নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিনোম আমাদের কি শেখায়?

১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪


কোনও জীব প্রজাতির প্রতিটি স্বতন্ত্র জীব যেসব বংশগতিমূলক তথ্য (জিন) বহন করে, তাদের সমষ্টি বা সামগ্রিক অনুক্রমকে জিনোম বলে। বিজ্ঞানীরা মানুষ, শিম্পাঞ্জি, বানর থেকে শুরু করে আজকের আলোচিত করোনাভাইরাসের জেনোমের অনুক্রমই সমাপ্ত করেছেন। বিজ্ঞানীরা হাজার হাজার রকমের জীনের তথ্যভাণ্ডারে অনুসন্ধান করে দেখেছেন সবই হচ্ছে বিবর্তনের খেলায়। তারা ইতিমধ্যে দেখেছেন কেমন করে আমাদের পূর্বপুরুষদের জেনোম পরিবর্তিত হয়েছে, যখন তারা প্রাইমেট থেকে ভিন্ন শাখায় বিবর্তিত হতে শুরু করেছিল।

এই যুগটাকে বলা যায় জেনোমের যুগ। বিজ্ঞানীর সুযোগ পেয়েছেন পর্যবেক্ষণ করার। তারা বুঝতে পারছেন কেমন করে সাধারণ আদি পূর্বপুরুষ থেকে প্রজাতির উৎপত্তি হয়েছে। সাধারণ পুর্বপুরুষ থেকে কিভাবে আজাকের প্রজাতি এসেছে তার ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে তাদের ডিএনএ তে। যা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে বয়ে বেড়ায়। সুপারকম্পিউটার এবং উন্নত পরিসংখ্যানীয় মডেল ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে ডিএনএ বিশ্লেষন করা সম্ভব হয়েছে।বিজ্ঞানীরা প্রজাতিদের মধ্যে আন্তসম্পর্কের স্বরুপ সংক্রান্ত বিবর্তনবাদ পরীক্ষা করার সুযোগ পেয়েছেন। তারা সক্ষম হয়েছেন বিবর্তনবাদকে প্রমাণ করতে। বিবর্তনের দিক থেকে আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী সম্পর্কযুক্ত জীবিত জলজ প্রাণী হলো লাংফিস আর সিলোকান্থ, এর সত্যতা জীনতত্ত্ববিদরা ইতিমধ্যেই প্রমান করেছেন ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে। আমাদের প্রাইমেট জ্ঞাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শিম্পাঞ্জিকে শনাক্ত করা হয়েছে আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী জীবিত আত্মীয় হিসাবে।

বিজ্ঞানীরা গণনা করেছেন সেই সব জীনগুলো যা দুর্ঘটনা বশতঃ অনুরুপ সদৃশ প্রতিলিপি হিসাবে মানুষের বংশধারায় বিস্তার করেছে। প্রাইমেটদের জেনোমের তুলনায় আমাদের জেনোমে সে জীনগুলোর বর্তমানে একাধিক অনুলিপি বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা সেই সব জীন শনাক্ত করেছেন যা পরিবর্তিত হয়েছে ‘সিউডোজিনে’ এবং মানুষের কিছু জীন যার শুরু প্রাইমেটদের জেনোমে ননকোডিং অংশ হিসাবে। বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন তিনটি প্রোটিন যা মানুষের শরীরে রয়েছে কিন্তু শিম্পাঞ্জীর মধ্যে নাই। তারা এই তিনটি প্রোটিনকে কোড করা জীনকে খুঁজে বের করেন যা প্রায় হুবুহু শিম্পাঞ্জীর জেনোমের ননকোডিং ডিএনএ অনুক্রমের কিছু অংশের সাথে মিলে যায়। কোন মিউটেশনই এই ননকোডিং জীনের অংশকে প্রোটিন তৈরীতে সক্ষম সক্রিয় জীনে রুপান্তরিত করেছে। এভাবেই বিবর্তনকে প্রমাণ করা হয়েছে।

