নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর ও শ্রেষ্ঠতর আগামীকালের অপেক্ষায়...

সমুদ্র কন্যা

তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................

সমুদ্র কন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল দংশন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৭



তুই এত বোকা রে! এত বোকাও হয় মানুষ!



খুব বৃষ্টির দিন ছিল সেদিন। চারদিক ঝাপসা করে বৃষ্টি পড়ে যাচ্ছে অবিরাম। আমরা সব জবুথবু হয়ে বসে আছি ডিপার্টমেন্টের সামনের বারান্দায়, অপেক্ষায় আছি কখন দুপুর একটা বাজবে। সবার মধ্যেই মৃদু উত্তেজনা, সেই উত্তেজনার সাথে চাপা আনন্দে জ্বলজ্বল করছে তোর মুখ। পরনের হলুদ জামাটা আভা ছড়াচ্ছে মুখে, কপালের ছোট্ট পাথরটা ঝলসে দিচ্ছে চোখ। তুই সুন্দর, সবসময়েই তুই এমন চোখ ঝলসানো সুন্দর। ওইদিন যেন আরো অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল। বেশিক্ষণ চেয়ে থাকা যায় না।



খুব খুশি ছিলি তুই। বেশ খানিকটা নার্ভাসও। ঘন ঘন ঘড়ি দেখছিস, হাত দিয়ে চুল ঠিকঠাক করে নিচ্ছিস, দেখে নিচ্ছিস কানের দুলটা জায়গামত আছে কিনা, প্রজাপতির ডানার মত নানা রঙের বুটি বুটি দেয়া হলদে ওড়নাটা উড়াল দেবার ঠিকঠাক তৈরি কিনা। আর সেইসাথে ক্রমাগত বলে যাচ্ছিস সেই মানুষটার কথা। যাকে ঘিরে তোর এই উচ্ছলতা। যাকে তুই একেবারেই চিনিস না, দেখিস নি কখনোই, নাম ছাড়া আর কিছুই জানা নেই যার সম্পর্কে। শুধু এক সপ্তাহের ফোনালাপেই তুই একেবারে মগ্ন হয়ে গেছিস তার প্রেমে। তুই! কিছুতেই বিশ্বাস হয় না। এত সহজেই প্রেমে পড়ে গেলি! তুইইতো বলতিস ভালবাসাটা এত সহজ নয়।



-'ভালবাসা বললেই হয়ে যায় নাকি? একটা মানুষকে দেখলাম না, জানলাম না, চিনলাম না তাকে ভালবেসে ফেলবো আর তাকে আজীবনের সাথী করে নিবো।' মুখ-চোখ শক্ত করে বলতো মিতু, যখনই তাকে ভালবাসার কথা বলা হতো, যখনই কেউ তার প্রেমে পড়েছে বা সে কারো প্রেমে পড়লো কিনা তাই নিয়ে ঠাট্টা করা হতো।

-'কিন্তু একসময় না একসময়তো কাউকে ভালবাসতেই হবে।'

-'দ্যাখ রাতুল তুই অন্তত এইসব আজগুবি কথা বলবি না আমার সাথে। তুই না আমার দোস্তো হ্যাঁ? ভালবাসতেই হবে আবার কি রে? আমার মধ্যে ওসব একদমই আসে না।'

ভালবাসা নিয়ে কথা বললেই মিতু কেমন অন্য মানুষ হয়ে যায়। এত সুন্দর একটা মেয়ে তুই। তোকে ভাল না বেসে উপায় আছে কোন পুরুষের? কিন্তু ভালবাসার কথা শুনলেই তুই কেমন শত হাত দূর দিয়ে হাঁটিস। কত ভাল বন্ধুর সাথে জন্মের মত আড়ি নিয়েছিস ভুল করে তোকে ভালবেসে ফেলেছিল বলে। সেই ভয়েইতো নিজের কথাটা মুখ ফুটে কোনদিন বলে উঠতে পারলাম না। তোর মধ্যে নাকি এসব অনুভূতি একেবারেই কাজ করে না। তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই কেমন করে ভালবেসে ফেললি একটা অজানা অচেনা মানুষকে! যাকে এমন কি দেখিসও নি কখনো। আর তাকে নিয়ে কথা ফুলঝুড়ি ছোটাচ্ছিস গত সাতদিন ধরে অবিরত কানের কাছে। তটস্থ করে তুলেছিস আশেপাশের প্রতিটা মানুষকে। তার জন্য অস্থির হয়ে অপেক্ষা করছিস কখন দুপুর একটা বাজবে ঘড়িতে।



দেখতে দেখতে কোথায় যেন ঢঙ করে বিশাল একটা ঘন্টাধ্বনি ঘড়ির কাঁটায় একটা বাজিয়ে দিল। আর কেউ শোনে নি নিশ্চিত, তবে আমি ঠিকই শুনেছি। আমার বুকের ভেতরটায় ভীষণ এক আঘাতে বিশাল এক গহবর তৈরি করে ঘড়ির কাঁটায় একটা বেজে গেল। আমরা সবাই উৎসুক হয়ে চেয়ে রইলাম গেটের দিকে। একটা বেজে এক, একটা বেজে দুই, একটা বেজে পাঁচ...তোর অস্থিরতা বাড়ছে তখন ক্রমাগত। ঠিক একটা বেজে যখন এগার মিনিট হল কোত্থেকে হুশ করে একটা ইয়েলো ক্যাব এসে থামল গেটের সামনে। আর 'গেলাম...' বলেই কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তুই হুড়মুড়িয়ে নেমে গেলি সেই বৃষ্টির মধ্যেই। কিছু বুঝে উঠার আগেই ট্যাক্সি ক্যাবের দরজার ভিতর হারিয়ে গেল হলুদ প্রজাপতির ডানার মত উড়তে থাকা তোর ওড়নাটা। এত বোকা তুই! চিনিস না, জানিস না, কখনো দেখিস নি এমন কারো সাথে এইভাবে চলে যেতে হয়! এত বিশ্বাস তাকে কিভাবে করলি?



