নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মইন আহসান

মইন আহসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশের ব্রিটিশ আমলে প্রত্যাবর্তন!!!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

চমকাইয়া উইঠেন না, এরশাদ, জিয়া, বন্গবন্দ্ধু, এমনকি পাকিস্তানি ইয়াহিয়া, আইউব আমলও না, একদম একধাক্কায় বাংলাদেশের বৃটিশ উপনিবেশক আমলে প্রত্যাবর্তন!!!
প্রধানমন্ত্রীর ৫ উপদেষ্টাকেই নতুন করে নিয়োগ

এমন মহাপরিকল্পনার নির্বাচনের নির্বাচন যে এখন দেনা পরিশোধে পর্দার অন্তরালে অতি সুক্ষ্ম ও সুনিপুণ ভাবে ক্ষমতা চলে যাচ্ছে আমলাতন্ত্রের হাতে, সাথে আছে দূর্নীতি বাজ ব্যাবসায়ী।

ক্ষমতাকে অষ্টপৃষ্টে আমলাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পালা এবার। অনভিজ্ঞ মন্ত্রিরা থাকবেন সেক্রেটারিদের হাতের পুতুল, আর জনপ্রশাসনের এপিএসরা করবেন ব্যাবসায়ী মন্ত্রিদের এক্সেস নিয়ন্ত্রণ আর সার্বক্ষণিক নজরদারি। সুন্দর ছকে বাঁধা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে।

বিরোধী দলগুলোর তো খবরই নেই, আর সরকারি দলেরও কি খবর আছে? আর ভোদাই জনগনের তো কোন খবরই নাই, যে তারা সেই আইয়ুব আমল থেকে অনেক ত্যাগের আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সব নাগরিক অধিকার আর স্বাধীনতা হারিয়ে বৃটিশ উপনিবেশক প্রজায় পরিনত হতে যাচ্ছেন।

বিশ্বের উন্নত স্বাধীন গনতান্ত্রিক দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন:

* সেখানে জনপ্রশাসন চালায় নির্বাচিত স্থানীয় সরকারগুলো, জনপ্রশাসন ক্যাডারের ছদ্মবেশে নিতান্ত ভূমিপ্রশাসন কর্মকর্তারা নন। ঐসব দেশে প্রশাসন ক্যাডার বলে কোন কিছুর অস্তিত্বই নেই। আর ভুমি প্রশাসন কর্মকর্তাদের স্থান ও মর্যাদা অনেক নিচে, তাদের পদায়ন ভুমি অফিস পর্যন্ত্য্ই, সেখানেই চাকরি শেষ।

এমনকি খোদ বৃটেনেও এই ব্যাবস্থা কোনদিন ছিল না। শুধু তাদের উপনিবেশগুলোর প্রজা শাসনের জন্যই এই ব্যাবস্থা কায়েম করেছিল তারা। কারন তখনকার দিনে সরকারের রাজস্ব মূলত আসতো ভূমরাজস্ব থেকে। তাই তারা জেলা ও নিন্মস্তরের রাজস্ব আদায় আর ম্যজিসট্রেসি সহ আর সব ক্ষমতা একিভুত করেছিল ভুমিপ্রশাসনের ডিসি ও এসডিও (এখনকার ইউএনও) দের হাতে। আর সিনিয়র সব আমলাদেরও নিয়োগ দেয়া হত এদের থেকেই। কারন উপনিবেশিক শাসকদের কাছে প্রজাদের কাছ থেকে ভুমিকর আদায় আর প্রজা দমন শাসন্ই ছিল মূল কাজ।

অথচ পরিবর্তিত জটিল বিশ্বায়িত অর্থনিতির পৃথিবীতে ভুমিকর এখন নগন্য বিষয়। তাই উন্নত গনতান্ত্রিক বিশ্বে স্থানীয় সরকার (জেলা উপজেলা) পর্যায়ে আমলারা স্থানীয় সরকারগুলোর নিয়োগ প্রাপ্ত ও নিয়ন্ত্রিত। জাতীয় বা কেন্দ্রিয় পর্যায়ের আমলাদের একটাই কাজ, পলিসি এডভাইস ও বাস্তবায়ন। আর সেই কাজ সম্পাদনের জন্য তারা অর্থনৈতিক ও পলিসি ডেভেলাপমেন্টে শিক্ষিত, প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ থাকে্‌ন। তাদের ক্ষমতা তাদের অধস্তন কর্মচারীদের উপর পর্যন্তই সিমাবদ্ধ, পাবলিকের ব্যাপারে সব সিদ্ধান্তের ক্ষমতা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে।

অথচ, একটা স্বাধীন দেশের আইনগুলো আর জনপ্রশাসন ব্যাবস্থা যে উপনিবেশিক থাকতে পারে না, এই সামান্য বোধটুকু পর্যন্ত আজ্ও আমাদের হয়নি, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও।

একটি যুদ্ধ জেতাই কি স্বাধীনতা?
একটি সংবিধান রচনা করাই কি স্বাধীনতা?

