![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের চারটি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ বছর এক মণ বা ৪০ কেজি ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ৮২৮ টাকা। হাট-বাজারে কৃষক প্রতি মণ ধান বিক্রি করছেন ৪৫০-৫৫০ টাকা। ভাবুনতো! এতে তাদের প্রতি মণে কত টাকা লাভ হচ্ছে? এজন্য ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা ও ভর্তুকি কার্যক্রম নিয়ে ভাবতে হবে। তা না হলে কংকালসার কৃষকশ্রেণী গতবারের ন্যায় চলতি মৌসুমেও অর্থাৎ ফি বছর এতো মোটা সাইজের লাভের টাকা গুনছেন যে, আগামীতে অবশ্যই কষ্টকর ধান চাষআবাদ ছেড়েই দেবেন। শোনাও যাচ্ছে, কৃষক ফি বছর এতো এতো মোটাসোটা লাভের এ দায় টানতে না পেরে অনেকেই আবাদে যাচ্ছেন না। তাতে আগামীতে দেশে ধান উৎপাদন কমবে। যদিও এতে রাষ্ট্র বা সরকারের এসে যায়না। আমদানি বাড়বে। আমদানি সংশ্লিষ্টদের পকেট ভরবে। উপরন্তু, আমদানিজনিত বিশ্ব রেংকিংয়ে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সভাগৃহে সাংবাদিক সম্মেলন, সরকার ও সরকার সমর্থকদের বক্তৃতা- বিবৃতিতে ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও খাদ্যে স্বনির্ভরতার আষাঢ়ে বাগাড়ম্বর ছড়িয়ে দিয়ে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করলে সরকারের কৃতিত্ব দাবি করার ল্যাঠাও চুকে যাবে! আর বিকল্প না থাকায় পূর্ব দায় পাথর ঘাড়ে নিয়ে কৃষক আবারও চাষাবাদে নামতে বাধ্য হবে। সো, নো চিন্তা...
©somewhere in net ltd.