নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার ছায়া। আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাঁচি, হাতের মধ্যে আকাশ; তবু ছুঁতে পারিনা।

মোহাম্মদ বাসার

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।

মোহাম্মদ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অণুগল্পঃ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩০



ছাদেক মিয়াঁর মই প্রীতি

ছাদেক মিয়াঁ প্রচুর বই পড়েন, নিয়মিত নামাজ পড়েন ও রোজাও রাখেন। আল্লাহ তাআলা ছাদেক মিয়ার উপর খুশি হয়ে বললেন
-- ছাদেক তুমি আমার পেয়ারের বান্দা, তুমি বই পড়া পছন্দ কর, তোমার জন্য আমি সর্ব শ্রেষ্ট ভেহেস্ত জান্নাতুল ফেরদাউসে বই পড়ার সুবিধার জন্য টেবিল ও কেদারার বন্দবস্ত করেছি।

ছাদেক মিয়াঁ কিঞ্চিৎ ভুরু কুচকে আল্লাহর দিকে তাকিয়ে রইলেন, আল্লাহ অনেকটা অবাক হয়ে ছাদেকের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন
-- ছাদেক তুমি খুশি হও নাই?
ছাদেক মিয়াঁ ততোধিক মন খারাপ করে আল্লাহকে বললেন
-- হে মহান সৃষ্টিকর্তা আপনি আমাকে বই, টেবিল, বসার জন্য কেদারা এইগুলি না দিয়া আমাকে মই দিন।

আল্লাহ অধিকতর বিস্মিত হয়ে ছাদেককে জিজ্ঞেস করলেন
-- ওহে ছাদেক তুমি এত কিছু থাকতে আমার কাছে মই চাইলে কেন?

অতঃপর ছাদেক মিয়াঁ ও আল্লাহর মধ্যে কিছুক্ষণ নিম্নরূপ কথাবার্তা চলতে থাকল-
--ছাঃ আমাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দেবেন বলে শপথ করেছেন?
--আঃ হুম, করেছি।
--ছাঃ আমাকে ৮০ টা হুর দেবেন সেই ওয়াদাও করেছেন?
--আঃ হুম, করেছি। কারণ তুমি দুনিয়াতে অনেক সংযমের পরিচয় দিয়েছ। নিজের ৪ পত্নী ও কাজের বেটি আম্বিয়া ছাড়া আর কারও সাথে সহবাস করনি যদিও তুমি পরে ধর্মমতে আম্বিয়াকে বিবাহ করেছিলে ও সহি পথে তাকে তালাকও দিয়েছ।

অতঃপর ছাদেক মিয়াঁ আল্লাহকে বললেন দেখেন পরম করুণাময় আপনি যদি সত্যি সত্যিই আমাকে ৮০ হুর দেন এবং ধরেন সেই ৮০ হুরের মধ্যে ৮ হুরেরও যদি একসাথে কাম ভাব জেগে ওঠে তাহলে আমার কলকব্জার নিরাপত্তার জন্য মই দিয়ে উপর তলায় আপনার কাছে ছুটে আসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। কাজেই আমাকে সব কিছুর আগে অবশ্যই মই দেবেন।

৩০শে এপ্রিল ২০১৭
যুক্তরাজ্য।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা নিয়ে (তা যে ধর্মেরই হোক) ঠাট্টা মশকরা করা কি ঠিক? মুসলমানরা তো এটা পড়ে কষ্ট পাবে। আপনি কি কাউকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পান? কারো বিশ্বাসে আঘাত করার কোনো অধিকার আপনার নেই। আপনি আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না, না করুন। তাতে কোনো সমস্যা নেই। তাই বলে আল্লাহকে নিয়ে ফাজলেমি করতে হবে? আপনার ভিতরের নীতিবোধ কি এটাই বলে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: জল্লু ঘোড়া ভাই মন খারাপের কারণ নাই। ৮০ হুরের ঘটনায় পুরুষের প্রতি পক্ষপাত করা হয়েছে একথা আপনাকে স্বীকার করতেই হবে। পুরুষরা যদি হুরদের নিয়ে মৌজ করতে পারে তাহলে নারীরা কেন বঞ্চিত হবে বলেন? সবার জন্য সমানাধিকারের ব্যাপারটা যদি মরে গেলেও নিশিত না হয় তাহলে এর চেয়ে বড় পাপ আল্লাহতালা কিভাবে করবেন?

