নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডারউইন কি বাংলাদেশে ঘৃণিত!

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৬


বাংলাদেশে একটা শ্রেণির কাছে ডারউইন খুবই ঘৃণিত মানুষ। তাদের চোখে মিরজাফর, হিটলার, আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, চেঙ্গিস খান, হালাকু খান, খন্দকার মোশতাক ইত্যাদি ঘৃণিত মানুষের চেয়েও ডারউইন বেশি ঘৃণিত। অথচ বলা হয় সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন ডারউইন এবং সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী তত্ত্ব ডারউইনের বিবর্তনবাদ। শুধু বাংলাদেশেই নয় দক্ষিণ এশিয়া জুড়েই ডারউইনকে বিতর্কিত ও নিন্দিত বিজ্ঞানী বানানো হয়েছে। মূলত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভ্রান্ত ধারণার কারণেই তারা অনবরত বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশ করায় আজ শিক্ষিত সমাজেও বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। ভুল ধারণা তৈরি করতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন ওয়াজের বক্তারা। তারা বিবর্তনবাদ সম্পর্কে কিছু না জেনেই বা ভুল জেনেই তা প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়েছেন। এগুলো প্রতিরোধ করা যায়নি।

অধিকাংশ মানুষই বিবর্তনবাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে। তারা মনে করে-
• বিবর্তন বাদ হল- বানর থেকে মানুষ হওয়া। এটা সত্য হলে কোন বানর থাকতো না, সবাই মানুষ হয়ে যেতো।
• বিবর্তনবাদ একটি তত্ত্ব মাত্র। তত্ত্ব প্রমাণিত কিছু নয় একটা ধারণা মাত্র। বিবর্তনবাদের কোন প্রমাণ হয়নি এখনো। বহু বিজ্ঞানীই এটাকে বাতিল করে দিয়েছেন।
• বিবর্তন হল সারভাইবাল দা ফিটেস্ট। এটা আমাদের ধর্মগ্রন্থেই আছে। জিরাফ লম্বা গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে গলা লম্বা করে ফেলেছে।

এই ভুল ধারণা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত ভাবেই। আমাদের শিক্ষক গাজী আজমল স্যার ছিলেন দেশের সেরা জীববিজ্ঞানের শিক্ষক। খুবই আশায় ছিলাম তিনিই পড়াবেন বিবর্তনবাদ। স্যার ছুটিতে থাকায় পড়াতে আসলেন হুজুর মিজান স্যার। তিনি ঢুকেই উপরের কথাগুলোও বললেন ভূমিকা হিসেবে। আরো বললেন, পড়াতে হয় বলেই পড়াচ্ছেন। পরীক্ষায় আসবে না। এগুলো বিশ্বাসও করবে না।