খুব কষ্ট হয়েছিল তোর? নিশ্চয়ই হয়েছিল। কতটা কষ্ট জানোয়ারটা দিয়েছে তোকে? তোকে যখন ওই পোড়ো বাড়িটায় নিয়ে যাচ্ছিল প্রথমেই নিশ্চয়ই ভয় পাস নি তুই। খানিক লজ্জা, একটু আনন্দ, একটু বিহবলতা মিলে-মিশে অন্যরকম ভাললাগায় আচ্ছন্ন ছিলি তুই। গাড়িতে বসে কথাচ্ছলে যখন সে তোর হাতে হাত রাখল, লজ্জাবতী পাতার মত তিরতির করে চোখের পাঁপড়ি কেঁপে উঠেছিল তোর। জীবনে প্রথম কারো হাত ধরা, যাকে তুই সাতদিনেই ভালবেসে ফেলেছিস পাগলের মত। তার স্পর্শ তোকে আরক্ত করেছিল এটাই স্বাভাবিক। আমি স্পষ্ট দেখতে পাই তোর গাল ছুঁয়ে দিতেই কেমন রাঙা হয়ে উঠেছিলি। তুই কাউকে না বললেও আমি টের পাই তোর কান গরম হয়ে উঠেছিল, বুকের ভিতর ধুকপুক। পুরনো সেই বাড়ির সামনে ট্যাক্সি ক্যাবটা থামতে একটু হয়তো থমকে গিয়েছিলি, তবে সে যখন তোকে হেসে আশ্বস্ত করল, হাত ধরে যত্নের সাথে গাড়ি থেকে নামাল তোর সব ভয়-শংকা কেটে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। কি করে ভালবেসে ফেললি তুই এমন একজন মানুষকে? তোকে বুঝতে পারলাম না এই তিন বছরেও!



মিতুর প্রেমে আমি পড়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর প্রথম দিনেই। প্রথম দিনে ক্লাস শুরুর আগে সবাই সবার সাথে পরিচিত হচ্ছিল, ক্লাসের ভিতর তুমুল হই-হল্লা চলছে। শুধু মিতু এক পাশে চুপ করে বসেছিল, কারো সাথে কথা বলছিল না। শুধু গভীর মনোযোগে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে সবাইকে। ক্লাসের একশ দশ জন স্টুডেন্টের মধ্যে ওকে আলাদা করা যাবে খুব সহজেই। আমি যেমন আলাদা করে ফেলেছিলাম মুহূর্তের মধ্যেই, এতটাই আলাদা যে ওকে আমার ভালবাসার মানবী করে নিতে হলো। তবে এটা ওকে বুঝতে দেই নি কখনো। খুব ধীরে ধীরে ওর কাছে গিয়েছি, ওর সাথে বন্ধুত্ব তৈরি করেছি, ওর বিশ্বাস অর্জন করেছি, আস্থাভাজন হয়েছি। ওকে বুঝিয়েছি আর যাকেই হোক আমাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিজেকে লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিকভাবে এসব কাজ করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে মানি, কিন্তু এছাড়া ওর কাছাকাছি থাকবার আর কোন উপায় আমার ছিল না। আমি ওর কাছাকাছি ছিলাম, অনেক কাছে, সবচেয়ে কাছে। আমাদের মধ্যে কোন দূরত্ব ছিল না। কখনো ভাবি নি এই নিশ্ছিদ্র দেয়ালের মাঝে অতি সূক্ষ্মভাবে কেউ প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু নীল নামের এই মূর্তিমান যন্ত্রণাটা সেই জায়গা তৈরি করে নিল। নীল, যাকে তুই ভালবেসে ফেললি সাত দিনের ব্যবধানেই।



জ্ঞান ফেরার পরে নিজেকে চেয়ারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলি নিশ্চয়ই। তবে তারচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছিলি। তুই কখনো ভাবিস নি জীবনে প্রথম যাকে বিশ্বাস করেছিস সেই তোর বিশ্বাস ভাঙল! তোকে এইরকম বিপদের মুখে টেনে নিয়ে এসেছে। চিৎকার করে ডাকছিলি নীলকে। বারবার ডেকে চলেছিস, কিন্তু তার কোন সাড়া নেই। ডাকতে ডাকতে তোর গলা ভেঙে এলো, চোখের পানিতে ভেসে গেল মুখ, বুক, হৃদপিন্ডটা প্রচন্ড শক্তিতে ধুকপুক করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ল, তারপরও সেই পাষন্ডের দেখা মিলল না। শব্দহীন, বায়ুহীন, আলোহীন মহাকাশের কোন এক গ্রহে যেন তোকে নির্বাসন দিয়ে গেছে সে!



