নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হামিদের ব্লগ

হামিদ আহসান

ভবের এই খেলাঘরে খেলে সব পুতুল খেলা জানি না এমন খেলা ভাঙে কখন কে জানে ...

হামিদ আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুনয়না ............(গল্প)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সুনয়না দাঁড়িয়ে আছে দেয়ালে হেলান দিয়ে; হাঁটু ভেঙ্গে একটি পা আর পিঠ দেয়ালের সাথে ঠেস দিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁধে একটি ব্যাগ কোমর পর্যন্ত নেমে এসেছে। হাতে একটি স্মার্টফোন যা এয়ারফোনের সাহায্যে দুই কানের সাথে সংযুক্ত। দৃষ্টি ফোনের স্ক্রীণের দিকে। এক মনে আঙুল চালাচ্ছে টাচ স্ক্রীনে। পরনে ওয়েস্টার্ন পোষাক। আজকের আগে কখনও তাকে ওয়েস্টার্ন পোষাকে দেখি নি আমি। লম্বাটে টপস আর জিন্সে আজ তাকে লাগছে যেন ‘স্কুল গার্ল’; কোচিংয়ে এসেছে। অথচ এই মেয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। এখন রীতিমতো একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে জব করছে তা-ও তিন বছর হয়ে গেছে। আমিও একটা ব্যাংকে জব করি। তবে সুনয়না আমার কলিগ নয়। সে আমার ক্লাশমেট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ইভনিং এমবিএ পড়ার সুযোগটা যখন পেয়েই গেলাম তখন সিদ্ধান্ত নিলাম একাডেমিক পড়াশোনর দৌড়টা আরেকটু বাড়াই। অফিস থেকেও অনুমতিটা পেয়ে গেলাম।

পাকা সোনালী ধানের মতো গায়ের রঙ মেয়েটির। প্রথম যেদিন দেখি একটা লাল লম্বা ড্রেস পরা ছিল। সোনালী ব্যাকগ্রাউন্ডে লাল ড্রেসে আমার মনে হচ্ছিল তার শরীরে আগুন লেগেছে। যখন হাসে তখন তার মুখ যেমন হাসে তেমনই তার চোখ হাসে, নাক হাসে, গাল হাসে, এমনকি ত্বকও হাসে। সব হাসি আলাদা আলাদা অনুভব করা যায়। মানে মুখের সব অঙ্গ মিলে হাসি নামক যে অভিব্যক্তিটা তৈরী হয় সেটা তো আছেই, সেটা ছাড়াও তার মুখের প্রতিটা অংশের আবার আলাদা আলাদা হাসি আছে। কী এক পবিত্র আভা মিশে থাকে সেই হাসিতে যে দেখলেই মনের সব পঙ্কিলতা দূর হয়ে মনটা ভাল হয়ে যায়। সেই পবিত্র আবেশে মনটাও কেমন পবিত্র হয়ে যায়! আর চোখ দু’টি তার অদ্ভূৎ সুন্দর। হরিণের চোখের মতো নেচে নেচে ঐ চোখ দু’টি যখন এদিক ওদিক তাকায় তখন আমার হৃদপিন্ডে কেমন ধপাস ধপাস বাড়ি খায়! যখনই সরাসরি চোখে চোখ পড়ে তখন আমার ভেতরটা কেমন যেন হু হু করে উঠে। বুকের ভেতরটায় কেমন মোচড় দিয়ে উঠে! বুকটা তখন কেমন খালি খালি লাগে। আর মাথার ভেতর অরকেস্ট্রার ঝংকার তুলে বাজতে থাকে কবি নজরুলের একটি গানের সুর: “চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এই নয়ন পানে।” এই কারণেই সে আমার কাছে সুনয়না। ওর আসল নাম মারিয়াম। মারিয়াম মোস্তফা। বাবা গোলাম মোস্তফার নামের একটা অংশ নিয়া এই নামটি সাজানো হয়েছে।

শুরু দিকে একদিন ক্ষেপানোর জন্য বললাম, ‘মরিয়ম নামে কোনো আধুনিক সুন্দরী মেয়ে আছে তাতো আমি জানতাম না! আমাদের বাসায় একজন কাজের বুয়া ছিল মরিয়ম নামে।’

“আমার নাম মরিয়ম না। মারিয়াম। মারিয়াম মোস্তফা।”

‘ঐ তো, মরিয়ম আর মারিয়াম একই কথা।’

‘একই কথা না। একজন মহীয়সী নারীর নামের উচ্চারণটা শুদ্ধভাবে করা উচিৎ। মারিয়াম ছিলেন এমন এক মহীয়সী নারী যিনি এমন একজনের মা যিনি মুসলমানদের নিকট নবী ঈসা নবী আলাইহিস সালাম নামে পরিচিত এবং ক্রিশ্চিয়ানদের নিকট পরিচিত যীশু নামে। এই মহিয়সী নারীর নামে পাক কুরআনে একটি সূরার নামকরণ করা হয়েছে।’

‘বাহ, আপনি তো দেখছি অনেক কিছু জানেন!’

