নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানের পরমানু কর্মসুচি : ছয় জাতিগোষ্ঠী নিঃসন্দেহে ইরানের কাছে মাথানত করেছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ইরানের পরমানু কর্মসুচি নিয়ে সংকট প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে! আর ইরান-যুক্তরাস্ট্র বিরোধ প্রায় গত ৩৫ বছর ধরে ! এই দুই দেশের বিরোধ ও সংকটের ইতিহাস যাদের জানা আছে তারা নিশ্চয় আজ ভোরে ইরান ও ছয় বিশ্ব শক্তির মধ্যকার সম্পাদিত সমঝোতার দিকে চোখ রেখেছেন । এই সমঝোতার মাধ্যমে ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম একটি মাইল ফলক স্থাপন করলেন । আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুরই সমাধান সম্ভব সেটা শুধু বুঝেন না আমাদের হাসিনা ও খালেদা !



বিশেষ করে ইরান ও যুক্তরাস্ট্রের বিরোধ কারো অজানা নয় আর এই দুই দেশের বিরোধ শুধু ইরানের পরমানু কর্মসুচিতে সীমাবদ্ধ ছিল না । এ বিরোধের ইতিহাস অনেক পুরনো।সেই ১৯৭৯ সাল ইরানের ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে এক বিপ্লবে যুক্তরাস্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের অন্যতম সেবাদাস, মিত্র রেজা শাহ পাহলভির পতনের মাধ্যমেই সূত্রপাত হয়েছিল।রেজা শাহ পাহলভির পতন যুক্তরাস্ট্র কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি ।এর ফলাফল তৎকালীন ইরানি ছাত্ররা মার্কিন দুতাবাস দখল করে যুক্তরাস্ট্রকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছিল! যুক্তরাস্ট্র কমান্ডো্ বিমান পাঠিয়েও কুল কিনারা পায়নি ! যুক্তরাস্ট্র এর প্রতিশো্ধ হিসাবে সৌদি আরব ও অন্যান্য রাজতান্ত্রিক, স্বৈরশাসক আরবদের সহায়তায় ইরাকের সাদ্দামকে লেলিয়ে দিয়েছিল ইরান আক্রমনে । সেই ইতিহাসও সবার জানা ।



ইরান-যুক্তরাস্ট্র বিরোধ কি রকম তার একটা উদাহরণ দেই । ইরানে এখন পর্যন্ত প্রতি জুম্মার নামাজে ইরানের মুসল্লিরা যুক্তরাস্ট্র নিপাত যাক ও ইসরায়েল ধ্বংস হোক বলে স্লোগান দেয় আর তাদের বিপ্লবের বিভিন্ন বার্ষিকিতে তারা যুক্তরাস্ট্র ধ্বংস হোক বলে মিছিলও বের করে! এমনকি তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরে ‍’যুক্তরাস্ট্র নিপাত যা ‘ লেখা সম্বলিত বিলবোর্ড যেখানে সেখানে দেখা যায় ! বিশ্বের আর কোনো দেশে প্রকাশ্যে এরকমটি করা হয় বলে জানা নেই ।তো যুক্তরাস্ট্র সেই ১৯৭৯ সাল থেকে এমন কোনো চেষ্টা বা হীন চেষ্টা করেনি ইরানের বর্তমান শাসনযন্ত্রকে উৎখাত করতে আর এটাই ছিল স্বাভাবিক ।আর সর্বশেষ যুক্তরাস্ট্র ইরানকে ঘায়েল করতে ব্যবহার করতেছিল ইরানের পরমানু কর্মসুচি । এজন্য যুক্তরাস্ট্র, ইউ, জাতিসংঘ কতশত অবরোধ আরোপ করেছে তার হিসাব নেই ! কিন্তু ইরানও পিছিয়ে ছিল না। নিত্য নতুন কলা কৌশল প্রয়োগ ও যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে আধুনিক সমারা্স্ত্র শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ঈর্ষনীয় সাফল্য, ইরানি জনমত ও জাতীয়তাবোধ যুক্তরাস্ট্র, ইসরায়েলকে বিরত রেখেছে ইরান আক্রমনে ।