যেন অনন্তকাল পরে, বৃষ্টি থেমে গেছে আরো অনেক আগেই, দিনের আলো ফ্যাকাশে হতে শুরু করেছে তখন, তীব্র বিষাদের ঘ্রাণ বাতাসে, ক্লান্ত তোর মাথা ঝুলে পড়েছে বুকের উপরে এমন সময়ে ফিরে এলো সে। কোমল হাতে আস্তে করে ছুঁলো তোর হাত, একটা একটা করে আঙুল, থুতনি, নাক, গাল, চোখ, কপাল, ঠোঁট...তোর সেই কমলারঙা ঠোঁটজোড়া! কতদিন আমি তোর কথা শুনতে শুনতে আর ওই ঠোঁটের নড়াচড়া দেখতে দেখতে নেশাগ্রস্ত হয়েছি। কত অলস মূহুর্তে চোখ বুজে চিন্তা করেছি ওই ঠোঁটজোড়ার কথা, মনে মনে হাজারটা চুমু এঁকেছি। তোর সেই কমলারঙা ঠোঁট...সেখানে চুমু খেল নীল। প্রথমে সরে যেতে চাইছিলি এক ঝটকায়, বাঁধা থাকায় সেটা সম্ভব হল না। মুখ ঘুরিয়ে নিতে চেয়েও পারিস নি, তারপর ধীরে ধীরে তুই সমর্পণ করলি। সর্বশক্তিতে পরস্পর এঁটে থাকা ঠোঁটজোড়া খুলে গেল আস্তে আস্তে, সাড়া দিলি পাল্টা চুমুতে। খুব ইচ্ছে করে সেই চুমুটার স্বাদ নিতে, যেটার স্বপ্ন দেখে এসেছি গত তিনটে বছর। নিজের ঠোঁটে ঠোঁট বুলিয়ে আমি তোকে চুমু খাই।



সে তোকে চেয়ার থেকে মুক্ত করল তারপরে, কিন্তু হাত দুটো বেঁধে দিল পিছমোড়া করে। দড়ির শক্ত বাঁধন তোর নরম হাতে কেটে কেটে বসে গেল। তোর সেই নরম দুটো হাত...কতদিন কত অজুহাতে, অসাবধানতার ভান করে ছুঁয়ে দিয়েছি এই হাতে। প্রতিবার শিউড়ে উঠেছি তোর স্পর্শে। তোর হাত ছুঁয়ে দেয়া আমার হাতের সেই অংশটাকে সৌভাগ্যবান ভেবে আনন্দে উদ্বেল হয়েছি। তোর সেই হাতে বসে গেল দড়ির শক্ত বাঁধন, ছিলে যাওয়া চামড়া থেকে বেরিয়ে এলো দুই ফোঁটা রক্ত। বিশ্বাস কর, যদি এ দাগ চিরতরে বসে যায় তাতেও আমার কিচ্ছু আসে যায় না। আমি তেমনি ভালবাসায় হাতে হাত রেখে চলবো বাকি জীবন!



তুই কি মিনতি করেছিলি তোকে ছেড়ে দিতে? খুব কেঁদেছিলি? সেই পাষন্ডের তাতে মন গলে নি। প্রজাপতির হলদে বুটি ডানা সে এক ঝটকায় উপড়ে নিল। লুটিয়ে পড়লো ডানা দুটো এক পাশে। তার লোভী চোখ চেটে নিতে লাগল তোকে। তোর সুগঠিত গলা, কন্ঠার হাড়, সুডৌল বুক। তার শক্ত হাত তোকে খাবলে ধরল। নিজেকে ছাড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা তুই করেছিলি আমি জানি। নিজের ব্যাপারে কতটা সচেতন আমার মিতু সে আমি ছাড়া আর কেই বা ভাল জানবে! অসাবধানে সামান্য স্পর্শ যদি কখনো লেগে যেতো তোর গায়ে, ঝট করে সরে যেতি তুই। এইসব ছোঁয়াছুঁয়ির ব্যাপারে খুব সূঁচীবাই ছিল তোর। সূক্ষ্ম চোখে মেপে দেখতি এটা সত্যি অসাবধানে হয়েছে নাকি ইচ্ছাকৃত। লম্বা বড় ওড়না দিয়ে ঠিক মেপে মেপে ঢেকে রাখতি নিজেকে। আর ঘৃণা করতি সেইসব মেয়েদের যারা নিজেদের উন্মুক্ত করে ঘুরে বেড়াতে দ্বিধা করে না। আমার সেই প্রজাপতির ডানাদুটো ছিঁড়ে নেয়ায় তুই নিশ্চয়ই কুঁকড়ে মুকড়ে গিয়েছিলি। নিজেকে বাঁচাতে তুই যুদ্ধ করবি এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তুই যে ভুল মানুষকে বিশ্বাস করেছিলি। একবারও যদি বুঝতিস আগে!



