![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সবাই নেশা মুক্ত একটি সমাজ চাই, নেশায় আশক্ত একটি ছেলে বা মেয়ে তার পরিবারের মূল অশান্তির কারন হয়ে ধারায়, নেশায় আশক্ত ব্যাক্তি গুলো ভিন্ন ভিন্ন নেশায় আশক্ত হয়ে থাকে । নেশার অনেক গুলো প্রকার ভেদ আছে। যেমনঃ- কেউ সিগারেটের, কেউ মদের, কেউ আফিমের, কেউ হিরোইনের, কেউ গাজার, কেউ ফেন্সিডিলের, কেউ বা ইয়াবার ইত্যাদি।
একজন নেশায় আশক্ত ব্যাক্তির কাছে তার নেশার বস্তুটিই সবচেয়ে মূল্যবান ও সঠিক মনে হয়। নেশার ক্ষতিকর দিকটা তার কাছে খুবই তুচ্ছ মনে হয় অথবা হয় না। কেননা সে সেটির নেশায় আসক্ত।
ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের মাঝেও কিছু আসক্তি লোক আছে যারা ভিবিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পিৃক্ত। যেমন আওয়ামি আসক্তি, বি এন পি আসক্তি, জামায়াত আসক্তি ইত্যাদি।
এ সমস্ত আসক্ত ব্যাক্তিরা তাদের দলের প্রতি এমন ভাবে আসক্ত হয় যেমনঃ গাজাখোর গাজার প্রতি আসক্ত, মদখোর মদের প্রতি আসক্ত, হিরোইন খোর হিরোইনের প্রতি আসক্ত, ঠিক তেমনি ভাবে সে তার দলের প্রতি আসক্ত।
একজন আওয়ামী আসক্ত ব্যাক্তির কাছে যদি বলা হয় যে শেখ হাসিনা বিশ্বজিৎকে দেখতে গেলনা অথচ নাস্তিক রাজীব (থাবা বাবা ) কে দেখতে গেল এটা ঠিক হয়নি, এই বেঠিকটা একজন আওয়ামী আসক্তকে যতই বুজানো হওক না কেন সে বুঝবে না।
তারমতে আওয়ামী সরকার যা করে তাই ঠিক, আর যা বিরুধীতা করে তা বেঠিক অতএব একজন আওয়ামী আসক্ত ব্যাক্তিধারা কখনোই তার দলের মধ্য থেকে মাত্র একটি দোষ বা মন্দ বের করা সম্ভব নয়।
ঠিক একই ভাবে বি এন পি আসক্ত একজন লোক কে যদি বলা হয় তারেক জিয়ার অপকর্মের কথা, তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে যে পরিমান দূর্নীতি করেছে তা থেকে যদি একটি মাত্র উদাহরণ দেওয়া হয়, তারপরও সে স্বিকার করবে না যে তারেক জিয়া বিন্দু পরিমান দূর্নীতি করেছে।
একজন বিএনপি আসক্ত ব্যাক্তির মতে তারেক জিয়া তার ভাই কোকো অথবা ম্যাডাম খালেদা জিয়া কখনোই কোন দূর্নীতি করেনি এবং করতে পারে না। তারা যা করে তা সবই ঠিক অপর পক্ষে বিরোধী পক্ষ যা করে তা সবই বেঠিক।
অতএব একজন বিএনপি আসক্ত ব্যাক্তিধারা বিএনপির একটি ভুল খুজে বের করাও সম্ভব নয় কারন নেশায় আসক্ত ব্যাক্তির মত সেও তার দলের প্রতি আসক্ত আর একজন আসক্ত ব্যাক্তির কাছে নেশাটাই সব চেয়ে শ্রেষ্ঠ বস্তু যদিও নেশায় মৃত্যূ ঘটায়। তাতে কি আসে যায় তবুও সে নেশা করবেই।
কমবেশি সবাই যার যার দলের প্রতি বিশেষ ভাবে আসক্ত হয়ে থাকে। তবে ঐ সকল আসক্ত ব্যাক্তিদরে মধ্যে জামায়াত শিবির আসক্তরা আবার একটু ভিন্ন ধাচের হয়ে থাকে। অন্য আসক্ত ব্যাক্তিদের মত তারা শুধু দলের প্রতি একমুখি আসক্ত নয়, তাদের চিন্তাধারা দ্বিমুখি তাই তারা দ্বিমুখি আসক্ত, তারা মনে করে বাচঁলে গাজী আর মরলে শহীদ।
জামায়াত শিবির আসক্ত ব্যাক্তি গুলি সমাজের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর হয় থাকে। তারা মনে করে ইসলাম তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি আর এই সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্ব একমাত্র তাদের ঘাড়েই অর্পিত হয়েছে, তাই তারা তাদের সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নিজে মরতে বা অন্যকে মারতে কোন প্রকার দিধা বোধ করেনা। হওক না সে যে কোন ধর্মের মারার আগে আল্লাহু আকবার বললেই হলো।
যুদ্ধ করে যদি শান্তি আনা যেত তাহলে নবীর (সঃ) গুষ্টি অত্যাচরী পাপী জালিম এজিদের হাতে শহীদ হতেন না। অ ভাই ভয়কে মোরা জয় করিব হেসে গোলা গুলির গুলিতে নয় গভির ভালবেসে।
সর্বশেষে একটি কথা না বললেই নয় বাংলাদেশে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আছে কিন্তু কোন দলআসক্তি নিরাময় কেন্দ্র নেই বিধায় এ জাতীয় আসক্তির সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে আমাদের দেশে।
©somewhere in net ltd.