![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
বাংলাদেশ একসময় ভারতেরই অংশ ছিল। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে আলাদা হলেও এজন্য কোন যুদ্ধও করতে হয়নি। বৃটিশরাই ভাগ করে দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে। দীর্ঘ যুদ্ধ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই। সেই যুদ্ধে ভারত আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। অন্তত ১ কোটি লোককে আশ্রয় দিয়েছে, যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। প্রতিবেশি দুটি দেশের মধ্যে কোন যুদ্ধও হয়নি। অথচ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই এখন ভারত বিরোধী বলেই মনে করে খুদ ভারতই! আবার ভারতের সিনেমা, সিরিয়াল, গান, পোশাক, চিকিৎসা, ভ্রমণ, আইপিএল বাংলাদেশের মানুষ এতো পছন্দ করে। তারপরও কেন এমনটা হল? সাম্প্রতিক ভারত-চীন যুদ্ধে সামাজিক মিডিয়া, বিভিন্ন পত্রিকায় মন্তব্য দেখে ধারণা করা যায় ভারতের মার খাওয়াতে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই খুশি। আনন্দবাজার পত্রিকাসহ ভারতের অনেক মিডিয়াই আশঙ্কা করছেন খয়রাত (ভিক্ষা) দিয়ে বাংলাদেশকেও চীন ভাগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ এই খয়রাতি মন্তব্য দেখেও ক্ষুন্ন হয়েছে। ভারত বিদ্বেষটা নতুন কিছু নয়। সেই ১৯৪৭-১৯৭০ ও ১৯৭২-২০২০ সুদীর্ঘ সময়। ভারত বিদ্বেষের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কারণ ছিল। এতো ভারত বিরোধীতার কারণ কি হতে পারে?
এনআরসি
ফারাক্কা বাঁধ
তিস্তার পানি
সীমান্তে হত্যা
ধর্মীয় বিদ্বেষ
রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ
বাবড়ি মসজিদ ভাঙ্গা
ভারতে মুসলিম নিপীড়ন
সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকী
ভারতের দাদাগিরি আচর
বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত দাঙ্গার রেশ
আওয়ামীবিরোধী রাজনীতির প্ররোচনা
ভারতের প্রতিবেশি দেশের সাথে খারাপ সম্পর্ক
ভারতের মিডিয়া ও নেতৃত্বর অবজ্ঞার চোখে দেখা
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান
বাংলাদেশের কিছু রাজনীতিবীদের অহেতুক ভারত তোষণ
এভাবেই ঘৃণার সিঁড়ি তৈরি হয়েছে। ভারতে আবার মিশ্র অবস্থা মনে হয়েছে- অনেকে বাংলাদেশকে ছোট ভাই মনে করে, অনেকে মুসলিম দেশ বলে ঘৃণার চোখে দেখে, অনেকে আশা করে একদিন বাংলাদেশ ভারতেই বিলীন হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের এই ভারত বিরোধীতাটার কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। গবেষণার ফল বিশ্লেষণ করে ভারতেরই উচিৎ বিদ্বেষের কারণগুলো দূর করা।
২| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্মীয় কারণটি বেশী বড়।
৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি পোস্টের উপরে যে ছবি দিয়েছেন এটা থেকেও কারণ কিছু বোঝা যায়। প্রশ্ন হলও এই বিরোধিতার কারণগুলি অমুলক কিনা। আপনি অনেক কারণ উল্লেখ করেছেন। কোনটাই মনগড়া নয় বরং তথ্যভিত্তিক। ক্রিকেট সংক্রান্ত আচরণও উল্লেখ করার মত। উপকারি যখন অপকার করতে শুরু করে তখন আগের উপকার কেউ মনে রাখে না। ৭১ ছাড়া আর কখনও ভারত আমাদের কোনও সাহায্য বা সমর্থন করেছি বলে মনে হয় না। বরং আমাদের জন্য অনেক বড় বড় সমস্যা তারা তৈরি করেছে। ভারতের সাথে তার কোন প্রতিবেশীর সুসম্পর্ক আছে কিনা সেটাও