তার হাতে একটা এন্টিকাটার ছিল। ভালবাসতে হলে অস্ত্রের কি প্রয়োজন হয় তুই জানতি না, তাই না? কিন্তু সেই এন্টিকাটার যখন তোর জামার সামনেটা ফেড়ে দিল তখন কি বুঝেছিলি? তুই নিশ্চয়ই চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকিস নি সেখানে। উল্টোদিকে দৌঁড় দিয়েছিলি। তবে ক্লান্ত শরীর, বিহবল পা, পিছনের জানোয়ারটার তাড়া তোকে খুব বেশিদূর যেতে দেয় নি। হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলি কয়েক গজ এগুনোর পরেই। ব্যথা পেয়েছিলি তোর ছোট্ট টিকলো নাকটাতে, ছিলে গিয়েছিল নাক, থুতনি, কনুই। কিন্তু যে ফাঁদে তুই নিজেই পা দিয়েছিলি বেরুতে পারিস নি সেখান থেকে। বরং জানোয়ারটার ক্রোধ বেড়েছিল আরো বেশি। হ্যাচকা টানে দাঁড় করিয়ে নিল তোকে, টানতে টানতে নিয়ে এলো চেয়ারটার কাছে, এক ধাক্কায় চেয়ারে বসিয়ে হিংস্র হাসিতে ফেটে পড়ল সে। তারপর শিল্পীর তুলির মত এন্টিকাটারটা হাতে তুলে নিয়ে তোর ডান গালে সূক্ষ্ম আড়াআড়ি একটা রেখা টেনে দিল। তোর ফর্সা টুকটুকে গালে চিকন লাল একটা দাগ। ভয়ে ব্যথায় চিৎকার করে উঠেছিলি তুই। তোর সেই চিৎকার এখান থেকেও আমার বুকে ধকধক করে বাজে। তোর সুন্দর মুখটা নষ্ট হয়ে গেল বলে খুব কষ্ট পেয়েছিলি? তুই কি জানিস তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। আমি তোর সেই কাটা মুখের দিকেই অপলক মুগ্ধ চোখে চেয়ে থাকতে পারি ঘন্টার পর ঘন্টা। এতটাই ভাল আমি বাসি তোকে!



-'দ্যাখ রাতুল ওইসব ফালতু কথা আমাকে বলবি না। মানুষের বাইরের সৌন্দর্যটাই সব না যে কেউ দেখতে সুন্দর বলে তার দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা চেয়ে থাকতে হবে। তাহলেতো আমি রনবীর বা হিউ গ্র্যান্টের দিকে সারাদিন তাকিয়ে থাকতাম।'

-'তারাতো সব স্টার। তোর কি বাস্তবের কাউকে নিয়ে এমন মনে হয় না?'

-'হোক তারা স্টার, তারপরেওতো তারা মানুষ। আর বাস্তবের কাউকে নিয়ে এমন মনে হয় না সেতো তুই খুব ভাল করেই জানিস।'



তোর এমন মনে হয় নি কখনো মিতু, আমি জানি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে। কথা বলার ছলে, তোর অগোচরে কত সহস্র সেকেন্ড আমি তোকে অপলকে দেখেছি। তোর ছবিতে আমার পূজার নৈবেদ্য সাজিয়েছি। সেসব তোর কাছে খুব ঠুনকো মনে হয় আমি জানি। কিন্তু আমার জন্য এটা অনেক অনেক বড় একটা ব্যাপার, তুই বুঝিস নি কখনো।



তোর চিৎকারে নীলের মনে করুণা জন্মায় নি। বরং সে পৈশাচিক উল্লাসে মত্ত হয়ে উঠেছে। তার পাশবিক দুই হাত তোর সরষে ক্ষেতের মত হলুদ জামাটা এক টানে ছিঁড়ে ফেলল। তার নিচে তোর ব্রাউন ব্রেসিয়ার, এন্টিকাটারের একটা সূক্ষ্ম খোঁচায় খুট করে নেমে এলো সেটা নিচে। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা বলে ঢাকতে পারিস নি নিজেকে। শুধু মাথাটা নামিয়ে এনেছিলি বুকের উপরে আরো অনেকটা নিজেকে লুকানোর চেষ্টায়। বাইরে তখন আবারো ঝুম ঝুম বৃষ্টি নেমেছে, অন্ধকার হয়ে এসেছে চারদিক। দরজার মুখে একটা চার্জার লাইট জ্বালানো। তাতেই আলো হয়ে আছে পুরো ঘর। চার্জার লাইটের সাদা আলোয় তোর ধবধবে সাদা বুক, সুগঠিত স্তন, খয়েরী বোঁটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অস্বীকার করি না বহু নির্ঘুম রাত তোকে বুকের মধ্যে নিয়ে দলিত মথিত করেছি আমি। তোর এই তুলতুলে নরম বুকে হাত বুলিয়েছি, ঠোঁট ছুঁইয়েছি স্তন বৃন্তে। আমার ১০০০ রাতের স্বপ্ন ওই ধবধবে সাদা দুটো বল আরেকজনের হাতে। খুব কষ্ট দিয়েছিল সে তোকে? জানি ব্যথা পেয়েছিস অনেক। যে ভালবাসায় আমি তোকে ছুঁতে চেয়েছিলাম তাতো তার ছিল না। সে শুধু শরীরই চেয়েছিল।



শরীর নিয়ে খুব সংস্কার ছিল তোর। সেই সংস্কার এক ঝটকায় ধূলায় মিশিয়ে দিয়েছিল জানোয়ারটা। এরপরে আর থাকতে পারিস নি তুই। চিৎকার করে তাকে গালি দিয়েছিলি। জানা অজানা যত শব্দ আছে সব মুখে খই ফুটিয়েছিল তোর। তোর সেই গালি জানোয়ারটাকে উদ্দেশ্য করে ছুটে গেলেও দোষী করে তুলেছিল তার বাবা-মাকেও। এটা হয়তো সহ্য হয় নি তার। আরো হিংস্র হয়ে উঠেছিল সে। হাতের এন্টিকাটারটার লক্ষ্য হয়েছিল তোর শরীরের উন্মুক্ত অংশ। কাঁধে, বুকে, পেটে কোথাও সে আঁচড় কাটতে বাদ রাখে নি। প্রতিটা আঁচড়ে তুই চিৎকার করে উঠেছিলি আরো জোরে। তোর চিৎকারে তার পাশবিক উল্লাস আরো বেড়ে গেল। একটু একটু করে তোর শরীরের চিড়ে দেয়া অংশগুলো সে ছুঁয়ে দেখতে লাগল। আঙ্গুলের ডগায় লেগে থাকা রক্তের স্বাদ নিল জিভে। তারপরে সে নেমে গেল আরো নিচে। তোর বুক, তারপরে পেট, সেখান থেকে আরো নিচে। সালোয়ারের দড়ি খুলবার কষ্ট সে করে নি। এন্টিকাটারের এক পোচেই সেটা খুলে নেমে এলো নিচে। তারপর সে প্রবিষ্ট হল তোর ভিতরে। যে সম্পদ এতদিন ধরে যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছিলি, আজ ছোট্ট একটা ভুলে তা চলে গেল রাক্ষসের অধিকারে। তোর চিৎকার বৃষ্টির শব্দের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেল। তীব্র চিৎকার একসময় মৃদু গোঙানিতে পরিণত হল। তারও অনেক অনেকক্ষণ পরে থেমে এলো তোর উপরে বয়ে চলা ঝড়।



