![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পোস্ট: ভ্যাটিকান সিটিতে একদিন ও অর্ধনগ্ন নারী
আড়াই বছর আগের কথা। ২৪ জুলাই ২০১২, সোমবার। ভরা গ্রীষ্মের (জুন- জুলাই- আগষ্ট) পূর্ণ আমেজ মানুষের মনে দীপ্ত আনন্দের সুবিশাল বহরকে একরাশ শুভেচ্ছা জাানতে যেন লাল গালিচা সংবর্ধনার অপেক্ষা করছে রোম শহরের প্রতিটি সত্ত্বা। কৈশোরে শোনা রোম শহরের মন জুড়ানো বর্নণা এখন চোখ জুড়ানোর অপেক্ষায়। সূর্যের আলোর তীব্রতা বাড়ছে, তবে তাপমাত্রার প্রখরতা নেই। রোম শহরের স্থাপনা থেকে শুরু করে সূর্যের আলো- সবই দারুন বন্ধুভাবাপন্ন। ঘড়ির কাটায় ঠিক ১১ টা। প্রকৃতির অনুকূল পরিবেশ আর মিষ্টি রোদের আতিথীয়তায় বেরিয়ে পড়েছি রোম শহরের কৃত্তিমতার সাক্ষী হতে। রক্ত বর্নের ইটের রাস্তাগুলোর একটু দম ফেলারও যেন ফুসরত নেই। নানান দেশের নানান বর্নের মানুষের পদভারে মুখরিত রোম শহরের প্রতিটি জনপদ।
গ্রীষ্মকালে শুধু রোম নয়, দারুন প্রান চঞ্চলতা ফিরে পায় বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে ঠান্ডার প্রকোপে মুহ্যমান ইউরোপের প্রতিটি জনপদ। বরফময় জনপদে সূর্যের মিষ্টি হাসি আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মিলন কর্মব্যস্ত ইউরোপবাসীদের জাগিয়ে তোলে ভীষনভাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থাকে সম্পূর্ণ বন্ধ। অফিস আদালত- সবখানেই বেশ শিথীলতা লক্ষ্য করা যায়। তরুন-তরুনী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, কেউই বাদ যায় না এই সময়টাকে খুব নিজের করে উপভোগ করতে। সময় কাটানোর নানান সব আয়োজনের মধ্যে ভ্রমনপিপাসু মানুষদের কথা একটু ভিন্নভাবেই বলতে হয়। বাংলাদেশের মানুষদের সাথে তাদের চিন্তা চেতনার মিল নেই। আমাদের দেশের মানুষদের মত বাড়ী গাড়ী করার জন্য নয়, ইউরোরের অনেকেই বছরজুড়ে করা আয়-উপার্জন থেকে একটু একটু করে সঞ্চয় করে ভরা গ্রীষ্মে নতুন জায়গা অথবা নতুন কিছুর সাথে পরিচিত হওয়ার প্রশংসনীয় উদ্দেশ্যে।
রোমের সেন্ট্রাল রেলওয়ে স্টেশন বা ত্যারমিনি (Termini) থেকে যাত্রা শুরু। সহযাত্রী এবং পর্যটন গাইড (Tourist Guide) রোমে বসবাসরত ফুফাতো ভাই সুলতান আহমেদ সোল। রেলস্টেশনটি বেশ জমজমাট, লোকে লোকারন্য। রোম শহরের সৌন্দর্য মনভরে পর্যবেক্ষন করতে পায়ে হাটার বিকল্প নেই। তবুও ত্যারমিনি থেকে বের হয়ে বাসে চড়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পৌছে গেলাম ভিক্টর ইমানুয়েল-২ স্মরনে নির্মিত জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভের (National Monument to Vitor Emmanuel ।।) সম্মুখভাগে। ইটালিয়ান ভাষায় এটাকে বলা হয় আলতারে দেল্লা প্যাতরিয়া (Altare Della Patria) যা বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায় জন্মভূমির পীঠ বা পূজাবেদী (Altar of the Fatherland)। স্মৃতিস্তম্ভটি ১৯১১ সালে উদ্বোধন হলেও ১৮৮৫ সালে স্থাপনাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯২৫ সালে শেষ হয়।