ডিএনএ কোন যাদুর কাঠি নয় যে মুহুর্তের মধ্যে আমাদের সব প্রশ্নের সমাধান দেবে। জীবনের বিবর্তনের কোন একটা পর্যায়ে, অনেকগুলো বংশধারা বিবর্তিত হয়েছে অপেক্ষাকৃতভাবে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে। অনেক প্রধান প্রধান গোত্রের প্রাণি যা বর্তমানে জীবিত আছে তারা মোটামুটি ৫৫০ মিলিয়ন বছর আগে, প্রায় ৫০ মিলিয়ন বছর ধরে বিবর্তিত হয়েছে। পৃথিবীতে জীবনের ইতিহাসে এই সময়ের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া বেশ কঠিন। জীন সবসময়ই প্রজাতির সীমানা গ্রাহ্য করে না। এটি বেশী প্রযোজ্য ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অনুজীবের ক্ষেত্রে, যেখানে জীন এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে অনায়াসে যাতায়াত করে। এককোষী প্রাণীদের বিবর্তন বোঝার জন্য, বিজ্ঞানীরা কোন একটি নির্দিষ্ট জীনের প্রতি বেশী করে নজর দিচ্ছেন এবং দেখতে পাচ্ছেন বিবর্তন কিভাবে ঘটে। তাদের চোখের সামনে উঠে আসছে প্রাণের বিকাশের এক মহাইতিহাস।

আমাদের জেনোম আরো অন্যভাবেও অনেক স্বতন্ত্র, যদিও খুব সুক্ষ তা সত্ত্বেও এই স্বতন্ত্রতা গুরুত্বপুর্ণ। যদিও আমাদের প্রোটিন তৈরীর প্রায় সকল জীন আর শিম্পাঞ্জীর অনুরুপ জীনের তেমন কোন পার্থক্য নেই। তাদের মুল ডিএনএ বেসের অনুক্রমের মথ্যে মাত্র ১.৩% পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই পার্থক্য জীববিজ্ঞানীয় দিক থেকে অর্থহীন। জীনের দুটি সংস্করণেরই কোড করা প্রোটিন সমানভাবেই কার্য্করী দুই প্রজাতির ক্ষেত্রে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক নির্বাচন তার কাজ করে যায়। বিজ্ঞানীদের হাতে এখন জীনের ভাণ্ডার। তা বিশ্লেষণ করে তারা সুষ্পষ্ট প্রমান পেয়েছেন আমাদের পুর্বপুরুষদের মধ্যে কোন মিউটেশনগুলো তাদের প্রজনন সাফল্যকে তরান্বিত করেছে। প্রাইমেট থেকে আমাদের পুর্বপুরুষরা যখন থেকে পৃথক শাখায় বিবর্তিত হতে শুরু করেছিল তখন থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচন তার চিহ্ন রেখে গেছে ননকোডিং ডিএনএ অংশেও। বিজ্ঞানীরা এখন সক্ষম হয়েছেন আমাদের প্রজাতির জন্য অনন্য ডিএনএর অংশগুলোর অর্থ বুঝতে। ডারউইন বিবর্তনবাদকে সামনে আনার দেড়শো বছর পরে আজ বহুভাবেই প্রমাণ হচ্ছে বিবর্তনবাদ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: একটু কঠিন বিষয় আমার জন্য- তবে মগজে ঢোকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই পর্যন্ত ১.৩% ঢুকেছে মনে হয়- যদিও জীব বিজ্ঞানের
দিক থেকে অর্থহীন তবুও এর থেকে বেশী ঢুকছে না যে :(

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১.৩% এর একটি অর্থবহন করে তাহল- আপনি কটাক্ষ করছেন। আপনি অস্বীকার করতেই পারেন তাই বলে পৃথিবী সমতল হবে না, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরবে না এবং বিবর্তনও ভুল হবে না।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ বুদ্ধিমান প্রানী হিসেবে কখন আবির্ভুত হন?