শিথিল হয়ে পড়ে রইল জানোয়ারটা তোর উপরে। ধস্তাধস্তিতে কখন তোর হাতের বাঁধন আলগা হয়ে গেছে সেটা সে টের পায় নি। বুঝতে দিস নি তুইও। হাতের বাঁধন খুলে নিয়ে এক ঝটকায় তাকে সরিয়ে দিয়েই তুই উঠে দাঁড়িয়েছিলি। পালানোর জন্য তৈরি। কিন্তু এত সহজে সে তোকে যেতে দিবে কেন! দ্বিতীয়বার ঝাপিয়ে পড়ে তোকে ভূলুন্ঠিত করল। ঝড়ে বিপর্যস্ত তোর পক্ষে প্রতিহত করা সম্ভব হল না। একবার, একবারই শুধু বিস্মিত, হতভম্ব, আতংকিত, ঘৃণাভরে চিৎকার দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলি। তারপরেই চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেল তোর গলা মাথায় ভারী পাথরের বাড়িতে। মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল তোর, রক্তে ভেসে গেছে পুরো ঘর, এক টুকরো হলদে মগজ ছিটকে বের হয়ে এসেছিল। তারপরেও জানোয়ারটার স্বস্তি হয় নি। এন্টিকাটার দিয়ে পরিপাটি করে কেটেছে তোর গলা, হাত আর পায়ের প্রতিটা রগ।



বিশ্বাস কর তোর মৃত্যু নিশ্চিত না করে আমার উপায় ছিল না। তোকে মারতে চাই নি আমি। এমনকি এত ভয়াবহ সব আঘাতও করতে চাই নি। আমার ভালবাসার ধনকে কষ্ট দেয়া কী করে সম্ভব আমার পক্ষে! শুধু চেয়েছিলাম যে সৌন্দর্য নিয়ে তোর এত গর্ব সেটা নষ্ট করে দিতে। শরীর নিয়ে যে সংস্কার তোকে এত অহংকারী করেছে সেটা দুরমুশ করে দিতে। তোকে ভাঙতে, মচকাতে। কেবলমাত্র তখনই তোকে পাওয়া আমার জন্য পানির মত সহজ ছিল। তোর সুন্দর চেহারা নষ্ট হয়ে গেলে কেউ যখন তোকে গ্রহণ করবে না, তোকে ধর্ষিতা কলংকিনী অপবাদ দিয়ে দূর দূর করবে তখন আমি তোকে আপন করে কাছে টেনে নিবো। তুই সুন্দর থাকিস আর নাই থাকিস, তোর শরীরে হাজারটা কাটা দাগ থাকুক, তবু তোকে আমি ভালবাসবো। তাই এ ফাঁদ পেতেছিলাম। আমার ছোট্টবেলার বন্ধু, যে কিনা বিদেশ-বিভূঁইয়ে জীবন পার করে দিয়েছে, অল্প ক'দিনের জন্য দেশে এসেছিল তাকে দিয়েই আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিলাম। জানতাম না আমাদের পরিকল্পনামাফিক এত সহজে তোকে আয়ত্ত্ব করা সম্ভব হবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তুই সেই ফাঁদে পা দিয়েছিলি। সবকিছুই ঠিকঠাকমত হয়েছিল। বিশ্বাস কর, আমরা সুখে-শান্তিতে আজীবন বাস করতাম। সেই পথের থেকে আর মাত্র দুই পা দূরে ছিলাম। শুধু যদি না তোর হাতের বাঁধন খুলে যেতো, যদি না তুই আমার মুখ থেকে মুখোশটা খুলে না নিতি, আমাকে চিনে না ফেলতি। কিন্তু একবার আমাকে চিনে ফেলার পর তোর ঘৃণা বেঁচে থাকা, তোকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব ছিল না। তাই আমাকে এই সিদ্ধান্তই নিতে হল।



তুই নিশ্চয়ই এখন বিশ্বাস করিস তোকে আমি কতটা ভালবাসি! কত তীব্র আমার এই ভালবাসা!

