![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতার ২৫ বছর পর অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কেউ অস্বীকার করেন নি। মূলত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির ধাপ হিসেবে লাখো কোটি জনতার সাক্ষ্যকে অস্বীকার করা পূর্বক আওয়ামী ঘরানার কিছু স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে বসে। গায়ে প্রগতিশীল তকমা লাগিয়ে ক্ষমতাসীনদের আনুকুল্য পেতে এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবী নামধারী সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তির দাসেরা একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়া ইতিহাস রচনার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়। আর দেশের আপামর জনসাধারনকে ধোকায় ফেলার এক নগ্ন খেলায় মেতে ওঠে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা। ভাড়াটিয়ে লেখক দিয়ে ইচ্ছেমত ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম বেঈমানী করে নতুন প্রজন্মকে অন্ধকারে পতিত করার যে কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয় তা গত আড়াই বছরে লজ্জাজনক স্তরে পৌছে গেছে। এর ফলে সাম্রাজ্যবাদীদের কাজটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মত সহজ হয়ে দাড়ায়। বিভেদ এবং বিভ্রান্তির বেড়াজালে ফেলে সোনার বাংলাদেশকে একটা অস্থিতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে স্বার্থন্বেষী মহলের পাতানো ফাদে খুব ভালভাবেই পা দেয় প্রগতিশীল দুর্গতিবাদীরা।
সত্যকে কয়েকভাবে অস্বীকার করা যায়। একটা হচ্ছে জেনেশুনে সরাসরি সত্যকে অস্বীকার করা। আরেকটা হচ্ছে খোড়াযুক্তিগুলো রং দিয়ে একটা গোজামিল দেওয়া। আবার প্রতারনা কিংবা ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাড়াটিয়া অথবা প্রভাবশালী অন্য কারও মাধ্যমে সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া। "স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান" এই চিরন্তন সত্যকে অস্বীকার করতে গত প্রায় দেড়যুগে এই সবগুলো মাধ্যমেরই আশ্রয় নিয়েছে সুবিধাবাদী গোষ্টি। এক্ষেত্রে তারা কোন নির্ভরযোগ্য এমনকি ঐ গোষ্টির অন্তর্ভুক্ত যারা সচক্ষে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন কিংবা অংশগ্রহন করেছেন তাদের রেফারেন্স গ্রহন করে নি। উল্টো তাদের কাছে স্বল্প পয়সায় বিক্রি হওয়া কিছু ফিকশন লেখকের লেখা মুল্যায়িত হয়েছে যেটা অত্যন্ত হাস্যকর। গাজাঁখুরি গল্প রচনা করা আর ইতিহাস রচনা করা যে এক বিষয় নয় এটা অবশ্য সাম্রাজ্যবাদী শক্তির গোলামদের কাছে মূল্যহীনই মনে হবে।
বর্তমান এই ঘরানার সকলেই কোন যুক্তি তর্ক ছাড়াই স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াকে অস্বীকার করে। আবার কেউ কেউ সত্য ইতিহাস প্রকাশে আপোসহীন লোকদের পাল্টা জবাব দিতে হাস্যকর যুক্তির আশ্রয় নেয়। যেমন বলা হয় " জিয়াউর রহমান নিজেকে কখনও স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে পরিচয় দেন নি"। আশ্চর্চজনক কথা! আমি আমার বাবার সন্তান এই কথাটি যদি আমার বাবা মুখে না বলে তাহলে আমার বাবার সন্তানের তালিকা থেকে কি আমার নাম মুছা যাবে? নিশ্চয়ই নয়। উপরন্তু এটাতো দিবালোকের মতই স্পষ্ট যে আমি আমার বাবার সন্তান। এটাকে বলে কয়ে মানুষকে বুঝানোর কি আছে? অন্যদিকে পৃথিবীর কোন মনীষি নিজের কৃতিত্ব দাবী করেছেন বলে আমার জানা নেই। বঙ্গবন্ধুও তো কখনও স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে নিজেকে দাবী করেন নি। কারন তিনি ইতিহাসের একটা বাস্তব সত্যকে মুছে দিতে চান নি। নিজের কৃতিত্ব নিজে প্রকাশ করার মত হীন মানসিকতা বর্তমান শসক গোষ্টির থাকতে পারে জিয়াউর রহমানের ছিল না।
বঙ্গবন্ধুই যদি স্বাধীনতার ঘোষক হবেন আর ৭ মার্চের ভাষণেই যদি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন, তাহলে ৭ মার্চকে কেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হল না? ভাড়াটিয়া সাক্ষী আর জবরদোস্তিমূলক বিচারের মাধ্যমে রায় দিয়ে নতুন করে ইতিহাস লেখা যায়। কিন্তু মানুষের হৃদয়োঙ্গম হওয়া ইতিহাস কখনও হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যায় না। সেটা অবিনশ্বর থাকে চিরকাল। তৎকালীন পাকিন্তানী শাসকদের নিপীড়নে দিশেহারা জাতির সেই ক্রান্তিকালে যেই ঘোষনা মানুষের মনে নতুন স্বপ্নের সঞ্চার করেছিল তা মুছা যাবে না কস্মীনকালেও। ইতিহাসের পাতায় সেটা কলমের কালি দিয়ে না হলেও রক্তের কালি দিয়ে লেখা থাকবে অনন্তকাল।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪
পয়গম্বর বলেছেন: সহমত
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
মোঃ শরিফুল আলম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
সুন্দর এবং গুছালো লেখার জন্য
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০১
মাসুদ রশিদ বলেছেন: ওরেব্বাপ
৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০২
থাবা_বাবা বলেছেন: ভাই... আপনের জিয়া যখন স্বাধীনতার ঘোষনা দিচ্ছিল, তখন আপনি কি করছিলেন?
৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৪
থাবা_বাবা বলেছেন: ভাল কথা... জিয়া কি তেলের ড্রামের ওপর দাঁড়ায় আকামটা করছিল নাকি??? ব্যাটারে মাইরা ভর্তা বানায় দেয়া উচিৎ... নাইলে আমরা কি সন্দর "পাক" তাকতাম! জিয়াউর রহমান মুর্দাবাদ!
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:০৬
তানভীর২০০০ বলেছেন: ৭ই র্মাচ যদি স্বাধীনতা ঘোষনা দেয়া হয়ে থাকে তাহলে পরে আবার পাকিষ্তানের সাথে আলোচনায় বসলেন কেন বঙ্গবন্ধু ?
আর যদি ২৫শে র্মাচ রাতে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে থাকে তাহলে পাকিষ্থানিদের হাতে ইচ্ছাকৃত ধরা দিলেন কেন?
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @তানভীর এই প্রশ্নে কবিগণ নিরব!!!!!!
গতকাল উনি বললেন উনার পিতা ম্যন্ডেট পেয়েছেন তাই তারই শুধূ বলার হক আছে!! আর কারও নেই।
ভাল কথা। তো সেই ম্যান্ডেটটা কিসের মনে আছে তো?
পুরো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্বের ম্যান্ডেট।
আর তাইতো ৭ই মার্চের পর দেখী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব পাওয়া না পাওয়ার!..
দরকষাকষি করতে।
আবার জনতাকে অন্ধকারে রেখে আত্মসমর্পনের নজীরবিহীন নজির স্থাপন করতে!!!
তাজউদ্দিন আহমদ রেকর্ডার নিয়ে গিয়েও ঘোষনা রেকর্ড করতে রাজি না হওয়ায় তাজউদ্দিন সাহেবের রাগ হয়ে বেরিয়ে যাবার ইতিহাসে!!!!
সত্য কোথায়????
লেখক সত্যই বলেছেন---মানুষের হৃদয়োঙ্গম হওয়া ইতিহাস কখনও হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যায় না। সেটা অবিনশ্বর থাকে চিরকাল। তৎকালীন পাকিন্তানী শাসকদের নিপীড়নে দিশেহারা জাতির সেই ক্রান্তিকালে যেই ঘোষনা মানুষের মনে নতুন স্বপ্নের সঞ্চার করেছিল তা মুছা যাবে না কস্মীনকালেও। ইতিহাসের পাতায় সেটা কলমের কালি দিয়ে না হলেও রক্তের কালি দিয়ে লেখা থাকবে অনন্তকাল।
৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮
মামুন অর রশীদ মামুন বলেছেন: জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তবে শেখ মুজিবের পক্ষে ।
১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
সুপ্রকাশ সরকার বলেছেন: উনি ঘোষনা দিয়েছিলেন সেটা তো আর মিথ্যা না.....