আলতারে দেল্লা প্যাতরিয়া থেকে পরবর্তী গন্তব্য কলোসিয়াম (Colosseum or Coliseum)। কলোসিয়াম সম্পর্কিত ইতিহাস আমাদের অনেকেরই জানা। এটি হচ্ছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম একটি। ২০০৭ সালে নতুন সপ্তম আশ্চর্যের (New7Wonders of the World) মধ্যেও জায়গা করে নেয় কলোসিয়াম। ফ্লেইবিয়ান রাজবংশের (Flavian Dynasty) নাম অনুযায়ী স্থাপনাটি ফ্লেইবিয়ান গ্যালারি (Flavian Amphitheatre) নামেও পরিচিত। ইতালিয়ান ভাষায় এটাকে বলা হয় কলোসিও (Colosseo) অথবা অ্যানফিতিেয়ত্র ফ্লেভিও (Anfiteatro Flavio)। দেল্লা প্যাতরিয়া থেকে আস্তে আস্তে হেটে ঠিক ঠিক পৌছে গেলাম কলোসিয়ামের সম্মুখপানে। কলোসিয়াম তার বায্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে বিখ্যাত মূলত সুদীর্ঘ ইতিহাস এবং বিচিত্র স্থাপনাশৈলীর জন্য। জানা যায় ৭০ খ্রীষ্টাব্দে কলোসিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু করেন তৎকালীন রোমান সাম্রাজ্যের ফ্লেবিয়ান রাজবংশের সম্রাট, সম্রাট ভেসপাসিয়ান (Vespasian) এবং ৮০ সালে সম্রাট ভেসপাসিয়ানের পুত্র সম্রাট তিতুজ (Titus) এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।
বিস্ময়কর নির্মানশৈলীর সাক্ষী হতে প্রতিদিন ৫০,০০০-৮০,০০০ পর্যটক কলোসিয়াম পরিদর্শন করে। প্রথমদিকে কলোসিয়ামে মল্লযুদ্ধের প্রদর্শনী (Gladiatorial show) সহ নানা ধরনের পশুর রকমারী প্রতিযোগীতার (Animal hunting) প্রদর্শনী হত। এছাড়া পানি দিয়ে এর মধ্যভাগ পরিপূর্ণ করে সমুদ্র যুদ্ধের (Sea Battles) ও আয়োজন করা হত।
কলোসিয়ামের চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখলাম। ভিতরে প্রবেশের লম্বা লাইন, সময় এবং সার্বিক পরিকল্পনার সাথে বিরোধীতা করায় কলোসিায়েমর অভ্যন্তরে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকতে হল। কলোসিয়াম প্রাঙ্গন থেকে বেরিয়ে আসার সময় রঙ্গীন সাজে ঐতিয্যবাহী পোশাক-অলঙ্কার পরিহিত কয়েকজন লোকের ছবি তুলতে চেষ্টা করায় পয়সা দাবী করে বসল। সুলতান ভাইয়ের সর্বোচ্চ প্রভাবে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। উল্লেখ করা যেতে পারে পর্যটকদের সাথে নানান ঢঙ্গে ছবি তুলে পয়সা আয় করাই এদের লক্ষ্য।
কলোসিয়াম কমপাউন্ড থেকে খালি চোখেই দৃষ্টিগোচর হয় বিশাল একটি তোরন যেটি কনস্ট্যানটাইন তোরন (The Arch of Constantine) নামে অভিহিত। ৩১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ অক্টোবর মিলভিয়ান ব্রীজ যুদ্ধে (Battle of the Milvian Bridge) তৎকালীন রোমান সম্রাট ম্যাক্সেনতিয়াস (Maxentius) এর বিরুদ্ধে কনস্ট্যানটাইন-১ (Constantine-।) এর বিজয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে এই তোরনটি নির্মান করা হয়। তোরন সংলগ্ন রাস্তায় অগ্রসর হতেই চোখে পড়ল আসনবিহীন দুই চাকার ইঞ্জিনচালিত অনেকগুলো যান। এ ধরনের যানবাহন ইস্তানবুল বিমানবন্দরের অভ্যন্তরেও দেখেছি।
