নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ব-৬: পৃথিবীর সেরা দুটি থ্রিলার!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

উইলবার স্মিথের রিভারগড
ড্যান ব্রাউনের দ্য দা ভিঞ্চি কোড


বিশ্বসাহিত্যের অনেক বইই পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক উইলবার স্মিথ এর ইজিপশিয়ান থ্রিলার ‘রিভার গড’ পড়ে বিমোহিত ও বিস্মিত হয়েছিলাম অনেক বেশি। ‘রিভার গড’ থ্রিলারটির কয়েক পাতা পড়ার পড়েই মনে হয়েছিল অসাধারণ বই। এটা পড়ে শেষ করতেই হবে। কর্মব্যস্ত থাকায় একটানা পড়া সম্ভব নয়। ভাবলাম ৭দিন লাগবে ৪১৫পাতার বইটি পড়ে শেষ করতে। মনে হলো এই ৭টি দিন বেঁচে থাকা প্রয়োজন। তাই স্রস্টার কাছে আয়ু কামনা করলাম ৭দিনের। এর আগে মারা গেলে একটি বিরাট অতৃপ্তি নিয়ে মারা যাবো। বেঁচে থেকে নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করছি।
রিভার গড এর লেখক উইলবার স্মিথ আফ্রিকান। জন্ম ১৯৩৩ সালে জাম্বিয়ায়। অবশ্য জাম্বিয়ার তখনকার নাম ছিল রোডেশিয়া। জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন আফ্রিকায়। আফ্রিকার প্রতি তাঁর অনুরাগ গভীর। লেখাপড়া করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রথম বই ‘হোয়েন দ্য লায়ন ঢিডস’ বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়। শুরুতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। তিনি আফ্রিকার সৌন্দর্যতা, বন্যতা, হিংস্রতা, নিষ্ঠুরতা, রাজনীতি এবং ভালবাসা ফুটিয়ে তুলেন তাঁর উপন্যাসের বিশাল ক্যানভাসে। বই লিখেছেন পঁয়ত্রিশটির বেশি। সবগুলোই বেস্টসেলার এবং তিনটি সিরিজের অন্তর্ভূক্ত। সিরিজ তিনটি হলো- কোর্টনি, প্রাচীন মিশর ও ব্যালান্টাইন। এর মধ্যে অবশ্যই প্রাচীন মিশর অর্থাৎ ইজিপশিয়ান অর্থাৎ ফারাও সভ্যতার মিশরই সেরা। আফ্রিকার বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতি বিষয়ে তাঁর রয়েছে অগাধ জ্ঞান। তাঁর সাফারীর বর্ণনা মনোমুগ্ধকর। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের টেবল মাউন্টেন-এ বসাবাস করতেন, এরপর থেকে লন্ডনে।
রিভারগড উপন্যাসটির ৪১৩ পৃষ্ঠা পড়ে শেষ করে মুগ্ধ হয়ে দেখবেন আরেক বিস্ময়। এর পরের দুই পাতা লেখকের বক্তব্য-
‘১৯৮৮ সালের ৫ জানুয়ারি, মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডুরেইদ-ইবনে-আল সিমা, নীলনদের পশ্চিম তীরে ভ্যালি অব নোবলস এ একটি প্রাচীন সমাধি খুঁড়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। সমাধির যে গলিপথ মূল সমাধি প্রকোষ্ঠে চলে গিয়েছিল, তার দেয়াল এবং ছাদের অপূব চিত্রকর্ম দেখে ড. ডুরেইদ-এর তাক লেগে গিয়েছিলো। চিরজীবন ভাস্কর্য এবং দেয়ালচিত্র নিয়ে কাজ করেও এতো অসাধারণ এবং নিখুঁত শিল্পকর্মের দেখা পাননি তিনি এর আগে। পরে তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তৎক্ষণাৎ তাঁর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিস্কারের বোধ জেগেছিলো। দেয়ালে আঁকা হায়ারোগ্লিফিকস- এর মধ্যে রাজকীয় বর্ণমালায় উল্লেখ ছিলো তখনো পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত এক মিশরীয় রাণীর কথা। ড. সিমা সাফল্যের সাথে সেই সমাধির নির্মাণ-তারিখ উদ্ধার কতে সক্ষম হয়েছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ১৭৮০। সমাধি আবিস্কারের এক বছর পরে দেয়ালের হায়ারোগ্লিফিকস-এর ছবি তোলার সময় দেয়ালের এক অংশের প্লাস্টার ধ্বসে পড়ে। লুকানো ছোট্ট একটা প্রকোষ্ঠের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। সেই প্রকোষ্ঠের ভেতরে দশটি অ্যালাবাস্টারের ভাস খুঁজে পান। তার ভেতরে সংরক্ষিত স্ক্রোলগুলো অনুবাদের সময় ড. সিমা আমার সাহায্য কামনা করেন। কায়রো জাদুঘর এবং বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ঈজিপ্টলজিস্টদের সহায়তায় পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো মূল স্ক্রোলগুলোর।
বর্তমান সময়ের উপযোগী করে সেই স্ক্রোলগুলোর কাহিনী নতুন করে বলার জন্যে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন ড. সিমা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাব্যিক স্বাধীনতা নিয়েছি আমি, উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, দূরত্ব এবং ওজনের হিসেব উল্লেখের সময় বর্তমানে প্রচলিত মাপ ব্যবহার করেছি বিভিন্ন স্থানে। টাইটা‘র ব্যবহার না করা কিছু শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন- বর্বর, পতিতা, যৌতুক। তবে আমার ধারণা টাইটা‘র শব্দভাণ্ডার বড় হলে সে নিজেও এই শব্দগুলো ব্যবহার করতো। অবাক লাগে ভাবলে, মানুষের আবেগ এবং অনুপ্রেরণার উৎস এতো হাজার বছরেও একটুও পরিবর্তন হয়নি। হয়তো আজকের দিন পর্যন্তও আবিসিনিয়া‘র পর্বতে, নীলনদের উৎসমুখের সন্নিকটে কোনো স'ানে, ফারাও মামোসের অলঙ্ঘিত সমাধিতে শায়িত আছে ট্যানাসের মমিকৃত দেহ।’

