![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, আত্মশুদ্ধি, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবীয় গুণাবলী সৃষ্টির উদাত্ত আহবান নিয়েই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমজান আমাদের কাছে এসেছিল। মুসলিম জাতীয় ঐতিহ্য চেতনায় এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনে রমজান অতি গুরুত্বপূর্ণ। রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস, ইসলামের প্রতিষ্ঠার মাস, বিজয়ের মাস। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমজান। উন্নত চরিত্র অজর্নের পক্ষে অন্তরায় পাশবিক বাসনার প্রাবল্যকে পরাভূত করত: পাশবিক শক্তিকে আয়ত্ত্বাধীন করা হচ্ছে সিয়ামের তাৎপর্য। ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে সর্বত্র আল্লাহর দ্বীনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় যাবতীয় প্রতিকুলতার মুখে টিকে থাকার জন্যে যে মানসিকতার প্রয়োজন, সিয়ামের সাধনার মধ্যেই তা অর্জিত হয়। মানবতার মহান নেতা রাসূল সা. ও তাঁর বিপ্লবী সাহাবারা এ মহান মাসে লড়াই করেছিলেন বাতিলের বিরুদ্ধে, অন্যায় অসত্য, জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে এবং মানুষের ওপর মানুষের প্রভুত্ব খতম করার মহান লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে মানব জাতিকে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের আহবান জানায় এ মাসে। শুধু উপবাস থাকাই রমজানের সাফল্যের শর্ত নয়, বরং উপবাসের সাথে যাবতীয় পাপ কাজ যেমন- মিথ্যা কথা বলা, গীবত করা, চোগলখোরী, অতি মুনাফাখোরী, কালোবাজারী, ঘুষ-দুর্নীতি, প্রতারণা ও প্রবঞ্চণার মতো ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে বিরত না থাকলে রমজানের ফল পাওয়া যাবে না। রমজানের পুরোপুরি হক আদায় করে অন্যায়, অসত্য ও তাগুতি শক্তির মোকাবেলায় ময়দানে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে ১৫ দিন ব্যাপী বিশেষ তালিম তারবিয়াতের ১২তম দিনের আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
আখেরী মুনাজাতে অংশ নিতে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মানুষ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত চরমোনাইর ময়দানের বিশেষ তালিমে সমবেত হতে থাকে। উল্লেখ্য যে, প্রতি রমজানের ১-১৫ দিন ব্যাপী এ তালিম অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এতে পীর সাহেব চরমোনাই ছাড়াও আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীমপুর, আল্লামা আইয়ূব আলী আনসারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান কালিশ্বরী, মাওলানা জিয়াউল করীম, মুফতী ইসহাক মু. আবুল খায়ের চেয়ারম্যানসহ চরমোনাই’র খলিফাগণ আলোচনা করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই অন্যন্ত আফসোস করে বলেন, বর্তমান সরকার রমজান মাসেও মুসলমানদের সরকারের মুখোমুখি দাড় করাতে স্বঘোষিত মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীকে মুক্তি দিয়ে ইসলামী জনতার হৃদয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাকে অবিলম্বে পুনরায় গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় ঈমানদার জনতা ঈমানের দাবিতে ময়দানে নেমে আসলে সরকারের করার কিছু থাকবে না।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
২| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
পীর ব্যবসা বন্ধ করা হবে
৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:১৬
সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: সব পীর(ওস্তাদ/মুরুব্বি/পথ প্রদর্শক) এক সমান না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
গোধুলী রঙ বলেছেন: দেওয়ানবাগি পীর আপনাগো এই তালিকায় পড়ে নাকি?