যে দেশ প্রকাশ্যে যুক্তরাস্ট্রের ধ্বংস কামনা করে সেই দেশের সাথে বিশ্বের একমাত্র সুপার পাওয়ার যুক্তরাস্ট্র কোনো সম্মানজনক সমঝোতায় বা চুক্তিতে উপনীত হবে -এটা ছিল কল্পনারও অতীত ! কিন্তু বর্তমানে বিষ্ময়করভাবে হলেও সেটাই ঘটেছে।ইরানিরা যুক্তরাস্ট্রকে ভাল করেই চিনে। বুশের বিপরীতে তারা নির্বাচিত করেছিল কট্টরপন্থী আহমাদিনেজাদকে আর এবার ওবামার বিপরীতে উদারপন্থী রোহানি !



এই যুক্তরাস্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব ২০০৩ সালে ইরানকে দুই-তিনটা সেন্ট্রিফিউজ চালানোরও অনুমিত দেয়নি । চুক্তির এগ্রিমেন্টটি পড়লে বুঝা যায়-ছয় বিশ্বশক্তি ইরানের দাবির কাছে নি:সন্দেহে মাথা নতই করেছে! ইরান শুধু ছয় মাসের জন্য ইউরেনিয়াম ২০% পরিশোধন করা বন্ধ রাখবে, তবে ইউরেনিয়াম ৫% পরিশোধন করতে পারবে, কোনো নিউক্লিয়ার স্থাপনা বন্ধ করবেনা ও এর উন্নয়ন কাজও থেমে থাকবে না।এর বিনিময়ে যুক্তরাস্ট্র, ইউ, জাতিসংঘ ইরানের উপর থেকে পেট্রোলিয়াম অবরোধ প্রত্যাহার, বিদেশী ব্যাংকে ইরানের গচ্ছিত সম্পদ ফেরতসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবে।যে যুক্তরাস্ট্র ইরানকে কোনো পরমানু কর্মসুচিই চালাতে দিবে না বলে সংকল্প করেছিল এবং ইরানকে যে কোনো মূল্যে তার পরমানু কর্মসুচি পরিত্যাগ করাতে বাধ্য করাবে, ক্ষণে ক্ষণে সামরিক হামলার হুমকি দিত সেই যুক্তরাস্ট্রের ইরানের পরমানু কর্মসুচি মেনে নেওয়া -এটাকে ইরানের এক মহাবিজয় বলা যেতে পারে! এরই সাথে নি:সন্দেহে সবচেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল ও সৌদি আরব! সমঝোতার পরপরই নেতানিয়াহুর উক্তি-’ It's a great mistake in history for ever...এটা একটা খারাপ চুক্তি। ইরানিরা যা চেয়েছে তাই পেয়েছে।’





ইরানিদের জয় শুধু পরমানু কর্মসুচিতে নয়-সিরিয়াতে ইরান রাশিয়া অক্ষের জয়। একদিকে সকল আরব, তুরস্ক, যুক্তরাস্ট্র, আল কায়েদা, পুরো ইউরোপ আর অন্যদিকে শুধু ইরান ও রাশিয়া আর মৌন চীন । তো ইরান-রাশিয়া অক্ষও শেষ পর্যন্ত সিরিয়াতে জয়ী হলো । এর সুফল এখন ইরান রাশিয়া ঘরে তুলবে।



প্রশ্ন: ‍যুক্তরাস্ট্র কেন এ চুক্তি করতে বাধ্য হলো ?



ইরানের শত্রু সাদ্দামকে তাড়ালো আমেরিকা কিন্তু আমেরিকার জন্য অত্যন্ত দু:খের বিষয় সেই ইরাক এখন ইরানের নিয়ন্ত্রনে। ইরাক আমেরিকার চেয়ে ইরানের কথাই বেশি শুনে। একই ঘটনা ঘটতেছে আফগানিস্থানে। কারজাই সরকারের সাথে ইরানের দহরম মহরমও কম নয়। আফগানিস্থানে যুক্তরাস্ট্র এখন সম্মানজনক বিদায় চায় সেখানে ইরানর সহায়তা অবশ্যই দরকার।

