নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাভারত ও রামায়ন মহাকাব্য না ধর্মগ্রন্থ?

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৬:৫৮


গিলমামেশকে মহাকাব্যই বলা হয়। এটা আনুমানিক ৪১০০ বছর আগে রচিত হয়। বাস্তবিক এটিই সবচেয়ে প্রাচীন সাহিত্যকর্ম। পারস্য দেশের গল্প। টাইগ্রিস আর ইউফ্রেটিস নদীর অববাহিকাতে রাজত্ব করতেন গিলগামেস। সে দেবী আর মানুষের পুত্র। রাজত্ব, বন্ধুত্ব আর অমরত্ব খোঁজার অলৌকিক গাঁথা। হোমারের ওডিসি আর ইলিয়াড দেবতা আর মানুষের গল্প। দেবতাদের বহুমাত্রিক ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া মানুষদের অবস্থার বর্ণনা। দেবতাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা, লোভ-লালসার বলি হতে হয় মানুষকে। আবার মানুষ ও দেবতা/দেবীর প্রণয়ও ঘটে। ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্য হল রামায়ণ ও মহাভারত। রামায়ণ-মহাভারত জুড়েও দেবতা ও মানুষের গল্পই রয়েছে। রামায়ণ ও মহাভারত রচিত হয় খৃস্টপূর্ব তৃতীয়/চতুর্থ শতকে। এ দুটি অবশ্য হিন্দু ধর্মগ্রনে'র মর্যাদা পেয়েছে। তবে এগুলো আসলে সাহিত্য অর্থাৎ মহাকাব্য হিসাবেই খ্যাত। সম্ভবত রামায়ণ মহাভারতের আগে বা সমসাময়িক ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। বৌদ্ধ ধর্মকে অনেকে বলেন নাস্তিক্যবাদী ধর্ম। বৌদ্ধ ধর্মের মূল গ্রন' ত্রিপিটক। যা সংকলীত হয় গৌতম বুদ্ধের মৃত্যুর পর। অবশ্য প্রধান ধর্মগ্রন'গুলোর সবই প্রেরিতপুরুষদের মৃত্যুর পরেই সংকলিত হয়েছে। গৌতম বুদ্ধের সম্ভবত হাজার বছর (সাতশ বছরও হতে পারে) পূর্বেই আরবে আবির্ভাব ঘটেছিল মুছা নবীর। তাঁর অনুসারীদের ইহুদী বলা হয়। তাদের ধর্মগ্রন্থ তানাখ বা তাওরাত। মুসলমান ও খৃস্টান সম্প্রদায় এই কিতাবকে স্বীকার করে। প্রচলিত কেতাবী ধর্মগুলোর মধ্যে মুছা নবীর ইহুদী ধর্মই প্রাচীন। মুছা পৃথিবীর মানুষের কাছে দেবদেবীর পরিবর্তে ঈশ্বরের ধারণা দেন। তিনি ঈশ্বরের ডাক শুনেন এবং ইহুদীদের মাঝে গিয়ে ঘোষণা দেন, তিনি ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ এবং ইহুদীদের রক্ষা করতে এসেছেন। ইহুদীরাও জানতেন তাদের রক্ষা করতে একজন কেউ আসবেন। একই রকমভাবে ইশা বা যিশুও আসেন ঈশ্বর বা আল্লার প্রেরিত পুরুষ হিসাবে। তাঁর ধর্ম খ্রিস্টান এবং ধর্মগ্রন' ইঞ্জিন বা বাইবেল। যিশুর ছয় শ বছর পরে আসে ইসলাম ধর্ম। মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ কোরআন। মুসলমানরা যদিও দাবী করেন ইসলামই শেষ ধর্ম। তবে বর্তমানে প্রচলিত কয়েকটি ধর্ম এর পরেও এসেছে এবং টিকে রয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৪৩০০টি ধর্ম টিকে রয়েছে। অনুসারীরা প্রত্যেকটিকেই শ্রেষ্ঠ এবং সঠিক বলেই দাবি করে। অনেক ধর্মেরই গ্রন্থ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি গ্রন্থ রয়েছে হিন্দু ধর্মের।

