![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।
৯/১১। ২০০১ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হয়। একই দিনে একই সময়ে ৩০০০ মানুষের প্রাণহানী হয় যা বিশ্ব ইতিহাসের অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এই একটি ঘটনাই বিশ্ব ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে এবং সেই পরিবর্তনের ধারা এখনও চলমান। সেই দিনের ঘটনার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বিশ্বকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন-সন্ত্রাসের পক্ষে ও বিপক্ষে। এর মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান বলে কিছুই নাই এবং এথিক্যালি থাকার কথাও নয়। প্রশ্ন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বয়ং কোন পক্ষে ছিল এবং আছে?
৯/১১ এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা আল কায়েদা নামের এক জঙ্গী গোষ্ঠীর সদস্যদের দ্বারাই ঘটেছিল এটা নিয়ে এখন পর্যন্ত সন্দেহের অবকাশ নাই। সেই দিনের ঘটনার পর আমেরিকা সারা বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল এবং আজকে ২০২০ সালে এসে প্রশ্ন করা যেতেই পারে আমেরিকা কি সত্যি সেদিন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল? নাকি আমেরিকার যুদ্ধবাজেরা এই হামলাকে উপজীব্য করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুধুমাত্র স্লোগান হিসাবে ব্যবহার করেছিল?
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে যে ১৯ জন সন্ত্রাসী হামলা করেছিল তাদের ১৫ জনই ছিল সৌদি আরবের নাগরিক, ০২ জন ছিল আরব আমিরাতের! আল কায়েদা ও তালেবানের উত্থানের পিছনে যে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মতাদর্শ কাজ করেছে তা হল সৌদি আরবের ওহাবি মতাদর্শ। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত উৎখাত করতে আমেরিকা এই মতাদর্শকে কাজে লাগিয়ে আল কায়েদা ও তালেবানের জন্ম দিয়েছে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরব ও আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকেরা সারা বিশ্বে জঙ্গীবাদ বিস্তারের জন্য নানাভাবে অর্থায়ন করে যাচ্ছে। টাইম ম্যাগাজিন এই নিয়ে লিখেছে 'সৌদি অর্থে বিশ্বব্যাপি জঙ্গীবাদ"। সোভিয়েত উৎখাত করে তালেবানরা যখন আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলো তখন তালেবান সরকারকে বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল-সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও পাকিস্তান। অথচ মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের পরেই সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সাথে আমেরিকার নিখুত দহরম মহরম সম্পর্ক! শুধু তাই নয় ইসরায়েলের সাথে আর পরকীয়া নয় এখন এই দুই আরব দেশের সাথে বিয়ে পড়াতে ব্যস্ত আমেরিকা।
এখানে একটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়- ৯/১১ এর ট্রাজেডির দুইদিন আগে আফগানিস্তানে তালেবান বিরোধী মূল নায়ক পানসিরের সিংহ আহমেদ শাহ মাসুদকে হত্যা করা হয়। ধারণা করা হয় এটা ছিল মার্কিন ষড়যন্ত্রের ফল।
৯/১১ এর ট্রাজেডির পর আমেরিকার নিওকনেরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আড়ালে রেজিম চেঞ্জ নামে দেশে দেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু করলো। বলি হল আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষ। ইরাক ও সিরিয়া যুদ্ধের ফল হিসাবে উত্থান হল নতুন নতুন ভয়ংকর জঙ্গী গোষ্ঠীর-আইসিস, আল নুশরা ইত্যাদি। সিরিয়ার আসাদ সরকার উৎখাতে এবং ইরাকের দখল দারিত্ব দীর্ঘায়িত করতে জন্ম দেওয়া হল আইসিস ও আল নুশরাসহ আরো ভয়ংকর কিছু জঙ্গী গোষ্ঠীর। ইয়েমেনের হুথিদের দমন করতে সেখানেও সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সহযোগিতায় আল কায়েদাকে সহায়তা করেই যাচ্ছে আমেরিকা। আবার আলকায়েদাসহ বিভিন্ন জঙ্গীগোষ্ঠী দমনের অজুহাতে এসব দেশগুলিতে আমেরিকা নিজের অনাকাঙ্ক্ষিত উপস্থিতির বৈধতা আদায় করে নিচ্ছে!
৯/১১ এর ট্রাজেডিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসাবে নয় বরং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শাসকদের উৎখাতের জন্য দেশে দেশে মার্কিন আগ্রাসন, হামলা ও দখল দারিত্বকে বৈধতা দেওয়ার জন্যই আমেরিকা শুধুমাত্র টুল হিসাবে ব্যবহার করেছে। সাম্প্রতিককালে ট্রাম্প যেমনটি বলেছেন, পেন্টাগনের কর্মকর্তাগণ এবং সামরিক শিল্পের মালিকেরা অস্ত্র বিক্রির জন্যই নতুন নতুন যুদ্ধের আয়োজন করেন।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইয়েমেনে আমেরিকা ও সৌদীর কি ইন্টারেষ্ট?
৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: বড় দুঃখজনক ঘটনা। সারা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিলো।
৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি পড়ে। শুভেচ্ছা নিন।
৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ডিম দিয়ে কোথায় গেলেন, আপনার ডিমে তা দেবেন কে?
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫
ইলি বলেছেন: ভালো লিওখেছেন। ধন্যবাদ, গাজী ভাইএর সাথে সহমত ডিমে তা দিবে কে???
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শত্রু দিয়ে শত্রু নিধন যুদ্ধে এই নীতি ঠিক। কিন্তু আহাম্মক মুসলমানরা তাদের গুটি হিসাবেই ব্যবহৃত হয়েছে এখনো হয়।