাত্ম হতে পেরেছেন জেনে খুব ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ শোশমিতা।
শুভকামনা রইল।
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪
অদৃশ্য বলেছেন:
দারুন একটি কথা বলেছেন যে মানুষের সৌভাগ্য তারা খুব অল্প সময়ের মাঝেই ব্যথার অনুভূতি ভুলে যায়... মা হওয়াটা আসলেও অনেক অনেক কষ্টের ব্যাপার বলেই আমি শুনে থাকি...
লিখাটিতে আপনার অভি-ব্যক্তি খুবই সুন্দর... সম্ভবত মা হওয়া নিয়ে একজন মায়ের অনুভূতির প্রকাশ এভাবে পাঠ করাটা আমার এটাই প্রথম... একজন গর্ভবতী মায়ের এমন দিনলিপি আমার আর কোথাও পড়বার সুযোগ হয়নি... তাই লিখাটি আমাকে দারুনভাবেই আকৃষ্ট করেছে... আমি ভাবছি আমার মায়ের কথা... ভাবছি অন্য মায়েদের কথাও...
আপনার কন্যার সৌভাগ্য যে কোন একদিন সে জানতে পারবে পড়তে পারবে গর্ভে থাকাকালীন সময়ে তার প্রতি তার মায়ের অনুভূতির কথা...
পরিবারের সবার জন্য
শুভকামনা...
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অদৃশ্য।
শুভেচ্ছা।
২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
টুকিঝা বলেছেন: আমি শুধু ভাবছি আমার মা কেন আমাকে নিয়ে এরকম কিছু লিখলেন না!
প্রথম অক্ষর চেনার পর থেকে একটা একটা করে অসাধারণ চিঠি গুলো যখন পড়বে ও, ওর কি অদ্ভুত আনন্দ হবে সেটা ভাবতেই আমার আনন্দ হচ্ছে!
ভাল থাকুন আপু, সবসময়। আর লিখে যান। আর অনেক চিঠি লিখুন ওকে, বুঝতে শেখার পর থেকে ওর প্রতিটা জন্মদিনে একটা করে চিঠি দিন, তাহলে কি চমৎকার হবে ওর জীবনটা!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: খুব ইচ্ছা করে লিখতে, প্রতিদিন ভাবি লিখবো। কিন্তু কেন যেন লেখা হয়ে ওঠে না।
তোমাকে দেখে এত ভাল লাগল টুকি!
অনেক অনেক ভাল থেকো সবসময়।
২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
বৃতি বলেছেন: একজন চিরন্তন মায়ের অনুভূতি মন ছুঁয়ে গেলো । অনেক ভাল লাগা জানবেন সমুদ্র কন্যা ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি।
শুভেচ্ছা।
২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
সপন সআথই বলেছেন: mon chuye gelo...
