নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বদলে যায় একই গল্প!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদ্দিন হলে গিয়েছি আলী আক্কাস নাদিম ভাইর সাথে দেখা করতে। তিনি নাই। তার রুমে কয়েক বন্ধু আড্ডা দিচ্ছেলেন। একটি গল্প শুনলাম-
কীর্তনে রান্না হচ্ছিল। হাড়ি থেকে চাল মাটিতে পড়ে গেলে, রাঁধুনি দৌড়ে গেলেন পুরোহিতের কাছে, কি করবো?
পুরোহিত জানতে চাইলেন, এক্ষেত্রে মুসলমানরা কি করতো?
রাঁধুনী বলল, ধুয়ে আবার হাড়িতে দিতো।
পুরোহিত সিদ্ধান্ত দিলেন- তা হলে, না ধুয়েই হাড়িতে উঠিয়ে দাও।

নাদিম ভাইকে না পেয়ে এলাম জগন্নাথ হলে, বন্ধু অসীমের কাছে। ও নাই তবে অন্যরা আড্ডা দিচ্ছিল। বসলাম কিছুক্ষণ। এর মধ্যেই ওর এক রুমমেট গল্পটি বলল-
ওরসে রান্না হচ্ছিল। ডেচকি থেকে চাল মাটিতে পড়ে গেল। বাবুর্চি দৌড়ে হুজুরের কাছে গিয়ে কি করবে, জানতে চাইলো।
হুজুর জানতে চাইল- হিন্দুরা হলে কি করতো?
বাবুর্চি বলল, ধুয়ে আবার হাড়িতে দিতো।
হুজুর সিদ্ধান্ত দিলেন- তা হলে, না ধুয়েই হাড়িতে উঠিয়ে দাও।

কাকতালীয়ভাবে একই দিন একই গল্প শুনেছিলাম ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে। হয়তো অন্য কেউ, অন্যকোনভাবে গল্পটি বানিয়েছিলেন। ধর্মান্ধরা সেটাকে নিজেদের সুবিধা মতো বানিয়ে নিয়েছেন। ঘটনা: ১৯৮৯ সালের। অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

সাগর শরীফ বলেছেন: ফারাক শুধুই মনের... মানসিকতা...

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: পৃথিবীর সমস্ত ধর্মান্ধরাই একই রকম। শুধু কোম্পানী ভিন্ন।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের অনেক কিছুই ইহুদি ধর্ম থেকে নেয়া কিন্তু একটু এদিক সেদিক করে, এই যেমন চালের ব্যপারটা ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: কেতাবি ও সেমিটিক ধর্মগুলোর মধ্যে মিল অনেক বেশি।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ধর্ম বিষয়টা এই একুশ শতকে এসে তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলেছে ।

এটা এখন শুধুমাত্র একটি আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে । এক সময় হয়তো তাও থাকবে না ।

হারিয়ে যাবে কালের অতল গহীনে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: উপায় কি?
বিজ্ঞান যেভাবে সত্য অনুসন্ধান করছে তাতে মানুষতো বুঝে যাবে সব।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বোধ ধার্মিকেরাই দেশটারে খাইলো।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। সহমত। তারা অন্ধকার যুগে নিতে চায় দেশটাকে।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: আগের বেশিরভাগ হুজুরদের কোরান হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান কম ছিল, তার কারণ হলো তখন আরবী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা এত বই ছিল না, যে কারণে তারা অনেক কিছু না জেনেই ফতোয়া দিত।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ইমামরা মসজিদে মাদ্রাসায় চাকরি করে। বেতন দেয় যারা তাদের পক্ষেই ফতোয়া দিতে হয়। বেতন দাতারা খুবই প্রভাবশালী সেখানে ইমামরা প্রভাবহীন। জানা না জানার সাথে ফতোয়ার সম্পর্ক খুব বেশি নয়- সম্পর্কটা প্রভাবশালীদৈর ইচ্ছায় অনিচ্ছায় হয়।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: আগের বেশিরভাগ হুজুরদের কোরান হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান কম ছিল, তার কারণ হলো তখন আরবী থেকে বাংলায় অনুবাদ করা এত বইপুস্তক ছিল না, আরবী ভাষাও তাদের খুব একটা আয়ত্বে ছিল না, শিক্ষার আগ্রহ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমান বই পুস্তকের অভাবে হাদীস কোরান সম্পর্কে জ্ঞান আহররণ করা সম্ভব হতো না, যে কারণে তারা অনেক কিছু না জেনেই ফতোয়া দিয়ে থাকত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.