‘আরে আমরা কী বুড়ো-বুড়ি না-কি যে ক্লাশমেটদেরও আপনি আপনি করতে হবে!
আর তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছে না আমার চাইতে বয়সে খুব বেশি বড় হবে।’

সেই থেকে আমাদের সম্পর্কটা তুমিতে চলে এসেছে। তবে সরাসরি তাকে কখনও সুনয়না বলে ডাকা হয় নি। এটা একান্তই আমার মনের গোপন ব্যাপার। একই পেশার কারণে কিনা জানি না। মারিয়াম শুরু থেকেই আমার সাথে এমনভাবে মিশছে যেন অনেক দিনের পরিচয় আমাদের। ইদানীং তাকে নিয়ে আমার ভাবনাটা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে তাও ঠিক বুঝতে পারছি না। তার সাথে ক্লাশে কিংবা ক্লাশের ফাঁকে আড্ডায় আমার বুকের ভেতরে অনেকটা রবীন্দ্রনাথের হৈমন্তী গল্পের নায়ক অপুর মতো- “আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম। কাহাকে পাইলাম। এ যে মানবী। ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে”-ধরনের অনুভুতি হয়। তবে বাস্তবে বা প্রকাশ্য কথোপকথনে আমাদের মধ্যে এখনও বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো রকম কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি বা কখনও সেরকম কিছু হবে কি না তাও আমি আন্দাজ করতে পারি না।

আজ সন্ধ্যায় ক্লাশ আছে। বসকে ভুজংভাজাং বুঝিয়ে রাজি করে একটু আগেই বের হয়ে গেলাম। রাস্তা-ঘাটে যানজটের কারণে প্রায়ই ক্লাশে দেরি হয়ে যায়। আজও যাতে দেরি না হয়ে যায় সেজন্যই একটু আগেভাগে বের হওয়া। তাছাড়া বাইকের গতিও যতটা সম্ভব বাড়াতে চেষ্টা করলাম। কিন্তু সমস্যা হলো ঢাকার রাস্তায় মাঝে মাঝে এমন হয় যে, এক মিনিটও একটানা বাইক চালানো যায় না। আজকে ট্রাফিক জ্যাম অবশ্য একটু কমই আছে। আজকে মনে হয় একটু আগেই পৌঁছে যাব। কাছাকাছি পৌঁছে গেছি এমন সময় সুনয়নার মোবাইল থেকে ক্ষুদে বার্তা আসে “tumi koi?”মানে মুরাদ টাকলা কোডে লিখেছে ‘তুমি কই’?

এই মুরাদ টাকলা ভাষার কাহিনীও সুনয়নার কাছ থেকে শোনা। কেউ ইংরেজি বর্ণ দিয়ে ‘মুরোদ থাকলে’ কথাটা লিখতে গিয়ে লিখেছিল “Murad Takla”সেই থেকেই ইংরেজী অক্ষর দিয়ে বাংলা লেখার পদ্ধতিকে মুরাদ টাকলা ভাষা বলা হয়।

যাই হোক, আমি ক্ষুদে বার্তার উত্তর না দিয়ে চিপাচাপা আর ফুটপাতের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে পৌঁছে গেলাম ক্যাম্পাসে। জানি ফুটপাতের উপর দিয়ে বাইক উঠিয়ে দেয়ার কাজটা ঠিক না। আর করব না করব না করেও আজ আবারও কাজটা করলাম। তারপর যে বিল্ডিংয়ে আমাদের ক্লাশ হয় তার সামনে পৌঁছে তাকে ঐভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি।

একটানে পেছন দিকটায় চলে গেলাম বাইকটা রাখার জন্য। স্টার্ট বন্ধ করে নেমে দাঁড়ালাম। তারপর লক করে চাবিটা পকেটে রেখে পেছন ফিরেই দেখি সুনয়না। মুখে তার সেই বিখ্যাত মন ভাল করে দেওয়ার হাসি। চোখে সেই হরিণীর মতো দৃষ্টি। সেই দৃষ্টির সামনে আমি অসহায়। ঐ চাঁদমুখের ঝলকে আমি চন্দ্রাহত হয়ে যাই। আর ঐ দৃষ্টি আমার বুকের ভেতরটায় কেমন ঝড় সৃষ্টি করে। কোনো মতে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, এভাবে আমার দিকে তাকিও না তো!