এখন কি মনে হবে? এতক্ষণ ৪ হাজার বছর আগের যে মনোমুগ্ধকর গল্পের বর্ণনা পড়লেন তা গল্প নয় ইতিহাস! লেখকের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যা জানি তা হল, হায়ারোগ্লিফের শুরু ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। ফারাও মেনেসের রাজত্বকালে এ লিপির সূচনা হয়। এ লিখন পদ্ধতিতে ছিল প্রায় ২ হাজার ধরনের প্রতীক। এ ভাষার সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। ১৭৯৯ সালের ১৫ জুলাই মিশরের বন্দরনগর রাশিদে উন্মোচিত হলো একটি শিলাখণ্ড। নেপোলিয়ান বোনাপার্ট তার শাশিদ শহর দখলে নিয়ে জুলিয়ান দুর্গ সংস্কার করাতে গেলে বেরিয়ে আসে একটি শিলাখণ্ড। রোসেটা স্টোন নামে পরিচিত এই শিলাখণ্ডের কল্যাণেই হায়ারোগ্লিফিক লিপির পাঠোদ্ধার সম্ভব হয়। এ লিপি ফারাওদের রাজত্বকালের নানা ঘটনা, যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি লিখে রাখতেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।
এটি গল্প না ইতিহাস এই বিতর্কের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি একটি অনন্য থ্রিলার। পুরো থ্রিলারটি টাইটা নামের এক ক্রিতদাসের মুখে বয়ান করা হয়েছে। টাইটা একাধারে দার্শনিক, কবি, চিকিৎসক, চিত্রশিল্পী, লেখক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং আরো বহুকিছু। এইসব গুণই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল, বিভিন্ন প্রতিকূলতায়। তার প্রেমিকাকে হত্যা করা হয়েছিল এবং প্রেমিক টাইটাকে অর্থাৎ তাকে করা হয়েছিল খোজা। টাইটা অপুরুষ হলেও নারী দেহ আস্বাদনের পরেই খোজা করার ছুড়ি চালানো হয়েছিল তার উপর। তার প্রথম মালিক- ইনটেফ এর নির্দেশেই হয়েছিল। ইনটেফ একাধারে গে, দস্যু, লোভী, ষড়যন্ত্রী এবং পুরো কাহিনীর নায়িকা লসট্রিস এর পিতা। লসট্রিস সৌন্দর্যতায় তুলনাহীন, সাহসী এবং গুণী। লসট্রিসকে ভালবাসে দুই জন। টাইটার ভালবাসা অন্যরকম। টাইটা খোজা। তার ভালবাসা শরীর কেন্দ্রীক হওয়ার উপায় নেই। লসট্রিসের শৈশব থেকেই টাইটা তাকে শিখিয়েছেন, পড়িয়েছেন এবং ভালবেসেছেন। লসট্রিসকে উন্মাদের মতো ভালবাসতো যুদ্ধা ট্যানাস। ইনটেফ ট্যানাসের পিতাকেও হত্যা করেছিল। কিন' অভিনয় করেছিল বন্ধুর মতো। টাইটা ওদের ভালবাসার পথ সবসময় সুগম করেছে। ফারাও এর কোন সন্তান ছিল না। টাইটা ফারাওকে পুত্র জন্মদানের উপযোগী যে নারীর বর্ণনা দিয়েছিল। ঘটনাক্রমে ফারাও-এর চোখে সেই নারী হিসাবে ধরা পরে লসট্রিস। টাইটা অনেক কৌশল করেও লসট্রিসকে রানী হওয়া রোধ করতে পারেনি। কিন' লসট্রিস এবং ট্যানাসের মধ্যে ভালবাসা এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিয়েছেন নিপুণ দক্ষতায়। ফলে ট্যানাস এর ঔরসজাত সন্তান মেমনন এর পিতা হন ফারাও। হিকসস বাহিনীর হাতে মিশরের ফারাও পরাজিত এবং নিহত হয়। মিশর ছেড়ে ট্যানাস-লসট্রিস-টাইটাদের পালিয়ে যেতে হয় দক্ষিণে নীলনদের উৎস অভিমুখে জলপ্রপাত পেরিয়ে। ট্যানাস-লসট্রিসের মিলনে আরো দুটি কন্যার জন্ম