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: আশি হুরের কথা কোথায় আছে দয়া করে বলবেন কি? পুরো একটা বিল্ডিং থেকে যদি একটা ইট তুলে নেন তাহলে ঐ ইট দ্বারা বিল্ডিংয়ের কিছুই বোঝা যাবে না। বিল্ডিংয়ের প্রকৃত সৌন্দর্য ও ব্যবহার উপযোগীতা পুরো বিল্ডিং দেখলেই বোঝা যাবে, একটা ইট দেখে নয়। আপনি সমগ্র কুরআন চিন্তাসহকারে একবার পড়ুন, না হলে টুকরো টুকরো আয়াতে আপনি ভুল বুঝবেন। "রহিম আমাকে মেরেছিলো। তাই আমি আজ তাকে মেরেছি।" বাক্যদুটো থেকে যদি "আজ আমি রহিমকে মেরেছি" তুলে ধরে কেউ তাহলে দাড়ালো যে আমি দোষী, কারণ রহিমকে মেরেছি। তেমনি আগের পরের আয়াত না পড়ে কেবল নির্দিষ্ট আয়াত পড়লে অনেক কিছুই অস্পষ্ট থেকে যাবে। আরেকটা কথা, অন্যান্য ধর্মে আমার জানামতে এমন হাজারো ভুল/অযৌক্তিক/অলৌকিক কাহিনী আছে। আপনারা তা নিয়ে কিছু বলেন না। আমি বলছি না আপনি তা নিয়ে বলেন। কারণ তাতে একজন হিন্দু একজন খ্রিস্টান কষ্ট পাবে। আমি শুধু বলছি যদি আপনি নাস্তিক হন তাহলে সকল ধর্মের অসামঞ্জস্যতাই ধরবেন। কেবল ইসলাম নিয়েই কেন আপনাদের মাথাব্যথা? আপনি নাস্তিক, আপনি কোনো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করেন না। সুন্দর। আপনার মতে আপনি চলুন। বাধা দিচ্ছে না কেউ। কিন্তু আরেক জনের বিশ্বাসে আপনি খোঁচা দিবেন কেন? আপনাদের বিবেক কি বলে অন্যদেরকে অহেতুক খোঁচা দিতে? বিশ্বাস যুক্তির উর্ধ্বে। মানুষ বিশ্বাসের কারণে অনেক কিছু করতে পারে। আপনি আরেক জনের বিশ্বাস নিয়ে তামাশা করতে পারেন না যদি আপনার মধ্যে মানবিকতাবোধ থাকে।আর যদি আপনি পশু হন তাহলে অন্য কথা। আপনার দ্বারা তখন সবই সম্ভব।

তবু আরেকবার অনুরোধ করছি ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে ঠাট্টা করবেন না। লেখালেখির জন্য বিশ্বে অনেক বিষয় আছে। ধর্মটা নাহয় বাদই দিন। এটা সংঘাত ছাড়া আর কিছু বয়ে আনে না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: একটা ব্যাপার মনে হয় আপনি লক্ষ্য করেছে আর তা হল মোসলমানদের নিয়ে অন্যান্য ধর্মানুসারীরা যতটুকু লেখে তারচেয়েও বেশী লেখে মোসলমানরা। কারণ এ ধর্মের অস্ংলগ্নতা এত বেশী যে তাকে সারিয়ে তোলার জন্য কারো পদক্ষেপ নেই, বরং যারা ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে কথা বলবে তাদের বিপদে ফেলার জন্য রয়েছে হাজারো উন্মাদ। আজ এই ইংল্যান্ডের যে কোন জায়গায় যদি কেউ চিৎকারও করে যিশু বা মরিয়মকে নিয়ে কেউ তাকানোতো দূরের কথা কান দিয়েও শুনবে না। ধর্ম সম্বন্ধে বলা বড় কথা নয়, অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাবান হওয়াটাও জরুরী। আপনার মাথায় বারি না দিয়ে আমি যা ইচ্ছা তা বলতেই পারি, পছন্দ না হলে আপনি শুনবেন না। কোন বিশ্বাসে যদি বিশ্বাস করাটা আপনার নৈতিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে তাহলে এই বিশ্বাসটা কারও ভুল মনে হলে তা থেকে আপনাকে সরানোও তার নৈতিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।

এখন কথা হল আপনি যদি ৮০ হুরের গল্প না শুনে থাকেন তাহলে আপনি মোসলমানদের বাংলাদেশে একটা বিশাল অংশকে অবজ্ঞা করলেন। গ্রামে, গঞ্জে, হাঁটে বাজারে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে ওয়য়াজ মাহফিলে হুজুররা ৮০ হুজুরের কথা বলেন না। এমন কি অনেক ইসলামি বইয়েও ৮০ মতান্তরে ৭০ হুরের কথা আছে।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ছাদেক মিয়ারে তো আমি চিনি ! B-)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: মারও ধারণা আপনি চিনেন। হেহেহে!

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

মাজুবিবি বলেছেন: জল্লু ঘোড়া, আপনার সাথে একমত পোষন করছি। লেখকের প্রতি অনুরোধ কোন বিষয়ে লেখার আগে বিষয়টি ভাল করে স্টাডি করুন।! তারপর আপনার মতামত তুলে ধরুন। যাতে এই লেখার মাধ্যমে কারো উপকার হয়। আপনি আল্লাহ সম্পর্কে আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে জানার জন্য পুরো কোরয়ানকে অর্থ ব্যাখ্যা সহ ভাল করে পড়াশুনা করুন। তারপর লিখুন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: মাজুবিবি আপনি সাজুগুজু করে কারও সাথে একমত পোষণ করতেই পারেন। যাইহোক আপনার উত্তর ঘোড়ার মন্তব্যের উত্তরে দেয়া আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.