![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে চাকরি ইচ্ছুক সহ জনমনে প্রচন্ড ক্ষোভ এবং হতাশা বিরাজ করছে। তিনি বলেছেন যারা কোঠার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, ভাংচ্ছুর করেছে তারা পিএসসির অধীনে কোন চাকরি পাবে না। হয়তোবা ছাত্র সমাজ আবারো বিক্ষোভ আন্দোলনে ফেটে পড়বে। আমার মনে হয় এতে ক্ষোভ কিংবা হতাশ হওয়ার কিছু নেই! কারণ তিনি মূখ ফোসকে অপ্রিয় সত্য কথাটিই বলে ফেলেছেন। এই সৎ সাহসটিই হয়তোবা অন্যদের নেই। যেখানে চাকরিই নেই সেখানে সরকার চাকরি দিবে কোথা থেকে। যাও আছে তাও মামা-খালু-মাল ছাড়া উপায় নেই। তাই তিনি আগে ভাগেই পরিস্কার করেই বলে দিয়েছেন যাতে পরবর্তিতে হতাশ না হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই অধিকাংশ শিক্ষার্থী মানে করে সোনার হরিণ হাতে পেয়ে গেছে। পড়াশোনা শেষ করেই রাজকীয় একটি চাকরি পেয়ে যাবে; সৎ কিংবা অসৎ উপায়ে টাকা অর্জন করে একটি বাড়ী, একটি গাড়ী, একটি সুন্দরী নারী তো পেয়েই যাবো। কিন্তু শেষে দেখা গেল তাদের সেই আশা গুড়ে বালি হয়। তাই যাতে করে আশাও না আর যাতে তা গুড়ে বালি হওয়ারও সুযোগ না থাকে সেই ব্যবস্থাটাই তিনি করে দিয়েছেন সুপরিকল্পিত ভাবে। এছাড়াও আরেকটি উদ্দেশ্য তো রয়েছেই দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, চাদাঁবাজী, খুন, গুম, দূর্নীতি চরম আকার ধারন করেছে। সাম্রাজ্যবাদী দেশ গুলোর সাথে দেশ বিরোধী চুক্তি তো রয়েছেই। এতে জনজীবন অতিষ্ট এই বিষয় গুলোকে আড়াল করার জন্য একের পর এক ইস্যু এনে পরিবেশকে উত্তপ্ত করতে চাইছে। এই পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের অত্যন্ত দৃড় চিন্তা করে এগুতে হবে। বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু করা ঠিক হবে না। আমাদেরকে একটু অতীতে ফিরে যেতে হবে। আমাদের উত্তরসূরীরা একটি ভুল করে গিয়েছেন আরএই ভুলের যাতে পূনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাংলাদেশ নামক একটি নয়া উপনিবেশিক আধাসামন্ততান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিনিয়ত অত্যাচারীত, নিষ্পেশিত জনগণ সামরিক শাসক এরশাদকে স্বৈরাচার বলে অখ্যাদিয়ে ১৯৯০ সালে ছাত্রগণ অন্দোলনের মূখে পতন ঘটিয়েছিল। এতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ (২২টি সংগঠন) ১০ দফা দেয়। এর পরবর্তীতে নির্বাচনে যারা যায় তারা ছাত্র সমাজের কাছে লিখিত প্রতিজ্ঞা করে নির্বাচনে জিতলে তাদের দাবী মেনে নেওয়া হবে। দেখা গেল দুটি সংগঠন (বিএনপিও আওয়ামী লীগ) ২বার করে জনবান্ধর, ছাত্র বান্ধব, শ্রমিক বান্ধব সংগঠন, মুক্তি যুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদের চেতনার নামে ৪বার ক্ষমতায় আসে কিন্তু আজও এর কোন বাস্তবায়ন নেই। এতে কি প্রমাণ হয়না তারা বিশ্বাসঘাতক, এড়াও স্বৈরাচার ? আজকেও আমাদের দেশে আগামী নির্বাচনে কারা ক্ষমতায় আসবে এই নিয়ে চলছে মারামারি কাটাকাটি এতে মারা যাচ্ছে এদেশের নিরীহ জনগণ। সরকারী দল সহ বিরোধী দল বলছে ক্ষমতায় গেলে তারা এই করবে সেই করবে। আর তাদের প্রভুরা বলছে তারা একটি সুষ্ট নির্বাচন চান। তাই আজকে ছাত্র সহ আপামর জনগনের কাছে প্রশ্ন তাদের কে কি এত কিছুর পরও বিশ্বাস করা যায়? আমাদেরকে এখন সোচ্ছার হতে হবে নিজদের অধিকার নিজেদেরকেই আদায় করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদীদের পাতানো নির্বচনের খেলায় জনগনের মুক্তি আসতে পারে না। সাম্রাজ্যবাদীদের কমিশন ভোগী দালালরা কখনোই জনগনের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারেনা। তাই সাম্রাজ্যবাদের দালাল সরকার নয় জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদ্দেশ্যে দু-একটি কথা বলতে চাই আজকে যে ছাত্র সমাজ রাষ্ট্রীয় পেটুয়া বাহীনি পুলিশ এবং আপনার লাঠিয়ালদের আক্রমনের ক্ষোভে শুধু রাস্থার আশেপাশে আসবাব পত্র ভেঙ্গেছে আগামীতে এরাই এই শোষন মূলক রাষ্ট্র-সমাজটাকেই ভেঙ্গে দিবে। গড়ে তুলবে একটি শোষণহীন সমাজ যেখানে থাকবে না কোন কোটা সকলের কাজের নিশ্চয়তা পাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:০৫
চোরাবালি- বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ধন্যবাদ তিনি সদা মুখ ফসকে সত্য কথা বলে দেন বলে