হলেও রানীকে কৌশলে রক্ষা করে টাইটা। এক যুদ্ধে ট্যানাস মারা গেলে টাইটা কৌশল করে ফারাও লাশের বদলে শবাধারে রেখে দেয় ট্যানাসের লাশ। এভাবেই ফারাও মামোসের অলঙ্ঘিত সমাধিতে শায়িত থাকে ট্যানাসেস মমিকৃত দেহ। মেমনন টাইটাদের রণকৌশলে মিশর থেকে পালাতে বাধ্য হয় হিকসস বাহিনী। পুরো কাহিনী জুড়েই রয়েছে টাইটার বুদ্ধিমত্তার স্ফূরণ, ট্যানাসের তরবারীর ঝলকানী এবং লসট্রিসের সৌন্দর্যতা। আর ফারাও-র আমলের মিশরকে জীবন্ত করেছেন লেখক। চার হাজার বছরের আগের মিশরীয় সভ্যতা, সেই সময়ের মানুষের জীবন, বোধ, দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে লড়াই, যুদ্ধকৌশল কিংবা লোভ, ষড়যন্ত্র এবং প্রেমের টানটান বর্ণনা ভেসে থাকবে চোখের সামনে। আপনার চোখের সামনে দিয়েই এগিয়ে যাবে প্রাচীন মিশরের এই ভালবাসা আর যুদ্ধের উপাখ্যান। একপাতা পড়লেই এই উপন্যাস ছেড়ে উঠা সম্ভব নয়। উপন্যাস শেষ করলেও কখনোই আপনার মস্তিষ্ক থেকে হারিয়ে যাবে না টাইটা-লসট্রিস- ট্যানাস-মেমনন। আর শেষ হবে না মুগ্ধতা, কি করে লেখা যায় ‘রিভার গড’। এতো বই পড়া না, যেন ফারাও-র সাম্রাজে ঘুরে বেড়ানো। একি সত্যি! একি ইতিহাস! নাকি কিংবদন্তি, নাকি সব কিছু মিলেমিশে একাকার অনন্য-অসাধারণ এবং এক নিখুঁত বর্ণনাশৈলীর উপন্যাস।
ইতোমধ্যে শেষ করেছি এই সিরিজের পঞ্চম থ্রিলার উপন্যাস ডেজার্ট গড। ফারাও ‘রিভার গড’ এর নায়িকা লসট্রিসের পুত্র যিনি মূলত ট্যানাসের অবৈধ পুত্র। ফারাও এর দুই বোন, যারাও মূলত ট্যানাসেরই কন্য তেহুতি ও বেকাথার গল্প।এই গল্প মূলত হাইকসোদের পরাজিত ও তেহুতি/বেকাথাকে উদ্ধার করার গল্প। টাইটা/তাইতা যেভাবে তেহুতি/বেকাথার মা লসট্রিসকে সুযোগ করে দিয়েছিল প্রেমিকের সাথে মিলনের এখানেও সেই ধারাবাহিকতা দেখছি তেহুতি ও বেকাথার ক্ষেত্রে। তবে পরিসি'তি ও প্রেক্ষাপট ভিন্ন ও আকর্ষণীয়। তেহুতি ও বেকাথাকে বিয়ে দিয়ে সন্ধি করতে চেয়েছিল ক্রিটের রাজার সাথে। বিয়েও হয় কিন' এক বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য তেহুতি ও বেকাথাকে বলি দিতে চায় রাজা। কবি, সমরবিদ, দার্শনিক, স'পতি, চিকিৎসক টাইটা (রোদেলা অনুবাদে তাইতা) নিজের বয়ানে নিজের অসাধারণত্ব তুলে ধরেছেন। মূলত তাঁর বহুমাত্রিক প্রতিভা বিস্মিত করে। তাঁর প্রতিটি নিখুঁত পরিকল্পনা,অতি সতর্ক অবস্থান, যুদ্ধে পারদর্শিকতা এবং সর্বত্র প্রভাব বিস্তার অতুলনীয়। এ গল্পে টাইটার নেতৃত্বে একেরপর এক শত্রু ধ্বংস আর প্রাচীন যুগের সমরকৌশল দেখি। যদিও আমরা জানি তখনও লোহার ব্যবহার আরম্ভ হয়নি, স্টীলতো মাত্র সেদিনের। তবুও এই সিরিজ পড়লে মনে হবে চোখের সামনেই যেন ফারও সভ্যতা আর সেই সময়ের যুদ্ধ, ষড়যন্ত্র, যৌনতা, দাস ও ফারাও রাজাদের অবস্থা। তাঁর বইগুলো ইতোমধ্যেই ২৬টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী তাঁর উপন্যাস বিক্রি হয়েছে ১২ কোটি। এই পাঁচ/ছয় বছরে সংখ্যা আরো অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশেও একাধিক অনুবাদ রয়েছে।


