নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনাভাইরাস কেন বিবর্তিত হচ্ছে?

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৪


করোনাভাইরাসে আরএনএ (রাইবোনুক্লিক অ্যাসিড) নামে জেনেটিক উপাদান রয়েছে। করোনাভাইরাস যখন কাউকে সংক্রামিত করে, তারা ওই ব্যক্তির কোষগুলিতে প্রোটিনস্পাইকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয় এবং তাদের ভিতরে ঢুকে নিজের আরএনএর অনুলিপি তৈরি করে বংশবৃদ্ধি করে। যদি অনুলিপি করার কোনও ভুল হয় তবে আরএনএ পরিবর্তন হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা এই পরিবর্তনগুলিকে Mutation হিসাবে অভিহিত করেছেন। এই পরিবর্তনগুলি ঘটে দৈবচয়নভাবে দুর্ঘটনারবশত, অনিচ্ছাকৃত ও উদ্দেশ্যহীন। সর্দি-জ্বরের হাত থেকে আমরা রক্ষা পাই না কেন? গত বছর যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস আমাকে আক্রমণ করেছিল এবারে কিন্তু সে আগের বারের মতো নেই। বিবর্তিত হয়েছে। প্রতি বছর বারবার সর্দি-জ্বরে ভোগার কারণ হল- এরা বারবার পরিবর্তিত হয়। বারবার পরিবর্তন হয়ে গেলেই মানুষকে সংক্রামিত করা সহজ হয় এবং ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের জিনকাঠামোতে নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে। ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাস বহুরকমভাবে বদলে গেছে। এ কারণে এর টিকা আবিষ্কারও জটিল হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই এল, এস, ডি, ভি, জি- এ রকম নানা ভাগে ভাগ করেছেন অণুজীববিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশে তিন ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান রয়েছে। এগুলো মূলত জি ধরনের- তার মধ্যে রয়েছে জি, জিএইচ ও জিআর। চট্টগ্রাম এলাকায় পাওয়া গেছে ডি টাইপের ৭টি নমুনা। বাংলাদেশে মাত্র ২৮৮টি করোনাভাইরাসের জিনকাঠামো বিশ্লেষণ করা হলেও বিশ্বজুড়ে হয়েছে প্রায় ৭০ হাজারটি। এ থেকেই জানা যাচ্ছে কোন কোন দেশে কোন কোন ধরনের ভাইরাস ছড়িয়েছে। চীনের প্রথম ভাইরাসটি ছিল এল ধরনের।

সারাবিশ্বে প্রতিটি নমুনায় গড়ে ৭টি করে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে আর বাংলাদেশে পরিবর্তন বা মিউটেশন হয়েছে গড়ে ১০টি। এই পরিবর্তনের কারণে এখন আক্রান্ত অনেক বেশি হলেও মৃত্যুহার কমে এসেছে। ১৭ এপ্রিল ৮৪৯৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিল, মোট আক্রান্ত ছিল ৮৫ হাজার। হাজারে মৃত্যু ছিল ১০০ জন অর্থাৎ ১০%! গতকাল আক্রান্ত ছিল ২ লক্ষ ৬৩ হাজার আর মৃত্যু ছিল ৫৬১২ জন। হাজারে মৃত্যু ২১ জন। অর্থাৎ মৃত্যু এক পঞ্চমাংশে এসে ঠেকেছে। স্পেন, ইতালি, ফ্রান্সে মৃত্যুহার ছিল ১০ এর উপরে আর গত পরশু ওই তিন দেশে আক্রান্ত হয়েছে ৭৩৪৭ জন আর মারা গেছেন মাত্র ১৮ জন অর্থাৎ হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই জনেরও কম। ভারত সরকার দাবী করছে তাদের মৃত্যুহার অনেক কম। গত পরশু ৬১ হাজার আক্রান্তের বিপরীতে মারা গেছেন ৯৪০ জন অর্থাৎ হাজারে মৃত্যু ১৫ জনের বেশি। অর্থাৎ এখন স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্সের চেয়ে ৬ গুণ বেশি করোনারোগী মারা যাচ্ছে ভারতে। ভারতের সবচেয়ে বড় সমস্যা দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় তারা শীর্ষ তিনে থাকছে। মৃত্যুহার কম বেশি হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, চিকিৎসার মান ইত্যাদি জড়িত থাকলেও ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া দেশগুলোতে বিবর্তনও একটা বড় ভূমিকা রাখছে। সংক্রমণ ও পোষকের মৃত্যু ঘটানোর ক্ষমতার এই হেরফেরে, বিবর্তিত ভাইরাস ভূমিকা রাখছে। পত্রিকায় রিপোর্ট এসেছে- বাংলাদেশে বিবর্তিত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটানোর ক্ষমতা কম, আমরা রক্ষা পেয়েছি।