আমার কথায় সে আরও হাসে। খিলখিলিয়ে হাসে। আমাকে বিবশ করে দেয়া হাসি হাসে। তারপর বলে “এখানে আমার করার তো কিছু নেই। আমি তো স্বাভাবিকভাবেই তাকাই”।

তারপর বলে “চল চা খেয়ে আসি। এমনিতে এখনও ক্লাসের দশ মিনিট বাকী। তা আবার স্যার ক্যাপটেনকে এস এম এস দিয়েছেন আসতে আধ ঘন্টা দেরি হবে”।

“চলো, তাহলে হাঁটতে হাঁটতে ছবির হাটে গিয়ে চা খেয়ে আসি।”

“আচ্ছা চলো।”



ছবির হাট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকলাম। একটি দেশি কুকুর আবর্জনার স্তুপে খাবার খুঁজছে। খুবই সাধারণ পরিচিত একটা দৃশ্য। কিন্তু যে জিনিসটা দেখে কষ্ট লাগল সেটা হল কুকুরটির পেছনের পা দু’টি ভাঙ্গা। গাছের মরা ঢালের মত শুকিয়ে ঝুলে আছে। সামনের দু’টি পা দিয়ে সে লাফিয়ে লাফিয়ে চলাফেরা করে আর পেছনের পা দু’টি মাটিতে হেঁচড়ে হেঁচড়ে সাথে যায়। দৃশ্যটা সুনয়নাকে দেখিয়ে বললাম:

‘আমার ধারণা কেউ মজা করতে গিয়ে এর পা দু’টি ভেঙ্গে দিয়েছে। শুরু হয়েছে তার কষ্টের জীবন। প্রভু (মানুষ) ভক্তির জন্য কুকুরের অনেক সুনাম আছে। আর সেই প্রভুদেরই কেউ তার দু’টি পা ভেঙ্গে দিয়ে তাকে এমন কষ্টের দিকে ঠেলে দিল। এখন তাকে এই কষ্টটা বা কষ্টের জীবনটা বয়ে নিয়ে যেতে হবে মৃত্যু পর্যন্ত। মৃত্যুতেই হবে তার সব কষ্টের অবসান। তার আগে নয়।’

‘ঠিক এই কুকুরটার পা কে ভেঙ্গেছে তা আমরা দেখি নি। তাই নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না কে ভেঙ্গেছে তার পা দু’টি। কোনো দুর্ঘটনায়ও ভাঙতে পারে। তবে আমি তোমার সাথে একমত যে, মানব সন্তানেরা এমন কাজ করে। আর এ কাজে তারা বেশ আনন্দ পায়। যেকোনো বিবেকবান মানুষের জন্যই এমন দৃশ্য সহ্য করা কঠিন। কিন্তু কী করব বল, বিবেক জিনিসটা তো খুব কম মানুষেরই আছে!

স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে এই দৃশ্যটা বেশ ছুঁয়ে গেছে সুনয়নাকে । এতক্ষণ যে উচ্ছ্বলতা ছিল তার মধ্যে হঠাৎই যেন নিবে গেল। কেমন যেন উদাসী হয়ে গেল হঠাৎই। তারপর বলল:

‘আচ্ছা একটা জিনিস ভেবে দেখেছ, প্রাণী হিসেবে মানুষের জীবনটাও কি এমনই নয়? কষ্ট কিংবা সুখ জীবনটাকে কেবল অন্তিমের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়াটাই সার নয় কি?আর কি অর্থ আছে জীবনের? রাস্তার পাশে যে মানুষটা রোগ-শোক-ক্ষুধা-শীত-গ্রীষ্মের যন্ত্রণা সঙ্গী করে বেঁচে আছে, ঐ কুকুরটির মতো তাকেও তো অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেই মৃত্যুর জন্যই। শহরের কোনো রাস্তার ধারে কিংবা প্রত্যন্ত কোনো গ্রামে এমন অপেক্ষার দৃশ্য বিরল নয়!’

‘সুখি মানুষও তো কম নেই জগতে।’

‘হ্যাঁ, যারা অনেক বিত্ত-বৈভব আর ক্ষমতার অধিকারী তারা হয়ত সুখি। কিন্তু আপাত সুখি মনে হওয়া এই জীবনটাও সহসাই ফুরিয়ে যায়। জীবনটা ফুরিয়ে যাবার পর তার এই বিত্ত-বৈভব-ক্ষমতারও আর কোনো অর্থ তার কাছে থাকে না। এসব কিছুর অনেত উর্ধ্বে চলে যায় সে। তাহলে শেষ পর্যন্ত এতো আয়োজনের এই মানব জীবনের কী অর্থ দাঁড়াল?’

