![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
আলহামদুলিল্লাহ্! আমি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি। আমি গর্বকরে বলতে পারি আমি একজন ক্ষুদ্র ধর্মীয় রাজনীতিবিদ।
আমাদের প্রতিটি কাজের একটা উদ্যেশ্য আছে। আমি বাড়ি থেকে বাজারে যাই, একটা কারন অবশ্যই থাকে। আমরা যা করিনা কেন তার একটা কারন থাকে।
কিন্তু একটা পাগল?
পাগলের কোন উদ্যেশ্য নেই। যেদিকে ইচ্ছা সেদিকে যায়।
আল্লাহপাক আমাদের কোন উদ্যেশ্যে সৃস্টি করেছেন?
কি মনে হয় কোন উদ্যেশ্য আছে নাকি?
সবাই একবক্যে স্বিকার করে বলবেন:-
"হা আল্লাহপাক সব মাখলুক কোন না কোন উদ্যেশ্যে সৃস্টি করেছেন"
মানুষ কেন বানিয়েছেন?
হা আমরা সুরা যারিয়াতের ৫৬ নম্বার আয়াত টা অনেকে জানি যে, আল্লাহপাক বলেন :-আমি মানুষ ও জ্বিন জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের উদ্যেশ্যে সৃস্টি করেছি"
সেই ইবাদত মানে কি?
ইবাদত এর মানে হল আনুগত্য করা। অর্থাৎ আল্লাহর হুকুম পালন করা।
নামাজ, রোজা, হজ্ব কোন ইবাদত না!
কি অবাক হলেন?
সত্যি নামাজ,রোজা,হজ্ব ইত্যাদি ইবাদত না।
ইবাদত হলেত সূর্যোদয়/সূর্যাস্তের সময় নামাজ আদায় করলেওতো হত?
রোজা যদি ইবাদত হত তাহলে এই পুরা জিলহজ্ব মাসে রাখলেওতো হত?
হজ্ব যদি ইবাদত হত তাহলে এ মাসে না করে অন্য মাসে করলেওতো হত?
না। আল্লাহপাক বলেন নামাজ পড়বিতো আমার হুকুম মত সময়ে পড়।
রোজা রাখবিতো আমার নির্ধারিত মাসে রাখ।
হজ্ব করবিতো আমার হুকুমমত জায়গায় ও সময়ে কর।
আমার ভাইয়েরা এবার বুজতে পেরেছেন তো ইবাদত কি?
আল্লাহর হুকুম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য করা।
কি মনে থাকবে ভাইয়া?
এবার আসুন আল্লাহর হুকুম কয়টা মানবো?
আল্লাহপাক অন্য আয়াতে বলেছেন- যারা কোরয়ানের কিছু মানলো কিছু মানলোনা.....!
তাদের দুনিয়াতেও লাঞ্চনা এবং পরকালেও আখিরাতেও লাঞ্চনার সুসংবাদ! কি আয়াতটা এমন তো?
আবার-
উদখুলু ফিসসিলমি কাফফা(ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ কর)
ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ(একমাত্র হুকুম আল্লাহর চলবে)
তোমাদেরকে আমার খলিফা করে পাঠিয়েছি...
এই আয়াতগুলু, এই হুকুমগুলো আল্লাহ্ কাদের জন্য কি উদ্যেশ্যে দিয়েছেন?
আমরা পেট ডইলা ডইলা, মাদ্রাসা-মসজিদে সিমাবদ্ধ থাইকা, বুজুর্গি ভাব লইয়া, জাহেলিয়াত সমাজ ব্যাবস্থার পরিবরতনের ফিকির না কইরা, অন্যায়ের প্রতিবাদ না কইরা, হেকমত মারাইয়া কি করতেছি?
আল্লাহ্ আমাকে তাওফিক দিন। পৃথিবীর কেউ নাথাকুক, অন্তত আমাকে লেকচারে নয় ময়দানের একজন মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নিন। আপনার জমিনে আপনার দ্বীন কায়েমের একজন সৈনিক হিসেবে, শায়াদাতের তামান্না লাভ করার আশেক করে দিন। আমিন।
>>আরেকটা কথা, আমরা কতক্ষণ আল্লাহর হুকুম পালন করব?
উত্তর: যতক্ষণ আমরা আল্লাহর বান্দা থাকি ততক্ষণ।
দেখি কে কে আছে "যারা কালেমা তাইয়েবা পড়েছে তাদের উপর ইসলামী আন্দোলন করা ফরজ" এটাকে আমলে নিয়ে "উদখুলু ফিসসিলমি কাফফা" ইসলামে পরিপূর্ণ প্রবেশ করার নিমিত্তে এক জন "ধর্মীয় রাজনীতিবিদ " হতে রাজি আছে?
আল্লাহ্ সবাইকে বুজার তাওফিক দিন। আমিন
©somewhere in net ltd.