নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমতায় থাকা নারীরা উচ্চবিত্তের ও প্রভাবশালী পরিবারের

২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৪৬

বাংলাদেশে যে সকল নারীর ক্ষমতায়ন দেখি তাদের অধিকাংশই উচ্চবিত্তের না হয় প্রভাবশালী পরিবারের। এটার পক্ষেও যুক্তি রয়েছে যে, তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছেন। এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সত্য ছিল না। আমাদের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উচ্চ শিক্ষিত নন। তার একটিই যোগ্যতা- তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। অন্যথায় প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোন সুযোগই তিনি পেতেন না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদও যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা না হতেন তবে তাকে ড. কামাল হোসেন নয়াদিল্লী গিয়ে বুঝিয়ে শুনিয়ে দেশে নিয়ে আসতেন না। এরশাদ সাহেবের স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদও রাজনীতিতে থাকতেন না যদি না তার স্বামী দেশের রাষ্ট্রপতি না হতেন। বর্তমান স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও উচ্চ শিক্ষিতা ও অভিজাত পরিবারের মানুষ। তাঁর পিতা ছিলেন সচিব ও মা ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। আমাদের সিটিকর্পোরেশনের একমাত্র নারী মেয়র (নগরপিতা) ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ক্ষেত্রেও দেখি- তার পিতা আলী আহাম্মদ চুনকা নারায়ণগঞ্জের মেয়র ছিলেন। বিএনপি নেত্রী সেলিমা রহমান এসেছেন আরো উচ্চ পরিবার থেকে। তাঁর পিতা আব্দুল জব্বার খান বিচারপতি ও স্পীকার ছিলেন, ভাই রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সাদেক খান, কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, মন্ত্রী-সাংবাদিক এজেএম এনায়েতুল্লাহ খান। আওয়ামী লীগের আইভী রহমানের পিতা ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ, স্বামী জিল্লুর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রী। জহুরা তাজউদ্দিনও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ছিলেন। ডা. দীপু মনির পিতা এমএ ওয়াদুদও রাজনীতিবীদ ছিলেন। ছাত্র রাজনীতিতে প্রভাববিস্তার করে উঠে আসা একমাত্র প্রভাববিস্তারকারী নারী হলেন- মতিয়া চৌধুরী। হয়তো বাম রাজনীতি করে উঠে এসেছেন বলে সম্ভব হয়েছে। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও সাহারা খাতুনও ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

ভারতে আমরা কিছুটা ভিন্নতা দেখি। উত্তর প্রদেশে তফশিলী সম্প্রদায়ের নারী জয়ললিতা, মায়াবতী ও মিরা কুমার। মায়াবতী সমাজবাদী দলের প্রধান হয়ে মূখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কংগ্রেস মিরা কুমার লোকসভার স্পীকার ও মন্ত্রী ছিলেন। তামিলনাড়ুর আম্মা খ্যাত অভিনেত্রী ব্রাহ্মণ কণ্যা জয়ললিতা ৬ বার মূখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জী ব্রাহ্মণকন্যা হলেও তিনিও উঠে এসেছেন পাঠপর্যায় থেকেই। চিরকুমারী জয়ললিতা ও মমতা ব্যানার্জী স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাববিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। জয়লতিতা আকস্মিক মৃত্যুবরণ করার খবর পেয়ে বহু কর্মীই আত্মহত্যা করেছিলেন। সাদাসিধে পোশাকের মমতাও অর্জন করেছেন ঈর্ষনীয় সাফল্য। তিনি দল প্রতিষ্ঠা করে তার প্রধান হয়েছেন। তবে ইন্দ্রিরা গান্ধীও এসেছেন অভিজাত ও রাজনৈতিক পরিবার থেকে। তিনি বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষাও গ্রহণ করেছেন। সোনিয়া গান্ধীও তাই। তার পরিচয় তিনি রাজিব গান্ধীর স্ত্রী।পাকিস্তানে আমরা দেখেছি বেনজির ভূট্টোকে। তিনি যদিও অক্সফোর্ডে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবুও জুলফিকার আলী ভূট্টোর কন্যা হিসেবেই তিনি প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। পারিবারিক রাজনীতি থেকে আসা অং সান সুচি নোবেল পেয়েও মায়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছেন এবং রুহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর প্রতি তার রাক্ষুসে চেহারা প্রদর্শন করেছেন। নেত্রী হিসেবে সারা ভারতে বিজেপি নেত্রীত্রয়ী উমা ভারতী, সুষমা স্বরাজ ও স্মৃতি ইরানী খ্যাতি পেয়েছেন সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে। কিন্তু কংগ্রেস এমনকি সিপিআই/এমও পারেনি এমন নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে। তেলেগু-দেশমের রেণুকা চৌধুরী, কংগ্রেসের মার্গারেট আলভা, জনতা দলের প্রমিলা দণ্ডবতে, সিপিআইর গীতা মুখার্জী সুপরিচিত হয়ে উঠতে পারেননি।