যখন স্বাধীনতার ৪৭ বছরেওঃ

সংবিধানের প্রয়োগকারী সব আইন রয়ে যায় ব্রিটিশ আর পাকিস্তানি!!!!!

সব রাষ্ট্রিয় ইন্সটিটিউশন; প্রশাসনিক ব্যাবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ আর সব রাষ্ট্রিয় দপ্তর রয়ে যায় ব্রিটিশ উপনিবেশিক, চলে উপনিবেশিক জনবিরোধী আইন, কলা কানুন আর রাজা-প্রজা সংস্কৃতিতে!!!!!!!!!

দুর্নীতি যখন সর্বগ্রাসী অপ্রতিহত; আইন, বিচার বিভাগ পুলিশ আর রাষ্ট্রের ছায়ায় দুর্নীতি যখন উদ্দাম উল্লাসে ,চিবিয়ে চিবিয়ে খায় জনতার হাড় মাস !!!!!!!!!

স্বাধীন হয়েছে শুধু আমলা রাজনিতিক, দূর্নীতিবাজ ব্যাবসায়ী।

জনতা হয়েছে নিজ ভূমে ক্রিতদাস।


আমরা বাংলাদেশর স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম "Republic of Bangladesh" হিসাবে না, বরং "People's Republic of Bangladesh" বা "গনপ্রজতন্ত্রী বাংলাদেশ" হিসাবে।

মুক্তিযোদ্ধারা দেশটাকে ভৌগোলিক ভাবে স্বাধীন করে নেতাদের হাতে তুলে দিলেন "গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ" গড়ার জন্য।

সংবিধান্ও রচিত হল সেইমত। তারপর নেতাদের অনভিজ্ঞতা, অজ্ঞতা আর ব্যার্থতার সুযোগে পাকিস্তানি সিএসপিরা আস্তে আস্তে পুরো জনপ্রশাসন ও অনান্য রাষ্ট্রিয় ইনস্টিটিউশনগুলো আগের পাকিস্তানি অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে শুরু করলো।

বন্গবন্দ্ধু এই ভুল শোধরাতে যেয়ে আরো বড় ভুল করে বসলেন বাকশাল করে; স্থানীয় গনতন্ত্র grass root democracy প্রতিষ্ঠা ও সুসংহত করার বদলে স্বকেন্দ্রিক একদলীয় ব্যাবস্থার দ্বারা দেশের গনতন্ত্রই উঠিয়ে দিলেন। তা শুধু তার পতন্ই তরান্বিত করেনি, পরবর্তীতে উপনিবেশিক প্রতিক্রিয়াশীল আমলাতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী অবস্থানে ফিরে আসতে সক্ষম করে। তারপর থেকে দূর্বল দুর্নীতি পরায়ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আমলাতন্ত্রের শুধু নিয়ন্ত্রনহিন উত্থান।

স্বৈরশাসক এরশাদের একটা ভাল কাজ ছিল উপজেলা ব্যাবস্থা চালু করা। কিন্তু তা কি হয়? আমলাতন্ত্র ছাড়বে তাদের অভ্যস্ত উপনিবেশিক রাজত্ব আর ক্ষমতা? তারা এমপিদের সাথে স্বার্থের গাঁটছড়া বেঁধে উপজেলা ব্যবস্থাকে ক্ষমতাহিন ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে রেখেছে আজো।

এখনতো তারা প্রায় সর্বভৌম, ২০১৯ এর তথাকথিত ইলেকশনের আগে যেসব আইন আর কালাকানুন পাশ করিয়ে নিয়েছে তাতে তাদের দূর্নীতি দমনতো দুরে থাক, তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ আনতেও আবার তাঁদেরই পারমিশন লাগবে!!!

আর যেসব দমন ও নিস্পেষন মূলক আইন পাস হয়েছে, তার প্রয়োগের সব ডিস্ক্রিশনারি ক্ষমতাও তাদের হাতে। এইরকম সর্বভৌম আমলাতন্ত্র, পারটিশন পূরব ব্রিটিশ ভারত তো দূরে থাক, বর্তমানের ভারত, এমনকি পাকিস্তানেও নেই।

এখন এক মহানির্বাচনে, এক ধাক্কায় আমরা ১৭৫৭ সালের বৃটিশ উপনিবেশক আমলে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছি।[/sb} _______________________________________________

কিন্তু আমাদের বাংলাদেশিদের হাতে বেশি সময় নেই। আমরা জাতি ও দেশ হিসাবে তিনটি জীবন মরন সমস্যার মুখমুখিঃ

১) জনসংখ্যা - জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপ অচিরেই আমাদের খাদ্য উৎপাদনের কৃষি জমি কমিয়ে আমাদের অসম্ভম্বভ ব্যায়বহুল খাদ্য আমদানি নির্ভর করে ফেলবে এবং মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে।