তবে উনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে দিয়েছিলেন তো তাই সবাই জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে নারাজ।
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫
এম আই টু বলেছেন: অপেক্ষা করেন।আগামি বছরেই ৭ই মার্চ স্বাধীনতা দিবস হয়ে যেতে পারে।এই বছর থেকেই ঐটার প্রচারনার টুকিটাকি শুরু হইসে
২৬ মার্চেতো দেশে কিছুই হয় নাই, তাইলে এইটা স্বাধীনতা দিবস হয় কেম্নে?আব্বায় স্বাধীনতার ঘুশক এইটা প্রমানের জন্য হলেও ৭ই মার্চ স্বাধীনতা দিবস হয়ে যাবে
১৫ আগষ্ট জাতীয় শুক দিবস।
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮
কাঠুরিয়া. বলেছেন:
সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল,
শক্তিশালী পাকিস্তানি সৈনিক হঠাৎ আক্রমন শুরু করলো
নিরিহ বাঙ্গালীদের উপর, সেই কাল রাত্রে।
তৎকালীন নেতা কর্মীরা সব্বাই পাকিস্তান-ভারতে পালিয়ে গেল,
হঠাৎ এক মেজর এসে তেলের ড্রামের উপর দাঁড়িয়ে
উপস্থিত সংগ্রামী জনতার উদ্দেশ্যে বললেন,
"আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করলাম"।
তারপর চিটাগাং রেডিও স্টেশনে গিয়ে
সারা পৃথীবির উদ্দেশ্যে বললেন
"আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করলাম"।
সেই উদ্দত্য কন্ঠের আহবানে,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী চেতনায় উৎসাহিত হয়ে
বীর বাঙ্গালী অস্ত্রধরে দেশ স্বাধীন করে ফেল্লো।
[উপরের অংশ কবিতার মত করে পড়তে হবে, একেবারে মুখস্থ করে ফেলতে হবে]
দেশ স্বাধীন হয়ে যাওয়ার পরেই,তৎকালীন নেতা কর্মীরা সব্বাই পাকিস্তান-ভারত থেকে ফিরে এলো এবং যাবতীয় কৃতিত্বের দখল নিয়ে নেয়। তারাই দেশ স্বাধীন করেছে, তারাই পিতা-মাতা-ভাই-বোন সেজে বসে দেশটাকে ভারতের হাতে তুলে দেবার পাঁয়তারা কস্তে থাকলো। যাই হোক, খাঁটি দেশপ্রেমীকরা কখনও পেছা হয়না। তারা দেশ উদ্ধারে এগিয়ে আসলো। যারা পাকিস্তান-ভারত থেকে ফিরে এসে "ক্ষমতা" দখল করেছিল তাদের নির্মূল করলো, আসন্ন ধ্বংসের হাত থেকে দেশ পুনরায় রক্ষা পেল। দেশ রক্ষা করার পরেই প্রথম যে পদক্ষেপ নেওয়া হলো, পাকিস্তান-ভারতে পলায়নকারীদের সাহায্যকারী ও সমর্সথকদের সহ সব্বাইকে নির্মূল করা হয়। (আমার এক খালাত ভাই মৃত, এই খবরাই ৬ মাস পরে আমাদের কাছে পৌঁছায়, সে আর্মী সোহি ছিল)।
দেশ এক চরম ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পায়।
১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০
জিহাদ ৭০০৭ বলেছেন: জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী। স্বাধীনতার একক ঘোষক নন। যদি স্বাধীনতার ঘোষণার একক দাবীদার জিয়া হন তাহলে স্বাধীনতার আগের জিয়াউর রহমান কতটুকু পরিচিত ছিলেন এদেশের মানুষের কাছে। যদি জিয়া এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নায়ক হতেন তাহলে পাক বাহিনী কেন জিয়াকে একবারও গ্রেফতার করেননি অথবা জিয়াকে ডেকে আলোচনায় বসেননি। কেন বার বার বঙ্গ বন্ধ শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার নির্যাতন করা হল এবং কেন বঙ্গ বন্ধু সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছে। স্বাধীনতা লাভের পর এদেশের মানুষ এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কেন জিয়াকে খুজল না। কেন জিয়াকে জুলিও কুরি উপাধি দেওয়া হলো না কেন তা বঙ্গ বন্ধুকে দেয়া হলো।
১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪
সাঈদ সৌদিআরব বলেছেন: জিয়া জীবিত থাকাকালীন কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেননি। তবে একজন স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠককে কেন ঘোষক দাবী করে নব্য বিএনপিরা?
১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৩
কৃষ্ণনগর বলেছেন: আওয়ামীলীগ ২৫ বছর নয় ২১ বছর পরে ক্ষমতায় এসেছিল।আমার এলাকায় জিয়া কিংবা হান্নান কারো ঘোষনা শুনা যায় নাই তারা কেন যুদ্বে নেমেছিল?কালুর ঘাট বেতারের ক্ষমতা কত বর্গমাইল ছিল? আলোচনায় আসতে চাইলে এখানে আসতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩
আকাশের তারাগুলি বলেছেন: বিপ্লবী বিশ্লেষন দেখছি।
View this link