হিন্দু ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থ হল বেদ। বেদের কোন রচয়িতা নেই। বলা হয় এগুলো অলৌকিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। বেদ প্রাচীন ঋষিদের ধ্যানে প্রকাশিত হয়েছিল যা সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। আবার মহাভারতে বলা হয়েছে ব্রহ্মা সৃষ্টি করেছেন বেদকে। বেদ হল চারটি যথা- ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ ও অথর্ববেদ। বেদকে যারা স্বীকার করতো তারাই আস্তিক আর অন্যরা নাস্তিক। বাংলাদেশে যারা নিজেদের আস্তিক দাবি করে তাদের সকলেই কি বেদকে স্বীকার করে নেয়? বাস্তবিক তা নয়- তখনকার হিসেবে আজীবিক, চার্বাক, বৌদ্ধ, জৈন ও লোকায়ত- যাদের কাছে বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকৃত নয়, মূলত তারাই ছিল নাস্তিক। হিন্দুদের উপনিষদ রয়েছে ১০৮ টি। এজন্যই হিন্দু ধর্মে ১০৮ সংখ্যাটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে উপনিষদের সংখ্যা ২২৩টির তালিকাও পাওয়া যায়। পুরাণ রয়েছে বিভিন্ন রকমের। এরমধ্যে মহাপুরাণ ১৮/২০টি, উপপুরাণ ১৮টি ছাড়াও স'লপুরাণ, কুলপুরাণ ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়া ভগবদ্গীতা ও মনুসংহিতা হিন্দুদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ। তাহলে মহাভারত ও রামায়ণ কি?

মহাভারত ও রামায়ণকে পঞ্চবেদের মর্যাদা দেয়া হয় পরবর্তী কালে। মহাভারত ও রামায়নের চেয়েও বেদ পুরাতন। মহাকাব্যর যে সকল বৈশিষ্ট থাকে তার সবগুলোই রয়েছে মহাভারত ও রামায়ণে। এদুটো যে মহাকাব্য তাতে কারো কোন আপত্তি নেই। সুদীর্ঘকাল এদের জনপ্রিয়তাও ছিল সর্বোচ্চ। এখনো হিন্দু ছাড়াও অন্যদের কাছে এর আকর্ষণ, জনপ্রিয়তা ও গুরুত্ব রয়েছে। কি কারণে দুটি মহাকাব্য ধর্মগ্রন্থ হয়ে গেল আর কিভাবেই মহাকাব্যের চরিত্রগুলোও হয়ে গেল দেবদেবী? না দেবদেবীরাই ঢুকে পড়েছিল মহাকাব্যে? বিভিন্ন গবেষকগণ এ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন, যুক্তি তুলে ধরেছেন। তাতে নিরপেক্ষ গবেষকগণ মহাভারত ও রামায়ণকে পৃথিবীর সেরা চারটি মহাকাব্যের দুটি বলেই স্বীকৃতি দিয়েছে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রামায়ন ও মহাভারত মহাকাব্যই বটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মগ্রন্থ হিসাবে এই দুটো গ্রন্থকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

মহাকাব্য দুটি রচনাকালে হিন্দু শাস্ত্রের কিছু বিষয়ও ঢুকানো হয়েছিল যা স্বাভাবিকই ছিল। সে কারণেই আজ আবার মহাকাব্য দুটোই ধর্মশাস্ত্র হয়ে উঠেছে।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: এ বিষয়ে আমার জানার সীমাবদ্ধতার কারনে কোন তর্কে গেলাম না।


তবে অনেকগুলো তথ্য একসাথে পেলাম - যার কৃতিত্ব আপনারই পাওনা। এইসব বিষয়ে নির্ভুল তথ্য দেয়া কঠিন ই নয় অসম্ভব!
আপনার প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: শুধু তাই নয়। যেমন সীতাকে আপনি নানাজনের রামায়নে নানা রকম পাবেন আবার কিছু পুরাণে পাবেন অন্য রকম। কোথাও রামের বোন, কোথাও রাবনের কন্যা। তবুও মূল রামায়ণ নিয়েই আমরা কথা বলছি।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রামায়ন ও মহাভারতে কৃষ্ণের মূখনিঃসৃত বানীর জন্যই ধর্মগ্রন্থ্ হিসাবে স্থান পায়।যেহেতু কৃষ্ণ ভগবানের অবতার।সঠিক কথাটি শেষ লাইনেই আপনি বলে দিয়েছেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ওটাই শ্রীভগদ্ভত গীতা।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই ব্যাপারে ভালো জানবেন। উইকিপিডিয়া বলছে 'মহাভারত (সংস্কৃত: महाभारतम्) সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রাচীন ভারতের দুটি প্রধান মহাকাব্যের অন্যতম (অপরটি হল রামায়ণ)। এই মহাকাব্যটি হিন্দুশাস্ত্রের ইতিহাস অংশের অন্তর্গত।'

