নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদা রং-

আমি একজন সাদা মনের মানুষ। অপরের দুঃখ কষ্ট দেখলে খারাপ লাগে।

সাদা রং- › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিফ হুইপ-পুত্রের রাজকীয় ওয়ালিমা

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

তিন দিনের জাতীয় শোক দিবসের মাঝেও কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের বাড়িতে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদের ছেলে মার্গুব মোর্শেদ রোমিও’র রাজকীয় বিবাহ-উত্তর ওয়ালিমা অনুষ্ঠান হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের আকৃষ্ট করতে খাবার পানির বোতলে ছিল বর-কনের ছবি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চিফ হুইপ পুত্র ও তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে বরণ করে নেয়া হয় বিশেষ পুলিশি গার্ড দিয়ে। রাজকীয় এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী, বিচারপতি, সচিব, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ের ২৫ হাজার মানুষ। ওয়ালিমা অনুষ্ঠানে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের জন্য মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ঢাকার ফাইভ স্টার হোটেল রেডিসনে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদের একমাত্র ছেলে মার্গুব মোর্শেদ রোমিওর বিয়ে হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ এম এ আজাদ ও রেজিনা ফেরদৌস আজাদের প্রথমা কন্যা আহসানা ফেরদৌসি আজাদ লীনার সঙ্গে। চিফ বিবাহ-উত্তর ওয়ালিমার আয়োজন করা হয় গতকাল গ্রামের বাড়ি মুন্সীবাজারের সিদ্ধেশ্বরপুর নোয়া বাড়িতে। গত ২০শে মার্চ সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যু হলে সরকারিভাবে ২১, ২২ ও ২৩শে মার্চ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের নির্দেশ দেয়া হয়। এ অবস্থায় ২৩শে মার্চ বিবাহ-উত্তর ওয়ালিমা হয়তো একদিন পিছিয়ে যেতে পারে বলে মৌলভীবাজারে সর্ব মহলে ধারণা ছিল। ছেলের ওয়ালিমা অনুষ্ঠানে পিতা চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ শহীদ ছিলেন রাষ্ট্রীয় অতিথি। আবার জাতীয় শোক দিবসের শেষ দিনে শোক পালনের বদলে চিফ হুইপের বাড়িতে রাজকীয় ওয়ালিমা অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে টক অদ্য টাউন। সর্বমহলে আলোচনা চলছিল, সরকার ঘোষিত জাতীয় শোক পালনের সিদ্ধান্তে প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার উত্তরাঞ্চলের দু’দিনের সফরসূচি পরিবর্তন করেছেন। এমনকি ২১শে মার্চ বিএনপি ঢাকার হরতাল বাতিলও করে। অথচ সরকার দলীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ শহীদ ওয়ালিমার অনুষ্ঠান একদিন না পিছিয়ে শোক দিবসের মাঝে রাজকীয় কায়দায় পালন করেন।

খাবারের আইটেমে ছিল পোলাও, গরু খাসি মুরগির মাংশ, মাছ, সবজি, বেগুন ভাজি, ডাল, দই। ছিল আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য কফি কর্নার। এর মধ্যে ১৭টি গরু ও ৪০টি খাসি ছিল। ১২টি গরু ও ২০টি খাসি এক লন্ডন প্রবাসী সরবরাহ করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

২৫ হাজার মানুষের জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। ১০টি বিশাল আকারের প্যান্ডেল করে ৫টি প্যান্ডেল যথাক্রমে কুশিয়ারা, ধলাই, সুরমা, যমুনা ও মনু নদীর নামে রাখা হয়। আর ভিভিআইপি, সচিব উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য আরও বিশাল আকারের ৫টি প্যান্ডেল করা হয়। খাবারের সঙ্গে জীবন কোম্পানির বর কনের ছবি সংবলিত ৩০ হাজার পানির বোতল সরবরাহ করা হয়। দলীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গবাদি পশু থেকে শুরু করে ব্যবহারী বিভিন্ন সামগ্রী উপঢৌকন প্রদান করেন বলে জানা যায়। রাজকীয় এ আয়োজনে ছিল শ’ শ’ গাড়ির বহর। ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনায় ছিল পুলিশি বিশেষ পদক্ষেপ। অনুষ্ঠানে যোগ দেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি এস কে সিনহা, সংসদ সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী, সংসদ সদস্য শাহাবুদ্দীন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসের রহমানসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