শুধু তাই নয় , মধ্যপ্রাচ্যের সংকটগুলিতে ইরান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত যেমন জড়িত যুক্তরাস্ট্র। এখানে ইসরায়েল সৌদিও খেলোয়ার। তবে তারা উভয় ইরানের কাছে পরাজিত হয়েছে বিশেষ করে সিরিয়া, হামাস ও হিজবুল্লাহ ইস্যুতে। যাইহোক-আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল না ।ওবামা নিজেই বলেছেন-ইরানের সাথে এখন চুক্তি না করার অর্থ আমাদেরকে ইরানের সাথে যুদ্ধ করতে হবে।



আর বিশ্বে যুক্তরাস্ট্রের আধিপত্য আর আগের মত নেই । যুক্তরাস্ট্রের অবরোধও খুব একটা কাজে আসছে না । এছাড়া, মার্কিন ও ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলো ইরান ঢোকার জন্য তাদের নিজ নিজ সরকারকে চাপ দিচ্ছে । এটাও একটা কারণ।



আর ইরানের যে রেভ্যুলুশনারি যে গার্ড আছে যুক্তরাস্ট্র এখন চাচ্ছে তার সাথে সম্পর্ক বাড়াতে। বিশেষ যুক্তরাস্ট্রকে এটা করতে হবে ইরানর সামরিক শক্তি ঈর্ষনীয় বৃদ্ধির কারণে। এটা করতে না পারলে পারসিয়ান উপসাগরে যুক্তরাস্ট্রের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে ।



আরো অনেক বিষয় জড়িত আছে। যেমন বিশ্বে চীনের আধিপত্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।সবচেয়ে অবাক করার বিষয়-যুক্তরাস্ট্র এই প্রথমবার ইসরায়েলের কথায় কান দিল না !



যাইহোক-মূল কথা-যুক্তরাস্ট্র ইরানরে সাথে চুক্তি না করলে যুক্তরাস্ট্রকে সামরিক পথে অগ্রসর হতে হত যা যুক্তরাস্ট্রের জন্য আরো বেশি ভয়ংকর ও বিপর্যয় সৃষ্টি করত । এরচেয়ে শান্তিপূর্ণ পরমানু কর্মসুচির অধিকারী ইরান যুক্তরাস্ট্রের জন্য অনেক অনেক বেটার।



আমার মতে সমঝোতা ইরান ও যুক্তরাস্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । আমেরিকার এক ইউনিভার্সিটি প্রফেসর যিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তিনি একটা আর্টিকেলে লিখেছেন- যুক্তরাস্ট্র এখন যে কাজটা করবে ধীরে ধীরে ইরানের সব দাবি মেনে নিবে। একসময় ইরানের সাথে যুক্তরাস্ট্রের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে। যুক্তরাস্ট্র তখন ধীরে ধীরে ইরানর প্রশাসনে ঢুকবে, বিশেষ করে সামরিক বাহিনীতে। ইরানের জেনারেলদের ছেলে মেয়ের জন্য যুক্তরাস্ট্র নাকি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা সুবিধা দিবে। এরপর ইরানের সামরিক বাহিনীকে যুক্তরাস্ট্র নিজ দেশে বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দিবে। মানে বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ইস্যুতে।আর যুক্তরাস্ট্রও একই কাজ করবে ইরানর ভেতরে ইনভেস্ট করবে। এতে যুক্তরাস্ট্র ও ইরান একসময় পরষ্পর নির্ভরশীল হয়ে যাবে। তখন ইরানি নেতারা আর ততটা যুক্তরাস্ট্রের বিষোদগার করবেন না নিজ স্বার্থেই এর কারণ হিসাবে উনি উল্লেখ করেছেন যুক্তরাস্ট্র আর সৌদি ও পাকিস্থানকে পছন্দ করতেছে না । কিন্তু আমার কথা এরকমটা হলে দোষ কোথায় ? তুরস্ক, মিসর সবাই তো ব্যবসা করতেছে যুক্তরাস্ট্রের সাথে। যুক্তরাস্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সাথেও যুক্তরাস্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ক । ব্যবসা এক জিনিস আর আদর্শ আর এক জিনিস। তবে যুক্তরাস্ট্র ব্যবসায়ই করুক আর যাই করুক -ইরানকে আরবদের মত ডমিনেট করতে পারবে না ও আরবদের মত ইরানিরা কখনো যুক্তরাস্ট্রের সেবাদাসও হবে না, আর ইরানরে বর্তমান শাসনযন্ত্র একটা আদর্শের উপর ভিত্তি করে দাড়িয়ে । এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য আপনি যদি যান ১৯৫৩ সালের ইরানিয়ান বিপ্লবে। ৫৬ সালে সেই বিপ্লব যুক্তরাস্ট্র ক্যু করে ছিনিয়ে নেয় আর ৭৯ সালে ইরানিরা আবার বিপ্লব ঘটায় । সেই বিপ্লবে যুক্তরাস্ট্রের গালে এক বড়সড় চড় দেয় যা যুক্তরাস্ট্রের সেই ব্যথা এখনো আছে।





