নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যেই সুন্দর সুন্দরই আমার সৌন্দর্য

মো: মেহেরুল ইসলাম

আমি খুবই সাধারন একটা মানুষ।জ্ঞানের দিক থেকেও অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য।তবে স্বপ্ন দেখি অনেক বিশাল।কারন স্বপ্ন দেখতে কোন খরচাপাতি লাগে না।আমি ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।তবে ধর্মান্ধ নই।

মো: মেহেরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কলা পাঁতার ঘর

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

কলা পাতার ঘর
---------------------------------------

গ্রামে শৈশবে কলা পাতা দিয়ে ঘর তৈরি করে খেলে নাই এমন কিশোর বা কিশোরী খুজে পাওয়া প্রায় দূরহ ব্যপার।কম বেশি আমরা সকলেই কিন্তু এই কলা পাতার ঘর তৈরি ও তাতে বসে খেলা ,শুয়ে থাকা করেই কাটিয়েছি শিশবের অনেকটা সময়।কলা পাতার ঘরের কাঠামো যে খুব মজবুত ছিলো তা কিন্তু নয়।খুটির বদলে বাঁশের কঞ্চি আর দড়ির বদলে কলা গাছের (গ্রামের ভাষাতে যাকে ঢোংলার সতোর বলে) সতোর, আর ঘরের ছাউনিতে টিন বা খড়ের স্থলে কলা পাঁতা ছিলো এই ঘরের অন্যতম উপাদান।ঘর তৈরির উপাদান যাই হোকনা কেন, এটি মজবুত করতে শ্রমের কোন ঘাটতি থাকতো না।বৃষ্টি আসলে যেন কলা পাতার ঘরই হয়ে উঠতো শৈশবে শেষ আশ্রয়।যদিও সেই ঘরে বৃষ্টির পানি প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থাই রাখা সম্ভব হতো না।দিন শেষে অনেক যত্নে গড়া এই কলা পাঁতার ঘর এক ধাক্কাতে ভেঙ্গে ফেলা হতো।আমরা কিন্তু নিশ্চয় জানতাম যে ,এই কলা পাতার ঘর আসল ঘর না।তবুও খেলার ছলে ঐ সময়টুকু এটাকেই আসল ঘর বিবেচনা করে আশ্রয় গ্রহন করতাম।আজ এই বয়সে এসেও আমরা যেন ঠিক ঐ কলা পাতার ঘরের মতো বানানো এক ঘরে আশ্রয় খুজে ফিরছি।যদিও আমরা সকলেই জানি এটা আলেয়ার আলোর পেছনে ছোটারই নামান্তর ।কিন্তু তবুও কেন জানি আমরা এতোটা অবুঝ! আজও আমরা শৈশব থেকে বেরুতে পারলাম না। এখনো আমরা শৈশবে বানানো সেই কলা পাতার ঘরের নিচেই আশ্রয় খুজে চলি।যে কলা পাতার ঘর আজও আমাকে দিতে পারেনি জীবনের নিরাপত্তা, কথা বলার অধিকার,আমার স্থায়ীত্বের নিশ্চয়তা, আমার শত আকাঙ্খিত স্বাধীনতা।আমাকে আজও শত অনিশচয়তা মাথায় রেখেই সেই কলা পাতার ঘরে বাস করতে হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.