![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অগ্রায়নের রাত বেজে ১১.৩৮।
পশ্চিমের আনত একখন্ড স্বচ্ছ বায়ু আমায়
জানিয়ে দিল,
সে আর বেঁচে নেই, মরে গেছে।
বসন্তের আগেই ধেয়ে আসা এক বসন্তের পাখি দেখেছে তার মৃত্যু।
যার ডানায় বেধে আমি কাব্য স্তবকে মৃত্যুদন্ডাদেশ পাঠিয়েছিলাম।
কোন এক বসন্তের জ্যোৎস্নায় আমার হৃদয়ের কাননে অবৈধ অনুপ্রবেশকারিণীর পা বেধে ফেলে সদ্য জন্মানো নিষ্পাপ কাব্যগুল্ম, বুঝতে পেরে অনুপ্রবেশ।
চোখ বেধে ফেলে তার পাপে জন্মানো সঞ্চারণশীল কাব্যপত্রাধার।
এরপর চরম নির্দয়তায় পাখি তার কিচির মিচির কন্ঠে পরতে থাকে রায় তার মৃত্যুদন্ডের।
কাব্যাগ্নি তার কর্ণে প্রবেশ করে গলিত লৌহের মত।
উন্মুক্ত হাতে 'থামাও, থামাও', করজোড়ে মিনতি করে সে।
দ্বিগুন উৎসাহে কাব্যলাভা উদগিরণ করে যায় পাখি।
পাখি তার সাক্ষ্যে বলেছে, কী করুণ মৃত্যু ছিল তার।
উন্মুক্ত কর্ণে প্রবিষ্ট প্রতিটি শব্দে কেঁপে ওঠে সে, তার মনের পঙ্কিলতাগুলো খসে পড়তে থাকে সাপের খোলসের মত, কুটিলতাগুলো শীতের পাতার মত; হঠকারিতাগুলোর হয় শিরোশছেদ ।
অসহ্য চিৎকারে কর্নে হাত রাখে সে কাব্য থামাতে, কিন্তু পারে না।
মৃত্যু হয় তার।
মৃত্যু হয় তার পিশাচীনির।
জেগে ওঠে সে মানুষ রূপে।
কিন্তু একি! আমার হয়নি কোন ভাবান্তর তার মৃত্যুতে, এতটুকু কাঁপেনি গলা।
কারণ, আমাকে তো অনেক আগেই মেরে ফেলেছিল সে।
হ্যা, আমাকে মেরে সে বাচিঁয়ে দিয়েছিল।
আর নিজেকে বাঁচিয়ে গিয়েছিল মরে।
তাই আজ অগ্রায়নের রাতে, মেরে আমি তাকে বাচিঁয়ে দিলাম।
©somewhere in net ltd.