নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হামিদের ব্লগ

হামিদ আহসান

ভবের এই খেলাঘরে খেলে সব পুতুল খেলা জানি না এমন খেলা ভাঙে কখন কে জানে ...

হামিদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রিয় কথা প্রিয় প্রসঙ্গ .....................০২

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৩

এক.



কতিায় শব্দচয়ন সম্পর্কে কবিগুরু বলেন:



”কোনো কবিরই তাঁর প্রকাশমাধ্যমটি গোঁড়া সম্ভ্রান্ততার ধ্বজাধারী কোনো দোকান থেকে ধার করা উচিৎ নয়। তাঁ শুধু নিজস্ব বীজ থাকলে হবে না, নিজের জমিও তাকে তৈরী করতে হবে। প্রত্যেক কবির নিজস্ব বৈশিষ্টমন্ডিত স্বতন্ত্র প্রকাশ ভাষা থাকে। তবে তার অর্থ্ এই নয় যে সম্পূর্ণ্ ভাষাটি তার নিজের তৈরী; বরং ভাষটিকে তাঁর নিজস্ব ঢংয়ে ব্যবহার এবং নিজস্ব জীবনের ছোঁয়া দিয়ে একে তার নিজস্ব সৃষ্টির স্বতন্ত্র বাহনে পরিণত করে।



কবিতা মানুষের সকল জনগোষ্ঠির হৃদয়েই থাকে। আর তাদের এই হৃদয়ের আবেগগুলোকে যথাসম্ভব সুষম ভাষা প্রদান করাটা তাদের প্রয়োজন। এজন্য তাদের একটি মাধ্যম থাকতেই হবে, সচল এবং সুনম্য যা বারবার তাদের সম্পূর্ণ্ নিজেদের হয়ে উঠতে পারে, যুগ যুগ ধরে।



বড় সব ভাষাই বদলেছে এবং বদলাচ্ছে। পরিবর্তন এর চেতনাকে যেসব ভাষা বাধা দিয়েছে সেগুলোর ধ্বংস নিশ্চিত ছিল এবং তারা চিন্ত-দর্শ্ ন ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে কোনো বড় ফসল ফলাবে না। যখন আঙ্গিক স্থির হয়ে পড়ে তখন চেতনা হয় মেনে নেয় তার কারাগারকে অথবা বিদ্রোহ করে।”



(তথ্যসূত্রঃ রাধাকৃষ্ণাণ সম্পাদিত Contemporary Indian Philosophy বইয়ের অন্তর্ভুক্ত কবিগুরুর লেখা The Religion of Artist নামক প্রবন্ধ থেকে অনূদিত)



দুই.



মৈত্রেয়ী দেবীর ’মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ‘ শীর্ষক গ্রন্থের কল্যা্ণে রবীন্দ্রনাথের মংপু অবস্থান রবীন্দ্র ভক্তদের কাছে অজানা নয়। রবীন্দ্রনাথের একটি প্রিয় জায়গা ছিল মংপু । দার্জিলিং থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে দার্জিলিং হিল কাউন্সিলের একচি মহকুমা শহর মংপু যা নিসর্গের মায়াবি স্পর্শে দার্জিলিং জেলা থেকেও বেশি প্রাণময় ছিল।



মংপুতে রবীন্দ্রনাথ অনেক ছবি আঁকেন। রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্ম্, নিজেই বলতেন, দেশের লোকের জন্য নয়। বিদেশের জন্য। কেননা তিনি বিশ্বাস করতেন তাঁর চিত্রকর্মের নান্দনিকতা একমাত্র পাশ্চাত্যের নন্দনতাত্ত্বিকদের কাছে মর্য্াদা পাবে। তিনি বলতেন, ”ছবি দেখা সকলের কাজ নয়। একটা নিয়মিত অভ্যাস আর Instinctive দৃষ্টি থাকা চাই। সেই জন্যেই আমি এখানে ছবি প্রকাশ করতে চাইনে। প্যারিসে ওরা আমার ছবি দেখেছিল দেখবার মত করে। আমার ছবি এদশের জন্য নয়।”



মংপুতে একবার মৈত্রেয়ী দেবীর মাসি সুব্রতা দেবীর ছবিও এঁকে ফেলেন। এই ছবি আঁকতে গিয়ে পরিণত বয়সেও কবির সরস মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য, ”ভাগ্যিস শেষ জীবনে এই দেবী আমায় ধরা দিলেন। জীবনে একটা নতুন পর্ব্ রচনা হল। নতুন রকম করে জগৎটাকে দেখলুম আর্টিস্টের চোখ দিয়ে।”



(তথ্যসূত্রঃ রবীন্দ্রনাথের মংপু, ফারুক আলমগীর, মাসিক উত্তরাধিকার, মাঘ ১৪২০)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: শুভকামনা হামিদ ভাই।

যখন আঙ্গিক স্থির হয়ে পড়ে তখন চেতনা হয় মেনে নেয় তার কারাগারকে অথবা বিদ্রোহ করে

ভালো লাগা জানবেন।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

হামিদ আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ .....................

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

জাফরুল মবীন বলেছেন: রবীন্দ্রভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ হামিদ ভাইকে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৬

হামিদ আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ .....................

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালোলাগা জানবেন ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৭

হামিদ আহসান বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ .....................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.