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সপন সআথই।
২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: পড়তে পড়তে বারবার চোখ ভিজে উঠছিলো।
আমি নিজেকে একজন মা হিসেবে নিকৃষ্ট শ্রেণীর মনে করি। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণবশতঃ আমি এত তীব্র ভয়াবহ মানসিক চাপে ছিলাম যে আমার পক্ষে সেভাবে সম্ভব হয়নি নিজের সন্তানের সাথে কথা বলা (নেহাত গর্ভবতী না হলে, আরেকটি প্রাণের প্রশ্নের সাথে জড়িয়ে না গেলে আমি অতি অবশ্যই আত্মহত্যা করতাম)। মাঝে মাঝে শুধু তাকে Ain't no sunshine when she's gone গানটা গেয়ে শোনাতাম, আর কিছু সেভাবে করতে পারিনি। ঈশ্বর বলে যদি কেউ সত্যিই থেকে থাকেন এবং ন্যায়বিচার বলেও কোনও বস্তু আদৌ থেকে থাকে তবে ওরকম মানসিক চাপ যে ব্যক্তিটি সৃষ্টি করেছিলো সে তার প্রাপ্য বুঝে পাবে নিশ্চয়ই। পরবর্তীতে, ছেলের জন্মের পরও একেক সময় তাকে আত্মীয় স্বজনের কাছে রেখে আমি হুটহাট একেকদিকে চলে গেছি, কখনও শাহবাগ, কখনও বা শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব। সবকিছু মিলেই নিজের প্রতি একজন মা হিসেবে আমার অপরাধবোধ অনেক। সেটা সহসা কমবে বলে মনেও হয় না। সন্তানকে ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি, তার জন্য সাধ্যের শেষবিন্দু পর্যন্ত দিয়ে সবকিছু করে যাই তবু নিজেকে ঐ নিকৃষ্টই মনে হয়। তোমার লেখা দু'টো পড়ে মনে হচ্ছিলো তোমার মত মা হতে পারলে ভালো হতো।
মিতিনের জন্য আকাশপ্রমাণ ভালোবাসা। আমিও চাই সে তার মায়ের মতই হোক।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কোন মা-ই কখনো নিকৃষ্ট হতে পারে না। হাজার চেষ্টা আর কষ্ট করেও বাবাদের মায়ের কাছাকাছি পৌঁছানো সম্ভব না। আটত্রিশ সপ্তাহের প্রতিটা দিন, প্রতিটা মূহুর্ত পার করে উপলব্ধি করেছি এই সত্য।
ওই সময়ে আমি নিজেও কম মানসিক চাপে, অস্থিরতায়, কষ্টে ছিলাম না। বেবি সেন্টার ওয়েবসাইটটায় যেভাবে বলতো বাচ্চার সাথে কথা বলতে, তাকে গান শোনাতে, নিজে প্রফুল্ল থাকতে তার কিছুই আমি করতে পারি নি। এই চিঠিগুলো লিখে রেখেছি বটে, তবে গ্যাপ পড়ে গেছে অনেক। লেখার ছিল অনেক কিছু। সেসব ধরে রাখতে চাইলে রোজ না হলেও অন্তত সপ্তাহে একটা করে বিশাল চিঠি লেখা হতো। তা আমি করে উঠতে পারি নি।
আর ওর জন্মের পরে আমার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেবি ব্লু নামক ডিপ্রেসনে পড়েছিলাম। তোমার মত যদি হুটহাট কোথাও ঘুরে আসা যেতো তাহলেও হয়তো আমি কিছুটা ভাল ফিল করতাম। কিন্তু ব্রেস্ট ফিড করাতে হতো বলে সে সুযোগও আমার ছিল না। শাহবাগে যাওয়ার জন্য ছটফট করতাম আর মন খারাপ করতাম। কিন্তু যেতে পারি নি একদিনও। ওই সময়টায় আজব সব চিন্তা-ভাবনা মাথায় ভিড় করতো। একজন মায়ের মনে এমন চিন্তা আসা উচিৎ না। সেটা নিয়ে আমার অপরাধবোধও কম নয়।
আমার মত নয়, তুমি তোমার মতই একজন অসাধারণ মা। বুনোর চোখে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মা। এবং আমি চাই বুনো বাবার মত নয়, মায়ের মতই হোক।
৩০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
