নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরিয়া যুদ্ধের নাটের গুরু তুরস্ক

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১

আরব বিশ্বের একমাত্র প্রগতিশীল ও শিক্ষা, দীক্ষায় মনোনে এগিয়ে থাকা দেশ সিরিয়া প্রায় খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল এবং দেশটি ধ্বংস স্তুপের উপর দাড়িয়ে আছে। সিরিয়ায় বিভিন্ন পক্ষ বিপক্ষ আছে এবং বিভিন্ন পক্ষ বিপক্ষের বিভিন্ন স্বার্থ আছে, আছে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ-আঞ্চলিক শক্তি এবং আন্তর্জাতিক পরাশক্তির, আছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন দল উপদল। কিন্তু এতকিছুর পরেও সিরিয়ার এই পরিণতির জন্য প্রধানতম দায়ী দেশ হল তুরস্ক ও তুরস্ক এবং তুরস্ক।

ব্যাপারটা এমন- কোন ক্যাচাল ছাড়াই আপনি আপনার প্রতিবেশির সাথে সহাবস্থান করতেছেন। এখন বাইরে থেকে ডাকাতদল ভাড়া করে এবং পরিবারের কোন সদস্যকে উস্কে দিয়ে আপনার বাড়িতে লুটপাটে সহায়তা করল কোন এক প্রতিবেশি। ডাকাতদল আপনার বাড়ি থেকে লুটপাট করা জিনিসপত্র খুবই কম মূল্যে সেই প্রতিবেশির কাছে বিক্রি করল। ডাকাতদল আপনার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল এবং আরও দুঃখের বিষয় হল আপনার সেই প্রতিবেশি আপনার এই ঘোরতর বিপদের সময় তার বাড়ি সংলগ্ন আপনার একটি ঘর দখল করে নিল! আপনি আপনার ঘর ফেরত চাইলে সেই প্রতিবেশি আপনাকে উল্টো মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিবেশিটাই হল তুরস্ক!

তুরস্ক আজকে যদি সিরিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় তাহলে সিরিয়ার সমস্যার ১০০% সমাধান আজই হয়ে যাবে। আমেরিকাও সেখান থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। সমস্যা হল আমেরিকা চায় না মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিদায় নিতে। তাই সিরিয়ায় আমেরিকার অবৈধ উপস্থিতির জন্য তুরস্কই এখন তার শেষ ভরসা। তাই ইদলিবে তুরস্কের দখলদারিত্ব দীর্ঘ করার জন্য আমেরিকা তুরস্ককে উস্কে দিচ্ছে। অথচ ২০১১ সাল থেকে শুরু হওয়া সিরিয়া যুদ্ধ ৯০% গুটিয়ে এনেছে আসাদ সরকার। সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়েছে ইদলিবে। তুরস্ক চায় সেখানে নো ফ্লাই জোন করে সন্ত্রাসীদের নতুন করে সংগঠিত করতে। কিন্তু সিরিয়া ও রাশিয়া তা করতে নারাজ। এখন বাধ্য হয়ে সিরিয়া সন্ত্রাসীদের উপর সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। এতে মারা যাচ্ছে তুর্কি সেনা! তুর্কি সেনা কেন সন্ত্রাসীদের সাথে? রহস্যের জট পরিষ্কার।

কুর্দি নিয়ে তুরস্কের একটা আলাদা ভয় আছে ও অস্বস্তি আছে সত্য। সেটা ইরান, ইরাক ও সিরিয়ারও আছে। তাই তুরস্কের উচিৎ নয় কি কুর্দি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া? অবৈধভাবে সিরিয়ার ভূমি দখল কেন? সিরিয়াতে রাশিয়া ও ইরান গেছে সিরিয়া সরকারের আমন্ত্রণে কিন্তু তুরস্ক ও আমেরিকা কার আমন্ত্রণে গেছে? সিরিয়াতে এদের কাজ কী? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তো রাখঢাক ছাড়াই বলেন সিরিয়ার তেল সম্পদ দখলই তার উদ্দেশ্য। তুরস্কের উদ্দেশ্য সিরিয়ার ভূমি ও তেল দুটোই।

তুরস্কের নজর শুধু সিরিয়াতে না, লিবিয়াতেও। লিবিয়াতে যদিও তুরস্ক হাফতার বিরোধী কিন্তু খলিফা হাফতার ও খলিফা এরদোগান লিবিয়া ও সিরিয়াকে নরকের দুয়ারে পুড়তে নিয়ে গেছেন। অবশ্য অগ্নি সংযোগের জন্য জ্বালানি সরবরাহকারী রাষ্ট্র হল সৌদি আরব ও আরব আমিরাত এবং আমেরিকা হল তাদের বিগ ব্রাদার।

তবে তুরস্ক যতই লাফালাফি করুক সিরিয়া থেকে পিছু হটতে বাধ্য তুরস্ক। সিরিয়ার সাথে যুদ্ধ করার মত অবস্থায় নেই তুরস্ক। তারপরে তুরস্ক যদি সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তুরস্ক ও এরদোগানের জন্য এটা হবে চরম রাজনৈতিক ভুল ঠিক যে ভুল করেছিল সাদ্দাম। আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব তুরস্ককে নিয়ে সিরিয়াতে খেলছে এই যা। যেমনটা খেলেছিল সাদ্দামকে দিয়ে ইরান ও কুয়েতের সাথে। তুরস্কের এরদোগানের সামনে এখন দুটো উপায়-হয় প্রেসিডেন্ট আসাদের সাথে চুক্তি করে সিরিয়া থেকে সম্মানজনক বিদায় অথবা আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের খেলার গুটি হিসাবে ব্যবহার হয়ে পরিণতির জন্য অপেক্ষা করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: তুরস্ক মোটেও না।
সামনে দিয়ে হাতী গেলে দেখেন না। পেছন দিক থেকে মশা গেলে থাবা দিয়ে ধরেন।

২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Oh, :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.