মহাভারতের রচয়িতা কৃষ্ণ-দ্বৈপায়ন বেদব্যাস।

উইকিপিডিয়া অনুসারে 'রামায়ণ (দেবনাগরী: रामायण) একটি প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্য। আদিকবি ঋষি বাল্মীকি রামায়ণের রচয়িতা।'

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: মহাকাব্য দুটোর প্রতি আমার নিজেরও আগ্রহ দীর্ঘদিন। তাই পড়েছি এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণাও দেখেছি। ফলে কিছু সামান্য ধারণা আছে। তবে হিন্দু শাস্ত্রর কলেরব অনেক।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: মহাভারত ও রামায়ন মহাকাব্য হোক বা না হোক, কিন্তু সব ধর্মগ্রন্থ গুলো মানুষের লেখা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: ধর্মগ্রন্থই। এইডা নিয়া কথা বাড়াইয়া লাভ নাই। কারণ রাম আর কৃষ্ণ দুইজনই বিষ্ণু অবতার আসলে (প্রধান পুরাণ বিষ্ণুপুরাণ দ্রষ্টব্য)! কাজেই এইদুইটা ধর্মগ্রন্থ।

আবার মহাকাব্য। শুধু মহাকাব্য না। সার্থক যারে বলে। মহাকাব্য দুনিয়া জুইড়া অনেক আছে। বাংলা ভাষায় সার্থক মহাকাব্য একটা - মেঘনাদ বধ। ঐদিকের মহাশ্মশান বা নবীনের মহাকাব্যগুলাও হিসাবে থাকে না। মহাভারত আর রামায়ণ কইলাম সংস্কৃত ভাষার ও পৃথিবীর সর্বজনস্বীকৃত চার মহাকাব্যের অন্তর্ভুক্ত। বাকি দুইটা ইলিয়াড, ওডিসি। শাহনামা, গিলগামেশ, বেউলফ এগ্লা সার্থক বইলা স্বীকৃত না।

কিন্তু, দিনশেষে যেহেতু একটা ধর্ম এগুলারে নিজেদের ধর্মগ্রন্থ বইলা স্বীকৃতি দিসে কাজেই আমাদের ঐভাবে দেখা ও সম্মান করন উচিত। তা না হইলে পালটা সম্মান পাওয়া যায় না, আমার ধারণা।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা সবকিছুই যাচাই করে দেখতে চাই। সত্যকেই গ্রহণ করতে চাই।

৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মহাকাব্য যদি ধর্মগ্রন্থ হয়ে যায় তো সে ধর্ম নিয়েতো সংশয় থাকবেই।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: সংশয় নাই কোথায়?

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভাল হয়েছে। তবে মূল সমস্যা অন্য জায়গায়।
মহাভারত বা রামায়ণ যাই বলুন না কেন, এই বইগুলি মারাত্মক যুগ বা কালের সমস্যা নিয়ে জর্জরিত। দ্বৈপায়ন মহাভারত রচনা করলেও এটার বিভিন্ন ভার্সণ আছে যার একটা অপরের সাথে ১০০% সাংঘর্ষিক। রাবনের ভার্সণ নিয়েও রামায়ন আছে।

সারাভারতে যে বিভিন্ন ধরণের মহাভারত পাওয়া যায় তার মধ্যে পার্থক্য খুব সুস্পষ্ট। এর কারণ হলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখক এটার সংযোজন এবং পরিমার্জন করেছেন। কালের সাথে মিলিয়ে কাট ছাটও করেছেন বলে অভিযোগ আছে। তার প্রমাণ হলো রামায়ণ। বলা হয় এটা গৌতম বুদ্ধের সাথে তাল মিলাতে যেয়ে অনেক নতুন তথ্য ঢুকানো হয়েছে।

মহাভারত নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে গেলে তো গিট্টূ লেগে যাবে। শুধু এইটুকুই বলবো, কুরু পাণ্ডবের যুদ্ধের সময় যে লোহা লক্করের অস্ত্রের কথা বলা হয়েছে তা আলে একদমই ভুয়া। কারণ ঐ সময়ে নাকি লোহা জাতীয় কিছু অস্ত্রের ব্যবহার এই পৃথিবীতে শুরুই হয়নি। রোমিলা থাপা সহ আরো এই ধরণের বইগুলি পড়লে আরো পরিষ্কার বুঝা যায়।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: বেদব্যাস আর বাল্মিকীই মূল রচনাকারী।

