![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘সালমান থাকলে আমরা উত্তম-সুচিত্রা হতে পারতাম’
সালমান শাহ বেঁচে থাকলে আমরা উত্তম-সুচিত্রার মতো ঢাকার চলচ্চিত্রে স্মরণীয় জুটি হতে পারতাম। আমাদের দিয়ে বানানো যেত ‘হারানো সুর’, ‘সাগরিকা’, ‘সপ্তপদী’র মতো কালজয়ী চলচ্চিত্র। উত্তম-সুচিত্রার মতো আমরাও দর্শক হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। সালমানের হঠাৎ চলে যাওয়ায় আমরা চলচ্চিত্রকে মনে রাখার মতো কিছুই দিতে পারলাম না। কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন শাবনূর। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী, দীর্ঘ সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা। সালমান শাহকে নিয়ে সচরাচর মুখ খোলেন না শাবনূর। প্রিয় সহশিল্পীর কথা উঠলেই নীরব থাকেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পর মানবজমিন-এর কাছে নীরবতা ভাঙলেন ঢাকার ছবির ভর্সেটাইল এ অভিনেত্রী। বললেন, অনেক কথা। চলচ্চিত্র নিয়ে বলা কথাগুলোর মধ্যেই অনেকটা মনের অজান্তেই চলে এলেন তার অনেক সফল ছবির নায়ক সালমান শাহ। বাংলা সিনেমার দুই কিংবদন্তি মহানায়ক উত্তম কুমার ও মহানায়িকা সুচিত্রা সেন অভিনীত ছবির প্রসঙ্গ উঠতেই অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেন শাবনূর। বলেন, আমি উত্তম-সুচিত্রার একসঙ্গে অভিনয় দেখে এতটাই মুগ্ধ হই যে বলে বোঝাতে পারবো না। কি চমৎকার বোঝাপড়া ছিল দু’জনের মধ্যে। আমার কাছে মনে হয় উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন শুধু দু’জন দু’জনার জন্য জন্ম নিয়েছিলেন। শাবনূর বলেন, উত্তম-সুচিত্রার অভিনয় দেখলে মনে হয় না তারা অভিনয় করছেন। মনে হয় আর দশটা বাস্তবের মতোই উপস্থিতি তাদের। তিনি বলেন, ‘সপ্তপদী’ ছবির ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ গানটি দেখে আমি বিস্মিত হই। কত বছর আগেও দু’জনে কতটা আধুনিক ছিলেন। কি অদ্ভুত অভিনয়। বিশ্বাসই করতে কষ্ট হয় যে এটা কোন ছবির দৃশ্য। একটা মোটর সাইকেলের ওপর কতটা সাবলীল এবং স্বাভাবিক তারা। আমার প্রায়ই মনে হয় আমি আর সালমান মিলে তাদের কাছাকাছি কিছু একটা করতে পারতাম। কাছাকাছি বললাম এই কারণে উত্তম-সুচিত্রার মতো অভিনয় অতীতেও কেউ করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। শাবনূরের কাছে প্রশ্ন ছিল, যেটা সালমানকে নিয়ে ভাবেন সেই ভাবনাটা রিয়াজ-ফেরদৌসকে নিয়ে হলো না কেন? উত্তরে শাবনূর বললেন, সালমান, সালমানই। অভিনেতা হিসেবে তার কোন তুলনা হয় না। তার অভিনয় ক্ষমতার কাছে রিয়াজ-ফেরদৌস কিছুই না। শাবনূর বলেন, রিয়াজ-ফেরদৌসও ভাল অভিনেতা কিন্তু সালমানের সঙ্গে তাদের তুলনা চলে না। অভিনেতা সালমান অন্য কিছু। যদি সম্ভব হতো তাহলে সালমানকে নিয়ে উত্তম-সুচিত্রার কোন ছবিটি নির্মাণ করতেন জানতে চাইলে শাবনূর বলেন, ‘হারানো সুর’। ছবিটি যতবার দেখি ততবারই মনে হয়, আমি আর সালমান যদি এই ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম তাহলে দর্শক হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকতে পারতাম। দীর্ঘ ১৮ বছর অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পাওয়া শাবনূর বলেন, আমি চেষ্টা করেছি সব সময় মনপ্রাণ ঢেলে অভিনয় করতে। যা কিছুই করেছি এর পুরো কৃতিত্ব আমার আবিষ্কারক ক্যাপ্টেন এহতেশাম দাদুর। তিনি সামান্য একজন নূপুরকে নিজ হাতে আজকের শাবনূর বানিয়েছেন। আমি এহতেশাম দাদুর আবিষ্কার এটা আমার অভিনেত্রী জীবনের একমাত্র গর্ব। শাবনূর বলেন, আমার সৌভাগ্য যে দাদু আমাকে এনে বড় বড় পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সব নায়কের সঙ্গে কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা দিতেন। বলতেন