২) ক্লাইমেট পরিবর্তনে সমূদ্র উচ্চতা বৃদ্ধিতে আমাদের দেশের বিরাট এলাকা হারাতে হতে পারে - যার পরিনাম অকল্পনিয়।

৩) প্রায় নিশ্চিত মারাত্মক ভুমিকম্পের ঝুঁকি - যা কিনা দেশের প্রায় ৮০% মানুষকে এফেক্ট করতে পারে।

দূখঃজনক ভাবে স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও আমরা এই মৌলিক সমস্যাগুলি মোকাবেলার জন্য সুশাসন আর গণতন্ত্রের ষ্টারটিং লাইনেই যেতে পারছি না। এই জিবন-মরন সমস্যাগুলোর মোকাবেলা করতে না পাড়লে, আমাদের বাকি সব অর্জনই বৃথা হয়ে যাবে।

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে শেষ দুটো (২ ও ৩) মহা প্রাকৃ্তিক দুর্যোগের মোকাবেলায় আমরা কিই বা করতে পারি। আমার মতামত হচ্ছেঃ আমরা যদি একটা জনগোষ্ঠি হিসাবে এর ব্যাপকতা স্বমন্ধে সচেতন ও সংঘঠিত হই, আমরা অসচেতন ও অসংঘঠিত অবস্থার চেয়ে এই দুর্যোগ অনেক ভাল মকাবেলা করতে পাড়বো। যেমন ধরুনঃ

*ওই দুইটি প্রাকৃ্তিক দুর্যোগের সচেতনতাই আমাদেরকে বুঝিয়ে দেবে যে প্রথমেই আমাদের জনসংখ্যা দ্রুত কমাতে হবে, দরকার হলে চিনের মত "ওয়ান চাইল্ড" পলিসি বাস্তবায়ন করতে হবে।

* প্রায় নিশ্চিত মারাত্মক ভুমিকম্পের ঝুঁকির সচেতনতা আমাদের বুঝিয়ে দেবে যে সব অপরিকল্পিত ও ভুমিকম্প ঝুকিপূর্ন নির্মান কাজ এখনি বন্ধ করে দিতে হবে। দ্রুত নগর, শহর আর গ্রামের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পিত ভুমিকম্প সহনিয় নির্মান নিতিমালা প্রনয়ন করে তা কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই জিবন-মরন সমস্যা তিনটির ব্যাপারে সার্বজনিন সচেতনেতা ছাড়া আমরা বাংলাদেশ বাচাতে পারবো না, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কোন বাংলাদেশ রেখে যেতে পারবো না। জাতি হিসাবেই নিশ্চিন্হ হয়ে যাব।

আমদের হাতে সত্যিই সময় নেই, দ্রুতই আমাদের এই আমলা চক্রান্ত আর গত ৪৭ বছরের ভারত-পাকিস্থান প্রক্সি রাজনিতির চক্র থেকে বেরিয়ে তৃ্নমূল পর্যন্ত গনতন্ত্র আর দুর্নিতিমুক্ত সুশাসন করে সংঘটিত হতে হবে জিবন-মরন সমস্যার মোকাবেলায়। ৪৭ বছরের অবহেলায় অবশ্য করনিয় কাজের লিষ্ট অনেক বড় হয়ে গেছে, কিন্ত এ ছাড়া আমাদের জাতি হিসাবে বাচার উপায় নেই।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: :(

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: মলাতন্ত্রের আরেক নাম কি ষড়যন্ত?

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

সেলিম৮৩ বলেছেন: জনগন স্পৃহা হারিয়েছে। তারা বিগত ইতিহাসের ধকল থেকে একটু রিলাক্স মোডে অাছে। বলা যায় বাধ্যতামূলক অবসর। অাপাতত গনতন্ত্রের চিন্তা বাদ দিন।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:৪৬

মইন আহসান বলেছেন: জনগন স্পৃহা হারিয়েছে গোষ্ঠিতন্ত্র, ব্যাক্তিতন্ত্র আর উপনিবেশিক আমলাতন্ত্রে; গনতন্ত্রে নয়। এদের কারনে গনতন্ত্রতো কোন্দিন আসারই সুযোগ পায় নি, মানুষ প্রজাই রয়ে গেছে, এখনো নাগরিক হতে পারেনি।

জন্সাধারন রিল্যাক্স মুডে আছে না, বিক্লপের অভাবে প্রেসার কুকারে ফুসছে?
আর গনতন্ত্র বাদ দিয়ে কিসের অপেক্ষায় আছেন? লাইবেরিয়ার মত নন-কমিশন্ড মিলিটারি রুলের? না ইথিওপিয়া, সুদান বা রাওয়ান্ড হয়ার অপেক্ষায়?

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

মইন আহসান বলেছেন: বরং বলা যায় "রাজ প্রতিনিধিদের অপরিসীম দুর্নীতির গোষ্ঠীতন্ত্র"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.