![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
একটি পাত্রে একটি ব্যাঙ নিয়ে তাতে পানি দিয়ে গরম করতে শুরু করুন । দেখবেন পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাঙটি তার শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে শুরু করবে । যতই তাপমাত্রা বাড়বে ততোই পানির তাপমাত্রার সাথে নিজের শরীরের তাপমাত্রার সামঞ্জস্য করতে থাকবেসে । ঠিক যখন পানি ফোটার তাপমাত্রায় পৌঁছবে তখন আর সে ওই তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না ।
ওই তাপমাত্রায় সে লাফ দিয়ে পাত্রের বাইরে আসার জন্য চেষ্টা করবে । কিন্তু সে তা আর পারবে না,কারণ সে তার সকল শক্তি পানির তাপমাত্রার সাথে মানিয়ে নিতে ব্যয় করে ফেলেছে । এর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাঙটি মারা যাবে । ব্যাঙটি কেন মারা গেল ? অনেকেই উত্তর দিবেন পানির উচ্চ তাপমাত্রার জন্য । কিন্তু আসলে ব্যাঙটি মারা গিয়েছে এই কারণে যে,কখন লাফ দিয়ে বের হতে হবে সঠিক সময়ে এই সিদ্ধান্ত সে নিতে পারে নি ||
চাতুর্যপূণ, বিভ্রান্তিকর ও প্রচন্ড শক্তিশালী শয়তান আমাদের অবস্তা এই ব্যাঙের মতো করে ফেলে । মানুষ এবং ব্যাঙের রয়েছে অসাধারণ মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা । একজন মানুষ সকল পাপানুকুল পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে । একটা শিশুর সেন্স আসার পর থেকেই শয়তান তাকে ধোঁকা দিতে শুরু করে । তাকে ইবাদত থেকে গাফিল করার চেষ্টা করে । আল্লাহ্ মানুষকে শয়তানের সাথে মোকাবেলা করার শক্তি দিয়েছেন । সেই শক্তি সে শয়তানকে প্রতিহত করার কাজে ব্যয় না করে তার সাথে মানিয়ে নিতে ব্যয় করে এবং চিন্তা করে আর কয়েকদিন পর ভালো হব, নামাজ পড়ব, মেয়েদের সঙ্গ ছেড়ে দেব ।
এভাবে ধীরে ধীরে শয়তানের প্ররোচনা বাড়তে থাকে, মানুষও সেই পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে চায় । এভাবে ধীরে ধীরে শয়তানকে প্রতিহত করার সকল শক্তি সে শয়তানের সাথে আপোষ করার কাজে ব্যয় করে ফেলে । ফলশ্রুতিতে তার সকল চারিত্রিক গুণ এবং মানবিকতা নষ্ট হয়ে যায় এবংআর ইসলামের পথে আসা সম্ভব হয় না । হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল মনে করতে শুরু করে ।প্রথম ক্ষেত্রে ব্যাঙের জন্য সবচেয়ে করুন এবং মর্মান্তিক পরিণতি হল তার মৃত্যু কারন সে একটুসচেতন হলেই সেটা ঠেকাতে পারত । আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে একজন মানুষের জন্য সবচেয়ে করুন পরিণতি হল তার ঈমান আমলের ধ্বংস । তাই একটা ক্ষুদ্র অন্যায় থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখার সামর্থ্য থাকলে সেটার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা আবশ্যক । কেননা শয়তান মৃত্যু অপেক্ষাও ভয়ংকর প্রতিপক্ষ।
‘শয়তান তো এটাই চায়, মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও হিংসা সৃষ্টি করে এবং আল্লাহ্র স্মরণ ও নামাজ থেকে তোমাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখে । সুতরাং এখনও কি তোমরা ফিরে আসবে?’
(মায়িদাহ ৫:৯১)
©somewhere in net ltd.