মশিকুর বলেছেন:
আগের পর্বের মতই +
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর।
শুভেচ্ছা।
৩১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
আমি ইহতিব বলেছেন: আপু চোখ ভিজে এলো আবার।
শামসীর ভাইয়ের "আমাদের তুই" পোস্ট পড়ে যেমন চোখ ভিজে উঠেছিলো, তেমনি আজ আবার আপনার লেখগুলো পড়ে চোখ ভিজে উঠলো।
মজার ব্যাপার কি জানেন আপনার আমার অভিজ্ঞতা অনেক মিলে গেলো। যেমন আমাকে দেখেও অনেকেই বলেছে আমার ছেলে হবে, কিন্তু আমি খুব চাইতাম আমার যেন মেয়ে হয়, আমার স্বামীও। আর আমি নিজেই ভয়ে প্রথমে অনেককে এই খুশীর খবরটা জানাইনি।
আমি ওটি রুমে আমার মেয়েকে দেখার আগ পর্যন্ত ভেবেছি যে আমার ছেলে হবে। ডঃ যখন ওকে বের করে আমাকে দেখিয়ে বললো দেখো তোমার পুতুলের মতো মেয়ে হয়েছে তখন ওর দুধে আলতা রং দেখে বিশ্বাস হচ্ছিলোনা এই পুতুল পুতুল মেয়েটা আমার।
শুভ কামনা মিতিন ও মিতিনের জন্য ভালোবাসায় ভরা মা বাবার জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার ফ্যামিলির সবাই চেয়েছে মেয়েই হোক। কিন্তু লক্ষ্মণ দেখে তারা যখন বলতো নাহ ছেলেই, তখন আমারতো বটেই অন্যদেরও মন খারাপ হয়ে যেতো। তারপরও মা'র মন কেমন করে যেন বুঝতে পারতো। আর সবচেয়ে মজা হল ওটি রুম থেকে বের হয়ে নার্স যখন বাইরে অপেক্ষারত বাকি সবাইকে বলল যে, আপনাদের মেয়ে হয়েছে তখন সবাই প্রথমে ভেবেছিল বুঝি অন্য কোন পেশেন্টের কথা বলছে
অনেক ধন্যবাদ বিথী আপু। আপনিও ভাল থাকুন আপনার পরী ও তার বাবাকে নিয়ে।
৩২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বেও অনেক ভালোলাগা রইলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক খান।
শুভেচ্ছা।
৩৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনুভূতিগুলো ভালো লাগলো।
আমার মায়ের অনুভূতিগুলো যদি এমন করে লিখা থাকতো!
ছোট্ট মিতিন বড় হয়ে এসব যখন পড়বে, বুঝবে তখন তার অনুভূতি আর গর্ব হওয়াটা ভাবছি এখনই।
মিতিন ও তার মা-বাবার জন্য শুভকামনা।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয়।
ভাল থেকো সবসময়।
৩৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৭
মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: অসাধারণ লিখেছ তিথি!! দারুণ সিরিজ!! হেভেনলি!!
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোনিয়া।
শুভেচ্ছা।
৩৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
আপু, দুইটা পর্বই মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। নারীদের জন্য বিধাতার সর্বশ্রেষ্ট উপহার নাকি 'মাতৃত্ব'। আপনার লেখাটা যেন সেটার প্রতিচ্ছবি।
উপরওয়ালা আপনার মনের আশা পূরণ করেছে। হামা ভাইয়ের ফেবুতে আপনার মেয়ের ছবি দেখেছি। দেখতে অনেকটা উনার মত। আপনার মেয়ের জন্য অনেক শুভকামনা।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার রিয়াদ।
ভাল থাকবেন।
৩৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
আমি ভাবছি, মিতিন যখন বড় হবে তখন চিঠিগুলো পড়তে তার কেমন লাগবে!