অনেকের মতোই আমারও ওখানেই থেমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের ওই বই আমার মধ্যে একটি সংশয় রোপন করে দিয়েছিল। আমার প্রশ্নগুলোর জবাবও ছিল। বিবর্তনবাদ পড়া ছাড়িনি। আরো পড়তে পড়তেই একসময় বুঝতে পারি। হিন্দু ও মুসলিম মৌলবাদীরা কেন ডারউইনের মুণ্ডুপাত করে তাও বুঝতে পারি। ডারউইনের বিবর্তনবাদ সমস্ত অলৌকিক বিশ্বাসের উপরই আঘাত হেনেছে। সৃষ্টিবাদ নস্যাৎ হয়ে গেলে বহুজনের জীবিকাই শেষ হয়ে যাবে। খাবে কি করে? সৃষ্টিবাদীরা ডারউইনের মুখের সাথে বানরের শরীর যুক্ত করে একটি ছবি প্রকাশ করে খুবই মজা পায়। মনে হয় তাদের প্রিয় ছবি ওটি। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ মনে করে, বিবর্তনবাদ হাস্যকর ও মিথ্যা। তাদের এই মনে করাতেই যেনো বিবর্তনবাদ ভুল হয়ে যাবে। বাস্তবিক আধুনিক বিজ্ঞানীরা এবং উন্নত চিন্তার মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে, সবই বিবর্তনের ফল। বিবর্তন তত্ত্বের উপর ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাবিজ্ঞান, অণুজীববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান। বিবর্তন বাদের কারণেই এক প্রাণির উপর ওষুধ প্রয়োগ করে তার সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বারবারই বলছেন, করোনাভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত। এটি বাদুর থেকে বনরুই জাতীয় একটি বন্যপ্রাণীর দেহ থেকে বিবর্তিত হয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়েছে। কিন্তু মৌলবাদীরা- ট্রাম্পের সেই কথাকেই গুরুত্ব দিয়ে বলতে চায়, এটি চীনের পরীক্ষাগারেই তৈরি হয়েছে বা কানাডার একদল বিজ্ঞানী ওহানে এসে এটি ছড়িয়ে গেছে। তবুও বিজ্ঞানীদের কথা মানবে না। শুধু করোনাভাইরাসই নয়- প্লেগ, কলেরা, স্পেনিশ ফ্লো ইত্যাদি অণুজীবের ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি এগুলো বারবারই বিবর্তিত হয়েছে। বিবর্তনের কারণেই আজ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে মৃত্যুহার বিভিন্ন। এক্ষেত্রে মানুষের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কাজ করছে। আবার প্রোটিন আকর্ষি বিবর্তিত হয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে কিন্তু তারা মৃত্যুঘটানোর সামর্থ্য কিছুটা হারিয়েছে। ফলে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এবং মৃত্যুহার কমছে।

আমরা অবাক হইনি যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চেলারা ঘোষণা দিল- গোমূত্র সেবন করলে আর করোনা হবে না, গোবরে অবগাহন করলে করোনা ধরবে না। কোটি কোটি বিজেপিভক্ত মৌলবাদী দেখলো গোমূত্র বা গোবরে কাজ হচ্ছে না, ঢাক-ঢোল পিটিয়েও কাজ হচ্ছে না। তখন মোদীজি ঘোষণা দিলেন, তারা ১৫ আগস্ট থেকেই টিকা দেয়া শুরু করবে। মানে শেষ পর্যন্ত মোদীকেও যেতে হল বিজ্ঞানের কাছেই। অবাক হইনি, বাংলাদেশে মুফতি আমির হামযা যখন ঘোষণা দিল- মুসলমানদের করোনা হবে না, হলে কোরান মিথ্যা। কাজী ইব্রাহিম স্বপ্নে পায় করোনা ওষুধ, করোনার সাথে কথাও বলেন তখন তাকে সুস্থ মানুষ ভাবা যায় না। আরো মাওলানারাও বিদ্রোহ করে ঘোষণা দিলেন, তারা সামাজিক দূরত্ব মানবেন না। শেষ পর্যন্ত অবাক করে দিয়ে তারা সবই মানলেন। মক্কাতেও হজ্ব হল সীমিত পরিসরে সামাজিক দূরত্ব মেনে। তার আগে মক্কা বন্ধও থাকলো অনেক দিন। আশার জায়গা হল, তারাও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা মেনে নিলেন। থানকুনি পাতা, কালোজিরা, রসুন যে করোনাভাইরাস ঠেকাতে পারে না তাও মেনে নিতে বাধ্য হলেন। ইসকন সদস্যরা প্রার্থণা করতে আক্রান্ত হলেন উল্টো ৪৩ জন। তাবলিগ কর্মীরা করোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আক্রান্ত হলেন শতে শতে। গির্জায় প্রার্থণা করতে গিয়ে ফ্রান্সকে ভোগিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়াতে ছড়িয়েছে প্রার্থণালয় থেকেই। এখন সবাই তাকিয়ে আছে- কবে টিকা আনবেন বিজ্ঞানীরা, সবাই মেনে নিচ্ছেন- চিকিৎসকরা কি বলছেন তা!