কলোসিয়াম এবং তৎসংলগ্ন কনস্ট্যানটাইন তোরন ঘুরে চলে এসেছি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম একটি বিখ্যাত ঝর্নার পাদদেশে। ঝর্নাটি ত্রেভী ঝর্না (Trevi Fountain) নামে পরিচিত যার ইতালিয়ান নাম Fontana di Trevi। সম্পূর্ন কৃত্তিকভাবে তৈরি ঝর্নাটি বেশ কয়েকটি খ্যাতিমান সিনেমায় গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ পেয়েছে। জানা যায় খ্রিষ্টপূর্ব ১৯ সালে একজন তরুনীর মাধ্যমে রোম শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে বিশুদ্ধ পানির সন্ধান পান একজন তৃষ্ণার্ত রোমান সৈনিক এবং সেই পথেই পরবর্তীতে ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কৃত্তিম জলপ্রনালী (Aqueduct) মাধ্যমে তৈরি করা হয় এ ঝর্নাটি। বিশেষ কারনে দর্শনার্থীরা এখানে পয়সা (Coin) নিক্ষেপ করে থাকে। গড়ে প্রতিদিন এখানে প্রায় ৩০০০ ইউরোর পয়সা নিক্ষেপ করা হয়।
ত্রেভী ঝর্না পরিদর্শন শেষে হেটে অতি সাধারন অথচ বেশ নজরকাড়া একটি অট্টালিকার সামনে দিয়ে পৌছে গেলাম প্যানথিওন ভবনে। অট্টালিকাটি ইতালির বেশ পুরনো একটি দৈনিক পত্রিকা ইল তেম্পো (Il Tempo) এর প্রধান কার্য্যালয়।
প্যানথিওন (The Pantheon) ভবন ইতালির অন্যতম একটি প্রাচীন নিদর্শন। ভবনটি রোমান সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তনকারী সম্রাট অগাস্তুস (Augustus) এর শাসনামলে তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে ১২৬ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট হাদ্রিয়ান এটিকে পূনর্নির্মান করেন। সপ্তম শতক প্যানথিওন ভবন গীর্জা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যা যীশুখ্রীষ্টের মাতা মেরীকে (Saint Mary- মরিয়ম) উৎসর্গ করা হয়।
প্যানথিওন এর সম্মুখভাগের উম্মুক্ত অঙ্গনটি পিয়াজা দেল্লা রোতোন্দা (Piazza Della Rotonda) নামে পরিচিত। আঙ্গিনাটির ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি ফোয়ারা যার নাম ফন্তানা দেল্লা প্যানথিওন (Fatana Della Pantheon)। প্রতিবছর প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে এখানে।
রোম নগরীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান আর ভ্যাটিকান সিটি (ভ্যাটিকান সিটিতে একদিন ও অর্ধনগ্ন নারী) ঘুরতে ঘুরতে দিনের আলোর নিভু নিভু অবস্থা। অগত্য সেদিনের জন্য প্রমোদ ভ্রমন মুলতবি করা হল। পরেরদিন ২৫ জুলাই সকালের মিষ্টি রোদেই বেরিয়ে পড়লাম।এবারের গন্তব্য ক্যাসতেল সান্ত অ্যাঞ্জেলো (Castel Sant' Angelo) যার বাংলা অর্থ স্বর্গদূতের দূর্গ (The Castle of the Holy Angel)। ঐতিহাসিকদের মতে এ স্থাপনাটি সম্রাট হাদ্রিয়ান মূলত তার নিজের এবং পরিবারবর্গের জন্য একটি সমাধিস্তম্ভ (Mausoleum) হিসেবে তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীতে ক্যাথলিকধর্মগুরুরা এটিকে কেল্লা (Fortress) হিসেবে ব্যবহার করেন। বর্তমান এটি একটি জাদুঘর।
ক্যাসতেল সান্ত অ্যাঞ্জেলো পাশ ঘেষে প্রবাহিত টাইবার নদী (Tiber), ইটালিয়ান ভাষায় নদীটির নাম তেভেরে (Tevere)। ৪০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এ নদীটি ইতালির তৃতীয় বৃহত্তম নদী।
