![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।
এক বিজ্ঞ হুজুরের সহিত আমার কথোপকথনঃ
(আ= আমি, হু= হুজুর)
আ- হুজুর অনেক গরম পড়িয়াছে, টেম্পারেচার প্রায় ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি। আমি রুমে ছোট-খাট পরিধেয় পরিধান করার নিয়ত করিয়াছি, ইহাতে কি কোন সুন্নতের বা ফরজের বরখেলাপ হইবে?
হু- দেখুন আপনি যেমন পায়খানায় বা বাথরুমে যাহা ইচ্ছা তাহাই পরিধান করিতে পারেন তেমনি আপনার ব্যক্তিগত কক্ষেও যাহা খুশী তাহাই পরিধান করিতে পারেন, ইহাতে সুন্নত বা ফরজের তেমন কোন ব্যত্যয় ঘটিবেনা।
আ- হুজুর একেবারেই যদি কিছু না পড়ি তাহা হইলে আপনার জানা কোন সহিহত আছে কি?
হু- ইহাতেও সমস্যা নাই। কিন্তু খেয়াল রাখিতে হইবে যাহাতে উইন্ডোতে কমপক্ষে নেট কার্টেইন থাকে।
আ- কিন্তু হুজুর নেট কার্টেইনের মধ্য দিয়াতো অনেক কিছুই আবছা আবছা দৃশ্যমান হয়।
হু- আবছা আবছা দৃশ্যমান হওয়া মানে পুরাপুরিনা। আমরা রাস্তা ঘাটেতো কত কিছুই দেখি যাহা পুরাপুরিনা, তাহাতেতো সুন্নতের কোন বরখেলাপ হয় না, আপনারও হইবেনা। আপনি আনন্দের সহিত রুমে যাহা ইচ্ছা তাহা পরিধান করে থাকেন, প্রয়োজনে দিগম্বর থাকেন, কোন সমস্যা নাই।
আ- হুজুর দিনের আয়তন খুবই দীর্ঘ। এক জায়গায় যেয়ে দেখি সবাই রোজা। আমাকে জিজ্ঞেস করিল আমি রোজা কিনা? আমি বলিলাম 'না'। আমার জন্য তাহারা রান্নাই করল না। পরে আরেক ভদ্রলোক আমার জন্য রান্না করিল। এর পর হইতে আমি যেখানেই যাই বলি 'আমি রোজা। লোকজন আমাকে রকমারি ইফতারি দেয়, সেহেরিতে রান্না করিয়া দেয়। আমি দিনের বেলা স্ন্যাকস বারে যাইয়া স্ন্যাকস খাই, স্যান্ডউইচ খাই। ইহাতে কি সুন্নত বা ফরজের কোন বরখেলাপ হইবে?
হু- দেখেন রমজান মাসে যুদ্ধের ময়দানে রাসুলুল্লাহ সবার জন্য রোজা বাধ্যতামূলক সে কথা বলে নাই। শীতের দেশে দিন ১৭/১৮ ঘন্টার মত। এই বিশাল দিনে না খেয়ে থাকা যুদ্ধের চেয়েও কম না, সেক্ষেত্রে আমি আপনি রোজা না রাখতে পারলেও রোজার নিয়ত করিয়া খাইলেও রোজার সমান ছোয়াব পাওয়া যাইবে। এ হেন অবস্থায় রোজা না রাখিবার কারণে আপনি ছোঁয়াবের নায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হইবেন বলিয়া আমার মনে হয়না।
আ- হুজুর সল্প বস্র পরিধান বা একেবারেই বস্র না পড়া সম্পর্কে আবার কিছু বলুন?
হু- দেখেন আপনার মাথায় আল্লহ্ তাআলা কি দিয়াছেন বুঝিতে পারিতেছিনা। শোনেন আপনাকে কিছু প্রাক্টিক্যাল উদাহরণ দেই। যুদ্ধে যে শুধু মোসলমানরা জিতছে তাহাতো নহে। অনেক যুদ্ধে মোসলমানরা পরাজিতও হইয়াছে। হযরত আবু সালাহ বিন হামাতাস মুহুদের যুদ্ধে পরাজিত হইয়া যখন পালাইতেছিল তখন শত্রুপক্ষ তাঁহাকে তাড়া কইরা ধরতে পারে নাই শুধুমাত্র পায়জামার নিন্মাংশ টানিয়া ধরিতে পারিয়াছিল। তিনি উলঙ্গ অবস্থায় রাসুল্লুলাহ্র এক প্রিয় সাহাবীর বাসায় আশ্রয় নেন। ঐ সাহাবীর বড় কন্যা তাফসিরা বিন বাহাস তাহাকে ঐ অবস্থায় দেখিয়া দৌড়াইয়া নিরাপদে নিজেকে লুক্কায়িত করেন। ঐ গৃহে তিনি ৩/৪ দিন বিশ্রাম নিয়া যখন ফিরিয়া যাইবেন তখন গৃহকর্তা আবু সালাহ্কে বললেন 'হুজুর আপনিতো এখন আর একা যাইতে পারিবেন না, আমার বড় কন্যা আপনাকে পছন্দ করিয়াছে। তাহাকে আপনার সংগে নিয়া যাইতে হইবে। হয়রত আবু সালাহ ঐ সাহাবীর কন্যাকে অতি আনন্দের সহিত তাহার ৭ তম স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা দিয়া গ্রহন করিয়া মক্কা নিয়া যান। কাজেই দেখেন প্রয়োজনে উলঙ্গ হওয়াতে কোন লজ্জা নাই, আবার বিপদে পইড়াও মানুষ উলঙ্গ হয়। এখন আপনিই ঠিক করেন আপনি কি প্রয়োজনে না বিপদে পইড়া উলঙ্গ হইতে চান।
অতঃপর হুজুরের পরামর্শ মত আমি রুমে আসিয়া যাহা করিলাম তাহাতে এই গরমে আমার মুখ দিয়া 'আহা শান্তি আর শান্তি শব্দ ছাড়া আর কিছুই বাহির হইলো না।
২১/০৬/২০১৭
যুক্তরাজ্য।
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: জ্বী এটা রম্যই। আপনি যেমন বুঝছেন, পাঠকেরও তা বোঝার সক্ষমতা আছে। ধন্যবাদ ভাই।
২| ২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
জোকস বলেছেন: ধর্মীয় শিক্ষক:
- এখন রোজার মাস। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য রোজা রাখা ফরজ। তোমরা প্রত্যেকে রোজা রাখবে। এবং মনে রাখবে, রোজা রেখে কিছু খাওয়া যায় না। কিছু খেলে রোজা ভেঙে যায়। আর রোজা ভাঙার শাস্তি খুব কঠিন...
ছাত্র:
- হুজুর! বিজ্ঞান ক্লাসে নিউটনের সূত্র না পারার কারণে আমি স্যারের হাতে মার খেয়েছি। তাহলে এখন আমার রোজা কি ভেঙে গেছে?
২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: হাহাহাহাহাহা!!! ভরপেট হেসে হেসে খাবি খাচ্ছি। আমাও নিশ্চয় রোজা ভেঙে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
তারেক ফাহিম বলেছেন: রম্য বলতেও পারতেন। তাহলে হয়ত, হুজুর নামের অপমান হতো না।