যাইহোক, ইরান ও বিশ্বশক্তির সমঝোতা বিশ্বের বিভিন্ন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বাতলে দিবে বলে প্রত্যাশা করি। বিশেষ করে অশান্ত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংকটের হয়তো শান্তিপূর্ণ সমাধান ও সুবাতাস বয়ে যেতে পারে সেই সাথে এই সমঝোতা আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটেরও একটি দিক নির্দেশনা হতে পারে, কিন্তু হাসিনা ও খালেদা কি এই খবরগুলো রাখেন ? নাকি এখান থেকে কিছু শিখবেন কিভাবে সমঝোতা করতে হয় ও কিভাবে সম্মানজনকভাবে তুলনামুলক শক্তিশালি রাস্ট্রের কাছ থেকে অধিকার আদায় করতে হয় ?নাকি শুধু নিজেরা নিজেরা চুলোচুলি করে মরব ?

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। ++++++++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

নিশির বলেছেন: Nyc Tune

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

জানা বলেছেন:

চমৎকার লেখেন আপনি। আমি আপনার সব লেখাই এসে পড়ে যাই। ভাল লাগে। কোন কারণ ছাড়াই কখনও মন্তব্য করা হয়নি।

আমি তেমন লিখিনা, কাজটি সহজ নয় বলে। তবে পড়ি অনেক। মাঝে মধ্যে দু'একটি মন্তব্য করার লোভ সামলাতে পারিনা। এখানে আমাদের সঙ্গী হবার জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। লিখে যান মনের আনন্দে, সেই আনন্দটুকু ছড়িয়ে যাক অনেক দূর।

ভাল থাকবেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ জানা আপু । অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আমার ব্লগ বাড়িতে পদধুলি দেওয়ার জন্য ।চেষ্টা করব ভাল লেখার ।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১১

রুম৭৪ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লষন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১২

রুম৭৪ বলেছেন: **চমৎকার বিশ্লেষন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

মোহাম্মদ সাইফ উল আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।শুভ কামনা রইল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ন্যবাদ ভাই

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। আপনার লেখাটা ফেসবুকে কপি মারলাম। বিষয়টা সবার জানা দরকার।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

নষ্ট ছেলে বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণ++++
ইরানীদের যতটা বিজয় ঠিক ততটাই পরাজয় ইসরাইল আর সৌদি আরবের। আরব ইসরাইল নাখোশ হলেও তুরস্কের মনে হয় কোন ক্ষতি নাই। আমার জানা মতে গত ১০০ বছরে তুরস্ক-ইরানের মধ্যে কোন যুদ্ধ হয় নাই। আদর্শগত মিল না থাকলেও ব্যবসায়িক ভাবে দুই দেশের মধ্যে বেশ ভাল রিলেশন। তুরস্ক তাদের জ্বালানীর ৩০% কিনে ইরান থেকে। আর তুরস্কের পর্যটকদের বেশির ভাগই আসে ইরান থেকে।
এই সমজোতার ফলে পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক গ্যাসের রিভার্জ ইরান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ইউরোপে গ্যাস রফতানি হতে পারে। সেটাও হবে তুরস্কের উপর দিয়েই। এখানেও তুরস্ক লাভবান। সৌদি আরব যতই নাখোশ হোক তুর্কিদের মনে হয় এতে লাভই হবে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । তুর্কি, পাকিস্থান, ইরাক, সিরিয়া এই সমঝোতায় ইরানকে অভিনন্দন জানিয়েছে কিন্তু নাখোশ হয়েছে সৌদি, কাতার, আরব আমিরাত । এর মধ্যে সৌদি প্রকাশ্যে চুক্তির সমালোচনা করেছে । ধন্যবাদ ।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৬

