নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কবি দাউদ হায়দার আর নেই

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫






‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’- পংক্তিমালার কবি দাউদ হায়দার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ৭৩ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শনিবার রাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনের একটি বয়স্ক নিরাময় কেন্দ্রে তিনি মারা যান।

খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার অনুজ ও দুই কবি- জাহিদ হায়দার ও আরিফ হায়দার।

আরিফ হায়দার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সময় ২৭ এপ্রিল রাত দেড়টায় দাউদ হায়দার মারা গেছেন। এখন তাকে হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার মরদেহ কী করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এছাড়াও কবির ভাতিজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাওন্তী হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দেশটির স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২০ মিনিটে চাচা মারা গেছেন।

১৯৭৪ সালে দেশ ছাড়ার পর কয়েকবছর কলকাতায় কাটিয়ে ১৯৮৭ সালে সেখান থেকে জার্মানিতে চলে যান দাউদ হায়দার। এরপর থেকে সেখানেই ছিলেন তিনি।

চিরকুমার দাউদ হায়দার আগে থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গতবছর ডিসেম্বরে বার্লিনের বাসার সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় আঘাত পান। সে সময় তাকে হাসপাতালের আইসিইউতেও নিতে হয়।

এরপর হাসপাতাল ছাড়লেও আর সুস্থ জীবনে ফিরতে পারেননি দাউদ হায়দার।

১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি পাবনায় দাউদ হায়দারের জন্ম। তিনি একাধারে কবি, লেখক এবং সাংবাদিক।

১৯৭৪ এর ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার কবিতা ‘কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায়’ প্রকাশিত হলে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে ১১ মার্চ তাকে আটক করে পুলিশ।

২০ মে মুক্তি দেওয়া হলেও কবিকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তখনকার সরকার। পরদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাকে একপ্রকার খালি হাতে কলকাতায় পাঠানো হয়।

কবি লিখেছিলেন, সে সময় তার কাছে ছিল মাত্র ৬০ পয়সা, কাঁধে ঝোলানো একটি ব্যাগে ছিল কবিতার বই, দুজোড়া শার্ট, প্যান্ট, স্লিপার আর টুথব্রাশ। আমার কোনো উপায় ছিল না। মৌলবাদীরা আমাকে মেরেই ফেলত। সরকারও হয়ত আমার মৃত্যু কামনা করছিল।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ইন্নালিলাহে ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজেউন ,আমার প্রিয় মানুষ ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৪২

শাহ আজিজ বলেছেন: তখন নাইনে পড়ি । কাগজে পড়লাম একজন কবিকে বের করে দেওয়া হয়েছে দেশ থেকে । কি লিখেছিলেন যে দেশ ত্যাগ করতে হল ? অনেক বাদে জানলাম , পড়লাম কিন্তু এমন কিছু পেলাম না যা দেশ ত্যাগের কারন হতে পারে । তার আত্মার শান্তি হোক ।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫০

যামিনী সুধা বলেছেন:



এসব পরিবারের লোকজন আসলে কি করতো বলা মুশকিল! তখন মৌলবাদীরা পলাতক, কারা উনাকে এমন চাপ দিয়েছিলো যে, দেশ ছাড়তে হলো?

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: দেশ রত্ন শেখ মুজিব । আমার আজও জিজ্ঞাসা কেন শেখ বিপন্ন বোধ করেছিলেন ।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: কবিতাটির শিরোনাম "কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যায়"। তখন মৌলবাদীরা কথা বলার অবস্থায় ছিলো ?
যে কথাগুলোর জন্য লোকজন রেগে গিয়েছিলেন-
"দেখা হয় আলখেল্লায়
সজ্জিত মিথ্যুক বুদ্ধ; বসে আছে বোধিদ্রুমের ছায়াতলে;
যিশু আরেক ভণ্ড; মোহাম্মদ তুখোড় বদমাস; চোখে মুখে রাজনীতি,
আমি প্রত্যেকের কাছে পাঠ নিতে চাইলুম; "

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ৭ সালে কেউ ছেপেছিল কিন্তু এই লাইনগুলো বাদ দিয়ে । আশা করি বইখানি বেষ্ট সেলার হবে এখন ।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: হায়দার ভাইয়েরা ৭ জনই কবি সাহিত্যিক।
১. জিয়া হায়দার
২. রশীদ হায়দার
৩. মাকিদ হায়দার
৪. দাউদ হায়দার
৫. জাহিদ হায়দার
৬. আবিদ হায়দার
৭. আরিফ হায়দার

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: এদের ২ জনকে আমি চিনি ।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: কোন সরকারই তাকে দেশে আসার অনুমতি দেয় নাই।দেশ থেকে যখন বের করে দেয়া হয় তখন শেখ মুজিব ক্ষমতায়।সে চাইলে তাকে দেশে রাখতে পারতো।

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম শেষ মেশ শেখ নিজেই চলে গেলেন ।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দারকে নিয়েএকটা লেখায় লিখেছিলাম।
আদমের সন্তান আমি; আমার পাশে আমি?
আমি আমার জন্ম জানি না। কীভাবে জন্ম?আতুরের ঘরে কথিত
জননী ছাড়া আরে কে ছিল? আমায় বলে নি কেউ।
আমার মা শিখালো এই তোর পিতা, আমি তোর মাতা।
আমি তাই শিখেছি। যদি বলতো, মা তোর দাসী, পিতা তোর দাস;
আমি তাই মেনে নিতুম। কিংবা অন্য কিছু বললেও অস্বীকারের
উপায় ছিল না।
আমি আজ মধ্য যৌবনে পিতা মাতার ফারাক বুঝেছি। বুঝেছি সবই মিথ্যা
বুঝেছি কেউ কারও নয়; কেউ নয় বলেই তো বলি
একদিন সবকিছুই যাবে চলে (চলে যাবে)'


শুধু ওই কবিতাটা লেখার কারণেই তিনি অমর হয়ে রইবেন।

ঢাকাইয়া কুট্টিঃ সত্যজিৎ রায়ের 'ছিম্বল' ও কবি দাউদ হায়দার

২৭ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০১

শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো হয়েছে অ্যাড করে , ধন্যবাদ তপন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.