নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার ছায়া। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি, হাতের মধ্যে আকাশ; তবু ছুঁতে পারিনা।

মোহাম্মদ বাসার

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।

মোহাম্মদ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিতে শফিক রেহমান

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১২


সালটা ২০০০। অক্টোবর কিংবা নভেম্বর। বিকেলে লন্ডনের বেথনালগ্রীনের বাসায় বসে বসে গল্প করছিলাম প্রিয় বন্ধু আওলাদের সাথে। হঠাৎ করে ক্রিং ক্রিং শব্দে বেজে উঠলো ল্যান্ডফোন, বলা ভাল তখনো সেলফোন এতবেশী সহজলভ্য ছিলনা কিংবা মানুষের ওর প্রতি এখনকার মত এতবেশী আগ্রহও ছিলনা।

- হ্যালো বাসার আছে?
-জ্বী বলছি।
- আমি শফিক রেহমান।
- জ্বী, সালামুওয়ালাইকুম।
- যায়যায়দিনে তুমি গল্প পাঠিয়েছিলে। সেখান থেকে তোমার নাম্বার এনেছি। তোমার হাতের লেখা অসাধারণ সুন্দর।
- ধন্যবাদ, আমাদের বাসায় বেড়াতে আসুন।
- হুম হাতে সময় আছে, কালকে ইস্টলন্ডনের দিকে এমনিতেই আসতে হবে। আমি আর বিবিসির সিরাজুর রহমান আসতে পারি বিকেলের দিকে।
- জ্বী অবশ্যই! কিন্তু একটু হিন্টস দিলে ভাল হয়----!
- তেমন কিছুনা একটু রেড ওয়াইন রেখ সাথে তাইলেই হবে।

পরের দিন বিকেলে বিবিসির সিরাজুর রহনাম সহ বিখ্যাত বামপন্থী সাংবাদিক, কলামিস্ট জনাব শফিক রেহমান আমাদের বাসায় আসলেন। আমরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লাম। আবেগের ঘনঘটায় বাসায় বাঙালী খাবারের পাশাপাশি রেডওয়াইনের সাথে কাবাব আর বারবিকিউ আইটেম বেশ যায় বলে তাদের দুজনের জন্য তাও যোগার করলাম। যথারীতি ভূরীভোজন শেষে আমাদের আড্ডা শুরু হল। তিনি তার বিশাল জীবনের অভিজ্ঞতা আমাদের বলতে শুরু করলেন। বললেন রহমান যেহেতু পিউর ইসলামী নাম আর বাবা মার দেয়া নামটা তেমন একটা চেঞ্জও করা যায় না তাই তিনি ছোট খাট একটা চেঞ্জ এনে নিজের নাম রেহমান করেছেন। আমরা তার দূকুল রাখার কৌশুলী বুদ্ধিমত্তায় মুগ্ধ হলাম। তিনি অনেক গল্প করলেন। অধিকাংশ গল্পের মূল বিষয় ছিল আওয়ামী দুঃশাসন! প্রয়াত আব্দুস সামাদ আযাদকে নিয়ে তার বিদ্রুপাত্মক রসালো গল্প।

তার গল্প বলে শ্রোতাদের মোহাবিষ্ট করার অসম্ভব ভাল ক্ষমতা আছে। কিন্তু কেন যেন টিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানগুলোতে আমার তাকে অতটা ইম্প্রেসিভ মনে হয়নি কখনোই! যাইহোক আমি চিন্তাচেতনায় আর যাই হই কখনোই ডান পন্থী নই এটুকু বুঝি। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল এই ৪/৫ বছরে জনাব রেহমানের এই আদর্শিক পরিবর্তন আমাকে অবাক করল। '৯৬ পূর্ববর্তী সময়ে বাম দলগুলো ও আওয়ামী-লীগের সাথে সুসম্পর্ক থাকার কারণে আওয়ামী-লীগ ক্ষমতায় আসার পরে জনাব রেহমানেরও হয়ত ইচ্ছে ছিল টেকনোক্রাক্টট জাতীয় এটা সেটা হওয়ার, নতুবা একজন মনেপ্রাণে কট্টর বামপন্থী রাতারাতি কিভাবে কট্টর ডানপন্থী হয়ে যায় এরকম বিভিন্ন সমীকরণ আমার মাথায় ঘুরতে লাগল।

ইউনিভার্সিটি জীবনে আজিজ স্যারের কথাটা খুব মনে পড়ে গেল-' শোন, ভাত পচলে খাওয়া যায়, সেটা পান্তা হোক বা গ্যাঁজানো মদ হোক কিন্তু বাম পচলে কোন কাজে আসেনারে পাগলা'। আমি মনে মনে স্কুল জীবনে পড়া ভাবসম্প্রসারণের লাইনগুলো মনে করার চেষ্টা করি- 'দূর্জন বিদ্যান হইলেও পরিতাজ্য----!'

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:২৫

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ছবিটা ভাল হয় নি

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২৪

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: ছবি কোন মূখ্য বিষয় নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.