সারা পৃথিবীতেও এই সংকট রয়েছে। বিল ক্লিনটনের স্ত্রী হওয়া ও নিজেকে বারবার সিনেটর/পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে সফল প্রমাণিত করার পরেও হয়তো নারী হওয়ার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হিলারী ক্লিনটন হেরে যান অর্বাচীন ডুনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। নিউজিল্যান্ড ও জার্মানীর মতো দেশে যদিও জাসিন্ডা ও মার্কেল সফলভাবেই দায়িত্ব পালন করে নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। উন্নত দেশগুলোতেও পৃথিবীর অর্ধেক নারীরা এখনও এক তৃতীয়াংশ আসনও গ্রহণ করতে পারেননি। টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও আফসানা বেগম- বাংলাদেশের যে ৪ জন ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট মেম্বার হয়েছেন তারা সকলেই নারী। বিশেষ করে ওখানে তারা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন এবং বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় নারী নেতৃত্বের করুণ হালের অন্যতম কারণ মৌলবাদী শিক্ষানীতি এবং এখনো ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ধর্মশাস্ত্রগুলোতে বিবৃত নারীকে হীনস্থানে রাখতে বদ্ধপরিকর হওয়া। ভারতে ব্যাপকহারে কন্যা সন্ত্রানের ভ্রুণ হত্যা ও বিধবা বিবাহের বন্ধ রাখার বিষয়ে সামাজিক ভাবাদর্শ তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের অবস্থা আরো খারাপ।

গ্রামীণ নারীরা এখনো স্বামীর নির্যাতন থেকে বের হতে ডিভোর্স দিতে সাহস পান না। এক্ষেত্রে অবশ্য শহরগুলো কিছুটা এগিয়ে যাচ্ছে। শহরের মেয়েরা ডিভোর্সে এগিয়ে রয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ডিভোর্সের আবেদন পুরুষের চেয়ে নারীরা দ্বিগুনেরও বেশি করেন। নারী মুক্তির আন্দোলন সফল করতে হলে নারীর ক্ষমতায়ন দরকার আর এজন্য দরকার নারীর সুশিক্ষা, উপার্জন ও সম্পদের মালিক হওয়া। ধর্মীয় ও সামাজিক বাঁধা অতিক্রম করার জন্য সংগ্রামে নারীকেই হাল ধরতে হবে। আজ নারীরা যে পর্যন্ত এগিয়ে এসেছেন, তাতে তাদের সংগ্রামই মূল ভূমিকা রেখেছে। সেটা শিক্ষা অর্জনে হোক, ভোটাধিকার অর্জনে হোক, গৃহের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ হোক, নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার হোক- সব তারা সংগ্রাম করেই অর্জন করেছে। কেউ দিয়ে যায়নি। বিশ্বজুড়ে নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে, নেতৃত্ব বাড়ছে, সম্পদ বাড়ছে। এই ধারা বজায় রাখতে হলে, মৌলবাদী ও রক্ষণশীল চক্রের বিছানো জাল ছিন্ন করেই এগিয়ে যেতে হবে। শফিক রেহমানের যায়যায়দিন পত্রিকায় সংরক্ষিত নারী সংসদসদস্যদের বলেছিলেন ত্রিশ সেট অলঙ্কার। পত্রিকাটি নিষিদ্ধ হয়েছিল তবে ওই সংখ্যাটি পড়ার সুযোগ হয়েছিল। পদ যদি আলঙ্করিক হয় তবে তা নারী উন্নয়নে তেমন কাজে আসে না। তবুও না থাকার চেয়ে সংরক্ষিত আসন থাকা অনেক ভাল। নারী নিজের যোগ্যতায়, সংগ্রাম করে প্রতিষ্ঠা পেলেই তারা নারী উন্নয়নে প্রকৃত ভূমিকা রাখতে পারে এবং এটাই প্রকৃত ক্ষমতায়ন। শুধু অভিজাত ও রাজনৈতিক পরিবারের নয়, যোগ্যতা থাকলে যদি সব পর্যায়ের নারীরাই রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে পারে তবেই নারীর জাগরণ ঘটবে, নারী মুক্তির সম্ভাবনা বাড়বে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র ঘরের মেয়েরা ঝি গিরি করে। তাদের কথা কেউ ভাবে না।

