![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।
ইরানের বিমান ঘাটি ব্যবহার করে রাশিয়া সিরিয়ায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করায় সিরিয়া পরিস্থিতির আরো নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে।ঘটনায় দু:খ পেয়েছে আমেরিকা এবং একই সাথে বিষ্ময়ও প্রকাশ করেছে। বিশ্ব রাজনীতি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আগাম মন্তব্য করা এখন কঠিনই হয়ে দাড়িয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন দ্রতই রং বদলাচ্ছে। কেউ কল্পনাই করেনি ইরান তার বিমান ঘাটি রাশিয়াকে ব্যবহার করতে দিবে যদিও ইরান শুধুমাত্র রিফুয়েলিং ও অ্যামিউনিশন রিলোড করার কাজে তার বিমান ঘাটি সাময়িকভাবে ব্যবহার করতে দিচ্ছে।অবশ্য সিরিয়ায় বছরের পর বছর ধরে চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের ইতি টানতে ইরানের জন্যও তা জরুরী। তাই ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রাশিয়াকে স্থায়ীভাবে হোক বা সাময়িকভাবে হলেও কোনো বিমান ঘাটি হস্তান্তর করা হয়নি তবে সিরিয়া ইস্যুতে দুই দেশের কৌশলগত সামরিক সহযোগিতার ফলাফল এটি। এরপরেও আমেরিকার দু:খ প্রকাশ ডাল মে কুচ কালা হায়। চিন্তিত আমেরিকা এবং একই সাথে নতুন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিব্রত আমেরিকা।
যুক্তরাস্ট্র, ইউরোপের কিছু দেশ এবং তাদের মধ্যপ্রাচ্যে ভাড় সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার সিরিয়াকে নিয়ে যে ডাবল গেম আয়োজন করেছিল এবং আইএস এর সাথে টম এন্ড জেরি খেলতেছিল সেটাতে বাগড়া দিয়েছে রাশিয়া। নীরব দর্শকের ভূমিকা নয় সরাসরি মঞ্চে উপস্থিত রাশিয়া। সিরিয়ার আইএস এর উপর আক্রমন করে আমেরিকা ও তাদের মিত্রদের প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ন্ত্রণের দিবা স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছেন রাশিয়ার পুতিন । পরিবর্তি পরিস্থিতিতে তুরস্কের এরদোগান দেরিতে হলেও প্রমাদ গুণল । নিজের সর্বনাশ হওয়ার আগেই তাই জল আর বেশিদূর গড়াতে দিতে চাইতেছেন না এরদোগান। রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় পশ্চিমাদের সামরিক ক্যু ব্যর্থ করে দিয়ে বহাল তবিয়তে এরদোগান রাশিয়ার পর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ইরান সফরের। লক্ষ্য কি রাশিয়া-ইরান-তুরস্কের নতুন জোট? আপাতদৃষ্টিতে তাই মনে হলেও চুড়ান্ত ফল পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যদি তাই হয় তাহলে ইতিহাসের চাকা ঘুরবে আবার।
ইরানের বিমান ঘাটি রাশিয়া ব্যবহার করছে এই নিউজ বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পরপরই চীন ঘোষণা করেছে সিরিয়ার সাথে সামরিক সম্পর্ক উন্নতি করতে চায় চীন এবং সিরিয় সেনাবাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে্ও প্রস্তুত চীন।অন্যদিকে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বেন আলি ইলদিরিম বলেছেন, সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের সময় এসে গেছে।আগেই বলেছিলাম সিরিয়া যুদ্ধে জয় পরাজয় নির্ধারণ করবে নতুন মধ্যপ্রাচ্য কোন শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে সেদিকে গড়ালে দু:খিত ও বিব্রত আমেরিকার নতুন প্লান কি হতে পারে ? নতুন প্লানে তুরস্কে আর একটা সফল অভ্যুত্থান কি অবশ্যম্ভাবী? নাকি সিরিয়াতে রাশিয়া ইরান জোটের নিশ্চিত জয় মেনে নিতে প্রস্তুত দু:খিত ও বিব্রত আমেরিকা ?
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন,এখন দেখার পালা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় ।
ধন্যবাদ ।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৫৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: এটা তো গত বছরের ঘটনা।
সে যাই হোক আমি রাশিয়ার পক্ষে আছি সূতরাং পুতিনের কুনু ভয় নাই।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০৩
ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: নিজের দেশের পরিস্থিতি বিশ্লেষন করার সুযোগ ও অধিকার আমাদের না থাকলে ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি "বিশ্লেষন" করার সুযোগ আছে, এটাও নেহায়েত কম নয় কি!!
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ক্ষমতার অপব্যবহার সবসময় হয়ে আসছে।এখানেও ব্যতিক্রম ঘটে নি।
দেকখা যাক,কি হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২৬
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: সময়োপযোগী ভাল একটি পোস্ট।কিন্তু ইরানের ঘাটি রাশিয়ার ব্যাবহারে আমি মোটেই অবাক হইনি।একটু দেরিতে হলেও ব্যাপারটি আমার কাছে সাধারনই মনে হয়েছে।
এখন ইউএসএ কি করে সেটিই দেখার বিষয়।