থ্রিলার কেমন হয়? কতটা শ্বাসরোধ্য হতে পারে ৪৩০ পৃষ্ঠার একটি বই? দ্য দা ভিঞ্চি কোড ছড়াও, ড্যান ব্রাউনের দা লস্ট সিম্বল, অরিজিন, ইনফার্নো, এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস এবং আরো কয়েকটি বই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ড্যান ব্রাউন না উইলবার স্মীথ কে বিশে দুর্দান্ত? তবে এটা নিশ্চিত এ সময়ে তারাই সবচেয়ে দুর্দান্ত দুজন থ্রিলার লেখক। আমি ভিঞ্চি কোড পড়ে অভিভূত হয়েছিলাম, রিভার গডের মতোই। ভিঞ্চি কোড বিশ্বব্যাপী বিক্রি হয়েছে ১২ কোটির (কয়েক বছর আগের হিসাব) বেশি। মার্কিন লেখক ড্যান ব্রাউন একজন গণিতের অধ্যাপক হিসেবে গণিতের মিশেল ঘটিয়েছেন সাহিত্যে। কোড ব্রেকিং আর সিক্রেট এজেন্সির উপর নিপুণ দক্ষতা তাঁর। আমাদের সামনে এনেছেন প্রায়োরি অব সাইওনের সদস্যদের। আইজাক নিউটন, ভিক্টর হুগো, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি কি আসলেই এই গ্রুপের সদস্য? লেখক দাবি করেছেন- এই বইতে উল্লিখিত সমস্ত শিল্প কর্ম, স্থাপত্যশৈলি, দলিল দস্তাবেজ আর গুপ্ত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের বিবরণ একেবারেই সত্য! থ্রিলারগুলোতে রবার্ট ল্যাংডন নামের একজন তুখোড় মেধাবী কোড ব্রেকারকে দেখি যিনি একই সাথে দুর্দান্ত সিক্রেট এজেন্ট। সোফির দাদুর খুন এবং একটি কোড ১৩-৩-২-২১-১-১-৮-৫ সাথে কতগুলো শব্দ! O, Draconian devil! oh, lame saint! ওহ! কতটা চিন্তা আর চেষ্টা। মোনালিসা, দ্য লাস্ট সাপারের কত রহস্য! কোডের পর কোড রহস্য। সোফি আর তার দাদু কি যিশুর বংশধর? ছত্রে ছত্রে বুদ্ধিদীপ্ততার ছাপ! ক্লাইমেক্স আর নাটকীয়তায় ভরপুর। একটি গুপ্ত সংগঠনের কথা যদি সত্য ধরে নেই তাহলে টলে যায় খৃস্ট ধর্মের বিশ্বাস। ইতিহাস লিখতে হবে নতুন করে। সন্ধান পাবেন যিশুর স্ত্রী, সন্তানদের এবং যখন দেখবেন তার বংশধরগণ এখনো বেঁচে আছে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুবই গোপনে আর খৃস্টান পাদ্রিরা তাদের খুঁজছেন পৃথিবী জুড়ে। লেখক বলছেন সবই সত্য। আপনি কি বলবেন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

