![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান জাতীয় সংসদে সুমহান সদস্যদের অধিবেশন চলাকালীন মিনিট প্রতি ব্যয় মাত্র ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা! নামমাত্র খরচাপাতির এ তথ্যাদি জানার পর থেকে আমার ভেতরকার অন্তর-যন্তর মোচড়াচ্ছে। এ কেমন কথা? এও কি সম্ভব? দেশেবিদেশে কি হবে? কোথায় হবে? কেনো হবে? কিভাবে হবে? আরও আরও কতকিছু, তা এখানেই তো হয়। এজন্য সুদীর্ঘ সময় চরমভাবে ধৈর্যধারণ করে বসে বসে (ঘুম পাওয়ার পরও কিন্তু না ঘুমিয়ে) পরম মমতায় মমতাময় ও মমতাময়ী প্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করেন। আবার সেখানে পৌঁছাতে মাননীয়দের খরচাপাতি সেও কি কম? অবলীলায় কোটি কোটি টাকাকড়ি খরচা করেছেন। তো, তাহাদিগের মিনিট প্রতি বৈঠকি ব্যয় নামমাত্র ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা! স্বাভাবিক কারণেই অতিশয় দ্রুত নামমাত্র এই খরচাপাতি বৃদ্ধিকরণ দরকার। এজন্য ১৬ কোটি অথর্ব জনগোষ্ঠীর দু'বেলার ডাল-ভাত তরকারি, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থান বাবদ বরাদ্দকৃত টাকারতোড়া থেকে মোটাসোটা অংশ কেটেছেটে তা সংসদ অধিবেশন ব্যয় বৃদ্ধিকরণে সংযোজিত করা হউক। আমরা এও জানি যে, অথর্ব জনগোষ্ঠীর ভোটদানের সুবাদে মাননীয় সাংসদ, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী ও রাজা নির্বাচিত হন। অতএব, আমরাও 'সবাই রাজা'। এজন্য রাজকার্যের খরচাপাতি বৃদ্ধি মানেমানে অথর্ব জনগোষ্ঠীর খরচাদি বৃদ্ধি। বেশ আগেকার কথা, আপনারা ভুলে গেলেও আমাদের কিন্তু মনে আছে। সরকারী চাকরিজীবীদের বেতনবৃদ্ধির মুলা ঝুলিয়ে অতিশয় দ্রুততায় নিজেরা নিজেদের বেতন ভাতা তিনগুণ বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। দ্বিধা করবেন না, ঠিক সেভাবে দ্রুততায় 'সংসদ অধিবেশন খরচা বৃদ্ধি বিল ২০১৬' পাশ করুন। আল্লাহর দোহাই, প্রয়োজনে প্রস্তাব ছাড়াই বিলটা পাশ করুন। ক্ষমতা থাকতে সামান্য সুযোগও হাত ছাড়া করবেন না।
©somewhere in net ltd.