![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[প্রখ্যাত মার্কিন লেখক Edgar Allan Poe সারা বিশ্বের সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে একটি অতি পরিচিত নাম। তাঁর লিখিত জগদ্বিখ্যাত সম্পূর্ণ্ উপন্যাস The Narrative of Arthur Gordon Pym of Nantucket (1838) এর বাংলা রূপ এটি। বাংলা রূপান্তর © হামিদ]
ভার্জিনিয়ার সেই ভদ্রলোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ ছিল পো সাহেবের। বর্তমানে তিনি “দক্ষিণাঞ্চলীয় সাহিত্য পরিক্রমা” নামক একটি মাসিক পত্রিকার সম্পাদক। রিচমন্ড শহর থেকে প্রকাশিত এই পত্রিকার প্রকাশকের নাম থমাস ডাব্লিউ হোয়াইট। বিশেষ করে দক্ষিণ মহাসাগরস্থ ঘটনাবলী নিয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। অন্যান্যদের সাথে তিনিও খুব পীড়াপীড়ি করতে লাগলেন যাতে আমি যা যা দেখেছি এবং যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি তার একটা পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা লিখে ফেলি।তিনি বললেন, যারা আপনাকে এব্যাপারে জোরাজুরি করছে তাদের সাধারণ বুদ্ধিমত্তা আর বিচক্ষণতার উপর ভরসা রাখতে পারেন। মোটামুটিভাবে তারা বইটির সম্ভাবনার একটা হিসাবও দাঁড় করিয়ে ফেললেন। তাঁর মতে লেখক হিসেবে আমার যতটুকু পরিচিতি তাতে এই বই না চলার কোনো কারণ নেই। আর অবিশ্বাস্য যদি কিছু থেকেও থাকে তাহলেও এই সম্ভাবনাই বেশি যে মানুষ সেগুলিকে সত্য বলেই মেনে নিবে। কারণ সেসব প্রমাণ করার উপায় কি! কিন্তু এতকিছুর পরও তার পরামর্শ মেনে নিতে আমি মনস্থির করতে পারি নি।
তিনি যখন দেখলেন এতসব সত্ত্বেও আমার মধ্যে কোনো বিকার নেই তখন তিনি প্রস্তাব দিলেন, আমার অনুমতি পেলে তিনি নিজেই আমার অভিযাত্রার প্রথম অংশে আমি যেসব ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি সেসবের বর্ণনা লিখবেন এবং তা দক্ষিণাঞ্চলীয় সাহিত্য পরিক্রমা পত্রিকার উপন্যাস বিভাগে প্রকাশ করবেন। আমি আর আপত্তি না করে এই শর্তে সম্মতি দিয়ে দিলাম যে, কাল্পনিক গল্পের আকারে লিখলেও গল্পে আমার আসল নামটি অপরিবর্তিত রাখতে হবে। সেমতে এই গল্পের দু’টি কিস্তি ধারাবাহিকভাবে দক্ষিণাঞ্চলীয় সাহিত্য পরিক্রমা পত্রিকার জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারী (1837)সংখ্যার উপন্যাস বিভাগে প্রকাশিত হল। যেহেতু এটি উপন্যাস হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে তাই বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য লেখকের নাম হিসেবে পত্রিকার সূচীপত্রে পো সাহেবের নাম ছাপা হয়।
চতুরতার আশ্রয় নিয়ে উপকথা হিসেবে প্রকাশ করলেও মানুষ এটাকে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে নেয়। এতে অণুপ্রাণিত হয়ে আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, আমার সেই অভিযাত্রার কাহিনী নিয়মিত সংকলন করে প্রকাশ করব। পরিক্রমায় প্রকাশিত আমার অভিযাত্রার ঘটনাবলীতে সযতনে চতুরতার সাথে উপকথার রং লাগানো হয়েছিল। যদিও আমার বর্ণনাকৃত মূল ঘটনায় কোনোরূপ বিকৃতি ঘটানো হয় নি। তারপরও আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম মানুষ এটাকে উপকথা মনে করছে না। সত্যই মনে করছে। এব্যাপারে পো সাহেবের ঠিকানায় অনেক পাঠকের চিঠিও আসতে লাগল। এথেকে আমি এসিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমি নিজে যদি বিশ্বস্ততার সাথে সঠিক ঘটনাপ্রবাহ লিখে যাই তাহলে পাঠকের কাছে তা অবিশ্বাস্য মনে হবে না। একটু খেয়াল করলেই বুঝা যাবে কোন অংশটুকু আমার লেখা আর এটা পরিস্কার হয়ে যাবে যে, পো সাহেব প্রথম যে কয় পৃষ্ঠা লিখেছেন তাতে আমার বর্ণনার কোনো ব্যত্যয় তিনি করেন নি। এমনকি পরিক্রমায় যারা পড়েন নি তারাও এটা বুঝে যাবেন। কাজেই কোন অংশটুকু আমার লেখা আর কোন অংশটুকু তিনি লিখেছেন সেটা আর বলে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না। লেখার ধরনের ভিন্নতা পরিস্কার।
এ জি পিম
নিউ ইয়র্ক, জুলাই, ১৮৩৮
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৯
হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডি মুন ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৬
ডি মুন বলেছেন: ++++
চলুক
সাথেই আছি
শুভকামনা নিরন্তর।