টিকা আবিষ্কার করতে গিয়ে মাথায় রাখতে হচ্ছে ভাইরাসের বিবর্তনকে। আজ এই দুঃসময়ে এই করোনাভাইরাসও প্রমাণ করে দিচ্ছে বিবর্তনবাদকেই। ডারউইন কি মুচকি হাসছেন?

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গাজি আজমল আমাদেরও স্যার ছিলেন। উনার লেখা বইটাই আমরা পড়তাম। আপনি কি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন?

অনেক ভুলই আমাদের সমাজে এখনও প্রচলিত। লেখা ভালো লাগলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: নটরডেমে তিনি আমাদের শিক্ষক ছিলেন।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আজমল-আসমতের বই আমরাও পড়েছি। বিবর্তনবাদ ঠিক আছে ও বৈজ্ঞানিক। বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ের মতই এই বিষয়ের উপর নতুন নতুন পরিবর্তন ও সংশোধন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তবে মূল যে বিবর্তনবাদের যে ধারণা এটা ঠিক। বিবর্তনবাদের সত্যতা থাকার পরও আদমের (আঃ) মাধ্যমে মানুষের বংশ বিস্তারে আমি কোনও সমস্যা দেখি না। কারণ ঐ যুগে মানুষের দৈহিক আকৃতি কেমন ছিল এটা ধর্মে বিশদভাবে বলা নাই। এখনকার মানুষ আর ১০,০০০ বছর আগের মানুষ দৈহিকভাবে একরকমই ছিলও এমন নাও হতে পারে। আবার এমন হতে পারে যে আল্লাহ অন্যান্য প্রানি ও উদ্ভিদের বিবর্তন প্রক্রিয়া সত্যেও বর্তমান আকৃতিতে মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পৃথকভাবে। শরীরে পানিবিহীন জীব থাকতেও পারে। বিজ্ঞানতো সব কিছু জানতে পারে নি। আমাদের ধর্মে জড় পদার্থেরও চেতনা আছে বলে বলা হয়েছে। উদ্ভিদের প্রান আছে এটা তো মাত্র কয়েক দশক আগে জানা গেছে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আকৃতি ও ব্যাপ্তির তুলনায় বিজ্ঞানিদের জ্ঞান অতি নগণ্য। সামান্য করোনা ভাইরাস নিয়ে বিজ্ঞানীরা হিমশিম খাচ্ছে। কাজেই বিজ্ঞানের আরও অনেক দূর যেতে হবে। এই শিশু বিজ্ঞানের উপর ভরসা করে সৃষ্টি সম্পর্কে কোনও উপসংহারে আসা ঠিক না। কোয়ান্টাম থিওরি তো বেশী পুরনো না। আরও যে নতুন কোনও মৌলিক ধারণা আসবে না এটা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না। কাজেই বিবর্তনবাদকে আমি ধর্মের প্রতিপক্ষ মনে করি না। আর বিবর্তনবাদ এখন যে রুপে আছে সেটাও চূড়ান্ত না। কাজেই সঠিকভাবে পুরাটা যেহেতু জানি না তাই একে ধর্মের প্রতিপক্ষ বানানোর পক্ষপাতি আমি না।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি যেসব কথা বললেন তার একটি প্রমাণও নেই আপনার কাছে। গবেষণাও নেই। ডারউইন বছরের পর বছর গবেষণা করেছেন।