টাইবার নদীর উপর ঠিক ক্যাসতেল সান্ত অ্যাঞ্জেলোর গেইট বরাবর ১৩৪ সালে তৎকালীন রোমান সম্রাট হাদ্রিয়ান একটি সেতু তৈরি করেন। সেতুটিকে বলা হয় স্বর্গদূতের সেতু (The Bridge of Angels), ইতালিয়ান ভাষায় এর নাম পন্তে সান্ত অ্যাঞ্জেলো (Ponte Sant' Angelo)। সেতুর দুইপাশে রয়েছে পাঁচটি করে মোট দশটি পাখাওয়ালা মূর্তি।
রোম নগরীর বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকালে চোখে পড়ে অসংখ্য নগ্ন মূর্তি। বাংলাদেশের বিভিন্ন মূর্তি যেমন অপরাজেয় বাংলা- এগুলোর সাথে রোম শহরের মূর্তিগুলোর অমিল চোখে পড়ার মত। বলা বাহুল্য এ ধরনের নগ্ন মূর্তির সাথে প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০০৮ সালে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে। সে অভিজ্ঞতা অন্য কোন লেখায় শেয়ার করা যাবে। রোম শহরে শুধু মূর্তি নয়, অলঙ্কার, চিত্র ইত্যাদির ক্ষেত্রেও নগ্নতাই প্রধান উপজীব্য বিষয়। গবেষকদের মতে রোমান সভ্যতার কিছুটা সত্য চিত্রের বাস্তব বহিঃপ্রকাশ এসব মূর্তি কিংবা অলঙ্কার-চিত্র। ধীরে ধীরে এ অনুশীলন রোম থেকে ইউরোপের অন্য জায়গাতে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
রোম নগরী পরিভ্রমন শেষে ফেরার পথে রাস্তার পাশে ঢোল-বাদ্যের তালে তােল নৃত্য করা শতাধিক লোকের একটি সমাগম দৃষ্টিগোচর হল। প্রথমে মনে হল কোন উৎসব উপলক্ষ্যে কোন গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। লোকগুলোর দিকে এগিয়ে যেতেই ভুল ভাঙ্গল। না, এটা কোন উৎসব পালনের দৃশ্য নয়, নয় কোন সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির সংস্কৃতি চর্চাও। দাবী আদায়ের লক্ষ্যে একদল চাকুরীচ্যুত লোকের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচী। চমকে উঠলাম, কিন্তু অবাক হলাম না। তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ কিংবা বোমা বিস্ফোরন নেই, নেই রাস্তা দখল করে কোন উম্মাদনা সৃষ্টি। ফুটপাতে েবং রাস্তার পাশে খালি জায়গাতেই চলছে তাদের সুশৃঙ্খল প্রতিবাদ কর্মসূচী। আরেকটু অগ্রসর হতেই অন্য একটি প্রতিবাদী দলকে চোখে পড়ল। তাদের কর্মসূচী অধিকতর প্রশংসনীয়। তারা রাস্তার পাশেও নয়, কয়েকটি ভবনের মধ্যবর্তী আঙ্গিনায় পালন করে চলেছে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচী।
বাংলাদেশের প্রতিবাদ কর্মসূচীও একদিন এমনভাবে পালন করা হবে- সেই আকাঙ্খা নিয়েই রোম ভ্রমন সমাপ্ত হল। পরবর্তী গন্তব্য ভেনিস নগরী।
পরবর্তী পোস্ট: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: গন্তব্য নির্ধারন কিভাবে করবেন?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: আমার বড্ড কৌতুহল উলঙ্গ মূর্তি নিয়ে। এগুলোকে একটু জামাকাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলেও তো হত!! উলঙ্গ মূর্তির পেছনের ইতিহাস বেশ ইন্টারেস্টিং। ইতিহাসবিদরা বলে থাকেন এগুলোর মাধ্যমে আগেকার রোমান সম্রাট এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
ব্লগার শান্ত বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: ওকে!