ওকে আমার আদর দিয়েন তিথি আপু
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ও যেন আমাকে বুঝতে পারে সেই কামনাই করি।
ধন্যবাদ নাজিম।
শুভেচ্ছা।
৩৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
পাগলমন২০১১ বলেছেন: আমার মা নেই। ১ বছর বয়সে হারিয়েছি মাকে :'( মায়েদের অনুভূতি কেমন যদি আপনার লেখাগুলো না পড়তাম জানতাম না।
হে মা জাতি, তোমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মা না থাকাটা কেমন সেটা যেন আমাকে কখনোই বুঝতে না হয়।
অনেক ধন্যবাদ পাগলমন।
ভাল থাকুন সবসময়।
৩৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! চমৎকার একটা কালেকশন। বাবুটা যখন বড় হবে এই চিঠিগুলো হবে তার জন্য কিছু অমূল্য স্মৃতি। যদি কখনও এই ব্লগে আসে, আর এই পোষ্ট পড়ে, তাহলে এখানে আমাদের শুভেচ্ছা ও আশির্বাদও পাবে। ভাবতে ভালোলাগছে কারো প্রিয় স্মৃতিতে আমরা সবাই একসাথে থাকব।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনাদের দোয়া এবং শুভকামনা ঘিরে থাকুক আমার মেয়েকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক ভালোবাসা।
শুভেচ্ছা রইল।
৩৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আপনার অনুভুতিগুলা ছুয়ে গেল।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম আহমদ।
শুভকামনা।
৪০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর মানষপটে অবিচ্ছেদ্দ সরলচিন্তার এক মহাপ্রয়াস আপনার সন্তান দরুদি লিখনী। মা সেত মা-ই আমরা হয়তো বুঝতে চাইনা আমাদের মা 'র অফুরন্ত সেই ভাল বাসার কথা। তাই আমরা ও হয়তো ভাল বাসতে পারি না প্রান খুলে মা'কে হয়তো ভাল বাসি বলতে পারিনা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান সুজন।
শুভেচ্ছা।
৪১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
সোমহেপি বলেছেন: বোচি যে আপনার মত হলো না এক্ষেত্রে আপনার ফিলিংস কেমন?
পিচ্ছিকে অনেক আদর।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার তাতে এতটুকু দুঃখ নেই। আল্লাহ আমাকে একটি সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তান দিয়েছে। তার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।
ধন্যবাদ সোমহেপি।
৪২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
চানাচুর বলেছেন: বাবুটার নাম কি?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ওর নাম মিতিন
৪৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মা-দের অনুভূতি গুলো আসলে এরকমই হয়!
ধন্যবাদ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ দেশপ্রেমিক।
শুভেচ্ছা।
৪৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৮
তাসজিদ বলেছেন: আপু, কেন যে এসব লেখেন। চোখ ত কান্নায় ভরে যায়।
মায়ের জন্য অনেক দুয়া রইল।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তাসজিদ।
শুভকামনা।
৪৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
অন্তরন্তর বলেছেন:
একজন মা তার মাতৃত্তে কি কষ্ট করে তা আমার
মত পুরুষ মানুষের বুঝা সম্ভব না কিন্তু আপনার
লিখা পড়ে কিছুটা অনুভব করলাম। চিঠিগুলো
পরলাম। মুগ্ধপাঠ।
আপনার মেয়ে বড় হয়ে যখন আপনার চিঠি এবং
হাসান ভাইয়ের মিতিন ও আমি লিখাটা পড়বে
তার অবশ্যই আনন্দাশ্রু আসবে তাতে কোন ভুল
নেই। সৃষ্টিকর্তা আপনাদের অনেক অনেক সুখে
রাখুক এই দোয়া করি।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্তরন্তর।
আপনার শুভকামনা সত্যি হোক।
ভাল থাকবেন।
৪৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শ্রাবণ জল বলেছেন: অনেক আদরমাখা ভালবাসাময় চিঠি।
পড়তে খুব ভাল লাগছিল, আপু।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রাবণ জল।
শুভেচ্ছা।
৪৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
মেহেরুন বলেছেন: Click This Link
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এই লিঙ্কটা এখানে কেন বুঝতে পারলাম না মেহেরুন। কোনভাবে কি এটা আমার লেখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়? কোনএকজনের অবিবেচক মা তার বউ এর সাথে কেমন ব্যবহার করল সেটা জেনে আমার কি করার আছে! হাস্যকর।
৪৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মিতিনের জন্য দারুণ একটা উপহার এটা। ওর পুরো পরিবারের প্রতি শুভকামনা রইল।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
৪৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
বিষের বাঁশী বলেছেন: যদিও অনেকদিন পর পড়লাম, তবুও এক মায়ের অনুভূতি বেশ ভাল লাগলো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
কয়েস সামী বলেছেন: amio emn ekta lekha likhchi. A tribute to my son name. Valo laga thaklo apnar lekhay.