লোহা লক্কর দিয়েই যেহেতু লড়াই তাই বলতে পারি সময়কালও নির্ণয় হয়ে যায় ওখানেই।

৯| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস গবেষক রমিলা থাপার বলেন, 'হীনমন্যতা বোধ থেকেই এ ধরনের কথাবার্তার জন্ম। তারচেয়েও বড় কথা হলো, সাধারণ মানুষ এসব কথা কোনোরূপ সন্দেহ পোষণ ছাড়াই গ্রহণ করছেন।'
এরপর এই বিষয়ে কোন কথাই থাকে না।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বিশ্বাসে মিলায় বস্তু বলে আমাদের কতো ভাবে কত জনা ঠকিয়েছে। যখনই চোখ খুলতে চাই তখনই বাঁধা আসে।

১০| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: নাস্তিক এবং অমুসলিমদের কাছে আল কুর'আন কি কাব্যগ্রন্থ হিসেবে গণ্য হয়?

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: আল কোরআন কাব্যগ্রন্থ হিসেবে কেউ দাবিও করেনি।

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

নতুন বলেছেন: এটা নিয়া বিস্তারিত জানা নাই বলে এটা মহাকাব্য না ধর্মগ্রন্হ বলা উচিত সেটা বলতে পারলাম না।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিষাদ সিন্ধু যেমন ধর্মীয় গ্রন্থ নয়
তেমনি মহাভারত-রামায়নও ধর্মীয়
গ্রন্থ নয়। তবে বেকুবেরা যেমন বিষাদ
সিন্ধুকে ধর্মীয় গ্রন্থ মনে করে তেমনি
মহাভারত-রামায়নকেও!

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষাদ সিন্ধুও ধর্মাশ্রয়ী কথাসাহিত্য। এখন বিভিন্ন সমালোচনায় বিষাদ সিন্ধুর কদর কমেছে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বিশ্বাসের কথা বলে হেয় করার কিছু নাই ব্যাপারটারে। কুরআনের কথা বইলা বিদ্রুপ করলে যেরকম আমাদের গায়ে লাগবো, সনাতন ধর্মাবলম্বিদের কাছেও ব্যাপারটা সেরকমই।

এই দুইটা ধর্মগ্রন্থ - ধর্মীয় দিক বিবেচনায়। মহাকাব্য - সাহিত্যিক দিক বিবেচনায়। এইভাবে ভাবলেই উত্তম।

১৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের সীমাহীন অনুভূতির সংকট। ভুলকে ভুল বললেও গায়ে লাগে। সত্য কথা বললেও গায়ে লাগে। তাহলে সত্য যাবে কোথায়?

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

কল্পদ্রুম বলেছেন: বাংলায় কোর'আনকে পড়তে বলা হলেও ইংরেজিতে recite করার কথা বলা হয়।আরবীতে তেলওয়াত শব্দের ভাবার্থ আবৃত্তি করা।কবিতার ব্যাপারেই আবৃত্তির বাপারটা আসে বলে আমার ধারণা।ইসলাম প্রচারের শুরুতে আরবের কবিদেরকে বলা হয়েছিলো অনুরূপ আয়াত তৈরি করতে।গদ্য হলে কবিদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা নয়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বর্তমান অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর বাংলা কবিতা বিষয়ক একটি লেকচারে কোর'আনকে কাব্যগ্রন্থ হিসেবেই উল্লেখ করেছিলেন।আমি যদিও আপনার মূল্যায়ন জানতে চাচ্ছিলাম।তবে বুঝতে পারছি বইটাকে আপনি সেভাবে দেখেন না।কেন দেখেন না সেটা জানার আগ্রহ ছিলো।মহাভারত এবং রামায়ণকে যেখানে কবিতার বই বিবেচনায় আপত্তি করেন নি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
কোরআন অধিকাংশই গদ্যে লেখা। মহাভারত ও রামায়ণ পদ্মে লেখা। কোরআন সুর করে পড়া প্রচলিত। আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন কোরআন আরবিতে পড়া শিখি। বহুবারই আরবিতে পড়েছি সুর করে। বাংলায় পড়ার আগে বুঝতে পারিনি কি পড়ছি। না বুঝে পড়ে লাভ থাকার কথা নয়। বুঝেই পড়া উচিৎ সেটা কোরআন হোক আর মহাভারত হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.