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাহ, ফ্রি ফ্রি রোমও দেখে ফেললাম...
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন:
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুণ পোস্ট++++
আপনার পোস্টের মাধ্যমে রোম শহরটাও ঘুরে দেখে ফেললাম।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৮
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: রোম শহর ঘুরে আসায় আপনাকে অভিনন্দন।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আপনার পোষ্টের শিরোনাম পড়ে মনে হচ্ছে আপনি মুর্তিগুলোর নগ্নতাই কেবল দেখেছেন এবং এর পিছনের শৈল্পিক কোন ব্যাপার আপনার পর্যবেক্ষনে আসে নি। এই বিষয়ে গত পোষ্টেও বলেছিলাম।
ভালো পোষ্ট মানুষ এমনিতেই পড়ে, বেশি বেশি দৃষ্টি আকর্ষন বা হিটের জন্য অযাচিত ভাবে নগ্ন নারী, উলঙ্গ ইত্যাদি টানার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া আপনার পোষ্টে নগ্ন মুর্তির সরাসরি ছবি বা কাছ থেকে ছবি তেমন একটা নেইও।
যাইহোক, আপনার পোষ্ট বেশ ভালো লেগেছে। ভ্রমন পোষ্ট এমনই হওয়া চাই, ছবি, সুন্দর বর্ননা, ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন নির্ভর। মনে হলো রোম শহর ঘুরে আসছি।
যাইহোক, শুভেচ্ছা রইল।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: প্রথমেই গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।
সাধ্যমত চেষ্টা করেছি লেখার পরিধিটা যতদূর সম্ভব ছোট রাখার জন্য। নগ্ন মূর্তি নিয়ে একটি প্যারা লিখেছি। এই লেখায় মূলত আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকর্মের সাথে ইতালিয়ান কিংবা ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি এবং শিল্পকর্মের মৌলিক পার্থক্যকে ফুটিয়ে তোলাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। বিষয়টি জেনে নগ্ন মূর্তির পেছনের অনেক ইতিহাস কিংবা শৈল্পিক বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষনা সচেতন পাঠক করবেন- এমন প্রত্যাশা ছিল। আমার উদ্দেশ্য ছিল পাঠকদের বিষয়টি সম্পর্কে একটি সাধারন বার্তা দিয়ে বিস্তারিত জানার দিকে ধাবিত করা।
পাঠক আকৃষ্ট করার জন্য এধরনের শিরোনাম দেই নি- এমন দাবী করব না। সেটা করলে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হবে। তবে যেকোন লেখার শিরোনাম প্রাসঙ্গিক এবং সেই সাথে পাঠক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হতে হবে বলেই মনে করি। এই লেখায় নগ্ন মূর্তির সরাসরি কোন ছবি নেই- কথাটি মানতে পারলাম না। লেখার ২৮ এবং ২৯ নম্বর ছবি দুটি (শেষ থেকে ৩ এবং ৪ নম্বর) নগ্ন মূর্তির। তবে খুব কাছ থেকে তোলা নগ্ন মূর্তির ছবি সচেতনভাবেই সংযোজন করা থেকে বিরত থেকেছি।
পোস্টটি আপনার ভাল লাগায় আনন্দিত হয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পরবর্তী লেখাগুলোতেও আপনার গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। গঠনমূলক এবং জ্ঞানগর্ভ সমালোচনা আমার লেখায় সব সময় স্বাগত জানাই।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আপনার পোষ্টের শিরোনাম পড়ে মনে হচ্ছে আপনি মুর্তিগুলোর নগ্নতাই কেবল দেখেছেন এবং এর পিছনের শৈল্পিক কোন ব্যাপার আপনার পর্যবেক্ষনে আসে নি। এই বিষয়ে গত পোষ্টেও বলেছিলাম।
ভালো পোষ্ট মানুষ এমনিতেই পড়ে, বেশি বেশি দৃষ্টি আকর্ষন বা হিটের জন্য অযাচিত ভাবে নগ্ন নারী, উলঙ্গ ইত্যাদি টানার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া আপনার পোষ্টে নগ্ন মুর্তির সরাসরি ছবি বা কাছ থেকে ছবি তেমন একটা নেইও।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৫
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রথমেই গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাই।