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: পড়তে পড়তে তো কত কিছুই ভেবে নিচ্ছিলাম। কিন্তু শেষে এসে এ কি হল!!! নাহ্‌, সাসপেন্সের জবাব নেই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হা হা হা

ধন্যবাদ বোধহীন স্বপ্ন।

শুভেচ্ছা।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আজব চাওয়া যা কারোর চাইনা। ভাল লাগল লেখা।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন।



শুভ রাত।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: আপনি তো সত্যিই সমুদ্র কন্যা। ভেসে যান, ডুবে যান অনুভূতির সবটুকু নিয়ে! আপনি অসম্ভব ভালো লেখেন। এই প্রথম পড়ছি। কিন্তু আমি ঠিকই বুঝেছি, আপনার জমজ আঙুলের শক্তি! শুভকামনা।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম সুলতানা সাদিয়া। এত সুন্দর করে মতামত জানালেন বলে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: পড়তে পড়তে তলিয়ে যাচ্ছিলাম যেন এক গভীর অন্তর্গত নিষাদের কালো অন্ধকারে । অন্তহীন বিষাদের চিত্রটা আপনি এঁকেছেন এমনই মায়াভরে, ভুলেই যাচ্ছিলাম রঙ তুলির পোচ দেয়া চিত্রী ছবিটা আঁকছে মনে মনে ভালোবেসে ফেলা প্রেমিকের হাত দিয়ে ।

আপনার লেখা এমনিতে মায়াময়, এই লেখাটায় যেন ছাপিয়ে গিয়েছেন সবকিছু ।

অসাধারণ গল্পে মুগ্ধতা ছুঁয়ে যাওয়া ভালোলাগা ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এত এত চমৎকার করে বলেছেন মামুন ভাই! অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাদের ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা রইল।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালোবাসার মানুষের ঘৃনা থেকে বেঁচে থাকার সাইকোটিক গল্প। শেষের চমকটা ভালো লেগেছে। আশা করি আবার নিয়মিত গল্প পাব আপনার কাছ থেকে। :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাদিদ।

জানি না নিয়মিত হতে পারবো কিনা। চেষ্টা চলবে :)

শুভেচ্ছা।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৫

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
ডাকতে ডাকতে তোর গলা ভেঙে এলো, চোখের পানিতে ভেসে গেল মুখ, বুক, হৃদপিন্ডটা প্রচন্ড শক্তিতে ধুকপুক করতে করতে একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ল,

সর্বশক্তিতে পরস্পর এঁটে থাকা ঠোঁটজোড়া খুলে গেল আস্তে আস্তে, সাড়া দিলি পাল্টা চুমুতে।

তুই নিশ্চয়ই চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকিস নি সেখানে। ??

কচি পেয়ারার মত বুক।
সুপুষ্ট স্তন

চিৎকার করে তাকে গালি দিয়েছিলি। জানা অজানা যত শব্দ আছে
সব মুখে খই ফুটিয়েছিল তোর।



আপনার গল্পে ক্লাইমেক্স আছে,

কিন্তু গল্পে বর্ণনার বৈপরীত্য প্রবল !!
কিছু মার্ক করে দিলাম ।

নিজেকে চেয়ারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখে খুব ভয় পাওয়া
একটি অসহায় মেয়ে সদ্য পরিচিত হওয়া প্রতারকের কাছে
সাড়া দেয় পাল্টা চুমুতে !!

গল্প কিন্তু শুধুই গল্প নয়।

আপনি ভালো গল্প লেখেন ।
আরও সাবধান হোন ।

আশা করি সমালোচনা ইতিবাচকভাবে নিবেন ।

আমার "অন্ধকার,অতপরঃ" শিরোনামের
গল্পটির অ্যানাটমি করার আমন্ত্রন রইল ।

ভালো থাকুন নিরন্তর ।



২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমার মনে হয়েছিল চুমুতে সাড়া দিতে পারে মেয়েটি, একেবারে অসম্ভব নয়। এমনকি একটা মুভিতে কাছাকাছি একটা দৃশ্য দেখেওছিলাম।

মেয়েটা এই প্রথম কাউকে ভালবেসেছে। এবং ভালবাসাটা এতটাই তীব্র যে সে ওই অপরিচিত মানুষটির সাথে প্রথম দেখাতেই ট্যাক্সি ক্যাবে উঠে চলে যেতে দ্বিধা করে নি। তাই নিজেকে বাঁধা অবস্থায় দেখে সে প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে, তারপর ভীত, আতংকিত। তারপরে সে যখন তাকে চুমু খেল সেখানেও সে দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে। একইসাথে ঘৃণাটাও কাজ করেছে। এবং একসময় তার মনের চেয়ে শরীরের ভাষা তীব্র হয়েছে। বাইশ-তেইশ বছরের একজন মেয়ের মধ্যে শরীরের চাহিদা কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। আর শরীরের এই চাহিদাই ওকে পাল্টা সাড়া দিতে সিগন্যাল দিয়েছে। তীব্র ঘৃণা থেকেও শরীরের এই রেসপন্স অস্বাভাবিক না।

গল্পের ব্যাপারে যেকোন সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করি। ভুলগুলো না শুধরালে ভাল হবে কি করে!

ধন্যবাদ স্বপ্নচারী।

শুভকামনা।

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম ,অবাক হচ্ছিলাম !
হচ্ছেটা কি !
খুব ভালো লাগলো আপু !