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: শুধু মানুষেরই নয় অন্যপ্রাণিরও বুদ্ধি রয়েছে। একটি বানর বা শিয়ালের বুদ্ধি ব্যবহার করার নজির রয়েছে। ফলে আধুনিক মানুষ বিবর্তিত হওয়ার আগে যখন আদিম মানুষ ছিল তখনও তারা বুদ্ধিমান ছিল এমনকি আগের যে প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়েছে তাদেরও বুদ্ধি ছিল।

গড় পড়তা বলতে পারি যখন মানুষ বিবর্তনবাদ এর মতো বিষয় বুঝতে পারলো তার আগে অথবা ইউরোপে রেনেসাঁ শেষ হয়ে আধুনিক যুগে প্রবেশ করলো তখন থেকে আমরা মানুষকে অধিক বুদ্ধিমান হিসেবে দেখছি। যদি মগজের কথা বলেন তবে তার আকৃতি আরো বহু আগেই বিবর্তিত হয়ে বর্তমান আকার ধারণ করেছে। জ্ঞানের জগতে অভিজ্ঞতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই অভিজ্ঞতাও মানুষকে এগিয়ে দিচ্ছে এবং তারা এখন অনেক বেশি বুদ্ধিমান বলেই মনে হচ্ছে।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জেনেটিক্স আমার পাঠ্যসূচিতে ছিল ।
খুবই কঠিন একটি বিষয়।
তবে একবার বুঝে গেলে জেনেটিক্স বিষয়টা খুবই মজার।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

মুজিব রহমান বলেছেন: গণিতের মতোই যারা বুঝতে পারে তাদের কাছে জলের মতোই সহজ। আমার পছন্দের বিষয় গণিত আর পদার্থবিদ্যা। সুযোগ রয়েছে আপনার কাছ থেকে জেনেটিক্স বিষয়টা ভালভাবে বুঝতে পারার। আশা করবো এ নিয়ে কিছু পোস্ট দিবেন।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিজ্ঞান যত বেশি বিকশিত হবে,ধর্মীয় কুসংস্কার তত বেশি বিতাড়িত হবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: সকল কুসংস্কার কাটিয়ে দিয়ে বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত করতে হবে। এজন্য আমাদের সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি আর আমি উভয়েই জিন সম্পর্কে লিখি। কিন্তু দুঃখের কথা হোল আমি গালি খাই। আর আপনি প্রশংসিত হন।

শিম্পাঞ্জির জিনের মাত্র ১.৩% যদি কোনভাবে পরিবর্তন করে মানুষের মত করা যেত তাহলে আমরা আরও জনশক্তি পেতাম। আশা করি অচিরেই বিজ্ঞান এটাও পারবে। কারণ বিজ্ঞান অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আবার কিছু অমানুষকে তাদের ১.৩০% জিন বদলিয়ে শিম্পাঞ্জি বানিয়ে দেয়া উচিত মানবতার স্বার্থে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত! আপনার সাথে একমত নই। জিন বদলানো সহজ নয় এবং নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তার চেয়ে সহজ মানুষকে মানবিকতার পাঠ দেয়া, সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা।