যত বেশি পরিচালক ও শিল্পীর সঙ্গে কাজ করবে তত বেশি শিখতে পারবে। দাদুর এই কথাগুলো আমার সব সময় মনে পড়ে। শাবনূর বলেন, এখনও প্রচুর ছবির অফার পাই। কিন্তু গল্প, বিষয়বস্তু পছন্দ না হওয়ায় সেগুলো গ্রহণ করতে পারি না। কিন্তু এখনও ভাল কাজের জন্য মনটা আনচান করে। মনে হয় চলচ্চিত্রকে আরও অনেক কিছু দেয়ার ছিল আমার। কিন্তু দিতে পারিনি। শাবনূর তার ইস্কাটনের ফ্লাটে বসে মানবজমিন প্রতিনিধির সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলাপ করলেন। সবটাই চলচ্চিত্র নিয়ে। বললেন, একটা নির্ভেজাল প্রেমের ছবি আমি নিজেই বানাবো। ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে অনুমতি পেয়েছি। পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবিতেই আমি দর্শকদের মন ভরিয়ে দেব। আর এর জন্য আমার পুরো এই বছরটি দরকার। ২০১৪ সালে আমি পরিচালক হিসেবে দর্শকদের সামনে আসবো। এবং জোর দিয়েই বলছি, প্রথম ছবি দিয়েই আমি দর্শকদের ভালবাসা অর্জন করবো। অভিনেত্রী শাবনূর দর্শকদের ভালবাসা পেয়েছে। পরিচালক শাবনূরও পাবে এমন বিশ্বাস আমার আছে।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
উফ ভাই কি মনে করিয়ে দিলেন। সালমান শাহকে তখন খুব অনুসরন করতাম।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
সাদা রং- বলেছেন: ভাই আমি আপনার মত মাথায় কত কাপড় বাধছি।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হ্যাঁ ভাই ঠিক তাই আমিও অনেক কাপড় বাধছি মাথায়
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
সাদা রং- বলেছেন: খুব মিস করি এই মহানায়ক কে।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বেঁচে থাকেল আজ বাংলা সিনেমার চেহারা অনেক অনেক অনেক বদলে যেত খেয়াল করে দেখবেন এই মহা নায়কের চলে যাওয়ার পর থেকেই বাংলা সিনেমার জগতে ধ্বস নামে। আমার কেন যেন মনে হয় খুব সুক্ষ ষড়যন্ত্র করেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল যেন একটি অশুভ শক্তি এই বাংলা সিনেমার এগিয়ে যাওয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারে আর হয়েছেও তাই।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
সাদা রং- বলেছেন: ওর চলে যাওযায় যে ক্ষতি হয়েছে বাংলা সিনেমার তা আজও পূরণ হয়নি।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২
মহসিন আহমেদ বলেছেন: "বেঁচে থাকেল আজ বাংলা সিনেমার চেহারা অনেক অনেক অনেক বদলে যেত খেয়াল করে দেখবেন এই মহা নায়কের চলে যাওয়ার পর থেকেই বাংলা সিনেমার জগতে ধ্বস নামে। আমার কেন যেন মনে হয় খুব সুক্ষ ষড়যন্ত্র করেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছিল যেন একটি অশুভ শক্তি এই বাংলা সিনেমার এগিয়ে যাওয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারে আর হয়েছেও তাই।"
একমত...
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: সালমান শাহ থাকলে সালমান খান আর থাকতো নাহ
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
সাদা রং- বলেছেন: ও আমাদের বাংলাদেশের সালমান খান।
১১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১২
এম হুসাইন বলেছেন: আহ, "সালমান শাহ্ " -
আজকের আমাদের বাংলা সিনেমার অহংকার, আমাদের সিলেটের গর্ব!
মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে পোস্টে ++
ভালো থাকুন।
১২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
সাদা রং- বলেছেন: শুধু সিলেটের নয়, সারা বাংলার সিনেমার অহংকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
এই আমি রবীন বলেছেন: সালমান ভালা পাই, যদিও তেমন ছবি প্রেমি নই।
সালমান মারা যাওয়ার পর বুঝলাম কি করে একজন মানুষ একটা শিল্প ধরে রাখতে পারে!