শায়মা বলেছেন: রিভার গড আমারও প্রিয় বই। বইটা শেষ হবার পরে মনে হয়েছিলো। আমি এক অন্য জগতে চলে এসেছি যা আমার বাস্তব। কিন্তু এই বাস্তবে আমি থাকতে চাইনা। মানে আমি যতদিন বইটার সাথে ছিলাম। আমি সেখানেই বাস করতাম।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: আমার মনে হতো সবই ঘটছে আমার সামনে। আমিও ছিলাম ওই জগতের একজন। সিরিজের বাকি বইগুলো অত আকর্ষণীয় না হলেও মজা কম নয়।

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বই না পড়েও একটি সুন্দর ছোট্ট ধারনা পেলাম।
আমার ধন্যবাদ নিন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
দুধের স্বাদ ঘোলে!
পড়ে ফেলতে পারেন।

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার বই রিভিউ সিরিজটা ভালোই লাগছে। আগের পাঁচটা পড়েছি। এটায় কেন যেন মন্তব্য করতে মনে চাইলো। রিভারগড বেশ চমৎকার একটা হিস্ট্রোরিক্যাল এডভেঞ্চার ফিকশন তবে আমার কেন যেন থ্রিলার জনরার মধ্যে স্পাইটা বেশী ভালো লাগে, দ্যা ডে অফ দ্যা জ্যাকল ( মাসুদ রানার একটা বই এটা থেকে অনুপ্রাণিত) , বা দ্যা কিল আর্টিস্ট এই ধরনের বইগুলো ভালো লাগে। আর দ্যা ভিঞ্চি কোড তো লা জবাব! মুভিটাও বেশ লেগেছে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
দ্য দা ভিঞ্চি কোডের মুভিটা আমাকে অতটা টানেনি। তবে উপন্যাসটা বাস্তবিকই লা জবাব!

৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: দ্যা দা ভিঞ্চি কোড পড়ার পর যে অনুভুতি হয় এটা কাউকে বলে বুঝানোর মত না। এই ঘোর থেকে বের হতে যথেষ্ট টাইম লাগে। অদ্ভুত আবেশে চারদিক কেমন বিভ্রম লাগে। প্রথমটা পড়া হয়নি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

মুজিব রহমান বলেছেন: রিভার গড পড়লেও একই রকম অনুভূতি হতে পারে।
বাস্তবিক বারবারই ভেবেছি এমন থ্রিলার কিভাবে লিখে ফেলে মানুষ। মনে হয় যেন অন্য গ্রহের লেখা।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমটা পড়া হয় নি। তবে দ্য ভিঞ্চি কোড পড়েছি।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মুজিব রহমান বলেছেন: রিভার গড পড়লে দ্বন্দ্বে পড়ে যাবেন কোনটা সেরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.