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি।


শুভেচ্ছা।

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৯

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: এক কথায় বলি, বেস্ট ওয়ার্ক!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আই এ্যাম অনার্ড। থ্যাংকস এ্যা লট।


:)

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
অনেকদিন পর গল্প পড়ে স্ক্রল নিচে নিচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম।
দারুন, আপু।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্জয়।

ভাল থেকো।

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: সমুদ্র কন্যা, আপনি এ কী লেখলেন!
ভালোবাসা এতটাই অদ্ভুত আর অচেনা?
অবশ্য পত্রিকার পাতা খুললে একে অসম্ভব বলা যায় না।

শুভেচ্ছা থাকলো :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভালবাসা কখনো কখনো এমনও হতে পারে। তবে সেটা ঠিক কতখানি ভালবাসা তাই বিবেচ্য বিষয়।

অনেক ধন্যবাদ মইনুল।

শুভেচ্ছা।

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: এক কথায় দুর্দান্ত । কখনও নীরব প্রেমিক কখনও প্রতিহিংসাপরায়ণ প্রেমিকের যে ছবি আপনি একসাথে এঁকেছেন , ব্রিলিয়ান্ট । ক্লাইমেক্সটা তো মনে গেথে যায় । তবে দুই একটা জিনিস, বিভ্রান্তিকর লেগেছে । যেমন, তৃতীয় প্যারায় মনে হয় একবার পাঠকের সাথে কথা বলছেন আরেকবার মিতুর সাথে , আবার, হাত পা বাঁধা আতংকিত অবস্থায় কি চুমুতে পাল্টা সাড়া দিতে পারতো মিতু??


অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম । অসাধারন কামব্যাকের জন্য অভিনন্দন । শুভেচ্ছা, ভালো থাকবেন :)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এখানে দুএকবার ফ্ল্যাশ ব্যাকে বিভিন্ন প্রসঙ্গে মিতুর সাথে রাতুলের বলা কথাগুলো সংলাপ আকারে লিখেছি। সেটা ইনভার্টেড কমায় আলাদা করেই দিয়েছি। আর চুমুর ব্যাপারে ব্যাখ্যা ৬ নং কমেন্টের উত্তরে দিয়েছি।

অনেক ধন্যবাদ আদনান।


শুভকামনা।

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪০

সমুদ্রপুত্র বলেছেন: আপনি লিখেছেন আর আমার ভালো লাগবে না? তা কি হতে পারে? বলুন, বলুন না?



-(এ্যাড মি এ্যাড মি)।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এ কি যন্ত্রণা! এরেতো ব্লক করাই লাগে দেখি /:)

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

সায়েম মুন বলেছেন: একদম গোছালো একটা গল্প। উপস্থাপনা খুব ভাল লাগলো। কিপ ইট আপ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন।

শুভেচ্ছা।

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা যখন আঘাত পেয়ে মিতুর মতো মুখ থুবড়ে পড়ে, তখন বন্ধুকে বিশ্বাসেও মানুষের ভয় কাজ করবে! যাই হোক এমন সাইকো রাতুলের পাল্লায় যাতে কাউকে না পড়তে হয়!

মিতু যখন রাতুলের মুখোশ টা খুলে তার বন্ধুর চেহারাটা দেখে ফেলেছিল, সেখানে কতটা বিস্ময়, কতটা ব্যথা বা একটা নির্বাক চাহনি ছিল, সেটা মনে হয় আমি প্রতি মুহূর্তেই দেখতে পাচ্ছিলাম ।

ভালো লেগেছে লেখার ধরণ।

শুভকামনা রইলো

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা।


ভাল থাকুন।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ওয়াও, আপনারা কিভাবে যে লিখেন!!!! ???

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্দাকির।

শুভেচ্ছা।

১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

উদাস কিশোর বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো আপু ।
একদম মুগ্ধ পাঠ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ উদাস কিশোর।


ভাল থাকুন সবসময়।

১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন একটি লেখা পড়লাম,,,,,,,,,,,ভাল লেগেছে ভীষণ

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লাইলী।


শুভেচ্ছা।

১৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

চতুষ্কোণ বলেছেন: আজব ব্যপার হচ্ছে কথকই যে ধর্ষক এটা প্রথম থেকেই মনে হয়েছে।আর কথকের গল্প বলার টোন বড্ড মেয়েলি মেয়েলি মনে হইছে ;) B-)

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আহ আপ্নের মাথায়তো বুদ্ধি গিজগিজ করে দেখি। এত বুদ্ধি নিয়া ঘুমান কেম্নে!! /:)

১৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৪

বৃতি বলেছেন: চমৎকার গল্প সমুদ্র কন্যা! ডিটেইলিং ভালো লেগেছে।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বৃতি।

শুভেচ্ছা।

২০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৯

এহসান সাবির বলেছেন: শেষটা বেশ লেগেছে। চমৎকার উপাস্থাপন।


আপু ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি.... কিছু টাইপো আছে, একটু দেখবেন দয়া করে..... বে মানান দেখাচ্ছে..

এন্টিকাটার দিয়ে পরিপাটি করে কেটেছে তোড় গলা...

প্রতিবার শিউড়ে উঠেছি তোর স্পর্শে।


গল্পে ভালোলাগা।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এহসান সাবির।


টাইপোগুলো দেখছি।

ভাল থাকুন।

২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

বৃষ্টিধারা বলেছেন: আমি তো ভালো লাগলো ছাড়া কিছু বলতে পারি না । আর কিছু হয়ে উঠে না বলা ।

ভালো থাকবেন ।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ বৃষ্টিধারা।

ভাল লাগল বলাটাই অনেক কিছু।

শুভেচ্ছা।

২২| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৯

শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভালোবাসা তো না বললেও হয়ে যায়!

০২ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভালবাসা কখনো কখনো ধ্বংসও করে দেয়!

