![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
একটা খবর শুনে মর্মাহত হলাম!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার ঐতিহাসিক মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। প্রায় ২০০ বছরের পুরাতন মাদ্রাসাটি তৈরি হয়েছিল দানবীর হাজী মুহম্মদ মহসিনের নামে প্রদেয় অর্থে। এই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন বাংলা-আসাম-বাংলাদেশের অন্যতম ধর্মতাত্ত্বিক প্রয়াত ফুরুফুরার ‘দাদাহুজুর’ মৌলানা আবু বকর সিদ্দিকি এবং গোলাম সালমানী আব্বাসী। কেবল ধর্মতত্ত্বই নয়, এখানে পড়ানো হত আধুনিক শিক্ষাক্রম। এখান থেকেই পাস করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি স্যর সৈয়দ আমীর আলি। এখানেই শিক্ষালাভ করেছিলেন তাজউদ্দিন আহমেদ এবং শাহ আজিজুর রহমান, যারা পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এখান থেকে পাশ করেছেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ডঃ এবিএম হাবিবুল্লাহ, বিজ্ঞানী আতাউর রহমান, সাহিত্যিক মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, দেওয়ান ওস্মান গণির মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সমাজচিন্তা, জ্ঞানবিজ্ঞানের শিক্ষাদানে এই প্রতিষ্ঠান মুসলমান সমাজের উন্নতি বিধানে অগ্রণী ছিল।
বহু কৌশল করে মাদ্রাসটি বন্ধ করা হলো। মাদ্রাসfটি বাবরী মসজিদের মত ভাঙ্গা হয়নি এটা ঠিক, কিন্তু নতুন বছরে কোন ছাত্রকে ভর্তি হতে দেওয়া হলো না, সকল শিক্ষককে অন্যত্র বদলী কলে দেওয়া হলো। খোদ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেেশেই এমনটা হলো। যে ভবনে মাদ্রাসটি প্রতিষ্ঠিত, সেটিও হেরিটেজ ভবন। ঐতিহাসিক এই বাড়িটিকে ঘিরে কোনও ব্যবসায়ীকে দিয়ে সরকার অন্য কোনও গোপন পরিকল্পনা করছে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। (http://goo.gl/ug2ioR)
এটা বলতে দ্বিধা নেই ভারতে মুসলমানরা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বসবাস করে, তাদের শিক্ষার হার অনেক কম এবং চাকুরী প্রাপ্তির হার অরো অনেক অনেক কম। এ অবস্থায় মুসলমানদের একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া। ঐ এলাকার মুসলমানরা অবশ্য মাদ্রাসাটি পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছে, কিন্তু মমতা সরকার তা পাত্তাই দিচ্ছে না। (https://goo.gl/MUUJjw)
আমার পেইজের অধিকাংশ পাঠক যেহেতু বাংলাদেশী, তাই আপনাদের একটা প্রশ্ন করতে চাই।
আচ্ছা ! বাংলাদেশ সরকার যদি ঢাকেশ্বরী মন্দির কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল বন্ধ করে দেয়, তবে কি তা বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য শুভকর হবে?
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৫
সুদিন বলেছেন: মুত্রমনারা কি বলবে- ভারত সরকারকে বড়জোর ধন্যবাদ জানাতে পারে। কারণ মুক্তমনা বলা হয় কিন্তু বাস্তবে তারা হচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষীমনা। তাদের একটিভিটির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ইসলাম ধর্ম এর যাবতীয় কার্যকলাপকে ঘৃণিত ভাবে উপস্থাপনা করা ও বিরোধীতা করা। আর নাস্তিকতা হচ্ছে এদের আরেকটি ব্রাঞ্চ কারণ নাস্তিক না হলে তো পারফেক্টলি ধর্মের বিরোধীতা করা যায় না। ধর্মের স্বপক্ষে কথা বলাটাও কি মুক্তমনা না কিন্তু উনাদের কার্যকলাপে মনে হয় ধর্মের বিরোধীতা করাই হচ্ছে মুক্তমনা আর নাস্তিকতা, তা আবার কি ধরনের খুবই ন্যাক্কারজনকভাবে ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে আঘাত দিয়ে উনাদের মুক্তমনা আর নাস্তিকতা চর্চা করে।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদ্দুর জানি, মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যের মুসলিমদের প্রতি খুব উদার । উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষাপট কী জানেন? এর আগে একবার ওখানে জঙ্গী তৎপরতা চলেছিল, শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল । সে জন্যই কি নাশকতা কমাতে রাজ্য সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২০
আবু জান্নাত বলেছেন: ভারতের হিন্দুরা হিন্দু ধর্মের প্রতি অনুরাগী বা মৌলবাদী। বাংলার মুসলিমরা (বিশেষত শাষক গোষ্ঠী) মুত্রমনা মুসলিম, উপরে উপরে ইসলাম জাহির করলেও অন্তরে কিন্তু হিন্দুত্বই লালন করে। জাতীয় কবি নজরুল হলেও জাতিয় সঙ্গীত হিন্দু কবি রবিঠাকুরের। সত্যিই সেলুকাস