২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: একাত্তরের যুদ্ধ শিশুরা- যারা বিদেশে গিয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন তারা দেশে থাকলে কি করতেন? এটা প্রমাণ করে সুযোগ পেয়ে যে কারোরই মেধার বিকাশ ঘটতে পারে।

২| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

পারভীন শীলা বলেছেন: ক্ষমতা অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত একই সুতোয় গাঁথা । আমাদের দেশের কথা আর কি বলব ! এখানে রুট লেবেল থেকে নারীরা কখোনোই বেরিয়ে আসতে পারবেনা ।কারনটা না বললেও বুঝতে পারবেন হয়তো ্তবে আপনি যে নারীদের নিয়ে ভাবেন এজন্য ধন্যবাদ ।

২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

মুজিব রহমান বলেছেন: আমার কন্যা, মা, স্ত্রী, বোন নারী। তাদের নিয়ে ভাবাইতো স্বাভাবিক।

আমরা যদি অনবরত কথা বলতে পারি তবে অবশ্যই ভাবাদর্শ বদলাবে। গত ২০ বছরে বাংলাদেশের নারী অনেক এগিয়েছে। আরো বহুদূর যেতে হলে কথা বলতে হবে।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

বিডি আইডল বলেছেন: আমাদের সুপ্রিম কমান্ডার, মালেকিয়া আলিয়া, করোনার চেয়ে শক্তিশালী, অন্ধকারের আলো, বাংলাদেশের উন্নয়নের আলোকবর্তিকা, বাংলাদেশের স্বাস্হ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর কারিগীর, পদ্মা সেতুর রুপকার জননেত্রীর সাথে কারো তুলনাই হয় নাই। এইসব লিস্ট উনার নখেরও যোগ্য না।

২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা কথা বলতে চাই। সেখানেও অনেক সমস্যা। একশ একটা চিন্তা করে লিখতে হয়। ফলে যা লিখতে চাই তা আর হয়ে উঠে না। অনেক কেটেকুটে যা দাঁড়ায় তা ঠিক প্রতিবাদ হয় না। তবুও বলতে চাই।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের দেশে ক্ষমতায় থাকা পুরুষরাও প্রায় সবাই উচ্চবিত্তের এবং প্রভাবশালী পরিবারের। নারীদের পশ্চাদপদতার যে-কারণ দেখিয়েছেন, ওগুলোর প্রত্যেকটাই উপযুক্ত কারণ বলে মনে হয় না। গরীবের ছেলে বা মেয়ে কলেজের/হলের ভিপি/জিএস হতে পারে না। দলে একটা জায়গা থাকতে হলে তার আর্থিক ক্ষমতা থাকা আবশ্যক। টাকা থাকলে তার সাঙ্গপাঙ্গ থাকে, এবং সে দলের নেতা হয়ে ওঠে। আর গরীবের ছেলে লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়, তাকে লেখাপড়া শিখে বাবার সংসারে হাল ধরতে হবে। রাজনীতিতে যেয়ে মারধোর খেয়ে পঙ্গু হয়ে বসে থাকার রিস্ক নেয়া সম্ভব না। আপনার উপজেলায় ও পাশের উপজেলাগুলোতে নেতাদের দিকে তাকালেই দেখতে পাবেন, তারা প্রভাবশালী ও বিত্তবানদের ঘর থেকেই উঠে আসছেন।

এ লেখাটার পাশাপাশি সম্পূরক আরেকটা পোস্ট আশা করছি ক্ষমতাসীন পুরুষ নেতাদের ব্যাপারে, তাহলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে।

২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিপি নুরুল হক নুর কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সাহসী ও মেধাবী হলে পারাও যায়।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Right

৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিপি নুরুল হক নুর কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান। সাহসী ও মেধাবী হলে পারাও যায়। নূরের কথাটা উল্লেখ করতে চেয়েছিলাম। যেটা বলতে চেয়েছিলাম, সেটা অবশ্য আপনি বলে ফেলেছেন- তাকে অবশ্যই অসম্ভব সাহসী ও মেধাবী হতে হবে। বাড়ি/সংসারের প্রতি একটু উদাসীন/ড্যাম কেয়ার হতে হবে, অর্থাৎ, কোনো পিছুটান যেন তাকে না টানে, সেরকম হতে হবে।

বর্তমানে যেভাবে গ্রাসরুট পর্যন্ত পলিটিক্স পৌঁছে গেছে, তাতে একটা আশার আলো দেখা যায় এভাবে যে, যে ছেলেটা সিনসিয়ার ও কর্মঠ বা অ্যাক্টিভ, সেই পদ পাচ্ছে এবং জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে। একদিন হয়ত এরা উপরে উঠে আসবে। তবে, একদম নীচের লেভেলেও সেই বিত্তের প্রভাব এড়ানোর সুযোগ খুব কম।

পোস্টটা আমার ভালো লেগেছে বলে আবার এসে একটা মতামত দিয়ে গেলাম।

৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা কথা বলতে চাই। সেখানেও অনেক সমস্যা। একশ একটা চিন্তা করে লিখতে হয়। ফলে যা লিখতে চাই তা আর হয়ে উঠে না। অনেক কেটেকুটে যা দাঁড়ায় তা ঠিক প্রতিবাদ হয় না। তবুও বলতে চাই।


একদম সঠিক কথা বলেছেন।

৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে মূলত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতা বা নেত্রী তৈরি হয় (অতীত তাই বলে)। বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে মৌলবাদী শিক্ষানীতি নাই, ধর্মেরও কোনও প্রভাব নাই। তাই মৌলবাদী শিক্ষানীতি ও ধর্ম নারী নেত্রী তৈরি হওয়ার প্রতিবন্ধকতা বাংলাদেশের জন্য খাটে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরুষ নেতাও গত ৩ দশক ধরে তৈরি হচ্ছে না। কারণ ৪০ থেকে ৫০ বছর আগের বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির পরিবেশ নেতা তৈরির অনুকুল ছিল। যেটা এখন নাই। এর সাথে ধর্ম বা মৌলবাদ জড়িত না। বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে মৌলবাদীদের অবস্থান এখন দুর্বল। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও নেতা/ নেত্রী তৈরি হচ্ছে না। তার কারণ সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশ নেতা/ নেত্রী তৈরির অনুকুল নয়। পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রে নেতা/ নেত্রী ( যেমন মানবাধিকার, পরিবেশ, নারীর অধিকার ইত্যাদি নিয়ে যারা কাজ করছে ) তৈরি কিন্তু কম বেশী হচ্ছে। ভারত বা পাকিস্তানের ব্যাপারে আপনার কথা হয়ত ঠিক আছে। নারীর সুশিক্ষা, উপার্জন ও সম্পদ দরকার নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এ ব্যাপারে আমি একমত। তবে আমার মনে হয় এর জন্য শুরুতে কিছু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও নারী বান্ধব আইন ও নীতি প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তা বৃদ্ধি আবশ্যক। অনেকে ভালো করছে। সরকার কিন্তু নারী উদ্যোক্তাদের অনেকভাবে সহায়তা দিচ্ছে। যারা বুদ্ধিমতী তারা এ থেকে লাভবান হচ্ছে। দুই একজন কে চিনি যারা সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে স্বনির্ভর হওয়া যায় না। তবে গ্রাম পর্যায়ে ও নিম্ন বিত্তদের ক্ষেত্রে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মেয়েদেরকে অন্যায়ভাবে দমিয়ে রাখা হচ্ছে। ধর্মের প্রকৃত বাণী মেয়েদের জন্য প্রতিকুল নয় বরং অনুকুল। ধর্মের মধ্যে থেকেই মেয়েরা স্বাবলম্বী হতে পারে। এর অনেক উদাহরণ খুজলেই আসে পাশে পাবেন।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই মৌলবাদী চেতনার ধারক ও বাহক। হয়তো তারা উগ্রপন্থী নয়, ধর্মভিত্তিক সংগঠন করে না সেটাও সত্য কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে অধিকাংশই মৌলবাদী সেটাও সত্য। একজন নারী যে পরিবার থেকে উঠে আসে ওই পরিবার ও সমাজ তার ভিতরে মৌলবাদী চেতনার ভাবাদর্শ গড়ে দেয়। তার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই ভাবাদর্শ বদলানো সম্ভব হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যখন দেখি- পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক কালির সাাধনা করছেন, রসায়নের শিক্ষক পানি পড়ার পক্ষে কথা বলছেন, আল্লামা শমশের আলীরা কোয়ান্টাম মেথডকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স বানাচ্ছেন তখন মৌলবাদী চেতনা থাকবে না কেন? বদলাবে কিভাবে?