ক্রেন বলেছেন: ভালো

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৬

আমি অপদার্থ বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অসাধারণ বিশ্লেষণ। লেখালেখিতে আমি একদম নবিশ। আপনার অসাধারণ লেখার উপরে মন্তব্য করার ক্ষমতা আমার নেই। তার উপর 'জানা আপা' এখানে মন্তব্য করে এটাকে অন্যমাত্রা দিয়েছেন। তবু গোয়ার গোবিন্দের মত কিছু কথা পেশ করছি।

আসলে রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা মিত্র বলে কিছু নেই। আমেরিকা ইসরায়েল এবং সৌদি আরবকে পাশ কাটিয়ে ইরানের সাথে ভাল রিলেশন করতে চাইছে। কেননা মধ্যপ্রাচ্যে এখন ইরানীরাই আসল শক্তি হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলেছে। আর আমেরিকা সেরাটাই পছন্দ করে। মাত্রই আমেরিকা সিরিয়া ইস্যুতে বড় ধরণের মার খেয়েছে। এজন্য সৌদি আরবের সাথে আমেরিকার দিন ভাল যাচ্ছে না। পাশাপাশি ইদানিং বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকার দম্ভ অনেকটাই পড়তির দিকে। তাই নতুন করে সংকট না বাড়িয়ে অন্য ভাবে ম্যানেজ করার পথ তারা নিয়েছে।

তবে একটা খটকা কিন্তু থেকেই যাবে। বিশ্বে একটা কথা বেশ চালু আছে, 'আমেরিকা যার বন্ধু তার শত্রুর দরকার নেই'। আপনি বলেছেন ইরানের আদর্শের কথা।এতদিন ইরানি জনগণ সংগত কারণেই আমেরিকার বিরুদ্ধে ছিল। তাই শাসকগণ আমেরিকার বিরুদ্ধে জনগণকে সবসময় তাতিয়ে রাখতে পারতেন। অবরোধ থাকবে না বিধায় এখন ইরানের আয় অনেক বেড়ে যাবে। এর সুফল জনগণ পাবে। আবার ইরানিরা/আমেরিকানেরা অবাধে একে অন্যের দেশে চলাচল করতে পারবে। এতে আল্টিমেটলি আমেরিকার লাভ হবে। কারণ ইরানিরা আগের মত তেজী মনোভাব ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে আমার শঙ্কা আছে। কারণ আরামে থাকলে মানুষ তাবেদার হয়ে উঠে। অনেক তাবেদার আমেরিকা পেয়ে যাবে। তখন হয়ত দেখা যাবে ইরান নিয়ে এক নতুন কৌশল শুরু হবে। এ প্রসংগে একটা কথা মনে পড়ে গেল। চার্লি চ্যাপলিন বোধ হয় বলেছিলেন, 'আমেরিকা কারও সাথে নয়বার হারতে রাজী আছে। কিন্তু দশমবার তাকে একেবারে নিঃস্ব করে ছাড়বে'। দেশী একটা প্রবাদও স্মরণ করা যেতে পারে, 'বলে না মেরে কৌশলে মার'। এখন হয়ত সেই কৌশল কাজ করা শুরু করেছে। আপনার হয়ত আমাকে সন্দেহবাতিক মনে হতে পারে। কিন্তু আমেরিকা এখন অবধি সে প্রমাণ দিতে পারেনি যে তারা তাদের বন্ধুদের মান রেখেছে; বিশেষকরে কোন মুসলিম দেশের ক্ষেত্রে ত নয়ই।