সাধ্যমত চেষ্টা করেছি লেখার পরিধিটা যতদূর সম্ভব ছোট রাখার জন্য। নগ্ন মূর্তি নিয়ে একটি প্যারা লিখেছি। এই লেখায় মূলত আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পকর্মের সাথে ইতালিয়ান কিংবা ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি এবং শিল্পকর্মের মৌলিক পার্থক্যকে ফুটিয়ে তোলাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। বিষয়টি জেনে নগ্ন মূর্তির পেছনের অনেক ইতিহাস কিংবা শৈল্পিক বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষনা সচেতন পাঠক করবেন- এমন প্রত্যাশা ছিল। আমার উদ্দেশ্য ছিল পাঠকদের বিষয়টি সম্পর্কে একটি সাধারন বার্তা দিয়ে বিস্তারিত জানার দিকে ধাবিত করা।
পাঠক আকৃষ্ট করার জন্য এধরনের শিরোনাম দেই নি- এমন দাবী করব না। সেটা করলে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া হবে। তবে যেকোন লেখার শিরোনাম প্রাসঙ্গিক এবং সেই সাথে পাঠক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হতে হবে বলেই মনে করি। এই লেখায় নগ্ন মূর্তির সরাসরি কোন ছবি নেই- কথাটি মানতে পারলাম না। লেখার ২৮ এবং ২৯ নম্বর ছবি দুটি (শেষ থেকে ৩ এবং ৪ নম্বর) নগ্ন মূর্তির। তবে খুব কাছ থেকে তোলা নগ্ন মূর্তির ছবি সচেতনভাবেই সংযোজন করা থেকে বিরত থেকেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার ভ্রমনবৃত্তান্ত বেশ ভাল, তবে শিরোনামটা উট্ভট ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১২
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে একই সাথে প্রশংসা এবং সমালোচনা করার জন্য
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ভালো লাগলো রোম নগরীর বিভিন্ন বর্ণনার সাথে ছবি জুড়ে দেওয়ায়।
শিরোনামের সাথে পোষ্টের কোন মিল খুজে পেলাম না ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৪
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: আপনার ভাল লাগায় খুশি হলাম।
পুরো পোস্ট একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে শিরোনামের যথার্থতা পাওয়া যাবে বলেই বিশ্বাস করি।
ধন্যবাদ।
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সুমন কর বলেছেন: ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা'র মন্তব্যের সাথে সহমত।
পোস্ট ভাল লেগেছে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৬
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জবাবে ব্লগার কাল্পনিক_ভালোবাসা'র মন্তব্যের জবাব প্রযোজ্য।
পোস্ট ভাল লাগায় খুশি হয়েছি।
ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২১
গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: ---- ছবি কই
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৯
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: কিসের ছবি?
৩১ টা ছবির একটাও কি আপনার চোখে পড়ল না?
১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার বড্ড কৌতুহল উলঙ্গ মূর্তি নিয়ে। এগুলোকে একটু জামাকাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলেও তো হত!! উলঙ্গ মূর্তির পেছনের ইতিহাস বেশ ইন্টারেস্টিং।
আপনি মুর্তিগুলোর নগ্নতাই কেবল দেখেছেন এবং এর পিছনের শৈল্পিক কোন ব্যাপার আপনার পর্যবেক্ষনে আসে নি।
আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে.... দুনিয়াকে বুজতে শিখুন তার মতন করে... আপনার দৃস্টিকোন থেকে দেখে নয়... তবেই সবার চিন্তার ভাবটা ধরতে পারবেন....
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
মিনহাজ আল ইরাজ বলেছেন: হুম, সেটাই। পরামর্শ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
নতুন বলেছেন: রোম নগরীর উলঙ্গ মূর্তি: বিস্ময় ও একটি রাজনৈতিক শিক্ষা (ছবিসহ)
রোম ঘুরে এতো কিছু দেখার পরে... শিরোনাম :রোম নগরীর উলঙ্গমূতি`( ছবিসহ)