দেখুন আমি বিজ্ঞান নিয়ে লেখার কারণে এপর্যন্ত দুবার থানা থেকে ডেকে নিয়ে দেশ ছাড়তে হুমকি দিয়েছে। বাস্তবিক আমার বিপক্ষে বহুলোকই ফেসবুকে পোস্ট দেয় এমনকি কেউ কেউ আমার নামে ভুয়া আইডি খুলে মিথ্যা প্রচারণা চালায়। থানায়, র‌্যাব অফিসে, পুলিশ-র‌্যাব হেড অফিসে, আমার কর্মক্ষেত্রে বহু অভিযোগ পড়েছে গত কয়েক বছরে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আগে আমার একটি পোস্টে একটি ফেক আইডি থেকে কেউ নবী মহাম্মদকে নিয়ে খুবই বাজে মন্তব্য করে। আবার ওরাই ওই মন্তব্য স্থানীয় মাদ্রাসাগুলোতে প্রিন্ট করে দিয়ে আসে। হুজুররা ঘোষণা দেয় ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমাদের বই প্রদর্শনীতে হামলা করবে, আমার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিবে। থানার আইনশৃঙ্খলা মিটিং থেকেও হুশিয়ারী দেয়া হয়। পরে কয়েকজন মাদ্রাসাগুলোতে গিয়ে হুজুরদের বুঝিয়ে আসে যে, এতে মুজিব রহমানের কোন দায় নেই। এমন অহেতুক ঝামেলা এবং হাজার হাজার কটু মন্তব্য সহ্য করেছি। বর্তমানে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে বলেই মনে করছি। এছাড়া বেশ কিছু মানুষও দেখছি যারা মুক্ত ও অগ্রসর চিন্তা করছে এবং বিজ্ঞানমনস্ক।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২১

আকন বিডি বলেছেন: সর্বপ্রথম কোষে জিন কি ভাবে আসলো?

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

মুজিব রহমান বলেছেন: জিন প্রজাতির তথ্যধারণ করে এবং প্রাণীর কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর মাধ্যমেই প্রজাতির গুণ অব্যাহত থাকে। সমস্ত জৈবিক বৈশিষ্ট্যধারণকারী প্রাণীর কোষেই জিন আছে। আদি কোষ থেকেই জিন রয়েছে। কিভাবে আদি কোষ সৃষ্টি হল সেটা বিবর্তনবাদ ব্যাখ্যা করে না। বিবর্তনবাদ শুরু হয় তার পর থেকেই।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা বুঝতে খুব বেগ পেতে হলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত।

পড়ে মনে হল শেষ টা আরো সহজ করে লিখতে পারা উচিৎ ছিল। আরেকবার লিখতে পারলেও হতো, ব্যর্থতা আমারই।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম বিশ্বাস কারও থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। এটা একজনের ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে আমার কোনও মাথা ব্যথা নেই। আমার একজন কলিগ ছিলেন যিনি অবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু উনার আর আমার মধ্যে ছিল অত্যন্ত সুন্দর সম্পর্ক। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতাম এবং আনন্দে সময় কাটাতাম। কাজেই একজন মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে না বলেই সে আমার শত্রু এটা আমি মনে করি না। কিন্তু ব্লগে দেখা যায় অনেক অবিশ্বাসী আমাদের নবী (সাঃ) কে নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিকর কথা লেখেন। এটা আমি মনে করি এটা একটা অপরাধ। ভালো ভদ্র ভাষাতেও সমালোচনা করা যায়। যারা এভাবে খারাপ কথা লেখে তারা আসলে তাদের নিজেদের রুচির পরিচয় দেন। আপনার লেখায় শালীনতা আছে যেটা অনেকের লেখায় নাই। ভিন্নমত হলেই তাকে মারতে হবে এমন কথা আমাদের ধর্মে নাই। বরং ইসলামি রাষ্ট্রে ভিন্ন মতের লোকদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। মুসলমানের কাছে অন্য সকল মতই ভিন্নমত সেটা হতে পারে অন্য ধর্ম বা ধর্মহীনতা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:২২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ধরুন আপনি এরশাদ শিকদারের সমালোচনা করবেন?
তিনি যদি বহু নারী নিয়ে নষ্টিফস্টি করেন তবে তাকে অবশ্যই লুচ্চা বলবেন।
তিনি যদি অন্যের সম্পদ লুট করে তবে তাকে অবশ্যই লুটেরা বলবেন।

যদি তা না হয় তবে তা বলা অবশ্যই অপরাধ। যদি হয় তবে বলা যেতেই পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.