ধন্যবাদ। বিজ্ঞান পৃথিবী যতদিন টিকে আছে ততদিন সামনে যেতেই থাকবে। ততদিনে যদি মহাকাশে আবাস গড়তে পারে তবে আরো বহুদিনই বিজ্ঞান টিকে ধাকবে পৃথিবী ধ্বংসের পরেও।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: গাজী আজমল স্যারের সরাসরি ছাত্র ছিলাম আমরাও। নটরডেমে জুলোজি ক্লাস নিতেন, আজমল স্যার। পরে মিজান স্যার নিসিলেন। অন্য প্রসঙ্গে বললাম। স্যারের কথা পড়া আর গল্প তন্ময় হয়ে শুনতাম।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আমরা যারা তাঁর সরাসরি ছাত্র ছিলাম সবারই একই অভিজ্ঞতা। ক্লাস কতটা আকর্ষণীয় হতে পারে তার উদাহরণ তিনি।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সামনে এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষ আরো অনেক বেশি বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে যাবে। ধর্মান্ধতা ও গোড়ামী কমে যাবে ।
আমার ধারণা সেই দিন খুব একটা বেশি দূরে নয়।স

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশে দিনে দিনে বিজ্ঞান চর্চা কমে যাচ্ছে ।
পরিবর্তে বেশী চর্চা হচ্ছে ওয়াজ মাহফিলের ।
এটা জাতির জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতির নিদর্শন।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞানমনস্ক মানুষদের অনেক কথা বলতে হবে।

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

রাশিয়া বলেছেন: ডারউইন একজন বিজ্ঞানী। তিনি গবেষণা করে যা যা পেয়েছেন, তাই প্রকাশ করেছেন। এজন্য তিনি ঘৃণিত হবেন কেন? বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে তার মতামত তর্কসাপেক্ষ কিন্তু অন্যায় তো নয়। যেসব কুলাংগারেরা তার মতামতকে প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিপরীতে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে - তারা ঘৃণিত।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে প্রতিটি ওয়াজ মাহফিলে ডারউইনকে গালিগালাজ করা হয়। এজন্য কাউকেই জবাবদিহি করতে হয় না। ধর্মান্ধ মানুষ মাত্রই তাকে অসম্মান করে কথা বলেন। দেশে বিবর্তনবাদকে বুঝেন, মানেন এমন মানুষ খুবই কম আবার তারা এসবের প্রতিবাদ করাকে ঝামেলা মনে করেন। ফলে ডারউইনকে ধর্মান্ধ মৌলবাদীরাও অপছন্দ করেন।

৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৯

আমি সাজিদ বলেছেন: আ স ম আবদুর রব উনার দোস্ত ছিলেন। আসম রব যখন প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তখন আজমল স্যার পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে সাহস দিয়েছিলেন। আপনাদেরও কি স্যার এই কাহিনী বলেছিলেন? আমি এক এগারো গ্রুপ ফোর রোল....

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: মনে নেই। ওনি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথা কালেভদ্রে বলতেন। রসদিয়ে পড়াতে পছন্দ করছেন।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানের অনেক প্রমান ক্ষণস্থায়ী। একারনেই বিজ্ঞানের অনেক প্রমানিত জিনিস পরে ভুল প্রমানিত হয়েছে। কাজেই বিজ্ঞানের সব প্রমাণই চূড়ান্ত কথা এ কথা বলা যাচ্ছে না। ডারউইনের বিবর্তনবাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনি যে প্রমান আপনার বিভিন্ন পোস্টে উল্লেখ করেছেন সেটা যে কয়েক বছর পর পরিবর্তন হয়ে যাবে না তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। তাই বিজ্ঞানের প্রমান মানেই সবক্ষেত্রে চিরন্তন সত্য নয়। ডারইনের থিউরি অফ ন্যাচারাল সিলেকশনের সংশোধন হয়েছে পরবর্তীতে ১৯০০ সালের দিকে। ১৬০০ সালে ডারউইন যা আবিষ্কার করেছে তার অনেক কিছু পরের বিজ্ঞানীরা মানেন নি। বিবর্তনবাদের ব্যাপারে অনেক সংশোধিত মতবাদ বা থিউরি আসছে। আপনি যাকে প্রমানিত বলছেন সেটা কয়েক বছর পর ভুল প্রমানিত হতে পারে। কাজেই এই ব্যাপারে এত তাড়াহুড়া করে যতটুক এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে সেটাকেই ধ্রুব সত্য মনে করলে ভুল করবেন। আপনি যেগুলিকে প্রমান বলছেন সেগুলিকেও আমি প্রমান হিসাবে ধরব না কারণ এগুলি আবার পরিবর্তন হতে পারে। অন্য অনেক বৈজ্ঞানিক বিষয়ের মত বিবর্তনবাদের ব্যাপারেো আরও অনেক কিছু জানা বাকি আছে বিজ্ঞানের। আপনি দ্রুত উপসংহারে আসতে চাচ্ছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: ডারউইন ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করে কি করে ১৬০০ কি করে বিবর্তনবাদ আবিষ্কার করবে?

চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার বই অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস প্রকাশ করেন। বিবর্তনবাদ আরো পরিশীলিত হবে যখন আরো নতুন নতুন তথ্য সামনে আসবে। এটাই সত্য ও স্বাভাবিক। বিজ্ঞান চিরন্তন নয় সত্য তবে ন্যাচারাল সিলেকশনের এই পরিবর্তন এবং নতুন নতুন তথ্য কেবল বিবর্তনবাদকেই শক্তিশালী করেছে। যখন পরিবর্তন হবে তখন যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সেটাই গ্রহণ করবো। বস্তাপচা অবৈজ্ঞানিক তথ্য গ্রহণতো করছি না।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখন কোন শিক্ষকই এ বিষয়ে কথা বলে না।পাঠ্য বইয়ের ভিতর বিবর্তন তত্ত্ব নেই।বতর্মান ছাত্র ছাত্রীরা ডারউইনে নামই জানে না,তারা পক্ষে বিপক্ষে থাকবে কিভাবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: এখন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বিবর্তনবাদ পড়ানো হচ্ছে। যদিও অল্প এবং যা পড়ানো উচিৎ বলে আমার মনে হয় তা পড়ানো হচ্ছে না। এজন্য বিজ্ঞানের ছাত্রমাত্রই ডারউইনের নাম জানে। তবে সামাজিক ও পারিবারিক কারণে তারা বিবর্তনবাদ গ্রহণ করে না এবং বুঝারও চেষ্টা করে না ওয়াজে বিপুলভাবেই ডারউইনের বিরুদ্ধে বলা হয়। ফলে সাধারণ কিছু মানুষও নাম জানে।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: ডারউইন সাহেব জ্ঞানী লোক। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিবর্তনবাদের প্রবর্তক ডারউইন তার মৃত্যুর পূর্বে ঘোষণা দিয়ে গেলেন যে তিনি মৃত্যুকে বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছেন না। ‘লাইফ এন্ড লেটারস অভ চার্লস ডারউইন’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, জীবনের প্রতিটি ঘণ্টাকে তিনি কাজে লাগাবার চেষ্টা করেছেন। এক জায়গায় তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি একটি ঘণ্টাও নষ্ট করার সাহস পায়, সে জীবনের মূল্য খুঁজে পায় নি।”

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
তাকে শ্রদ্ধা করার বহুদিকই রয়েছে। অসাধারণ এক ব্যক্তিত্ব!

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্মরণ শক্তির ভুলের জন্য তারিখ ভুল করেছি। নেট দেখে বলা উচিত ছিল। তবে তারিখটা মুখ্য না। আমার বক্তব্য হোল বিবর্তনবাদ এখনও বিবর্তিত হচ্ছে এবং একটা পরিপূর্ণ আকৃতি পায়নি। তাই কোনও উপসংহারে আসা ঠিক না।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: উপসংহারে আসার মতো যথেষ্ঠ তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। এখন অন্তত ৯ ধরনের প্রমাণ দিয়ে বিবর্তনবাদের প্রমাণ করা যায়। একে অস্বীকার করার কোন পথই খোলা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.