এই ভাইরাস কি আরো খারাপ দিকে যেতে পারে? আরো শক্তিশালী ভাবে বিবর্তিত হতে পারে? তাহলে আবারো মৃত্যুর ঝড় বয়ে যাবে! এখনো অনেক দেশে মৃত্যুর হার বেশি। মেক্সিকোতে এখনো মৃত্যুর হার ১০% এর বেশি। এর মানে ওখানকার ভাইরাস ভয়ঙ্করভাবেই বিবর্তিত হয়েছে।

আমরা শুধু প্রত্যাশাই করতে পারি, টিকা না আসা পর্যন্ত করোনাভাইরাস যেনো খারাপভাবে বিবর্তিত না হয়।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশ টিকা পাবার জন্য কি ব্যবস্হা নিয়েছে?

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: অনেক দেশই ডব্লিউএইইচওসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছে এবং তাদের দুইডোজ করে টিকা নিশ্চিত করে রেখেছে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী দেশগুলোই আসলে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থাটা এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। ভারত নিজেরাই টিকা উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে- তাদের সুবিধা আছে যে, ওখানে টিকা উৎপাদিত হয়। তবে তাদের উদ্ভাবিত টিকা কতোটা মানসম্মত হয় তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ করোনা নিয়ে মোটেও চিন্তিত না। প্রথম প্রথম মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু এখন মানুষ করোণাকে মোটেও কেয়ার করছে না।

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: রাষ্ট্রকেই মতাদর্শ তৈরি করতে ভূমিকা রাখতে হয়। শুরু থেকেই ক্ষমতাশালী কিছু মানুষ, বক্তা যা ইচ্ছা তাই বলে ভুল মতাদর্শ তৈরি করেছে। রাষ্ট্র করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অন্তত মাস্ক পরার বিষয়টা নিশ্চিত করতে অভিযান চালাতে পারতো। এর প্রতিক্রিয়ায় মানুষ হাত ধোতো এবং সতর্ক থাকতো।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০১

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: দূর্বল ভ্যারায়েন্ট এর ভাইরাসের থেকে তৈরি অ্যান্টিবডি কি অন্য ভাইরাসের বিপক্ষে কাজে দিতে পারে ?

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: যক্ষার টিকা কিছু কাজে আসছে বলে প্রমাণ রয়েছে।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এ দেখছি এক জটিল প্রক্রিয়া।তাহলে কি একাধীক টিকা লাগবে।

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: টিকা একটাই নিতে হবে হয়তো দুই ডোজে। তবে জটিল বলেই দীর্ঘদিনে সর্দির টিকা আবিষ্কৃত হয়নি কিংবা মার্স, সার্স, করোনার টিকা পাওয়া যায়নি।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই রোগের হাত থেকে আমাদের তাহলে মুক্তি নাই। কি বলেন?

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: ডব্লিউএইচও বলছে সহজে নিস্তার মিলবে না। সর্দি জ্বরের মতো থেকে যেতে পারে।

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের এই আযাব হতে রক্ষা করুন

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার দোয়া যেন কবুল হয়, সেই দোয়া করলাম।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: কোথাও কোথাও সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছে । বিষয়বস্তু এখনও নিত্য গবেষণাধীন । কদিন আগে শীর্ষ বিজ্ঞানি বলছিলেন এই ভাইরাস আমাদের জন্য স্থায়ী সুখবর আনছে না । এই ভাইরাস আমাদের মাস্ক আর ভ্যাক্সিনের উপর নির্ভরশীল করে রাখবে ।

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: মাস্কের অভ্যাসটা অনেকেই গড়ে তুলেছে। সাথে হাত ধোয়ার অভ্যাস, সতর্কতা, নাকে-মুখে হাত না দেয়া। এগুলো অনেককে সুরক্ষা দিচ্ছে। তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিবর্তনের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস আরও দুর্বল হয়ে যাক এই কামনা করছি। কিন্তু বিবর্তনের মাধ্যমে তো সব প্রাণীর মত করোনা ভাইরাসেও আরও সবল হওয়ার কথা। দুর্বল কেন হচ্ছে। দুর্বলদের তো ধীরে ধীরে বিলীন হওয়ার কথা। করোনার ক্ষেত্রে বিপরীত কিছু ঘটছে কি?

১১ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: পৃথিবী থেকে বহু প্রাণিই দুর্বল হয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.