ধন্যবাদ শহুরে আগন্তুক।

২৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

রাজসোহান বলেছেন: গল্পটা খুব ভয়ঙ্কর ছিলো, সাইকো ছিলো, একটা মুভি বানানো যাবে। তবে সেটা অবশ্যই হলিউডে, তাহলে পুরো গল্পের ফ্রেমটা তুলে আনা যাবে।

০২ রা মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: তোমরা হলিউডে যায়া মুভি বানানি শুরু করো। নইলে আমার এই গল্প আলোর মুখ দেখবে কেমন করে! :(

২৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: উমম... যদি ভুল না হয়ে থাকে, গল্পটায় দু'টো টুইস্ট ছিলো। আমার মনে হয়েছে এদের মধ্যে একটা প্রেডিক্টেবল ছিলো, আরেকটা ছিলো না... অর্থাৎ একটা আমি আগেই ধরতে পেরেছিলাম, আরেকটা পারিনি।

খুব সম্ভবতঃ পুরুষ চরিত্রটির স্বভাবের পারভার্শন ও নৃশংসতা তুলে ধরার জন্য মেয়েটির পোশাকের ও শরীরের অনেক বর্ণনা এসেছে এখানে... কিন্তু এই জাতীয় ডিটেইলিং আমার ভালো লাগে না (অস্বস্তিবোধ করি বলা যায়)। এই জাতীয় বর্ণনার ক্ষেত্রে আমি কিছুটা সিম্বলিজম ও পর্দা-পুশিদা পছন্দ করি =p~ যার কারণে লেখার কিছু কিছু অংশ আমি ভালো করে পড়তে পারিনি, জাস্ট চোখ বুলিয়ে গেছি। তবে ওভারঅল ইট ওয়াজ আ গুড প্রোডাকশন। চালিয়ে যাও!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: টুইস্ট আমি এক্টাই দিতে চাইছি। তুমি আর চারকোণা ছাড়া কেউ ধরতে পারে নাই সেইটা। এইক্ষেত্রে আমি সফল বলা যায়। :D

কিছু সিম্বলিজম দিলে হয়তো আরো ভাল লাগতো। তবে এই ফিল্ডে একেবারেই নতুন বলে সেটা করে উঠতে পারি নি। তবে কাহিনীর প্রয়োজনে বোধহয় এতটুকু দরকারই ছিল।

তোমার কমেন্ট দেইখা বড় ভাল লাগল। কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!

বিশাল ধইন্যা :D

২৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

অদৃশ্য বলেছেন:






লিখাটি পড়তে পড়তে একসময় রাতুলের হাহাকারটা নিজের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছিলো তীব্রভাবেই...

ঠিক তার কিছুটা পরেই... সেটা কি প্রচন্ড এক ঘৃণাতে রুপান্তরিত হয়ে গেলো তা বলে বুঝানো যায় না...

লেখিকা লিখাটিতে এক ব্যর্থ প্রেমিকের জমানো ক্ষোভ, হাহাকার, ঘৃণা ও অমানবিক দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন... গল্পটা অনেক কষ্টদায়ক হয়ে গেলো... যেহেতু গল্প, তাই খুব খুব ভালোলাগা...

সমুদ্র কন্যার জন্য
শুভকামনা...

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অদৃশ্য।


ভাল থাকুন সবসময়।

২৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ভালো একটা লেখা!কিছু জায়গায় মনে হয়েছে সতর্কতা দরকার ছিল।আর শিল্পে যৌনতা থাকতেই পারে,সেটা আজ মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।আপনার পরিমিত ব্যবহার দেখে ভালো লাগলো!

শুভকামনা!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ক্লান্ত তীর্থ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।

শুভেচ্ছা।

২৭| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:১৫

নস্টালজিক বলেছেন: মজবুত গাঁথুনি আর সাসপেন্স-র মিশেলে চমৎকার লিখসো!
ছোট ছোট বাক্যে গল্প এগিয়ে যাচ্ছিলো সুন্দর!

খুব বৃষ্টির দিন ছিল সেদিন- সেকেন্ড ভার্স এর এই লাইন এর পর থার্ড ভার্স এ আবার খুব খুশি ছিলি তুই- খুব না দিয়ে অন্য কিছু দিতে পারো।

শার্প ওয়ান, তিথী!

ওয়েল ডান!

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এত্তগুলা থ্যাংকু ম্যাংকু ভাইয়া ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বের করে আসার জন্য :D

২৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

অন্তরন্তর বলেছেন:

কিছুদিন আগে পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।
কেমন যেন অলস হয়ে যাচ্ছি দিনে দিনে।
অপূর্ব লিখায় চমৎকার একটা গল্প। খুব ভাল লিখেছেন।
শুভ কামনা আপু।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্তরন্তর।

শুভেচ্ছা।

২৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

জাফরিন বলেছেন: একেবারে লোমহর্ষক! +++++++
গল্প এবং বর্ণনা অসাধারন। তবে একটু বেশি খোলামেলা লেগেছে কিছু জায়গায়- আবার এটাও বলা যায় যে গল্পের প্রয়োজনেই তা হয়েছে।

ভাল লাগল আপু :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কিছু জায়গায় আসলেই একটু খোলামেলা হয়ে গেছে। দক্ষ লিখিয়ে হলে হয়তো আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারতাম। এ ধরনের লেখা এটাই প্রথম কিনা :||

ধন্যবাদ জাফরিন।

শুভেচ্ছা।

৩০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

আমি ইহতিব বলেছেন: শেষে এসে শিউরে উঠলাম আপু।

কিভাবে লিখলেন এমন একটা গল্প, তাই ভাবছি শুধু।

বর্নণাশৈলী দেখে চমৎকৃত হলাম আপু।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিথী আপু।

শুভেচ্ছা।

৩১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: কী ভয়ংকর!!

চমৎকার লিখেছেন আপু। দারুণ হয়েছে। আপনি আবার নিয়মিত লিখুন এই অনুরোধ রইল।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়।

শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.