সুনয়নার এমন সব দার্শনিক টাইপের কথাবার্তা আমাকেও স্পর্শ করে যায়। আমারও মনটা কেমন যেন ভারী হয়ে উঠে। হাঁটতে হাঁটতে ইতোমধ্যে আমরা চায়ের দোকানের সামনে এসে পড়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এদিকটায় অনেকগুলো চায়ের দোকান আছে। কাঁচের ছোট ছোট গ্লাসে চা বিক্রি করে এরা। সবগুলি দোকান ঘুরে ঘুরে একটা দোকান দেখলাম গ্লাসগুলো বেশ পরিস্কার, চকচক করছে। সুনয়নাকে বেঞ্চিতে বসতে বলে আমি চায়ের অর্ডার দিলাম।

কৌটার কনডেন্স মিল্ক দিয়ে বেশ কায়দা করে ঝাঁকিয়ে চা বানাল চা ওয়ালা। দু’কাপ চা নিয়ে এলাম। একটা কাপ তার হাতে দিতে গেলাম। আবারও চোখাচুখি। আবারও পরলাম তার প্রলয়ংকরী দৃষ্টির সামনে। আবারও আমার অবস্থা হল ‘তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ!’ বুকের ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। মাথায় ভেতর ঝংকার তুলেছে অরকেস্ট্রা:

“চেয়ো না সুনয়না
আর চেয়ো না এ নয়ন পানে ।
জানিতে নাই ক বাকী
সই ও আঁখি কি যাদু জানে ।।”


**গল্পটি আমার গল্পগ্রন্থ “মরীচিকার টানে”র অন্তর্ভুক্ত

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: হামিদ আহসান ,



অনেক অর্থ আছে জীবনের । জীবন যেমন যন্ত্রনাময় ভঙুর তেমনি সুন্দর ও ।
সুনয়নার চোখে যেমন বেদনার ছায়া পড়ে আবার সে চোখেই হরিণের নেচে নেচে যাওয়ার নুপূরও বাজে ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪২

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই অর্থবহ একটি মন্তব্যের জন্য .....

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

সুমন কর বলেছেন: জীবন এ রকম.....ই
কখনো হাসা......কখনো কাঁদা......

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

হামিদ আহসান বলেছেন: হুম, ঠিক তাই ........

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

আজিজার বলেছেন: ভাল লাগল, তবে আরো লম্বা হতে পারত।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অাপনাকে মতামত জনানোর জন্য ...

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
.... আর কোথায়! আকর্ষণ রেখেছেন, ভালো।

যা হোক, অনেক মজা পেয়েছি... যথার্থ টাইটেল, হামিদ আহসান ভাই :)
নজরুলের গানটিকে, আমার প্রিয় গানের একটি, সেঁটেছেন বেশ জোতমতো!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

হামিদ আহসান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই সুন্দর করে মতামত প্রদানের জন্য ৷ ভাল থাকুন .....

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

হামিদ আহসান বলেছেন: ..

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১১

মানবী বলেছেন: "রাস্তার পাশে যে মানুষটা রোগ-শোক-ক্ষুধা-শীত-গ্রীষ্মের যন্ত্রণা সঙ্গী করে বেঁচে আছে, ঐ কুকুরটির মতো তাকেও তো অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেই মৃত্যুর জন্যই"
- নির্মম সত্য!

ধন্যবাদ হামিদ আহসান।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

হামিদ আহসান বলেছেন: অাপনাকেও ধন্যবাদ ৷ ভাল থাকুন .....

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাহ, ভালো লেগেছে বেশ। হালকা রোমান্টিকতার সাথে জীবনের গভীর উপলব্ধি... +++

আহমেদ জী এস বলেছেন: হামিদ আহসান ,

অনেক অর্থ আছে জীবনের । জীবন যেমন যন্ত্রনাময় ভঙুর তেমনি সুন্দর ও ।
সুনয়নার চোখে যেমন বেদনার ছায়া পড়ে আবার সে চোখেই হরিণের নেচে নেচে যাওয়ার নুপূরও বাজে ।
চমৎকার বলেছেন, বিশেষ করে শেষ লাইনটি।

ইহাই জীবন, আহা জীবন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

হামিদ আহসান বলেছেন: ইহাই জীবন, আহা জীবন।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য৷ শুভকামনা নিরন্তর জানবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.