এদিকে রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকালে চিফ হুইপের এপিএস অমলেন্দু সিনহার নামে পাঠানো পত্রে নতুন করে যুক্ত হয় ওয়ালিমা অনুষ্ঠানে বেলা সাড়ে ১২টায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮

নেক্সাস বলেছেন: ৪ বছরের লুটের টাকা রাখার জায়গা কই। যাক মানুষ তো একবেলা খেতে পেরেছে

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৫

রানিং ফ্ল্যাশ বলেছেন:





অসাম

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

সাদা রং- বলেছেন: ইদানিং মন্ত্রী, এমপি, হুইফ এদের ছেলে মেয়েদের বিবাহ একটা রাজকীয় ব্যাপারে দাড়িয়েছে, এসব কিছু হলে কে কত টাকা খরচ করবে তার যেন একটা প্রতিযোগিতা লাগে।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

এ সামাদ বলেছেন: এটা আবার নতুন কি?

তবে দেখতে হবে এটা আলীগের হুইপ।

খালেদাকে আপনারা খারাপ বললেও আমি পারিনা।

কেননা তিনিও তো তার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী পরিবর্তন করেছেন। হরতালও বন্ধ ছিল।

হাসিনা ও খালেদার মধ্যে এখানেই পার্থক্য

১৭৫ দিন হরতাল। আর মাত্র ৩১ দিন হরতাল। তাও আমাদের সহ্য হচ্ছেনা।

আবার প্রস্তুত থাকুন যদি বিএনপি ক্ষমতায় যায় ২০০ দিন হরতাল হজম করার জন্য।
হরতাল দেশের ক্ষতি কিন্তু জনগণের তাতে কি? দুই দল হরতালের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তবে খালেদা জিয়া অনেক ভালো হাসিনার চেয়ে হরতালে।

কিসের মধ্যে কি আলোচনা করে ফেললাম দেখুনতো?

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১২

সাদা রং- বলেছেন: সব সরকারের মধ্যে ২/৪জন এরকম মানুষ থাকে যারা এসব ব্যাপারে বেশি উৎসাহী।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: তা না হৈলে সরাকরি দলের চীফ হুইপ বুঝবেন কেম্নে?

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

আহমেদ রিজভী বলেছেন: আমার এলাকার লোক এই চীপ হুইপ । পুরা জেলার প্রতিটা সংসদ সদস্য তার কারনে টুটু জগন্নাথ । এই ব্যাটা আর তার চৌদ্দ গোষ্ঠী এখন এলাকাবাসীর কাছে ডাকাত ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত বিশেষ করে চীপ হুইপের ভাই ও বোন । যে আব্দুস শহীদ বিশ পঁচিশ বছর আগেঐ ফিফটি সিসির মোটর সাইকেলে করে কমলগঞ্জ কলেজে মাস্টারী করত আজ তার ও তার পরিবারের রাজকীয় চলন বলন ! এক ছেলের বিয়েতেই সে ২৫ হাজার লোককে খাওয়ায় ! এদেরকে পার্সেন্ট না দিয়ে পুরা জেলার কোথাও কোন কাজ করা অসম্ভব এমনি । সরকারী বিভিন্ন পদের চাকুরিতে দালালী বাবদ এদের রেট হচ্ছে সর্বনিম্ন ২ লাখ থেকে ১২ লাখ । তার উপরে আর তার পরিবারের উপরে অজর দ্ধারায় আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক শিশুরা ব্যতীত ।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

সাদা রং- বলেছেন: সময় আর বেশি দিন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.