তবু আমরা আশা করব ইরানি শাসকগণ ও তাদের জনগণ আমেরিকার ব্যাপারে খুব সাবধানে থাকবে। এবং আমরা এও আশা করব এই নতুন চুক্তির ফলে যেন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বদলে শান্তির বারতা বয়ে যায়।

আপনার মত আমিও আশা করব বাংলাদেশী দুই নেত্রী এ থেকে শিক্ষা নিবেন এবং আমাদের শান্তি দিবেন।

ইরানিদের জন্য শুভকামনা রইল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট করেছেন । আসলে ইরান বিষয়ে আলোচনা দুএক বাক্যে বলা সম্ভভ না । তবে এটুকু বলব-ইরানের শাসন ক্ষমতায় এখনো বিপ্লবীরা আছেন । তাই আমেরিকার জন্য এত সহজ হবে না ইরানকে ডমনেট করার।

আমার মনে হয় ইরানি এখন কৌশলে আগাবে।আর এই চুক্তিই শেষ চুক্তি নয়। এটা তো মাত্র ছয় মাসের জন্য। এরপরের চুক্তিতে হবে আসল খেলা ।সেখানে নির্ধারিত হবে জয়-পরাজয়। আমার মতে-আপাতত এই চুক্তিতে ইরান ক্ষতির শিকার হয়নি। কারণ-অবরোধ প্রত্যাহার -এটা শুরু হলো ।আর এই শুরুটা ইরানের জন্য দরকার ছিল। এখন-যে প্রোভিশনগুলো দেওয়া হয়েছে ইরান সেগুলো এই ছয়মাস যথাযথ মেনে চলবে।এরপরেই ইরান তাদের বলবে-আমরা তোমাদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তোমরা যা বলেচ তাই করেছি । এবার তোমাদের পালা ! যদি পশ্চিমারা না মানে ইরানের পথ ইরান খুজে নেবে।

ইরানের জন্য দুইটা দিক গুরুত্বপূর্ন। ১. পরমানু কর্মসুচি চালিয়ে যাওয়া ২. অবরোধ প্রত্যাহার করা ।

ইরানকে একই সঙ্গে এই দুইদিক দেখতে হবে। একটা ছেড়ে অপরটা ধরলে ইরানরে জন্য মহাবিপদ ! কারণ-ইরানরে শাসনযন্ত্রকে পশ্চিমারা যেভাবে হোক উৎখাত করতে চায় আর এটা নিয়ে ইরানরে ভেতরেও বিরোধী গোষ্ঠী কম না যদিও তারা তেমন শক্তিশালী ও প্রভাধীন নয়। তারপরেও ইরানকে সবদিক ভাবতে হবে। এছাড়াও আছে প্রতিবেশী মোনাফেক আরব ! এরা ইরান কেন এই আরবরা নিজেদেরও ভাল চায় না ! এই আরবরা চায় না ইরানের পরমানু সমস্যার সমাধান হোক ! তারা চায় আমেরিকা একের পর এক অবরোধ আরোপ করে ইরানকে পঙ্গু বানিয়ে দিক। আমার মনে হয় অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ইরানকে এগিয়ে যেতে হবে। আপাতত ইরান পশ্চিমাদের কাছে কিছুটা হলেও নমনীয়তা প্রদর্শন করল। এই নমনীয়তা প্রদর্শনও কিন্তু একটা কুটনৈতিক কৌশল।

আর ইরান ছয়মাস পিছিয়ে থাকবে সেটা কিভাবে বললেন ? ইরান কি তার গবেষণা বন্ধ করে দিবে ? নতুন সেন্ট্রিফিউজ তারা ঠিকই বানাবে বা বানাচ্ছে বাট সেগুলো ইন্সটল আপাতত করবে না । এই তো ? আর আরবদের কাছে অস্ত্র বিক্রি এটা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। আরবরা এর আগে হাজার হাজার ডলারের অস্ত্র কিনলো বা কিনতেছে তার কোনো হিসাব আছে ? ইরানের সাথে পরমানু চুক্তি হোক বা না হোক আরবরা আমেরিকার কাছ থেকে অস্ত্র কিনবেই -এটা নতুন কিছুই নয়। বরং আরবদের আমেরিকা-ইসরায়েলের কাছ থেকে অস্ত্র না কিনাটাই অস্বাভাবিক !!