১০| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩২

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার লেখাতে যতগুলো উদাহরণ পড়লাম সবার একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো তারা সবাই ক্ষমতার শীর্ষে আছেন।ঐ অবস্থানে পৌছানোর জন্য অর্থ এবং পারিবারিক প্রতাপ লিঙ্গ নিরপেক্ষভাবে সবারই প্রয়োজন হয়।হিলারি ক্লিনটনের ব্যাপারে যেই জেন্ডার কার্ডের কথা বললেন তার চেয়ে ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশলটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বলে মনে করি।তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নারী নেত্রী আছেন।তারা সহায় সম্বলহীন অবস্থা থেকে নিজেদের যোগ্যতায় উঠে এসেছেন।তবে এই লেখার সামগ্রিক বক্তব্যের সাথে আমার দ্বিমত নেই।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। তাঁর রাজনৈতিক কৌশল- জাতীয়তাবাদকে উসকে দেয়ার গুরুত্ব ছিল। তবে তা প্রধান নয়। দেখুন ডেমোক্রেটরা পরপর দুবার ক্ষমতায় ছিল ফলে তাদের পরিবর্তনটাও জনগণ চাইছিল। এরপরও মানুষ হিলারীকে ভোট দিয়েছে বেশি। তবে ওই সময়ে হিলারীকে ভোট না দেয়ার কারণ হিসেবে অনেক আমেরিকাণই নারী নেতৃত্বকে মেনে নিতে পারেননি বলেই মন্তব্য করেছিলেন। সব মিলিয়েই ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছিলেন।

১১| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের আয়াত বা অন্য হাদিস দ্বারা স্বীকৃত দোয়ার দ্বারা পড়া পানি খাওয়াটা কোনও মৌলবাদী কাজ না। এটা ইসলাম ধর্মে সব দেশের আলেমদের দ্বারা স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। এটাকে মৌলবাদী মনে করার কোনও কারণ নেই। সউদি আরবের আলেমরাও এটাকে নাজায়েজ বলেন নাই। একজন ব্যক্তি অসুস্থ হলে ওষুধ খাবে, সাথে সে চাইলে কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে চিকিৎসা চালাতে পারে। কাজেই একজন ধার্মিক ব্যক্তির বিভিন্ন এবাদত কর্মকে মৌলবাদী চিন্তা বলা ঠিক না। মৌলবাদী বলতে আমরা বুঝি ধর্মীয় চরম পন্থা যেমন ISIS জঙ্গিরা যা করছে বা দেশি বিদেশী বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন যা করছে এগুলা। এদের কাজ গুলা কোনও আলেমরাই অনুমোদন দেন না। একজন practicing মুসলমানের ধর্মীয় কাজ সমূহকে মৌলবাদী কাজ বা ভাবাদর্শ বলা যায় না। বঙ্গবন্ধু, শেরে বাংলা, সোহরাওয়ারদি, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, এরা কি মনে করেন পানি পড়াকে খারাপ মনে করেন। ধর্মীয় পরিবেশ থেকেই ওনারা নেতা হয়েছেন। এতে কোনও সমস্যা হয় নাই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতারা কি ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এতে ওনাদের রাজনৈতিক নেতা হতে কোনও সমস্যা হয় না। বর্তমানের আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতারা সবাই কম বেশী ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ওনারা পানি পড়া খান, পীরের মুরিদ হন, শাহ জালালের মাজারে যান। তাদের এই ধার্মিকতার জন্য তাদের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাই। শমশের আলী সাহেব রাজনৈতিক নেতা না তাই ওনার কোয়ান্টাম নিয়ে ব্যাখ্যা নেতা তৈরির কোনও অন্তরায় নয়। ওনার বিজ্ঞানের জ্ঞানের দুর্বলতার কারণে উনি কোয়ান্টাম মেথড আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স গুলিয়ে ফেলেছেন অথবা কোয়ান্টাম মেথডের প্রতি ওনার কোনও দুর্বলতা আছে বলে এরকম ভুল কথা বলেছেন। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামি আছে। কিন্তু সেখান থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ধর্মের কোনও প্রভাব দেখা যায় না ( ইসলামি দলগুলো ছাড়া)। কারণ এরা সেকুলার রাজনীতি করে। ধর্মকে এরা অন্যায়ভাবে অনেক সময় ভোট পাওয়ার কৌশল হিসাবে ব্যবহার করে। নিজেরা খুব বেশী ধর্মকে মানেন না তাদের প্রাত্যহিক জীবনে। ফলে তাদের রাজনৈতিক দর্শন ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয় না।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:১৮