দেখার বিষয়। শুধু বাংলাদেশ ভারত বিদ্বেষী এমন নয়। ভারতের সকল প্রতিবেশী ভারত বিদ্বেষী। কাজেই ভারতের আচরণে যে কিছু সমস্যা আছে সেটা পরিষ্কার। ৭১ ছাড়া আপনি ভারতের বাংলাদেশের প্রতি কোন আচরণের প্রশংসা করবেন। এদেশের সরকারের ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা থাকতে পারে কিন্তু সাধারণ মানুষের তো কৃতজ্ঞ হওয়ার কিছু দেখছি না (৭১ ছাড়া)। আর ৭১ এর উপকারটাও পুরোপুরি নিঃস্বার্থ ছিল না। এতে ভারতের বিরাট স্বার্থ ছিল। দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়ের স্বার্থটাই মূল বিষয় এখানে আবেগের স্থান নেই। দুই দেশের পরস্পরের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে পার্থক্য বেশী হলে মৈত্রী রক্ষা করা কঠিন হয়ে পরে।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৪
মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি ভুল বলেননি।
আরেকটি কারণ হতে পারে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। যেমন রুহিঙ্গা ইস্যু। এটা তখন মনে আসেনি।
৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০
কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের কেন সাহায্য করেছিল।কয়েকটি কারন,
১. পাকিস্তান ভেঙ্গে যদি দুই টুকরা হয় তাহলে ভারতের লাভ,নতুন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশকে নিয়ে তার তেমন চিন্তা না করলেও চলবে
২. বাংলাদেশ ভারতের কথা মতো উঠবে আর বসবে, এই চিন্তা ছিল। কিন্তু ওদের হিসাব বাংলাদেশ উলট পালট করে দিয়েছে। ইন্ডিয়া কেমন রাষ্ট্র, ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই। বাংলাদেশ যখন মিং ক্লাস সাবমেরিন কিনবে, ইন্ডিয়া আপত্তি জানায়। আরে বেটা,আমাদের টাকা দিয়া আমরা সাবমেরিন কিনব,তোদের সমস্যা কি? পরবর্তীতে বাংলাদেশকে কাউন্তার করার জন্য ইন্ডিয়া মিয়ানমারকে টর্পেডো আর কিলো ক্লাস সাবমেরিন দেয়।
৩. বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে, ৯৩ হাজার পাকিস্তানিদের সমরাস্ত্র ইন্ডিয়ান আর্মি ওদের দেশে নিয়ে গেছে। যশোর সেনানিবাসে ইন্ডিয়ান দের এই কাজে বাধা দেয়ার জন্য তখন সম্ভবত মেজর জলিল, উনাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মোটকথা ইন্ডিয়া আমাদের সাহায্য করেছিল নিজেদের প্রয়োজনে, আমাদের উপকারের জন্য না।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭
মুজিব রহমান বলেছেন: ভারতের লাভ ছিল অবশ্যই।
তারচেয়ে অনেক বড় ছিল আমাদের লাভ টা। আমাদের স্বাধীনতা দরকার ছিল। পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের শোষণ-নিপীড়ন করছিল।
৫| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভারত আমাদের বন্ধু। ব্যস । আমি এটাই জানি। মানি।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৭
মুজিব রহমান বলেছেন: শুধু বন্ধুত্বের মর্যাদাটার দাবি জানাই।
অবশ্যই বন্দু দেশ।
৬| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভারতের সাথে আমাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক মন্ত্রী বলে ছে ।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৮
মুজিব রহমান বলেছেন: খুবই বাজে একটি উদাহরণ দিয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়।
৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ কেন ভারত বিরোধী তার উপযুক্ত কারণ অনেক আছে।আপনি কিছু লিখেছেন।মন্তব্য ঘরেও কিছু এসছে।বাংলাদেশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ কেন ভারত বিরোধী আমি তার একটা অযৌক্তিক কারণ বলি।আমরা ভারতের প্রতি একরকম পরশ্রীকাতরতা অনুভব করি।আমরা খুব অল্প সময়ে ভারতের সিনেমার উন্নতি হতে দেখেছি।ভারতীয় ক্রিকেটকে সুপার পাওয়ার হতে দেখেছি।গড়ে ভারতীয়রা ভালো ইংরেজি বলে।তাদের সেলিব্রিটিরা আমাদের সেলিব্রিটিদের থেকে অনেক স্মার্ট।দেশ নিয়েও অনেক সচেতন।ভারতীয় মিডিয়া আমাদের মিডিয়াগুলোকে পাত্তাই দেয় না।এমনকি বাংলা সাহিত্যেও ভারতীয় সুসাহিত্যিকের সংখ্যা বেশি।তারা ইংরেজি সাহিত্যেও এগিয়ে যাচ্ছে।এসব কিছু পরোক্ষভাবে আমাদের মনে একরকম হীনমন্যতা তৈরি করছে।সেখান থেকে হিংসার জন্ম।তারপরে বিরোধিতা।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪১
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
মালেশিয়া, সিংগাপুরতো আরো উন্নতি করেছে। হিংসার কারণটা আছে বলে মনে হয় না। ভারত অিনেক বিষয়ে আমাদের পেছনেও আছে। যেমন- সেনিটেশন, বাল্যবিবাহ রোধ, বৈষম্য ইত্রঅদি।
৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: কল্পদ্রুম ঠিকই বলেছেন। ভারত বিরোধীতার একটা বড় কারণ পরশ্রীকাতরতা। এই বিরোধীতা যদি আমাদের জনগণের সত্যিকারের হতো, তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিকভাবে ওই দেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য কাজ করতাম না। যদিও বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে অন্যের পণ্য ব্যবহার করবো না বলে গোঁ ধরে বসে থাকাটা কঠিন, তবুও জনগণের দৃঢ় ইচ্ছের কাছে সরকারও পলিসি নির্ধারণের ক্ষেত্রে যত্নবান হতে পারতো।
কিন্তু আমরা ব্যক্তিগতভাবে সেটা করছি কি? আমার উত্তর, না।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪২
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ধর্মীয় কারণটাই বড় মনে হয়।
৯| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
মালেশিয়া, সিংগাপুরতো আরো উন্নতি করেছে। হিংসার কারণটা আছে বলে মনে হয় না। ভারত অিনেক বিষয়ে আমাদের পেছনেও আছে। যেমন- সেনিটেশন, বাল্যবিবাহ রোধ, বৈষম্য ইত্রঅদি।
সেক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হলো, মানুষ যার সাথে এক ধরণের মিল খুঁজে পায় তার প্রতিই হিংসা অনুভব করে।সিঙ্গাপুর,মালয়শিয়া ছাড়াও আরো অনেক দেশই উন্নতি করেছে।কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে তাদের থেকে আমরা ভারতীয়দের সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বেশি মিল খুঁজে পাই।এটা আমার কথা না।মনোবিজ্ঞানের কথা।এ ব্যাপারে আর একটি তত্ত্ব আছে।বিজ্ঞানী গোল্ডস্টেইন এবং সিগালের।তাদের মতে এবসোলুট ডিপ্রাইভেশনের থেকে রিলেটিভ ডিপ্রাইভেশন মানুষকে বেশি ক্ষুব্ধ করে।এক্ষেত্রেও মানুষ তুলনা করে যাকে সে নিজের সমকক্ষ মনে করে।
শেষের কথাগুলোর প্রেক্ষিতে বলবো,এদেশের সাধারণ মানুষ এসব পরিসংখ্যানে যতটা বিচলিত হয় তার চেয়ে বেশি বিচলিত হয় একটা ক্রিকেট ম্যাচের পক্ষপাতিত্ব দেখে।কোন এক পত্রিকার 'খয়রাতি' শব্দ পড়ে।
আমার কাছে ধর্মীয় বিদ্বেষ বড় বলে মনে হয় না।হিংসা থেকে যে বিদ্বেষের জন্ম হয় এটাও আমার মনগড়া নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেক কারন আছে,তবে প্রধান এবং অন্যতম কারন ধর্মীয়।