আর ইরানের সাথে এই চুক্তিতে ইসরায়েল ও বিশেষ করে আরব বিশ্ব এক ধরণের ঝাকুনি পেয়েছে। আমি মনে করি এতে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানর প্রভাব আগের চেয়ে শতগুণে বৃদ্ধি পাবে। পশ্চিমা ইরানের উপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার করলে ও ইরান পরমানু কর্মসুচিসহ , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে যেমন মহাকাশ প্রযুক্তি, সামরিক দিক দিয়েও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে -তাতে খুব নিকট ভবিষ্যতে ইরান ই পুরো মধ্যেপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণ করবে।

এই মুহুর্তে ইরানের অবরোধ প্রত্যাহার করা দরকার।প্রথম কথা ইরানিরা উত্তর কোরিয়া হতে চায় না ।আবার পাকিস্থানের মত হতেও চায় না । হয়তো তারা জাপানের মত হতে চায় ।আমি জাপানের উদাহরণ দিয়েছি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে । জাপানিদের বিপ্লবী আদর্শ নেই যা ইরানের আছে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। ইরানের চতুর্দিকে শত্রু রাস্ট্র যা জাপানের নেই । জাপানি মডেল বুঝাতে বলেছি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ।

যাইহোক-ইরানিরা যা চাচ্ছে তারা আপাতত পরমানু অস্ত্র বানাবে না কিন্তু পরমানু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতাও ছাড়বে না । এখানেই হলো ইরানের কৌশল ! যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ইরানিরা নিশ্চিৎ পরমানু অস্ত্র বানাবে কিন্তু তার আগে ইরানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সেই পথ তারা পাড়ি দিতে চায়।

শেষ কথা - যতদিন ইরানরে শাসন ক্ষমতায় বিপ্লবী নেতাগণ আছেন ততদিন আমেরিকা তেমন সুবিধা করতে পারবে বলে মনে করি না । এমনকি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিও একজন বিপ্লবী নেতা । আর ইরানের শাসন ক্ষমতায় যারা আছেন তাদের অত্যন্ত বিজ্ঞ ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন বলে মনে করি । অতীতে তারা এর অনেক প্রমানও দিয়েছেন । আশা করি ভবিষ্যতেও দিবেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা রইলো ।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লেষণ। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
পোষ্টে অনেক গুলো প্লাস +++++++++++++++++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা রইলো ।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেশন করেছেন ভাই।
অনেক বাধা-অবরোধ এর পর অবশেষে ইরান সিকৃতি পেল ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জন্য শুভকামনা রইলো যারা মাহমুদ আহমাদেনিজাদ এর মত নেতার পর হাসান রোহানীর মত নেতা পেয়েছেন। আসলেই ইরানীরা সিদ্ধান্ত নিতে কখনো ভূল করেনা....

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । হুম আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

যুবায়ের বলেছেন: তবে আরেকটি প্রশ্নের উদয় হলো মনে।
ইরানের ইউরেনিয়াম উৎপাদন ২০% থেকে কমিয়ে ৫% করা হলো এই চুক্তির ফলে। কিন্তু আমরা জানি ইরানের ইউরোনিয়াম দ্বারাই তাদের বিদ্যূৎ উৎপাদন করে থাকে। এখন প্রশ্ন এই ৫% ইউরোনিয়াম দ্বারা ইরানের বিদ্যূৎ ঔষধ শিল্প এবং অন্যান্য শিল্পের চাহিদা পুরন হবে কি??...
বিদ্যূৎ উৎপাদনে ঘাটতি হবেনাতো??..