মুজিব রহমান বলেছেন: গোঁড়া ধর্মীয় মতবাদসমূহের কঠোর অনুগমনের চাহিদা যাদের আছে তারাই মৌলবাদী। আইএসএস জঙ্গীগোষ্ঠী। প্রত্যেক জঙ্গীরাই মৌলবাদী। জঙ্গীরা অধীকতর কঠোর। মৌলবাদ অন্ধ ধর্মবিশ্বাসের সাথেই সম্পর্কিত।

শমশের আলী কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে কাজ করেছেন কিনা তা অনলাইনে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন। আমি কোয়ান্টাম মেথডে কদিন গিয়েছি।েএরা তাদের সবকিছুকেই বিজ্ঞানভিত্তিক মনে করে যদিও কিছুই বিজ্ঞানভিত্তিক নয়। একপ্রকার ধ্যান তারা দাবি করে এতে আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। অথচ আত্মা বলেই কিছু নেই।

ধন্যবাদ।

১২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এদের ১ জনকে শিখরে তুলতে গিয়ে, গড়ে ২০ জনের বেশী 'কিশোরী চাকরাণী'কে নিজের জীবনকে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে; এরা বাহবা পাবার যোগ্য নন, এরা খারাপ উদাহরণ।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:২০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

এটা আরেকটি দৃষ্টিভঙ্গি। আমার লেখাটা ক্ষমতায় থাকা নারীদের নিয়ে- যারা অভিজাত ও ক্ষমতাবাদ পরিবার থেকে উঠে আসে।

১৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি কোয়াণ্টাম গ্রাজুয়েট হয়েছিলাম ১৯৯৬ সালে। আমি এদের সম্পর্কে জানি। আসলে প্রচারের জন্য এরা কোয়ান্টাম শব্দটা ব্যবহার করে। এর সাথে কোয়ান্টাম মেকানিকসের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা আরও অনেক যে মাইন্ড কন্ট্রোল টেকনিক বিদেশে আছে (যেমন সিলভা মেথড) সেগুলির মত। বিজ্ঞানের কোনও টেকনিক এরা ব্যবহার করে না। ভারত মহাদেশের ধ্যান চর্চার সাথে পশ্চিমের মাইন্ড কন্ট্রোলের কিছু টেকনিক মিশ্রিত করে বাংলাদেশের মানুষের মানুষের মানসিকতা অনুযায়ী এটা তৈরি করা হয়েছে। আমার বক্তব্য ছিল ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে নেতা তৈরিতে বিঘ্ন ঘটেনি বাংলাদেশে। আমাদের প্রতিষ্ঠিত নেতাদের মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামি থাকলেও সেটার কারণে তার রাজনৈতিক সাফল্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার সংগঠন আছে। যারা ধর্মীয় গোঁড়ামি মুক্ত। তাহলে তাদের থেকে বড় কোনও নেতা দেখা যাচ্ছে না কেন? অতীতের প্রতিষ্ঠিত সমাজতান্ত্রিক চিন্তা ধারার লোকেরাও এখন দেখা যাচ্ছে অনেকে তাদের পূর্বের নীতিতে নেই এবং অনেকে নীতিচ্যুত হয়ে দুর্নাম কামাচ্ছেন। এরা এখন বেশীর ভাগ বড় দলের লেজুর বৃত্তি করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখছে। আমাদের দেশের নেতারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। কিন্তু ধর্ম কখনও নেতা তৈরির বাঁধা হিসাবে কাজ করেনি। ধর্ম নিষ্ঠার সাথে মেনে চলাকে মৌলবাদ বলা যায় না। ইসলামের অনেক শুদ্ধ ও অনুমোদিত আচারকে অনেকে গোঁড়ামি বলে। ধর্মে বিশ্বাসকেই অনেকে গোঁড়ামি বলে। তাই গোঁড়ামি ব্যাপারটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না। তবে বহু আচার আছে যেগুলি আসলে ধর্মে নাই এগুলি গোঁড়ামি। যেমন তাবিজ, পীর, মাজার, ধর্মীয় কিছু কুসংস্কার ইত্যাদি।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রগতিশীল ও উচ্চ শিক্ষিত নেতৃত্ব টিকতে পারে না কেন?

