![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
ফেসবুকে যেসব আপু বেপর্দাভাবে নিজের ছবি আপলোড করেন, আপনি কি জানেন, আপনার এই একটা
আপলোড করা ছবি কিয়ামতের দিন আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে? আপনার আপলোড করা চিত্তাকর্ষক ছবির প্রত্যেকটি লাইক, কমেন্ট, প্রশংসাসূচক প্রত্যেকটি কমপ্লিমেন্ট যা দেখে আপনি আবেগে আপ্লুত হয়ে যান, সেই লাইক- কমেন্টগুলো আপনি মারা যাওয়ার পরও ফেসবুকে থেকে যাবে! আপনি জানেন, আপনার বেপর্দা ছবি কত হাজার ছেলে দেখছে!!
কত হাজার ছেলে আপনার ছবি দেখে খারাপ কল্পনা করছে!!! আপনার ঐ বেপর্দা, নানা ঢঙ্গের, চুল ছেড়ে তোলা ছবি দেখে ঐ
ছেলেদের যে পাপ হবে, তাদের সকলের সমষ্টির সমান পাপ আপনার আমল নামায় যোগ করা হবে!!! চিন্তা করে দেখুন, হারাম দৃশ্যের দ্বারা কাবু করে আপনি একাই হাজারটা ছেলেকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাধ্যম হয়ে গেলেন!! যেখানে আপনাকে দেখে আপনাকে উপভোগ করে এত ছেলে জাহান্নামে যাবে, সেখানে আপনার অবস্থা কেমন ভয়াবহ হবে--তা কি কখনো চিন্তা করেছেন???? মৃত্যুর পর কত ভয়ঙ্কর শাস্তি অপেক্ষা করছে আপনার জন্য--সে কথা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? আপনি মুসলিমঘরের মেয়ে হিসেবে হয়তো এসব বুঝেন, কিন্তু মাথায় নেন না; ভাবা পর্যন্তই শেষ!!!! তবে আপনাকে দু’টো হাদীস শোনাই, একটু অনুধাবন করুন :
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “(নাজায়িয দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপকারী) প্রতিটি চোখই ব্যভিচারি! আর যে
নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন পুরুষের মজলিসের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায়, সে
একজন বেশ্যা নারী (সে মারাত্মক পাপাচারীণী)” (সহীহ আল-জামে আস-সগীর আয-যিয়াদাতুহ : ২৭০)
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন : “এক শ্রেণীর নারীর দল যারা কাপড় পরিধান করবে, কিন্তু তারা উলঙ্গ গণ্য হবে, কারণ, তারা এমনভাবে কাপড় পড়বে, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ বুঝা যায়। এসব নারী নিজেরা অন্যদের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং অন্যদেরকেও নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করে। তারা তাদের মাথার খোঁপা উটের কুজের মত উঁচু রাখে! এসব নারী জান্নাতে তো যাবেইনা, জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না! অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দুরবর্তী স্থান থেকেও পাওয়া যাবে... কিন্তু ঐ নারীরা জান্নাতের গন্ধও পাবে না!! (সহীহ মুসলিম, ২১২৮)
দেখুন, যেখানে পাতলা কাপড় পরায় বা সামান্য সুগন্ধি ব্যবহার করায় কিংবা খোঁপা উচু করে বাঁধায় স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে বেশ্যা ও পাপাচারীণী বলেছেন এবং তারা জাহান্নামে যাবে, জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না বলে উল্লেখ করেছেন, সেখানে আপনার বেপর্দা ছবি দেখে হাজার হাজার ছেলে গুনাহগার হচ্ছে, জাহান্নামের ভাগী হচ্ছে, সুতরাং আপনি কত বড় জাহান্নামি, পাপাচারিণী ও বেশ্যা আখ্যা পাওয়ার কাজ করছেন--তা একবার নিবিড় মনে বিবেক দিয়ে ভেবে দেখুন!!! সেই সাথে এসব বেপর্দা মেয়ের ছবিতে নাজায়িয লাইক- কমেন্টকারী ছেলেদেরকে তাদের পাপের ভয়াবহতা ও পরকালের কঠিন শাস্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এ ব্যাপার হুঁশিয়ার করছি। তারা তাওবা করুন, সতর্ক হোন। আল্লাহ তা‘আলা সবাইকে যথাযথ পর্দা করার ও সুপথে চলার তাওফীক দান করুন।
আমিন।।
©somewhere in net ltd.