![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক: সফিউল আযম
প্রকাশক : মুন্নী প্রকাশন,
প্রচ্ছদ: ফারহান শাহরিয়ার
মূল্য: ৭২৫ টাকা
ঘরে বসে বইটি পেতে ফোন করুন: ০১৭১১৮৩৪৯৪৪
জনপ্রনিতিধিদের বইটি কেনো প্রয়োজন!
স্থানীয় সরকার আইন ও পর্যালোচনা বিষয়ক বইটি প্রকাশের জন্য আমি লেখক স্নেহের সফিউল আযমকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি বইটি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও কর্মীদের কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত আইনে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও গ্রামীণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে উপজেলা পরিষদের কার্যকরী সমন্বয়ের বিষয়টি অনুপস্থিত। বরং কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রশাসনের নানা ধরনের নিয়ন্ত্রণে বেঁধে রাখা হয়েছে স্থানীয় সরকারের প্রাচীনতম এ প্রতিষ্ঠানটিকে। ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের বিধান না রাখার বিষয়টি সমীচিন হবে। এছাড়া স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থানীয় সরকার কমিশন প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি। আমি বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের পক্ষ থেকে বরবারই কিছু দাবির উল্লেখ করে আসছি, সেগুলো হলো- ইউপি চেয়ারম্যানদের সম্মানজনক পদমর্যাদা নির্ধারণ করা এবং তা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে অন্তর্ভূক্ত করা, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সম্মানী ভাতা যুগোপযোগী করে চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ১৫,০০০ ও সদস্যদের ৮,০০০ টাকায় উন্নীত করা, সংবিধান ও আইন পরিপন্থী পরিপত্রসমূহ বাতিল এবং সকল প্রকার হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, টিআর, কাবিখা, এডিপি, ভূমি হস্তান্তর করের ১% সহ সকল প্রকার বরাদ্দ সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদকে প্রদান করা, ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৮ অনুযায়ী প্রশাসনিক ইউনিট হিসাবে এবং ধারা ৬৩ ও তৃতীয় তফসিল এর আলোকে ইউপি পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা, ধারা ৬২ অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে একজন হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ প্রদান, ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (চেয়ারম্যান বা সদস্যগণের সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বাতিল করা, ধারা ৭৭ (খ) ও (গ) অনুযায়ী একজন সৎ, যোগ্য এবং নিষ্ঠাবান জনপ্রতিনিধির পুরস্কৃত হওয়ার পরিবর্তে তার সদস্যপদ বাতিল করার যে বিধান করা হয়েছে তাও বাতিল করা, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলার সম্পদ ও আয়ের খাতসমূহ সুনির্দিষ্ট করে অবিলম্বে হাটবাজার, জলমহাল, খেয়াঘাট, শ্যালোঘাট, খাসজমি ইত্যাদি ইজারা দেয়ার মতা ইউপিকে অর্পণ করা এবং গ্রাম আদালতের বিচারিক মতা ২৫,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০,০০০ টাকায় উন্নীত করা।
মাহবুবুর রহমান টুলু
সভাপতি, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম
©somewhere in net ltd.