তাদের নাস্তিক আখ্যা দেয়া হয় অহরহ। বাম নেতারাও ধর্মীয় বাঁধার কারণে বিকশিত হতে পারেনি বলে তারাও আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করেছে ধর্মে। যখনই মেনন-ইনু সাহেবরা হুমকি পান মৌলবাদী সংগঠন থেকে তারা হজ্বে চলে যান এবং নিজেকে পাক্কা ধার্মিক প্রমাণ করে আসেন। ফলে বাঁধা ব্যাপক ভাবেই আসলে ওখান থেকে।

১৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রগতিশীল ও উচ্চ শিক্ষিত নেতৃত্ব টিকতে পারে না কারণ রাজনীতি পচে গেছে এদেশে। ভালো ও প্রগতিশীল পরিবারের মানুষ এদেশে রাজনীতির ধারে কাছে যায় না (উত্তরাধিকারের রাজনীতি ছাড়া)। বামপন্থিরা প্রগতিশীল না। বরং এরা বাতিল ও অকেজো কিছু পুরাতন থিউরি নিয়ে কাজ করে, বর্তমান দুনিয়ায় যার কোনও মূল্য নেই। এর প্রমান চীন আর রাশিয়া যারা পুঁজিবাদী পথে হাঁটছে সমাজতন্ত্র ছেড়ে দিয়ে। এ রকম আরও দেশ আছে। সমাজতান্ত্রিক থিউরিতে মানুষকে আকৃষ্ট করার মত কোনও নতুন চিন্তা ধারা দেখা যাচ্ছে না। যত দিন যাচ্ছে এর গ্রহণযোগ্যতা কমছে। এর প্রবীণ নেতারা মারা গেলে এর গুরুত্ব আরও কমবে। পশ্চিমের যেসব দেশে মুসলমান নাই বললেই চলে সেই সব দেশেও বামরা ব্যর্থ। তারা জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারছে না। তাই বাংলাদেশে বাম রাজনীতির ব্যর্থতার জন্য মৌলবাদকে দায়ী করা ঠিক না। নীতি থেকে স্খলন বাম রাজনীতির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ। ইনু সাহেব ও আরও অনেকে ক্ষমতার মোহে পুঁজিবাদী দলের সাথে জুটেছে হালুয়া রুটির ভাগ পাওয়ার জন্য। এই যদি হয় নেতার নৈতিক অবস্থান তাহলে সেই দল কে করবে। এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও কানাঘুষা শোনা যায় (সত্য কি না জানি না)। ইনু আর মেনন সাহেব হুজুরদের ভয়ে হজ্জ করতে গেছেন এরকম খবর কোথাও দেখিনি বা শুনিনি। যদি হুমকি তারা পেয়েও থাকেন তার পরও তাদের ভয়ে হজ্জে যাওয়া উচিত না। জেল, জুলুম, গুম, হত্যা এসবের মধ্যে থেকে অন্যরা রাজনীতি করছে না। আর সারা জীবন ভয় না পেয়ে এই বুড়া বয়সে রাজনীতি থেকে অবসরের আগে আগে হজ্জে যাওয়াটা ভয়ের কারণে হতে পারে না। আর তা ছাড়া বাংলাদেশের বাম রাজনীতি যারা করে সবাই তো নাস্তিক না। ইনু সাহেব এবং মেনন সাহেব ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে আমি মনে করি। এই কারণে ওনারা শেষ বয়সে হজ্জে গেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.