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ইরানের বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই । বরং ইরান তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ । শুভকামনা রইলো

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আমি চুক্তিটা
কি নিয়ে হয়েছে জানি না ।
তবে "! ইরান শুধু ছয় মাসের জন্য ২০% ইউরেনিয়াম পরিশোধন করা বন্ধ রাখবে, তবে ৫% ইউরেনিয়াম পরিশোধন করতে পারবে, "
এটা সম্পূর্ণ ভুল লিখেছেন ।এটা কিন্তু এন রিচড ইউরেনিয়াম এর কথা বলা হয়েছে ।পরিমানের কথা বলা হয় নি ।

আর যদি ২০ % এর কথা বলা হয় তবে তো এটা ওয়েপন গ্রেড নয় ।এতে ইরানের জেতার ব্যাপার টা কোথায় ? :-&

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: না, ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। সঠিকটা হবে ইরান ইউরেনিয়াম ২০% এনরচিড করত সেখানে এখন এই চুক্তির ফলে ইরানকে আপাতত এই ছয়মাসের জন্য ইউরেনিয়াম ৫% এনরিচড করতে হবে বা করতে পারবে।

২০% ওয়েপন গ্রেড নয় সেটা সবাই জানে। ওয়েপন গ্রেড হলো ৯০% ।

ইরানের জয়টা এখানেই যে ইরানের সাথে আমেরিকার দীর্ঘদিনের শত্রুতা যা আমার পোস্টে উল্লেখ করেছি- যে ইরানকে কিছুতেই পরমানু কর্মসুচি চালাতে দিবে না, প্রয়োজন হলে সামরিক হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিবে এরকম বার বার হুমকি দিত, এই ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে অনেক ব্লগও লেখা হয়েছে সেসবের কিছুই না ঘটে ইরানি দাবি যে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ত্যাগ করবে না সেই দাবিই অবশেষে আমেরিকাসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্ব মেনে নিল। ইরানের জয়টা এখানেই !

আর ইরান কখনোই বলেনি যে তারা পরমানু অস্ত্র বানাবে। তারা বারবার বলেছে তাদের পরমানু কর্মসুচি শান্তিপূর্ণ।



ফেসবুকে এপ্রেক্ষিতে ইংলিশে একটা কমেন্ট করেছিলাম । সেটা এখানে তুলে দিচ্ছি।


in 2003 , Iran wanted and demanded to the west to operate only 2/3 centrifuges but west didn't allow Iran. After all discussion with west Iran voluntarily suspended it's nuclear program. When Ahmadinejad became president of Iran in 2005 he broke the voluntarily suspension and started nuclear program. Then west being obliged to discuss with Iran to stop Iran's nuclear program.When west failed to stop Iran then they changed their policy. One is discussion and another is sanction !

In 2010, Iran, Turkey and Brazilian president signed an agreement that Iran will enrich low level that 3% will enrich and these enriched Eurenium will have to send outside of Iran and in exchange of Iran will get 20% enriched Eurenium. But west didn't abide by the treaty and they time and again were imposing harsh sanction against Iran.Even west has assassinated 5 top Iranian nuclear scientists to stop Iranian nuclear program !!

Now rest of the event u r well known. Look, now they allowed Iran to enrich 5% Eurenium but for sixth month Iran will stop to enrich 20% Eurenium. West's another main concerned was Iranian Heavy Water installation, Arak. In 7-10 November discussion they demanded to Iran to close Arak reactor but Iran didn't heed this and finally then time deal haven't been occurred.But in recent agreement, they have allowed Iran to run Arak heavy water plant !!!But provision is, Iran won't install additional centrifuges but can replace centrifuges !

Note that, in 2003, West didn't allow Iran to have only 2/3 centrifuges where now Iran's has more than 19000 centrifuges which whole are allowed to run !!!

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আন্তর্যাতিক নাট্যাঙ্গন

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ।

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সহজ ভাবে বিষয় টি তুলে ধরার জন্য । আমরা দিনকে দিন চোখ থাকতেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধি , বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হয়ে যাচ্ছি! ! কোন কিছু থেকে শিক্ষা নেওয়া ত দুর কি করে নির্বোধ শিক্ষা দেওয়া যায় অন্যকে তাতেই ব্যাস্ত! !! ।নিজেদের পায়ের তলার মাটি যদি সরেও তাতে যাক যেন কোনও আফসোস নেই কারও! !

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

টয়ম্যান বলেছেন: ব্লগার সায়েদা সোহেলীর সাথে সহমত।নিজেদের পায়ের তলার মাটি যদি সরেও তাতে যাক যেন কোনও আফসোস নেই কারও! !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.