![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রমজীবি মানুষের চোখের এক ফোঁটা জল মুছে দেয়া আমার নিরন্তর প্রয়াস....
দিন যতো যাচ্ছে, পরিস্থিতি ততোই বিপজ্জনক হয়ে পড়ছে, এ কথা এখন এদেশের সব মানুষই বোঝে। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের রাজনীতিহীনতার দিকে অতি আগ্রহ। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিহীন পথে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে এমন আশা যারা করেন এবং জনসাধারণকে আশাবাদী করতে চান - তারা বিপজ্জনক এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। জনসাধারণের কাছ থেকে অতি সহনশীলতা আশা করা এবং রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে অতি ভদ্রতা আশা করাই যে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। সাধারণ মানুষের বিরাজনীতিক আচরণ দেশকে যে সঙ্কটে ফেলতে পারে বাংলাদেশ তার প্রমাণ হয়ে উঠতে পারে। অবশ্যই এই পরিস্থিতির জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী। যারা এই একবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্রের নামে ভাওতাবাজীর রাজনীতি করছেন, তারা যে অচিরেই আশাহত হবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ কোন পক্ষেই জনসমর্থন নেই। জনসাধারণ বিপদে পড়তে চাচ্ছে না - এটা একটা কারণ বটে। তবে সাদা চোখে দেখা মূল কারণ নয়, অন্যতম মূল কারণ - রাজনীতিবিদদের সংস্কৃতি, তাদের আচরণ। জনসাধারণ থেকে তারা কথাবার্তায় আলাদা হয়ে গেছেন, আচরণে, সম্পদে আলাদা হয়ে গেছেন। ন্যায়-অন্যায় বোধ, সত্য-মিথ্যাতেও আলাদা হয়ে গেছেন। তারা এমন আচরণ করছেন যেন তারা গণতান্ত্রিক নিয়ম, ইতিহাসের পরিণতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সাধারণ মানুষ তো বটেই, অন্য যারা একটু সাধারণের উপরে ব্যবসায়ী-পেশাজীবী, শিক্ষিত, সাধারণ কিংবা সমাজের একেবারেই নিম্নবর্গের সবার কাছ থেকেই রাজনীতিবিদরা আলাদা হয়ে গেছেন। তারা ভিন্ন মূল্যবোধের কথা বলছেন, ভিন্ন যুক্তির কথা বলছেন, ভিন্ন মূল্যবোধ দিয়ে ঘটনাবলীর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। জনসাধারণ বলতে পারছেন না যে, তারা এ সবের সাথে একমত নন। তবে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, নীরব অসম্মতিতে। যে কোনো দেশের জন্য এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ব্যাপার এবং এই ভয়াবহতা টেনে এনেছেন রাজনীতিবিদরাই। সবার মতো তারা গণতান্ত্রিক আচরণ করেননি। ভোট দেয়ার ‘সামান্য’ অধিকারটুকুকেও ছিনিয়ে নিয়েছেন - বিশ্বাস ভঙ্গই হয়েছে। এখনকার অবস্থাটা বিপজ্জনক ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.